All language subtitles for Tiger Nageswara Rao (2023) UNCut 720p WEBRip x264 AAC [ Hin,Kan ] ESub

কিছু ইতিহাস লেখা হয় রক্ত দিয়ে।

কিছু ইতিহাস লেখা হয় অশ্রু দিয়ে।

এটা এমন এক ইতিহাস
যেটা লেখা হয়েছে রক্ত ও অশ্রু দিয়ে।

রক্ত এবং অশ্রুর গল্প।

- স্যার।
- শুভ সকাল, স্যার।

গুরুত্বপূর্ণ কাজে দিল্লি যাচ্ছি,
SP কে জানিয়ে দিও।

ওকে, স্যার।

- জলদি করুন, প্লিজ?
- ধন্যবাদ, স্যার।

- ধন্যবাদ।
- স্যার।

মি. বিক্রম... কোড রেড।

জলদি শুরু করুন।

আসছি, স্যার।

রাজপুত স্যার ফোন করেছিল।

উনি রেড কোড বলেছেন।

- ট্যাক্সি!
- স্যার!

স্যার, ID প্লিজ।

স্যার, তারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আসুন।

এই দিকে প্লিজ।

ধন্যবাদ।

জেন্টেলম্যান, উনি বিশ্বনাথ শাস্ত্রী...

ডিএসপি - ক্রাইম ব্রাঞ্চ, গুন্টুর

উনি হলেন মি. অনুজ গুপ্তা,
ইনচার্জ, VIP সিকিউরিটি, দিল্লি।

স্যার।

মি. শিং, পুলিশ কমিশনার, দিল্লি।

স্যার।

উনি মি. বিক্রম চৌধুরী...

ইনচার্জ, ভারত প্রধানমন্ত্রীর
পার্সোনাল সিকিউরিটি।

আমি রাঘবেন্দ্র রাজপুত,
গোয়েন্দা ব্যুরোর প্রধান।

স্যার, এসব কেন?

মানে, মধ্যরাতে ফোন
এবং দিল্লির জন্য স্পেশাল ফ্লাইট।

আসলে কি হচ্ছে, স্যার?

মি.বিশ্বনাথ শাস্ত্রী, IPS ১৯৬৩ ব্যাচ।

প্রথম পোস্টিং... বাপাতলা ডিভিশন...

দ্বিতীয় পোস্টিং... চিরালা ডিভিশন...

তৃতীয় পোস্টিং... ১৯৭৯ থেকে আজ পর্যন্ত...

ডিএসপি - ক্রাইম ব্রাঞ্চ, গুন্টুর।

তাই প্রাথমিকভাবে...
আপনি টাইগার জোনে কাজ করেছেন।

দ্য জোন অফ...

টাইগার নাগেশ্বর রাও।

স্যার, দুঃখিত আমি বুঝতে পারছিনা।

টাইগার নাগেশ্বর রাও এবং
আপনাদের মাঝে সম্পর্ক কি?

মি. শাস্ত্রী...

এই মিটিংয়ে,
প্রশ্ন শুধু আমি করব।

প্লিজ বসুন।

এখন আমাকে টাইগার নাগেশ্বর রাও
সম্পর্কে সবকিছু বলুন।

স্যার।

স্যার, নাগেশ্বর রাও যদি রাজনীতিতে যেত...

তাহলে নিজের বুদ্ধি দিয়ে
নির্বাচনে জয়লাভ করত।

খেলায় অংশগ্রহণ করলে ইন্ডিয়ার
জন্য মেডেল জিতে নিত।

যদি আর্মিতে যেত, তাহলে তার
সাহস দিয়ে যুদ্ধ জিতে যেত।

দুর্ভাগ্যবশত সে একজন
অপরাধীতে পরিণত হয়েছে, স্যার।

আমি আমার কর্মজীবনে
তার মত অনেক লোক দেখেছি।

মঙ্গল সিং, ওমকার সিং যাদব, পিউলা।

সে কি তাদের চেয়ে বড় চোর?

স্যার, কেউ না বলে কিছু নিয়ে গেলে
তাকে চোর বলে

আক্রমণ করে কিছু নিয়ে গেলে
তাকে ডাকাত বলে।

কিন্তু কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করে ছিনিয়ে নেয়,
সেটা টাইগার নাগেশ্বর রাও, স্যার।

স্যার, নাগেশ্বর রাও সম্পর্কে শুনেছে
এমন অনেক মানুষ আছে।

কিন্তু হাতেগোনা কিছু মানুষ তাকে দেখেছে।

এমনকি, আমিও তাকে কখনো দেখিনি, স্যার।

কয়েক বছর আগে, যখন আমি চিরালা
পুলিশ স্টেশনে স্পেশাল ডিউটিতে ছিলাম...

তখন একটা ফোন আসে।

সেই আওয়াজটা আমার এখনো মনে আছে, স্যার।

সেটা গর্জনের চেয়েও ভয়ানক ছিল।

- চিরালা পুলিশ স্টেশন।
- আওয়াজটা মনে রাখবেন।

জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো ব্যাক্তি
যেমন বাঘের আওয়াজ চিনে...

তেমনিভাবে, এখানে কর্মরত পুলিশকে
আমার আওয়াজ মনে রাখা খুব জরুরী।

কে রে তুই?

পুলিশের নিকট একটা আবেদন...

সির্কার এক্সপ্রেস বিয়ারিং নম্বর ১৭৬৪৩,
কাকিনাড়া থেকে মাদ্রাজ যাওয়ার...

...পথে লুট করা হবে।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২০ টন শস্য
কাকিনাড়া থেকে কৃষ্ণপত্তনমে পাঠানো হচ্ছিলো।

আমরা খবর পেয়েছি যে
এগুলো চুরি হতে পারে।

খবরটা কে দিয়েছিল?

স্টুয়ার্টপুরম নাগেশ্বর রাও।

কাউকে মারার আগে এবং চুরি করার আগে
সতর্ক করে দেওয়া আমার অভ্যাস।

এই...

- কন্ট্রোল রুমে ফোন দাও!
- ওকে, স্যার।

কাকিনাড়া থেকে মাছিলিপত্তমের
দূরত্ব ২৪২ কিলোমিটার।

পথে ২১টি স্টেশন রয়েছে, এবং প্রত্যেক
স্টেশনে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য রয়েছে।

ক্রসিংয়ে একজন গার্ড এবং প্রতিটি
বগিতে RPF জওয়ান রয়েছে।

শস্যগুলো চুরি করার জন্য
শুধু একটাই সুযোগ ছিল।

২৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের
গোদাবরী ব্রিজ।

এমন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে...

তাকে সাড়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে
২০ টন শস্য চুরি করতে হবে।

আপনার কি মনে হয় এটা সম্ভব, স্যার?

লোড করতে পাঁচ ঘন্টা লেগেছে।

সাড়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে
২০ টন শস্য চুরি করবে?

এটা অসম্ভব।

স্যার...

অসম্ভব মনে করে যেখানে আমাদের চিন্তা শেষ
হয়ে যায়, তার চিন্তা সেখান থেকে শুরু হয়।

সামনে রাস্তা নেই ভেবে যেখানে আমরা হাঁটা
বন্ধ করে দিই, তার দৌড় সেখান থেকে শুরু হয়।

এখানে...

এই! ঘুরা!

আমরা তীরের কাছে এসে গেছি।!
ঘুরা এটাকে! ঘুরা!

কেটে ফেল!

নাগি লাফ দে!

ধরতে পেরেছিলেন তাকে?

- হ্যালো?
- স্যার, সে পালিয়ে গেছে।

- সে হয়তো আশেপাশে আছে, দেখ--
- কিন্তু, সে দেখতে কেমন সেটা আমরা জানিনা।

স্যার, নাগেশ্বর রাওয়ের সবগুলো
ক্রাইম ফাইল প্রস্তুত।

২৫ বছরের ব্যবধানে সে কি
অপরাধের সাহিত্য রচনা করেছে?

সে খুব তাড়াতাড়ি শুরু করেছিল, স্যার

দশ বছর বয়স থেকে নাকি?

- আট বছর
- আট বছর বয়সে চুরি করেছিল?

খুন।

না, স্যার! স্যার, না!

এমনটা করবেন না, স্যার! আমাকে মারবেন না।

- ইয়েলামান্দা।
- প্লিজ স্যার!

- তিনি ছিলেন স্টুয়ার্টপুরম অপরাধের অপরিহার্য অংশ।
- স্যার! স্যার!

স্টুয়ার্টপুরমে হওয়া সকল অপরাধের
পিছনে তার হাত আছে।

সেসব অপরাধ থেকে পাওয়া প্রতিটি
টাকায় তার ভাগ আছে।

স্যার... স্যার...

- এই, ভালোভাবে কর।
- স্যার, আমাকে ছেড়ে দিন।

- ঠিক আছে, স্যার।
- স্যার!

তোকে কি আমি চুরি করতে বলেছিলাম?

আর চুরি করার আগে তুই কি
আমার থেকে জিজ্ঞেস করেছিলি?

অন্তত, চুরি করার পরে আমাকে
অংশ দিয়েছিস?

ঝুঁকি নিয়ে আমি টাকাগুলো
চুরি করেছি।

আপনাকে কেন দিব?

ষাঁড় দিয়ে জমি চাষ করা হলে
ষাঁড় কি ফসলের মালিক হয়ে যায়?

কুকুর ঘর পাহাড়া দিলে ঘরটা
কি কুকুরের হয়ে যায়?

স্টুয়ার্টপুরম আমার অধিকার হওয়ার পরেও
এখানের টাকা তোর কিভাবে হয়?

হাঁটুতে পেরেক মার।

এমনটা করবেন না, স্যার! আমি আর
সীমা পার করব না।

স্যার!

একটা চোরের পা কেটে দেওয়ার মানে হল
একজন গিটারিস্টের আঙুল কেটে ফেলা।

নমস্কার, স্যার।

এই...

- তোর ছোট ছেলে?
- জ্বি, স্যার।

সে চেয়ারে বসতে এত আগ্রহী কেন?

সেতো সামান্য সম্মানও দিতে জানে না!

কাজ কি বলুন, স্যার।

কানাকা রাও রেঙ্গুনে গিয়ে
অনেক টাকা কামিয়েছে।

সবগুলো টাকা তার লোহার ট্রাঙ্কের ভিতরে আছে।

বুঝেছি, স্যার।

- পাল্লালু...
- স্যার।

তাকে তিন টাকা দে।

স্যার, আরো দুই টাকা বাড়িয়ে দিন।

তোর নানী কি টাকা আমার
পাছায় ঢুকিয়ে রেখেছে?

আসলে, স্যার... যখন কোডি ভিরান্না
আপনার কথায় চুরি করতে গিয়েছিল...

লোকজন ধরে তার পা ভেঙে দিয়েছে।

সে আর কাজ করতে পারে না।

- তার ছেলেমেয়ে ক্ষুধার্ত--
- কি রে?

তার ছেলেমেয়ের কথা ভাবছিস!

পা ভেঙে যাওয়ার পর তার স্ত্রী
কি তোর সাথে ঘুমায়?

হারামজাদা!

কাজ শেষ হওয়ার
পর দেখব। যা।

আয়।

এখানে কেন খুঁড়ছো, বাবা?

মাটি যেখানে দুর্বল ইঁদুর
সেখানে গর্ত করে।

এখানে খুঁড়লে সহজেই গর্ত বানাতে পারব।

এইযে, এটা ধর।

নাগি, কেউ আমাকে ভিতরের দিকে টানছে।

আমাকে টেনে বের কর। চল!

এই! চোর পালাচ্ছে!

- টান দে!
- উঠুন স্যার!

- চল!
- ঘরে চোর এসেছে!

- চল! ধর তাকে!
- তাকে ভিতরে টান।

বাবা, আমার এখন পালানোর সুযোগ নেই।

এটা ইয়েলামান্দার কাছে নিয়ে যা।

উনি দুই টাকা দিবে। এক টাকা ভিরান্নাকে
দিস এবং বাকিটা রেখে দিস।

এটা আমাদের পরিশ্রমের টাকা।
কাউকে দেওয়ার দরকার নেই।

যেতে দিস না। তাকে ভিতরে টান!

আমি ধরা পড়লে, তোদের ধরতে
কি পুলিশের বেশি সময় লাগবে?

কি দেখছিস? দেওয়ালের ওইপাশে যা!

আমাদের ধরতে হলে আগে তুমি কে
সেটা তো জানতে হবে, বাবা।

আমি কে সেটা কিভাবে জানবে না?

মাথা ছাড়া শরীরকে তারা
কিভাবে চিনবে, বাবা?

সিংহ এবং বাঘের মত বড় শিকারীরা
যৌবন না হওয়া পর্যন্ত দুধ পান করে, স্যার।

কিন্তু সে আট বছর বয়সে
রক্ত নিয়ে খেলা শুরু করে।

বাবার খাওয়ানো খাবার গলা
পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই...

সে বাবার গলা কেটে নিল!

সে কি আসলে মানুষ?

নাগেশ্বর রাওকে বুঝতে হলে,
আপনাকে স্টুয়ার্টপুরম সম্পর্কে জানতে হবে, স্যার।

বেজ্জালা প্রসাদ... স্টুয়ার্টপুরম কুরুক্ষেত্রের
দ্রোণাচার্য হিসেবে পরিচিত।

বর্তমানে যেসব গ্যাংস্টার
স্টুয়ার্টপুরম শাসন করছে...

...অতীতে তারা প্রসাদ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

এই!

শুয়োরের মাংসের তরকারি খেয়ে
মাটিতে গড়াগড়ি করলে হবে না।

গাধার রক্ত পান করে
ঘোড়ার মত দৌড়াতে হবে।

কোন পুলিশ তোদের ধরতে পারবে না।

দশ টাকা।

কার লাগবে?

আমার লাগবে! আমার লাগবে!

- তোর লাগবে?
- হ্যাঁ, স্যার।

নিয়ে নে।

এটার মধ্যে কালো বিচ্ছু আছে।

১৪ বছর বয়সে নাগেশ্বর রাওয়ের সাথে
বেজ্জালা প্রসাদের দেখা হয়।

চুরি করার জন্য শুধু সাহস নয়,
মাঝেমধ্যে বুদ্ধিরও প্রয়োজন--

ভেঙ্কটের ছেলে সে।

আমার থেকে কাজ শিখবি?

এজন্যই করেছি এটা।

গাধার রক্ত পান করার পর, না জিড়িয়ে
কয়েক ঘন্টা দৌঁড়াতে হয়।

নয়তো, শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে
মৃত্যু হতে পারে।

এরকম কঠোর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেজ্জালা
প্রসাদ নাগেশ্বর রাওকে প্রস্তুত করেছিলেন।

TIGER NAGESWARA RAO
অনুবাদ ও সম্পাদনায়ঃ
© মিনহাজ আল ইসলাম।

♪ Take some Cola. ♪

♪ Add some rum or arrack. ♪

♪ Good to look at and ♪
♪ gives a high if you drink it. ♪

♪ Mix them well and drink, Macho man. ♪

স্টুয়ার্টপুরমের গ্যাংগুলোর মধ্যে
সংঘর্ষ এড়াতে...

প্রত্যেক বছর একটা নিলামের
আয়োজন করা হয়, স্যার।

ইয়েলামান্দার অধীনে।

সেই সময়, স্টুয়ার্টপুরমে তিনটি প্রধান
গ্যাং কাজ করত।

পোতু সুরি, ডেগা রবি এবং জর্জ বাবু।

স্টুয়ার্টপুরমের অপরাধের টাকা দিয়ে ইয়েলামান্দা
রাজনীতিতে প্রবেশ করে MLA নির্বাচিত হয়।

ইয়েলামান্দার ছোট ভাই কাশি
তার পাশে ছিল।

বড় ভাই হায়দ্রাবাদ থেকে
রাজনীতি পরিচালনা করত,

ছোট ভাই স্টুয়ার্টপুরমের
বিষয়গুলো দেখাশোনা করত।

এই!

নিলাম শুরু কর।

গুন্টুর রেলওয়ে স্টেশন...
প্রথম ডাক ২৫,০০০ টাকা।

- ৩০,০০০ টাকা।
- ৩৫,০০০ টাকা।

আরে, ভাই এখন MLA.

পুলিশ এখন আমাদের হাতে।

তোরা রাজার মত চুরি করবি। আরো বেশি বল!

- ৫০,০০০ টাকা।
- হ্যাঁ! এটাইতো চাই!

জর্জ বাবু ৫০,০০০ টাকা ডাক দিয়েছে।

৫০,০০০ এক!

৫০,০০০ দুই!

৫০,০০০ তিন!

গুন্টুর রেলওয়ে স্টেশন
জর্জ বাবুর নিকট বিক্রি করা হল।

অন্য গ্যাং পরবর্তী সংক্রান্তি উৎসব পর্যন্ত
স্টেশনে ডাকাতি করতে পারবে না।

নাচো! নাচো!

কোথায় ছিলে, নাগি?
অনেকদিন পর দেখছি তোমাকে।

কোনকিছুর একবার স্বাদ নেওয়ার পর,
সেটা থেকে আমার মন উঠে যায়।

বিজয়ওয়াড়া এবং গুন্টুর...
প্রথম ডাক হল... এক লাখ টাকা।

এই, আমরাও কি ডাক দিতে পারব?

ডাক দেওয়ার জন্য গ্যাং লাগবে
এবং পাশে বসার জন্য চেয়ার লাগবে।

এই মালটা কে?

আনগি শেঠ।

কলকাতা যাওয়ার পথে একটি জাহায
দুর্ভাগ্যবশত বন্দর পোর্টে চলে যায়।

সেখানে তার তামাকের
বস্তা ছিল।

সে চায় আমরা তার মালগুলো
চুরি করে তাকে দিয়ে দিই।

- ভাই...
- আপনার কাজ করতে পারবো না বললাম না।

আবার কেন এসেছেন?

একবার কথাটা শুনো।

শুনেন, আমারা চোরাচালানের সাথে জড়িত নই।

আমাদের ব্যবসা ভিন্ন।

দেখ ভাই, কলকাতা পোর্ট
আমার কাছে বউয়ের মত।

যখন চাই ঢুকতে পারি
এবং বের হতে পারি।

কিন্তু বন্দর পোর্ট তোমার এলাকায়।

তাই তোমাকে বলছি।

যে আমার মালগুলো বের করে আনবে
তাকে আমি ২০ পার্সেন্ট ভাগ দিব।

এই! বলছিতো সম্ভব না। যান।

৩০ পার্সেন্ট!

এই ভাই... ৪০।

৪০ পার্সেন্ট।

পঞ্চাশ।

টাইগার চলে এসেছে।

আমাকে অর্ধেক ভাগ দিলে,
আপনার মাল আমি এনে দিব।

সত্যি?

এই!

এখানের সব সিন্ধান্ত শুধু ভাই নেয়।

দুজনে একা ডিল করলে আমরা
এখানে কেন বসেছি?

চিন্তা করবেন না,
শেঠ। এটা ন্যায্য চুক্তি।

ঠিক করেন।

- শালা--
- থাম কাশি...

যে কাজটা কেউ করতে পারছে না,
সেটা তুই কিভাবে করবি?

বলে দিলাম, কাল সন্ধ্যার মধ্যে
মাল নিয়ে হাজির হবো।

মাল নিয়ে আসতে না পারলে
আমার প্রস্রাব খাবি?

খাবো।

তোর কি গ্লাস লাগবে
নাকি সরাসরি খেয়ে নিবি?

দেখা হবে।

স্যার...

হেরে গেলে কি করতে হবে বলে দিয়েছেন।

কিন্তু জিতলে কি পুরস্কার
দিবেন সেটা বলেননি!

কি চাই তোর?

চেয়ার, স্যার।

কি?

যদি মালগুলো নিয়ে আসি, তাহলে তিনটি
চেয়ারের পাশে আরো একটি চেয়ার যোগ করবেন।

তার মধ্যে একটা চেয়ার আমার।

আগামীকাল সন্ধ্যায় দেখা করবো।

ভিতরে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।

একবার ডুকলে পালানোর পথ নেই।

তামাক শুধুমাত্র একটন।
বাকি সব সোনা।

একটন তামাক দিয়ে ধূমপান
করতে কেমন লাগে জানিস?

কি নাগি? এটা বলিস না যে
সবগুলো মাল জ্বালিয়ে দিবি!

মালগুলো নিয়ে সে আসবে ভেবে
অপেক্ষা করছেন?

নাগি এসেছে!

তামাকের বস্তায় আগুণ লেগেছে।
ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দাও!

বক্স নাম্বার ৭৯৪৩ এ আমার মাল আছে।

অসাধারণ কাজ, ভাই। অসাধারণ!

তাকে আমাদের সাথে
কলকাতা নিয়ে যাই, স্যার।

তার কাজ দেখার পরেও তাকে আমাদের
এলাকায় আমন্ত্রণ জানাচ্ছিস?

তুই কি পাগল?

দোয়া কর তার কদম যেন কলকাতায় না পড়ে
এবং আমাদের ব্যবসাতে যেন তার নজর না লাগে।

চল।

ভাই! যদি কখনো সাহায্য লাগে,
আমার নাম আনগি শেঠ মনে রেখো।

কাশি!

চেয়ার।

সে চেয়ারে বসতে এত আগ্রহী কেন?

তোর নানী কি টাকা আমার
পাছায় ঢুকিয়ে রেখেছে?

"Hunger for determination is him"

"Love for power is him"

"Greed for wealth is him"

"He starts where everyone stops"

"He scares the darkness
that scares everyone"

"He can leave his own shadow
if the need demands him to"

"He is the one who takes
something with him after death"

আমাদের নিলামে জেতা এলাকায়
সে চুরি করছে।

তার বিরুদ্ধে গেলে সে
মারধর করছে।

বস, নাগির শক্তি দিন দিন বাড়ছে।

"It's him... it's him"

"He will crush anyone who opposes him"

"It's him... it's him"

"He will strangle the throat
that speaks against him"

"It's him... it's him"

"He says that growth is a birth right"

"Lust means wanting"

"A life without want is nothing"

"In these times that lack kindness"

"Anger is the protecting armor"

"Greed is profitable when you live
among people who make loss to you"

"People will walk over you if you are
sweet, arrogance is the right quality now"

"Heat against heat feels cold,
jealousy is the right medicine"

"He says being bad is good in
this world filled with villains"

"It's him..."

আমরা এখানে কথা বলতে এসেছি।
আমাদের সমস্যার সমাধান করুন, স্যার।

আমাদের স্বর্ণের দোকানগুলো টার্গেট
করবেন না। আপনারা যেটা বলেন সেটা করব।

আপনাদের মালপত্রের
গ্যারান্টি আমরা দিব।

তার জন্য আপনাদের প্রতি মাসে
২০০০ টাকা ট্যাক্স দিতে হবে।

- এটা কি জন্য?
- এটা নাগেশ্বর রাওয়ের ট্যাক্স।

"It's him... it's him"

"He will crush anyone who opposes him"

"It's him..."

"He will strangle the throat
that speaks against him"

"It's him..."

"He says that growth is a birth right"

থাম!

কেমন আছিস?

তার খবর নেওয়ার জন্য আপনি ছিলেন না।

সে খুব দ্রুত এগোচ্ছে।

ইয়েলামান্দা এবং তার ভাই
প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে।

- তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে--
- এই

- শান্ত হ।
- দিওয়াকর, এখানে সাইন কর।

গারিকা দিওয়াকর...

গারিকা দিওয়াকর!

- জজ সাহেব ডাকছেন, চল।
- গারিকা দিওয়াকর!

উকিল সাহেব!

দাঁড়িয়ে আছিস কেন, দোস্ত?

আমি অনেক ক্ষুদার্ত।

আরে ধুর! সবসময় পতিতালয়ে
গিয়ে খেয়ে আসিস।

এখন আবার ক্ষিদে পেয়েছে?

খাবারটাকে দেখতে সুস্বাদু লাগছে।

তুই যা। আমি খাবারটা খেয়ে আসছি।

- জরিমানা পরিশোধ কর।
- আমার কাছে টাকা নেই।

সালাম, নাগি।

কি চাচি, নতুন মাল আসলে
সবসময় খবর দাও।

এইবার দাওনি যে?

সময় পায়নি! তারা ধরে
এখানে নিয়ে আসলো।

জরিমানা কত?

সবমিলিয়ে ২৫০ টাকা, নাগি।

আমি দিয়ে দিব।

পাশে ভুট্টার ক্ষেত রয়েছে।

দশ মিনিট লাগবে শুধু। চল।

আমি অনেক ক্ষুধার্ত।

দশ মিনিট সময় নিব শুধু, মেয়ে।

আমার প্লেটে খাবার খেতে হলে,
তিনদিন পর্যন্ত ক্ষুধার্ত থাকতে হবে।

কি বলছে সে, চাচি?

তিনদিনের ব্যাপারটা কি সত্য,
নাকি আমাকে উপেক্ষা করছে?

সে সত্য বলছে, ভাই।

ওহ... সেই ক্ষেত্রে...

কি?

তোকে...

এই!

সর!

পুলিশ অফিসারকে ধাক্কা দিস?

জীবন্ত চামড়া তুলে নিব, শালা।

পুলিশটাকে ভালো ধোলাই দিয়েছিস, নাগি।

এই, চুপ থাক।

গারিকা দিওয়াকারের জামিন মঞ্জুর করা হল।

মেরেকা রাস্তার পাশে একটা মন্দির আছে।

সেখানে পাহারাদার নেই।

হাতে গদা এবং রূপার মুকুট আছে।

একটা ব্রোঞ্জের ঘন্টা, তামার
কলস এবং পিতলের পাত্র।

ছিহ!

ছোট ছোট কাজ বাদ দিয়ে
বড় কাজ ধর।

চুরি করলে, বড় কিছু চুরি কর।

আরে, দেবর...

আমার স্বামী দুই বছর পর বাড়িতে এসেছে।

তাকে কিছুদিন বাড়িতে থাকতে দাও।

তাকে বিয়ে করিয়ে দিলে
ঠান্ডা হয়ে যাবে।

বিয়ে করে ফেল, দেবর।

তোমার স্ত্রী থাকলে, সে বাড়ির যত্ন নিবে
যখন তুমি বাইরে কাজে থাকবে।

একসাথে জেলে গেলে
সে তোমাকে সঙ্গ দিবে।

করতে চাইলে বল।

চিরালাতে মামার মেয়ে আছে, মানি।
তোকে তার সাথে বিয়ে দিব।

এটাই করো, ভাই।

নয়তো, সব টাকা পতিতালয়ে
উড়িয়ে ফেলবে।

কি? সত্যি নাকি?

এরকম কিছু না, ভাই।
সে ফালতু বকছে।

এটা সত্য, ভাই!

তার কারণে চিলাকালুরীপেটায় দুই তিনটা
পতিতালয় ভালোই চলছে।

ইয়ারি... শালা!

তুমিও কি নাগির সাথে সেখানে যাও?

তোমার পাশে ঘুমালে পতিতালয়ের
সস্তা পারফিউমের গন্ধ আসে।

তুমি বুঝোনি। সে তাদের সাথে ঘুমায়।

তারপর এসে আমার পাশে ঘুমায়।

গন্ধটা সেখান থেকেই আসে।

কি ভাবছিস?

এইবার বড় ধরণের চুরি করতে হবে,

যাতে জীবনে আর কখনো
চুরি করতে না হয়।

এমন কিছুর খোঁজ নাও।

জেলে সেন্থিল নামের একজনের সাথে দেখা হয়েছে।

তার কথা অনুসারে...

চুরি করা সোনা প্রতিমাসে
বার্মা থেকে মাদ্রাজে পাঠানো হয়।

কতটুকু? ৫০ তোলা হবে?

ওহ! আধা কেজি!

৩০০ কেজি।

পুরোটাই দেখাশুনা করে
বেসন্ত নগর ভাই।

নাগাপত্তনম থেকে পুদুচেরি পর্যন্ত সব
চোরাচালান চুক্তি তার অধীনে হয়।

তার আশেপাশে ৩০০ লোক থাকে।

তার অজান্তে সেখানের সমুদ্রে একটা
মাছও সাঁতার কাটতে পারে না।

তোমাদের নৌকায় অভিযান চালাতে এসে,
আমাদের অফিসার মি. শর্মা নিখোঁজ হয়েছেন।

আমরা সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে এসেছি।

যদি কেউ তার এলাকায় পা রাখে...

সে মাছকে যা খাওয়াচ্ছে
সেগুলো মাছের খাদ্য নয়।

এগুলো হল...

হুহ! আংটিটা মি. শর্মার।

এই।

টুকরোগুলো কে করেছে?

আঙুলে আংটি আছে
সেটা খেয়ালও করেনি।

দেবী লক্ষ্মী।

শোন ইয়ারি...

এই কাজটা ছুরি এবং ব্লেড
দিয়ে করা যাবে না।

আমাদের বন্ধুক লাগবে।

যে স্টুয়ার্টপুরমের অপরাধের
সীমা অতিক্রম করছে...

স্টুয়ার্টপুরমের সহিংসতায় যে
বন্দুকের শব্দ যোগ করেছে...

সে হল নাগেশ্বর রাও।

রশিদের নিকট থেকে বন্দুক নিতে
নাগি গুন্টুর এক্সপ্রেসে উঠল।

আর এটাই তার জীবন বদলে দিল।

এটা স্থানীয়ভাবে তৈরি।

একবার লোড করলে
দুইবার গুলি করা যায়।

এটা হল পিস্তল।

এটাতে ছয়টা বুলেট থাকে।

এটা সহজেই লুকিয়ে রাখা যায়।

মেয়েটা সেই, তাইনা দোস্ত?

সম্মান দিয়ে বল।

শ্রদ্ধেয় মেয়েটা সেই, তাইনা দোস্ত?

সে তোর ভাবী।

কি?

তোমার ফিগার দারুণ।

কি?

এছাড়া, এই চ্যাপ্টারে আছে...

বলছিলাম যে তোমার ফিগার এবং
গায়ের কার্ভ অসাধারণ।

যদি শিকল টেনে দিই,
ইপুরপুলামে থেমে যাব।

সেখান থেকে ছয় কিলোমিটার
দূরে থোটাভারিপালেম।

তারপর দুর্গা মন্দিরে বিয়ে।

- কি বল?
- পাগল নাকি?

হ্যাঁ, আমি জানি কোনকিছু কিভাবে পেতে হয়।

কখনো অনুমতি নেওয়ার অভ্যাস ছিল না।

জীবনে প্রথমবার,
অনুমতি নিচ্ছি।

আমরা কি বিয়ে করতে পারি?

এটা কি ধরণের ফাজলামো? কে তুমি?

আমি নাগেশ্বর রাও।

স্টুয়ার্টপুরম নাগেশ্বর রাও।

খুন, চুরি ও ডাকাতির প্রায় ১৫০ টি
মামলায় আমি অভিযুক্ত।

চিলাকালুরীপেটায় চার থেকে
পাঁচটি পতিতালয়ে আমি যায়।

আমার জন্যই তাদের পরিবার চলে।
এমনটা আমার বন্ধুরা বলে।

যখন আমি কোন মেয়েকে দেখি,
অন্যরকম ক্ষুধা অনুভব করি।

আশ্চর্যজনকভাবে... ক্ষুধা
এখন এখানে অনুভব করছি।

`অন্যরকম ক্ষুধা` বলতে
কি বোঝাতে চাইছো?

'অন্যরকম ক্ষুধা' দিয়ে আপনি কি
সকালের নাস্তা বুঝাতে চাইছেন, স্যার?

গাধী, এটা বোঝার জন্য তোকে
হলিউড মুভি দেখতে হবে।

উনি ভিন্নভাবে গোপনাঙ্গ বুঝিয়েছেন।

এই, মেয়েদের সাথে কিভাবে
কথা বলতে হয় জানো না?

বেবি, কিছুদিন তোমার পিছনে ঘুরলে বুঝে যাব
তুমি কি পছন্দ করো আর কি পছন্দ করো না।

এরপর, তোমার পছন্দমতো তোমার সাথে
কথা বলে তোমাকে আমার প্রেমে ফেলবো।

সব পুরুষ মেয়েদের ফিগার দেখে, সোনা।

কিন্তু তারা এটাকে বর্ণনা করতে 'অনুভূতি'
এবং 'ভালোবাসা' এর মত বাজে শব্দ ব্যবহার করে।

কে ভালো? যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলে
নাকি যে সত্য কথা বলে?

সে ফাটিয়ে দিয়েছে, ভাই!

তহসিলদার অফিস
বাপাতলা

তুমি বলছো তোমরা শিক্ষার্থী।

তামাকের কারখানা স্থাপনের জন্য
মূলধন কিভাবে সংগ্রহ করবে?

মূলধনটা আমরা দেখে নিব।

কিন্তু আমরা যাতে অনুমতি পায়
সেটা একটু দেখবেন, স্যার।

ঠিক আছে। আমি আবেদনটা ফরোয়ার্ড করে দিব।

দেখি আমরা কি করতে পারি।

ধন্যবাদ, স্যার।

চিরালা কলেজ।

নাগি সেখানকার ছাত্রদের হাতখরচ দিয়ে,

তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করে দিয়ে
নিজের দখল শক্তিশালী করে।

সালাম, ভাই।

উনি আমাদের দিকে দেখছে না কেন?

তুই কি মেয়ে যে তোর দিকে দেখবে?

ঐদিকে দেখ।

মেয়েটাকে চিনিস তোরা?

সারা, BA সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে।
মাঙ্গার ক্লাসমেট।

- ওহ!
- বাপাতলা কলেজে পড়ত সে।

কিন্তু বিয়ের কারণে পড়াশোনা
বন্ধ করে দিয়েছিল।

বিয়ে হয়নি তাই আবার পড়াশোনা
শুরু করেছে নাকি?

আপনি কেমনে জানেন?

আমাদের হিরোর কারণে
তার বিয়ে ভেঙেছে।

আমি তোর উদ্দেশ্য বুঝে গেছি, দোস্ত।

কিন্তু সে অন্য কারো বউ হতে চলেছে।

চুরি মানে হল অন্যের জিনিস চুরি করা

শুনেন! আলমারিতে রাখা টাকাগুলো নেই!

তামাশা হচ্ছে নাকি?

- প্লিজ শান্ত হোন।
- এই বিয়ে হবে না।

- প্লিজ এমন করবেন না।
- না, এটা হবে না।

রাহুল, চল।

দোস্ত, আমাদের চলে যাওয়া উচিত।

দোস্ত, যদি সে জানতে পারে বিয়ে
ভাঙ্গার পিছনে তুই ছিলি,

সে তোকে আজীবন ঘৃণা করবে।

কি এটা?

তোমার বাবা যৌতুকের জন্য
এই টাকা আলমারিতে রেখেছিল।

এটা উনাকে দিয়ে দিও।

এটা তুমি কিভাবে পেলে?

তোমার বিয়ে বন্ধ করতে চুরি করেছি।

ছাড়ো আমাকে।

যদি ছেলেটা টাকার চিন্তা না করে
এখনো বিয়ে করতে চাই...

আমি তার পায়ে পড়ে
টাকাগুলো দিয়ে দিব।

আমি চাইলে সত্য লুুকিয়ে তোমার
পিছনে ঘুরতে পারতাম।

কিন্তু আমি তোমার থেকে
সত্য লুকাতে চাইনা।

ছেড়ে দেন, ভাই। বিয়ে ভাঙ্গার কারণে
তার বাবা-মা কলেজ পাল্টে দিয়েছে।

যদি তারা জানতে পারে, তার
পড়াশোনা বন্ধ করে দিবে।

ছেড়ে দেন। প্লিজ, ভাই।

কে ভালো?

যে তোমাকে টাকার জন্য ছেড়ে দিয়েছে
নাকি যে চুরি করা টাকা ফেরত দিয়েছে?

এইতো... ফাটিয়ে দিয়েছে!

♪ Ward off the evil eye ♪
♪ once you reach home. ♪

♪ How did you take ♪
♪ birth being so beautiful? ♪

♪ With your cute smile. ♪

♪ You ignited a great fire in my heart. ♪

♪ You are a building with high security. ♪

♪ I've jumped the wall to rob you. ♪

♪ You are an iron trunk ♪
♪ that's secured with a lock. ♪

♪ How many days can I not steal you? ♪

♪ You have taken over my heart totally. ♪

♪ You made me fall flat for you totally. ♪

♪ You have taken over my heart totally. ♪

♪ You made me fall flat for you totally. ♪

♪ Don't throw spice into ♪
♪ my eyes with your anger. ♪

♪ Don't wage a war on me daily. ♪

♪ All my hopes are pinned on you. ♪

♪ Don't no your head in ♪
♪ negative and ruin them. ♪

♪ Love bloomed in my ♪
♪ heart as an impossible feat. ♪

♪ I am unable to eat or sleep now. ♪

♪ Who would let go of a girl upon ♪
♪ whom he developed a rare liking. ♪

♪ Which is why my
heart longs only for you. ♪

♪ You have taken over my heart totally. ♪

♪ You made me fall flat for you totally. ♪

♪ You have taken over my heart totally. ♪

♪ You made me fall flat for you totally. ♪

♪ If you keep thinking
taking all the time. ♪

♪ Auspicious time would pass meanwhile. ♪

♪ So, if you tell me right ♪
♪ now that you like me... ♪

♪ Let us get married right today. ♪

♪ Youth turns crazy if ♪
♪ sweet wishes aren't fulfilled. ♪

♪ It would turn gloomy ♪
♪ without some romantic time. ♪

♪ The world would be a beautiful ♪
♪ place with the right couples united. ♪

♪ We could be a half ripe fruit always. ♪

♪ You have taken over my heart totally. ♪

♪ You made me fall flat for you totally. ♪

♪ You have taken over my heart totally. ♪

♪ You made me fall flat for you totally. ♪

চুরি করা সোনা যেটা আপনাকে দিয়েছি
সেটার মূল্য ১০ লাখ টাকা।

কিন্তু অনেকবার হিসাব করার পরেও,
তিন লাখ টাকা কম হচ্ছে।

ভাই, বোম্বেতে হাসানের কাছে নিয়ে
গিয়েছিলাম সোনাগুলো দেখাতে।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে,
সোনা নিয়ে গেছে।

২৫,০০০ টাকা ঘুষ দিয়ে অনেক
কষ্টে বের হয়েছি।

কসম করছি, কিছুটা সময় দিন,
আমি আপনার টাকা দিয়ে দিব, ভাই।

কাশি... কাশি... কাশি...

কাশি, যেকান মূল্যে আমি শোধ করে দিব।

- চল।
- এই

কাশি... কাশি, তাকে ছেড়ে দাও...

- কাশি... কাশি, প্লিজ ছাড়ো তাকে।
- বাবা, বাঁচাও।

এটা আসলে, সতর্কতা হিসেবে,
আপনি যদি পালিয়ে যান!

- ভাই।
- আপনার ভাষায় বলতে গেলে...

- বন্ধক!
- প্লিজ ভাই, আমি শোধ করে দিব।

তিনদিনের মধ্যে তিন লাখ টাকা দিয়ে
তাকে নিয়ে যেতে পারবেন।

যদি শোধ না করেন,

- আমি তাকে রেখে দিব।
- না, ভাই। তাকে ছেড়ে দাও।

তাকে ব্যবসাতে লাগাবো...

- ভাই।
- তিন লাখ টাকা কামাতে...

চিন্তা করে দেখেন দিনে কতজন
লোকের সাথে ঘুমাতে হবে।

- ছেড়ে দাও, ভাই।
- তোর হিসাব ভুল কাশি।

এই কাশি!

ঋণের জন্য উনার সম্পত্তি
তুই নিয়ে যেতে পারবি।

এখানে ভুল কিছু নেই।

চেয়ার, টেবিল এবং আমার
শ্বাশুড়ি, এগুলো উনার সম্পত্তি।

কিন্তু এই মেয়েটা আমার সম্পত্তি।

এই, তার চক্করে পড়ে এই বিষয়ে
হস্তক্ষেপ করবি না।

নয়তো আফসোস করতে হবে।

আফসোস?

যদি তাকে এখন না ছাড়িস...

তোদের সবাইকে মেরে
এখানে পুঁতে ফেলবো।

ইয়েলামান্দা ভাই অল্প বয়সে সাহসিকতা
দেখাচ্ছিস ভেবে তোকে ছেড়ে দিয়েছে।

একটা মেয়ের কারণে
ঝামেলায় পড়িস না।

তুই জানিস না
ইয়েলামান্দা ভাই MLA?

তোকে পথ থেকে সরাতে
শুধু তিন মিনিট লাগবে।

সারা'কে চাস নাকি স্টুয়ার্টপুরম?

যদি বল সারা লাগবে নাকি আমার জীবন লাগবে,
আমি সারা'কে বেছে নিব।

সারা আমার, স্টুয়ার্টপুরমও আমার।

এই!

- এই!
- কাশি।

ভাইয়ের সাথে কথা বলে
বিষয়টা পরে দেখে নিব।

চল যাই।

কাশি চল যাই। তাকে ছেড়ে দে।

কাশি, ছাড়। চল।

এই, কাশি এবং পাল্লালু...

আগামীকাল থেকে,
স্টুয়ার্টপুরম আমার মালিকানায় থাকবে।

স্টুয়ার্টপুরমের সবগুলো গ্যাংয়ের
ট্যাক্স আমাকে দিতে হবে।

নাগেশ্বর রাও স্টুয়ার্টপুরম নয়...

স্টুয়ার্টপুরম নাগেশ্বর রাও!

বলে দিস তাকে।

চল কাশি।

চল।

মাদ্রাজ থেকে চোরাচালানের
সোনা আসার বিষয়ে খবর পেয়ে...

নাগেশ্বর রাওয়ের সহযোগীরা বেসন্থ নগরের
এলাকা থেকে সেন্থিলকে অপহরণ করে।

এই, বল...

বল।

কখন এবং কোথায় মাল আসবে?

আদিমুকা জেটিতে
জাহায আসবে।

জাহাযটি যে জায়গায় খালাস করা হবে
সেটি এখান থেকে তিন মাইল দূরে।

নাগি!

ভাবী এসেছে।

- কি হয়েছে?
- পরশু সারার বিয়ে।

আমি বোঝানোর অনেক
চেষ্টা করেছি।

বাবা মানছে না।

কি করব এখন?

এখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ইপুরপালেম।

সেখান থেকে থোটাভারিপালেম
যেতে দশ মিনিট লাগবে।

দেবীর মন্দিরে আমরা
বিয়ে করে নিব।

আমাকে বিয়ে করবে?

ঘোষণা দেওয়ার পরেই আমি চুরি করি,

তাই যে মেয়েকে ভালোবাসি তাকে
গোপনে বিয়ে করতে পারবো না।

তুমি নিশ্চিন্তে বাড়ি যাও।

বিয়ের মণ্ডপে সবার সামনে
তোমাকে বিয়ে করব।

দেখি কে আটকায়।

নাগি, সবার প্রথমে আমার
বাবা আটকাবে।

যদি ঝামেলা কর,
তাহলে প্রথমে বাবার মুখোমুখি হতে হবে।

এমনটা আমি চাইনা।

নাগি, প্লিজ, আমার কথা শুনো।

আমরা বিয়ে করে ফেললে,
সব ঠিক হয়ে যাবে।

এই, গাড়ি লোড কর।

কথা শুনো।

নাগি, গাড়ি এসেছে।

তোমরা কি কোথাও যাচ্ছো?

তোমার সম্পর্কে সব জেনেও,
আমি তোমার প্রেমে পড়েছি, নাগি।

তোমার কাজে কতটা ঝুঁকি আছে
সেটা আমি জানি, নাগি।

যদি, কোন কারণে,
তুমি বিয়েতে আসতে না পারো,

আমার সম্পর্কে ভেবেছ?
আমার অবস্থা কি হবে?

প্লিজ নাগি, যেও না।

কাল সকাল ৫ টায় চিরালা
রেলওয়ে স্টেশনে দেখা করব।

সে কথা দিয়েছে...

তোমাদের বিয়ে হওয়ার পর তিনদিন
পর্যন্ত সে কোথাও যাবে না।

নাগি, কি বলিস?

নিশ্চিন্তে বাড়ি যান।

জাহায যেকোন সময়
চলে আসতে পারে, চল।

নাগি, ইয়ারি ইশারা দিয়েছে।
তারা হয়তো শুরু করেছে।

কন্টেইনার শনাক্তকরণ
নাম্বার হল ৪৫৯৮৬৫।

কেউ দেখে নিলে,
আমি চাকরি হারাবো।

জলদি কর।

প্রতিটি কন্টেইনারে ডানমুখী একটা
মাছের প্রতীক আছে।

তবে, যে কন্টেইনারে সোনা আছে
সেখানে প্রতীক বামমুখী থাকবে।

এটা কি নাগি?

এটা সীল গলাতে
সাহায্য করে।

- নাগি, জলদি কর। তারা চলে আসবে।

জলদি।

এসো,

এই সিলটা অন্য বক্সে লাগা।

এইযে তোমাদের বক্স।

নিয়ে নাও।

ইয়ারি এবং মারি কোথায়?

অন্ধ্রের বিড়ি এখানে কি করছে?

একটু আগুন দাও।

পুরো এন্নুর থেকে পন্ডিচেরি
পর্যন্ত আমার এলাকা।

একটা ছোট মাছ নড়লেও,
আমি জানতে পারি।

আর তোরা বড় হাঙ্গর হয়ে
এখান থেকে পালাবি?

আমার এলাকা থেকে
পালানোর সাহস আছে?

তুই আমার সাহস সম্পর্কে
কিছুই জানিস না?

তোর এলাকায়...

তোর অজান্তেই আমি মাল
স্থানান্তর করেছি।

তুই এখন যাই কর,

আমি সেগুলো সাথে নিয়ে যাব।

আমাকে বাধা দেওয়ার সাহস...

আছে তোর?

তাকে কেটে টুকরো করে ফেল!

যা!

অনুবাদ ও সম্পাদনায়ঃ
© মিনহাজ আল ইসলাম।

সে একদম চিতাবাঘের মত।

সে বাঘের মত ক্রুদ্ধ।

সে ঘোষণা দিয়ে, আমার মাল
চুরি করেছে।

বুঝেছি। আমি তাকে ধরবো এবং
তোমার মাল তোমাকে ফেরত দিব।

ছেলেটা বিড়ির কারণে
ধরা খেয়েছে।

তাই তোকে বলি যেখানে
সেখানে বিড়ি না খেতে।

কি সমস্যা?

নাগি, পুলিশ।

মালগুলো আমাদের গ্রামে
নিয়ে যা।

আমি সারার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।

ভেটাপালেম বন্দর দিয়ে
আমাদের এলাকায় চলে যাস।

তুমি আসবে না ভেবে কতটা
ভয় পেয়েছি জানো?

মঙ্গলসূত্র নিয়ে এসেছ?

হুহ?

চিন্তা করো না, আমি সেটাও নিয়ে এসেছি।

কি হল?

তোমাকে চিন্তিত দেখাচ্ছে।

ঘর থেকে পালিয়ে এসেছি আমি।

চিন্তিত তো আমার হওয়া দরকার।

গত রাতে, চুরি করে
পালানোর সময়...

তুই দুজনকে গুলি করেছিস...

তারা এখন হাসপাতালে
মৃত্যুর সাথে লড়ছে।

মাদ্রাজে তোর বিরুদ্ধে
ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে।

এই।

যদি আজ জেলে যাস...

তুই আর কখনো স্টুয়ার্টপুরমে
ফিরে আসতে পারবি না।

সারাও আমার, স্টুয়ার্টপুরমও আমার।

তোর সম্পত্তি...

আমি দখলে নিলাম।

তোমাকে বলিনি?

তোমাকে একদিন
অপেক্ষা করতে বলিনি?

যদি একদিন অপেক্ষা করতে...

তাহলে আমরা এই ট্রেনে থাকতাম।

এই মঙ্গলসূত্র আমার
গলায় থাকতো।

আমার হাতে এখন দুইটা অপশন আছে।

সেগুলো কি জানো?

বাবা যদি আমাকে নিয়ে যাওয়ার
সুযোগ পায়...

তার পছন্দের ছেলের সাথে
আমার বিয়ে দিবে।

যদি এই লোকটা নিয়ে যায়...

নিজের ইচ্ছামতো ব্যবহার করবে।

তুমি সবসময় আমাকে
জিজ্ঞেস করো, তাইনা?

কোনটা ভালো?

বল আমাকে, কোনটা ভালো হবে?

স্যার, তাকে নিয়ে যান।

- নিয়ে চলো।
- সারা।

সারা।

সারা... সারা।

সারা... সারা।

সারা, এমন করো না।

মা!

নাগেশ্বর রাওয়ের সাথে শত্রুতা নয়,
প্রেমও বিপজ্জনক।

সে নিজের বাবাকে খুন করেছে।

যে মেয়েকে ভালোবেসেছে
তাকে আত্মহত্যা করতে দিয়েছে।

পুলিশ অনেক অত্যাচার করার পরেও,

সোনাগুলো কোথায় রেখেছে
সেটা সে স্বীকার করেনি।

অপরাধটা মাদ্রাজে হয়েছিল, তাই তাকে
তামিল নাড়ু পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

আদালত তাকে ১৪ বছরের
কারাদণ্ড প্রদান করেছে।

এখন আর কি? কাহিনী খতম।

স্টুয়ার্টপুরম নাগেশ্বর রাওয়ে'র
কাহিনী এখানে শেষ।

কিন্তু...

টাইগার নাগেশ্বর রাওয়ে'র
কাহিনী এখান থেকে শুরু।

এই! দরজা খোল, জলদি!

জলদি!

এই! দরজা খোল!

সমস্যা কি?
খাবার খাচ্ছিস না কেন?

যদিও বাঘটি এখন বন্দি এবং
আর শিকার করছে না,

তবুও তাকে মাংস খাওয়াতে হবে।

এটা পোন্নু সামি'র জেল,

আমি যা বলি তা করতে হবে,
যা দিই তা খেতে হবে

বুঝেছিস?

তাহলে কালকে জেল থেকে পালানোর
পরেই খাবো, স্যার।

এই...
এটা সাউথ ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় জেল।

গত ৫০ বছরে ৩০০ লোক
পালানোর চেষ্টা করেছে।

একজনও এখান থেকে
পালাতে পারেনি।

যত পারিস চেষ্টা কর।

তুই কিভাবে পালাবি
সেটা আমি দেখতে চাই।

চেষ্টা করে দেখ।

এই কুকুরগুলো পাঁচ থেকে ছয়
ফুট উপরে লাফ দিতে পারে, স্যার।

যা এই দেয়াল থেকে নয় ফুট কম, স্যার।

এই উচ্চতায় লাফ দিতে হলে, অনেক
দ্রুত দৌড়াতে হবে, স্যার।

তদন্ত করতে আসা অফিসাররা
হতবাক হয়ে গেল, স্যার।

যে দেওয়ালটা নাগি পার হয়েছে সেটা ন্যাশনাল
গেমসের উচ্চ লাফের উচ্চতার চেয়ে ৫ মিটার উঁচু ছিল।

একটা প্রশিক্ষিত কুকুর যতটুকু উচ্চতায়
লাফ দিতে পারে সেটা তার চেয়ে তিন মিটার উঁচু ছিল।

সে কি বাঘের মত লাফ দিয়ে পালিয়েছে?

বাঘের মত নয়,
সে একটা বাঘ।

জেল থেকে পালিয়ে, নাগেশ্বর রাও
সরাসরি MLA এর ফ্যাক্টরিতে গেল।

সে আটক হওয়া এবং সারা'র মৃত্যুর জন্য
MLA এর ছোট ভাই দায়ী ছিল।

সে কাশি এবং তার ২৪ জন
লোকের গলা কেটে নিয়েছে, স্যার।

আর এভাবেই টাইগার
খুনিতে পরিণত হয়েছে।

এই লোকটা বিপজ্জনক।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়াও।

সবাই নিজ অবস্থানে সতর্ক থাকবে।

- স্যার।
- স্যার, দুঃখিত মাঝখানে কথা বলছি...

আমি এখনো বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা কেন বাড়াতে হবে?

নাগেশ্বর রাও চিঠি পাঠিয়েছে যে সে ৪৮
ঘন্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে চুরি করবে।

এটা একটা হুমকি, এটা একটা চ্যালেঞ্জ।

স্যার, বিষয়টা গোপন রাখতে হবে...

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ভেঙে...

ভিতরে প্রবেশের খবর মিডিয়াতে আসলে...

আমাদের আন্তর্জাতিক সুনাম
ঝুঁকিতে পড়বে, স্যার। প্লিজ, স্যার।

মি. VIP সিকিউরিটি!

আপনি কি মনে করেন এটা কারাগার
যেখানে দেয়াল টপকিয়ে পালানো যাবে?

এটা প্রধানমন্ত্রীর থ্রী উইং সিকিউরিটি।

বছরের পর বছর চেষ্টা করেও, কেউ
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘন করতে পারেনি।

সে হয়তো দক্ষ তবে যথেষ্ট নয়।

আমি এটা প্রমাণ করব।

আসো আমার সাথে।

স্যার, আপনার কথামতো সবকিছুর
ব্যবস্থা করেছি।

- গুড! সব চেক করেছ?
- হ্যাঁ, স্যার।

স্যার।

মি. সিং, এক নাম্বার গেটে যান।

আপনি দুই নাম্বার গেটে যান।

- প্রধানমন্ত্রী কোথায়?
- স্যার, উপরে আছেন।

- সিকিউরিটি, এ্যালার্ট।
- ওকে, স্যার।

তুমি ওইদিকে যাও।

সিকিউরিটি, এ্যালার্ট... এ্যালার্ট
তিন নাম্বার গেট খুলো...

ম্যাডাম আসছে।

শাস্ত্রী, কি যেন বলেছিলে?

করার আগে প্রথমে বলে।

আর বলার পরে,
কাজটা করে।

কোথায় সে?

স্যার সে--

তোমার কি মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর
নিরাপত্তা ভাঙা এত সহজ?

থামো।

- এটা কার জন্য?
- ম্যাডামের জন্য, স্যার।

ম্যাডামের জন্য?

কিন্তু উনি এইমাত্র চলে গেল!

ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার!

হুমম, রাজপুত।

৮ নাম্বার গেট এ্যালার্ট,
এখনি বহর থামাও।

কি হয়েছে রাজপুত?

স্যরি ম্যাডাম। শুধুমাত্র রুটিন চেক।

- অসুবিধার জন্য দুঃখিত।
- সমস্যা নেই।

বহর যেতে দাও।

স্যার, ম্যাডাম যদি বহরে থাকে...

তাহলে?

আমাদের কারোর সাহায্য ছাড়া,
সে ভিতরে আসতে পারতো না।

সকল অফিসারকে এখানে জড়ো কর।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করব।

স্যার, সবাই এসেছে।
আমি লিস্ট চেক করেছি।

কিন্তু, রাজু, যে শাস্ত্রী স্যারের সাথে এসেছিল,
তাকে দেখছি না।

সে আমার সাথে কেন আসবে, স্যার?

আমাকে রিসিভ করতে তাকে
পাঠিয়েছেন ভেবেছি?

তাই আমি ভাবলাম সে দিল্লি পুলিশের লোক।

দিল্লি পুলিশ? সে আপনার সাথে এসেছে,
আমরা তাকে আপনার সহকারী ভেবেছি।

তাই তাকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছি।

কিন্তু স্যার।

আওয়াজটা মনে রাখবেন...

জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো ব্যাক্তি যেমন
বাঘের আওয়াজ চিনে...

এইখানে কর্মরত পুলিশকে অবশ্যই
এই আওয়াজটা মনে রাখতে হবে।

স্যার!

স্যার।

স্যার, আমি নরসিমহা রাজু।
দিল্লি পুলিশ থেকে।

অনেকদিন ধরে এখানে আছি।

স্যার, অনেকে নাগেশ্বর রাওয়ের কথা শুনেছে,

কিন্তু খুব কম লোকই তাকে দেখেছে।

এমনকি, আমিও তাকে দেখিনি।

সে সারাদিন আপনাদের পাশে থেকে
পুরো সিকিউরিটি প্ল্যান শুনেছে।

সে কি আন্ধ্রা নাকি দিল্লি পুলিশের ছিল...

সেটাও বের করতে
পারেননি আপনারা।

খুবই লজ্জার বিষয়।

- ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার, আসলে--
- থাক।

সে ১২ ঘন্টা কমপাউন্ডে ছিল।

তার কাছে পিস্তল ছিল।

আমি খুব কাছাকাছি ছিলাম।

সে যেকোন কিছু করতে পারত।

ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার,
আমাদের এক সপ্তাহ সময় দিন।

আমরা তাকে খুঁজে শেষ করে দিব।

নিশ্চিত করছি তার এনকাউন্টারের
খবর বাইরে আসবে না।

সে এখানে আসার ঝুঁকি কেন নিল?

যদি তার উদ্দেশ্য শুধু টাকা হয়...

তার দক্ষতা দিয়ে,
সে রিজার্ভ ব্যাংকে চুরি করতে পারত।

এটা চুরি নয়, রাজপুত।

এটা একটা মেসেজ।

মেসেজটাকে ডিকোড কর।

তারপর, তাকে শেষ করে দাও।

তার মত অপরাধীর বেঁচে থাকার অধিকার নেই।

এই চিঠিটা সে রেখে গেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী...

আমার কথামতো আমি এসেছি।

কথা অনুযায়ী,
আমি একটা জিনিস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছি।

অনুরোধ করছি আপনার সিকিউরিটিকে
চাকুরীচ্যুত করবেন না।

৪৮ ঘন্টা,
তারা আমাকে থামানোর চেষ্টা করেছে।

ইতি, টাইগার নাগেশ্বর রাও।
স্টুয়ার্টপুরম।

স্যার, সে আসলে ভালো মানুষ।

আসলেই স্যার।

সে চুরি করে কি নিয়ে গেল?

টাকা হারিয়ে ফেলেছেন বলেছেন।
কিছু খেয়েছেন?

পুলিশ সতর্কতা - নাগেশ্বর রাওকে
ধরার জন্য ১০০০০ টাকা পুরস্কার

সব জায়গায় শুধু তার পোস্টার।

যেখানে যাচ্ছি শুধু
তার কথাই শুনছি।

পুলিশ বলছে সে আত্মসমর্পণ না করা
পর্যন্ত আপনাকে যেতে দিবে না।

সে কে ভাই?

তাকে ধরিয়ে দিলে
১০,০০০ টাকা পুরস্কার দিবে।

অনেক টাকা দিচ্ছে!

সে কি দানব?

আপনি জানেন রামায়ণে,
রামকে দেবতা মনে করা হয়।

আর রাবণ হল রাক্ষস।

আপনাকে লঙ্কা গিয়ে
তাদের কাহিনী শুনতে হবে।

এমনকি রাক্ষসদের মধ্যেও,
রামের মত কেউ থাকতে পারে।

তাহলে, তার সম্পর্কে যা শুনেছি
সবকিছু মিথ্যা?

ক্ষুধা এবং খাবার...

পৃথিবীতে এই দুটোই সত্য।

যদি পরিশ্রম করেন,
যেকোন জায়গায় খাবার পাবেন।

কিন্তু,
আমাদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।

কষ্টের দিকে তাকিয়ে,
একজনের রাগ উঠে গেল।

সে সময়, তার বয়স ছিল ১৮।

এই, তোর বাবা তোকে কাজে পাঠাচ্ছে?

না ভাই, আমি নিজেই এসেছি।

জেলে যেতে মজা লাগে?

আমি স্কুলে যেতে চাই,
ভাই, জেলে না।

আমি স্টুয়ার্টপুরম থেকে এসেছি জেনে
তারা স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে।

আমি শুনেছি জেলে গেলে, তারা
পড়াশোনা করিয়ে পরীক্ষা নিবে।

শুধু পড়াশোনা করতে
জেলে যেতে চাচ্ছিস?

পড়াশোনা শেষ করে
কি করবি?

শিক্ষক হয়ে সবাইকে পড়াব,ভাইয়া।

ভাইয়া, পৃথিবীতে শিক্ষার চেয়ে
বড় কিছু নেই, তাইনা?

এই নাগি, তোকে নেমে যেতে হবে।

ভাইয়া...

আম্বেদকরের শিক্ষা সমাজে
পরিবর্তন এনেছিল।

দেখা হবে, ভাইয়া।

স্যার।

গুন্টুর রেলওয়ে স্টেশনে কে চুরি করছে
ধরতে পেরেছো?

সে করেছে, স্যার।

৫০০০ টাকার সোনা বিক্রি
করে খেয়ে ফেলেছিস?

বল, কোথায় লুকিয়ে রেখেছিস, বল।

স্যার, সে একটা বাচ্চা।

তাকে মারবেন না। প্লিজ।

- বল, সোনা কোথায়?
- স্যার, প্লিজ।

- বল।
- স্যার, আমি নির্দোষ...

আমি স্টুয়ার্টপুরম থেকে এসেছি।
তারা আমাকে ৬০ টাকা দিবে বলেছে।

এসব কি বলছে সে? কি এসব?

- স্যার, সে মিথ্যা বলছে।
- স্যার।

পুরো গ্রামটাই এমন, স্যার।

স্টুয়ার্টপুরমের পুলিশ এভাবেই
কাজ করে, স্যার।

মালগুলো ভাগ করে
আসল চোরকে রেহাই দেই...

তারা স্টুয়ার্টপুরম থেকে এভাবেই
কাউকে ধরে আনে...

আর দাবি করে কিছু পাওয়া যায়নি।

তোমাকে বরখাস্ত করলাম।

প্লিজ, স্যার...

- এবারের মত মাফ করে দিন।
- নিজেকে বেশি চালাক মনে কর?

স্যার, আপনাকে ১০০০ টাকা দিব।

আমাকে দেখে কি ঘুষখোর মনে হয়?

- মাথায় রাখবে!
- ২০০০ দিব।

সন্ধ্যায় বাড়িতে পাঠিয়ে দিও।

স্যার।

- শালা, তোর কারণে ৭০০০ টাকা হারিয়েছি।
- স্যার, আমাকে মারবেন না।

- তোকে।
- তাকে মারবেন না, স্যার।

টাকা কি তুই দিবি? চুপ থাক, বুড়ো।

- মাইর সহ্য হচ্ছে না?
- স্যার... স্যার।

ওহ, না!

আমার ছেলে... আরে না!

আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছেন?

গাধাটা একটা মারও সহ্য করতে পারেনি।

- না।
- তোমরা গাধার রক্ত খাও, তাইনা?

- আমার ছেলে!
- একটা লাথিও সহ্য হয় না?

DSP স্যার স্টুয়ার্টপুরম সম্পর্কে
সমস্ত তথ্য পেয়েছেন।

তিনি তোমাদের সবাইকে
ধরতে নির্দেশ দিয়েছে...

জেলায় বিচারাধীন মামলায়
জড়িত থাকার জন্য।

বৃদ্ধ, দুর্বল বা অসুস্হ
মানুষ নয়...

শক্তিশালী লোক লাগবে...

তার মতো...

সে...

এই থাম! থাম!

এই, ছেলেটাকে ধর।

আমার ছেলে!

এই!

এই! থাম! কোথায় পালাচ্ছিস?

স্যার, প্লিজ!

নাগি দেখ, তারা আমার ছেলেকে মেরেছে।

আম্বেদকরের শিক্ষা সমাজে
পরিবর্তন এনেছিল।

স্যার, প্লিজ।

আজকে নিলামের আয়োজন আমি করব, তুই না।

স্টুয়ার্টপুরমে পুলিশ সদস্যদের
মারধর করার নিলাম।

এই নাগি, পাগল নাকি তুই?
পুলিশকে মারবি?

- নিলাম শুরু করব?
- আমি ৩০০ টাকা ডাক দিলাম।

আমি ৩২৫ টাকা ডাক দিলাম।

এই, তাকে টেনে নিয়ে আয়।

- মার তাকে!
- হ্যাঁ! মার তাদের।

এই, নাগি। পুলিশকে মারার সাহস কেমনে হয়?

পুলিশ স্টেশনে চল।
সেখানে তোর ব্যবস্থা করব।

হ্যাঁ, আমি তোকে চ্যালেঞ্জ করছি।

এই, আমি--

মার তাকে, নাগি। শেষ করে দে।

- মার তাকে! ছেড়ে দিস না!

- সবাই, মারো তাদের! ধরো!
- তাদের ধরো!

এখন থেকে স্টুয়ার্টপুরমে
নিলাম নিষিদ্ধ।

স্যার, তাকে চিনেন?

জেলে গিয়ে সে পড়াশোনা
করতে পারবে ভেবে...

নিজের উপর দোষ নিয়ে
পুলিশের সাথে গেল...

পুলিশের মারধরের কারণে
তার অবস্থা এমন হয়েছে।

তার মতো শিশুদের আমার
স্কুলে ভর্তি করালে...

অন্যান্য শিশুদের উপর
নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সেসব শিশুদের মধ্যে...

আমাদের মত ব্যাক্তির জীবন পরিবর্তন
হতে পারে কিনা বিবেচনা করুন।

আমরা জন্মগতভাবে চোর নয়...

পরিস্থিতির কারণে আমরা
বাধ্য হয়ে এটা করি...

আমরা পরিবর্তন চায়।

আমাদের একটা সুযোগ
করে দিন, স্যার।

তাহলে, তাদের খাবার এবং বইপত্রের
খরচ কে বহন করবে?

স্যার, সে দায়িত্ব আমার।
সেটা আমি দেখে নিব।

আগামীকাল থেকে,
তোমরা স্কুলে চলে আসবে।

♪ Oh god sent angel ♪

- এই!

কতবার বলেছি নারীদের মঙ্গলসূত্রে
হাত না দিতে।

♪ Oh divine intervention ♪
♪ who changes our lives... ♪

- তোমার নাম?
- না, তোমার নাম।

♪ Start punishing the foes. ♪

♪ Turn angry for us. ♪

এই, নাগি।

- শশ!

- যার সাহায্য প্রয়োজন তার জন্য আমি আছি।

♪ We have grown strong ♪
♪ with your shadow touching us. ♪

- ভালো করে পড়।

ভাইয়া, আমি ফাস্ট ক্লাস পেয়ে পাস করেছি।

- এরপর কি নিয়ে পড়বি?
- আমি MBA করতে চাই।

চালিয়ে যা।

♪ We're with you, we won't bear ♪
♪ anymore pain, you are our army. ♪

♪ Come, the lion hearted warrior. ♪

♪ The one with courage ♪
♪ and kindness alike. ♪

এই প্লেটে যে খাবার আছে,
সেটা নাগির কারণে।

এই সাহায্য সরকার পাঠিয়েছে...

বন্যা কবলিত মানুষের জন্য।

ইয়েলামান্দা এই সাহায্য তার
ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।

নাগি ঝুঁকি নিয়ে সেগুলো চুরি করেছে।

বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে সে
এগুলো বিতরণ করে দিয়েছে।

♪ Come, the lion hearted warrior. ♪

♪ The one with courage ♪
♪ and kindness alike. ♪

নাগি যদি এত ভালো মানুষ হয়...

তাহলে, সে ২৪ জন লোককে কেন মেরেছে?

সে বিশ্বাস করত স্টুয়ার্টপুরমের
যুবকদের শুধু শিক্ষা প্রদান করলে...

যথেষ্ট হবে,
বাকি পথ তারা নিজেরা তৈরি করে নিবে।

কিন্তু নাগি বুঝতে পারল, হাঁটতে
শেখানোর পাশাপাশি,

তাকে দায়িত্বও নিতে হবে...

- তাদের পথ প্রশস্ত করার।
- সালাম, ভাই।

এই, রতনম।

কি হয়েছে, ভাই?

প্রশ্নগুলো তৈরি করেছিস?

এই। এই, রতনম।

ভাই...

ভাই, কি হল?

- ভাই।
- রতনমকে কেন মারছে?

- ভাই।
- ভাই, তাকে মেরো না।

ভাই, প্লিজ মেরো না।

নাগি... নাগি।

কি করেছিস তুই?

এই বোকা শিক্ষিত হয়েও ঠিকমতো
চুরি করতে পারেনি।

পুলিশ তাকে ধরতে চাইলে
সে হোস্টেলে ঢুকে পড়ে।

এটা আমার ভুল ইয়ারি...

আমি বড় গলায় বলেছিলাম

আমরা চোর নয়, পরিস্থিতি আমাদের
এটা করতে বাধ্য করে।

মূর্খ!

পরিস্থিতি কখনো বদলায়নি, ভাই।

যখন আমরা চাকরির আবেদনের
জন্য সার্টিফিকেট পেতে...

পরিশ্রম করে শিক্ষা
অর্জন করি...

তখন আবেদনে তারা 'স্টুয়ার্টপুরম'
দেখে বাদ দিয়ে দেয়।

হ্যাঁ, ভাই, ভাগ্যের কারণে
ইন্টারভিউ পর্যন্ত গেলেও...

তারা জিজ্ঞেস করে,
স্টুয়ার্টপুরম থেকে, তাইনা?...

চল, আমার পকেট থেকে টাকা চুরি করে দেখাও।

সবকিছুর পরে একটা
চাকরী পেলেও...

পুলিশ ভেরিফিকেশন পাস হয় না,
ভাই।

কারণ আমার বাবা, মা, এবং বড়
ভাইয়ের ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে।

ছোটবেলায় আমাকে খাওয়াতে
আমার বাবা-মা চুরি করেছিল।

এখন, তাদের ক্ষুধা মিটাতে
আমি চুরি করি।

ক্ষুধা এবং খাবারের দূরত্ব এখনো
আছে, ভাই।

শুধু শিক্ষা দিলে হবে না, আমাকে
চাকরীও দিতে হবে।

এরজন্য কি করতে পারি বল?

ভাই...

আমাদের গ্রামে তামাকের
ফ্যাক্টরি খোলা উচিত।

হ্যাঁ, ভাই, আমাদের এলাকায়
তামাকের ভালো চাষ হয়।

এখানকার তামাকের মূল্য আন্তর্জাতিক
বাজারে অনেক বেশি।

আমরা সরাসরি কৃষক থেকে
তামাক কিনে...

আমাদের প্রসেসিং ইউনিটে
প্রক্রিয়াকরণ করে...

পণ্যটাকে মার্কেটিং
করতে পারবো।

বুদ্ধিটা ভালো, ভাই।

যেকোন শিক্ষিত লোক
কাজ পাবে।

এমনকি যারা শিক্ষিত নয়
তারাও কাজ পাবে, ভাই।

কঠোর পরিশ্রমীদের জন্য চাকরী, যারা
এটার প্রাপ্য তাদের জন্য সুযোগ...

এটাই আমাদের ফ্যাক্টরির লক্ষ্য হওয়া উচিত।

আইডিয়াটা দারুণ...

কিন্তু, ফ্যাক্টরি চালু করতে সরকার থেকে
অনুমতি নিতে হবে, ঠিক?

টোবাকো বোর্ড থেকে
অনুমতি নিতে হবে।

ফ্যাক্টরি বানানোর খরচ
কে দিবে?

টাকার জন্য,

যে মেয়েটা তাকে ভালোবাসতো,
তার কথা উপেক্ষা করে...

সে মাদ্রাজে গিয়ে
চুরি করেছিল।

এসবের মাঝে,
সে তার ভালোবাসাকে হারালো।

স্বর্ণ কোথায় লুকিয়েছিস?

বল।

এগুলো শুধু স্বর্ণ নয়...

এগুলো স্টুয়ার্টপুরমের ভবিষ্যৎ।

আমার জীবন চলে গেলেও,
বলব না।

মার তাকে।

স্যার, যতই জিজ্ঞাসাবাদ করি না কেন,
সে সত্য প্রকাশ করছে না।

বাইরের অবস্থাও তেমন ভালো না।

যেহেতু চুরি মাদ্রাজে হয়েছে...

আমাদের তাকে তামিল নাড়ু
পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে।

পুলিশের অত্যাচারে তার শরীর
ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও

তার লক্ষ্য অটুট ছিল।

যে মেয়েকে সে ভালোবেসেছিল তার জন্য
১৪ বছর উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ছিল।

এই ইয়ারি...

ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ
শুরু করেছিস?

আমাদের সব লোক কাজ করছে?

আশা করি আমাকেও ফ্যাক্টরিতে
কাজ দিবি।

বলিস না যে জেল কেটে আসা
লোকদের কাজ দেওয়া হয়না।

শুধু শুধু সময় নষ্ট করেছি,
ভাই।

এরা কিছুই জানে না।

সোনা কোথায়?

আমরা জানিনা, স্যার।

এটা কি, জানিস?

ফ্যাক্টরি বানাতে টোবাকো বোর্ডের
নিকট অনুমতি চাওয়ার আবেদন...

অথচ তোদের তামাক কেনার
সামর্থ্যও নেই।

তাহলে, ফ্যাক্টরি বানানোর টাকা
তোরা কোথায় পেলি?

মাদ্রাজ থেকে নাগির চুরি
করা সোনাগুলো নয়তো?

সেই সোনাগুলোর কারণে
নাগি ভাই জেলে গেছে।

যদি আমাদের কেটেও ফেলেন,

আমরা সোনাগুলোর হদিস
দিব না।

আমি বিধানসভা অধিবেশনে অংশ
নিতে হায়দ্রাবাদ যাচ্ছি।

আমি ফিরে এসে যেন
সোনাগুলোর হদিস পায়।

মাঙ্গা।

সোয়ামি।

- এই।
- এই।

ভাই, তাকে ছেড়ে দিন।

তাদের ছেড়ে দিন, ভাই।

রাজু।

মাঙ্গা।

এই! ছেড়ে দিন তাকে।

- না, ভাই।
- আমরা নির্দোষ, ভাই...

আমাদের যেতে দিন।

- ভাই...
- প্লিজ, ভাই...

আমরা সোনা সম্পর্কে কিছু জানিনা।

সে এখনো ছোট,
সে কিছু জানে না, তাকে ছেড়ে দিন।

- বিশ্বাস করেন, ভাই।
- সোনা কোথায়?

আমরা আসলেই জানিনা সোনা কোথায়।

আমাদের ছেড়ে দিন।

ভাই...

এই।

দেখ তাকে। দেখ।

- এখন দেখ, শালারা!
- সে এখনো ছোট, প্লিজ!

ভাই, না!

- চল, চোখ খোল।
- ভাই। না!

- মাঙ্গা।
- ভাই, তাকে যেতে দিন।

এই, ছাড় তাকে।

যদি তোরা চোখ বন্ধ করে
মাথা ঘুরিয়ে রাখিস...

- এই...
- আমি তাকে কেটে ফেলব।

মাঙ্গা!

- আমি বলব, আমি বলব...
- মাঙ্গা।

বল।

- আমি বলছি।
- শুরু কর।

- সোনা কোথায়?
- কলেজে আছে...

- হোস্টেলের পাশে...
- হোস্টেল?

সোয়ামি, বলিস না।

হোস্টেলের পাশে কোথায়?

- হোস্টেলের পাশে।
- বল।

সোয়ামি, বলিস না তাদের।

- হোস্টেলের পাশে কোথায়?
- হোস্টেলের পাশে।

- এই।
- তাকে ধর।

মাঙ্গা।

মাঙ্গা।!

ওহ মাঙ্গা!

একমাত্র সে বেঁচে আছে। সোনাগুলো খুঁজে
বের করতে পারার মত আর কেউ নেই।

তাকে নেশা করা...

নেশার প্রভাবে সে
সত্য স্বীকার করবে।

এসবের জন্য আমি দায়ী।

আমি ভেবেছি সোনাগুলো
ছাত্রদের কাছে নিরাপদে থাকবে...

কিন্তু, কখনোই ভাবিনি তাদেরকে মেরে ফেলবে।

স্যার...

স্যার...

নাগেশ্বর রাও, জেল থেকে পালিয়েছে।

আসতে দে তাকে...

আমরা এখানে ৪০ জন আছি।

৪০০ রক্ষীর নজরদারি এড়িয়ে
সে জেল থেকে পালিয়েছে।

আপনাদের এই জায়গা ত্যাগ করা উচিত।

মনে হচ্ছে সে এসেছে...

শেষ করে দে তাকে।

কি দেখছিস তোরা, যা।

দশটা ভেড়া কখনো একটা
বাঘকে শিকার করতে দেখেছিস?

৫০টা ভেড়ার একটা পাল কখনো
একটা বাঘকে শিকার করেছে?

অথবা ১০০টা?

কাশি!

এই।

কাশি... এই।

এই, কাশি।

তাকে ছেড়ে দে, নাগি।

নাগি... এটা করিস না।

চোখ বন্ধ করলে, তাকে কেটে ফেলব।

নাগেশ্বর রাও ইয়েলামান্দার লোকদের
মেরেছে, এটা হত্যা নয়...

এটা সাবধানবাণী...

- রক্ত দিয়ে লেখা সাবধানবাণী।
- কে সে?

স্টুয়ার্টপুরম নাগেশ্বর রাও।

এই... নাগেশ্বর রাও নয়...

টাইগার নাগেশ্বর রাও!

শৈশবেই তার চোখের জল,
পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল...

এমনকি সারার মৃত্যুর পরেও,
সে চোখের পানি ফেলেনি।

অনেক বছর পর, তার চোখে আবার
অশ্রু ফিরে আসে।

পুরো স্টুয়ার্টপুরম পুলিশের
নজরদারিতে রয়েছে।

তারা প্রতিটি ঘরে অভিযান চালাচ্ছে।

সেখানে থাকা বিপজ্জনক,

- তাই তাকে এখানে নিয়ে এসেছি।
- আমি এখানে থাকলে তাদের বিপদ বাড়বে।

পুলিশকে এখানে আসতে হলে,

তাদের জানতে হবে তোমার
একটা মামা আছে।

তোমার মা মারা যাওয়ার পর...

আমাদের মধ্যে আর কোন
যোগাযোগ হয়নি।

মানি বড় হওয়ার পর
তাকে আর দেখোনি, তাইনা?

হুমম, তোমাকে দেখতে সুন্দর লাগছে।

মনে হচ্ছে উনি এখানে
১০ দিন মত থাকবে।

তুমি বলেছ উনি তোমাকে দেখলে
ফিদা হয়ে যাবে, তাইনা?

দেখি কি হয়।

শুধু ১০ দিন কেন?

আমাকে একবার দেখলেই,
সে প্রপোজ করে দিবে।

এই মানি। কেমন আছিস?

নাগি এসেছে,
কিছু মাছ ভাজি কর।

সে আমার দিকে দেখছে না কেন?

তুমি আমার দিকে দেখবে না?

তাহলে, আমি খাবার কম দিব...

খাবার কম দিলে, আরো দিতে
অনুরোধ করবে।

মানি খুব ভালো মাছ ভাজি করে।

নাগিও শুখনো মাছ পছন্দ করে।

এখনো দেখছে না?

তাহলে...

আমি তরকারিও কম দিব।

দিদি, বিয়েটা তোমার
অনুমতিতে হচ্ছে?

হ্যাঁ।

তুমি কি জানো এটা তার
দ্বিতীয় বিয়ে?

আমি জানি।

মনে হয় তার তোমার বয়সী মেয়ে আছে।

জানি আমি।

যদি সবকিছু পরিকল্পনা মতো হয়,

সে নিজের মেয়েকেও বিয়ে দিয়ে দিবে,
মনে হচ্ছে।

কিন্তু তুমি বলেছ, তুমি
নাগিকে পছন্দ কর!

তাইতো এই বিয়েতে রাজি হয়েছি।

হুমম!
এখন বল, সে যদি আমাকে এভাবে দেখে?

নাগিকে দেখানোর জন্য...

তুমি এই বিয়েতে রাজি হয়েছ?

ইয়েলামান্দা এখনো বেঁচে আছে।

সে আমাদের ছেলেদের বিরুদ্ধে
থানায় মামলা করতে চলেছে।

এই নৃশংসতা তোকে বন্ধ করতে হবে।

এই,
এখানে আঙুলের ছাপ দে।

দে। যা।

স্যার! আমাদের ছেলেদের
ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না!

প্লিজ স্যার!

স্যার, যদি পুলিশ রেকর্ডে
আমাদের নাম উঠে,

ভবিষ্যতে আমাদের চাকরী
পাওয়া অসম্ভব হয়ে যাবে।

আমরা আমাদের বাপ-দাদার
মত চোর হয়ে থাকব।

এর চেয়ে ভালো হয়
আমাদের মেরে ফেলেন, স্যার।

মৃত্যু মানে সবসময় একজনের
জীবন হারানো নয়।

আমরা সারাজীবন স্বপ্ন
দেখতে থাকি, তাইনা?

সেই স্বপ্নকে মেরে ফেলতে হবে।

চাকরী নিয়ে সৎভাবে
জীবনযাপন করতে হলে,

- স্বপ্নকে মেরে ফেলতে হবে।
- স্যার, প্লিজ, আমাদের ছেড়ে দিন।

এদিকে আয়। কান্না বাবু,
ফাস্ট ক্লাসে BA পাস করেছে, স্যার।

BA ডিগ্রি অর্জনকারীর বিরুদ্ধে
চুরির মামলা কিভাবে দিব?

এতে ভদ্রলোকের সুনাম
নষ্ট হবে।

তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া যাক।

কাভালিতে আমাদের লোকের
উপর খুনের মামলা আছে,

পুলিশ তাদের খুঁজছে।

এই মামলাটাও তার উপর দিয়ে দে।

স্যার... স্যার... স্যার... আমার ভাইকে ছেড়ে দিন।

স্যার, তার জীবন শেষ হয়ে যাবে...

স্যার, তাকে যেতে দিন।

আমার ভাইকে ছেড়ে দিন, স্যার।

আপনার পায়ে পড়ি।

প্লিজ, স্যার। প্লিজ, তাকে যেতে দিন।

আমি জানতাম তুই আসবি।

এখন দেখ, তোর চারপাশে ১০০ বন্দুক আছে।

আমি শুধু কুঁড়াল মেরে চলে যাব না।

তোর হার্ট বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত
আমি বুলেট ঢুকাতে থাকব।

তোর বুলেটে আমার শরীর ছিদ্র হয়ে গেলেও...

তোর কাছে পৌঁছাতে সামনে যতগুলো
মাথা আসবে সবগুলো কেটে ফেলব।

গুলি চালা।

এই।

স্যার।

এগুলো গান পাউডার।

মাদ্রাজে চুরি করতে ৩০
কেজি নিয়েছিলাম।

সেখানে শুধু ৫ কেজি লেগেছে।

বাকি ২৫ কেজি...

মল্লিকা...

সুমতি।

ভয় পাচ্ছিস কেন? গুলি চালা!

আমরা গানপাউডার দিয়ে হলি খেলেছি।

যদি গুলি চালাস...

দীপাবলি শুরু হবে।

সত্যি, স্যার।
গানপাউডার খুব ভয়ানক।

ছোট একটা ঝলকে, আমরা জ্বলেপুড়ে যাব।

তালা ভাঙা এবং গলা কাটা আমি
আট বছর বয়সেই করে ফেলেছি।

কিন্তু, এখন তোকে মেরে ফেললে...

তারা তোর লাশ নিয়ে মিছিল করবে।

তোর মূর্তি বানাবে।

যে ফ্যাক্টরি তুই বন্ধ করার চেষ্টা করেছিস সেটার
উদ্বোধন দেখতে তোকে বেঁচে থাকতে হবে।

ফ্যাক্টরির উদ্বোধনের দিন,

তোর মাথা কেটে নিব।

তোর মাথার কসম।

আমাদের লোকেরা বেতনের জন্য কাজ করে...

তারা তাকে মারতে পারবে না।

আমি একজনকে চিনি যে কাজটা করতে পারবে।

সিআই মৌলি।

উভয়ের পুরনো দুষমনি আছি।

সিআই রেকর্ডে উল্লেখ করেছে নাগি
তাকে পতিতা বলে আঘাত করেছে।

আসলে সিআই মৌলি তার
সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিল।

ওহ!

তারপর...

তোকে!

তাকে ডাকো।

তুমি তাকে এত পছন্দ কর কেন?

১২ বছর বয়সে আমি এই
ব্যবসাতে প্রবেশ করি।

বয়স হওয়ার আগেই আমি
বেশ্যা হয়ে গেলাম।

আমাদের মত মানুষের কিছু পছন্দ আছে।

আমরা সবসময় কাজ করতে চাইনা।

সে এসব নিয়ে ভাবে।
তাই তাকে পছন্দ করি।

মৌলির আঘাতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়াতে
নাগেশ্বর রাও কেমন সেটা দেখতে পারিনি।

তুমি তার সাথে দেখা করিয়ে দিবে বল
কিন্তু দাও না।

ঠিক আছে, এইবার দেখা করিয়ে দিব।

- আসলেই?
- হ্যাঁ।

মুনুসোয়ামি সম্পর্কে তুই জানিস, তাইনা?

সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করছে।

তার মেয়েরও বিয়ের বয়স
হয়ে গেছে

তার প্রথম স্ত্রী বৃদ্ধ হয়ে যাওয়াতে
সে আরেকটা বিয়ে করছে।

বিয়ে ঠিক করে ফেল। বাবা।

আরেকবার ভেবে বল, মা।

আমি ভেবে বলছি, বাবা।

নাগি... এখানে আসতে কেউ দেখেনি তো।

ছোটবোনের জন্য
বলিদান দিচ্ছো?

তোমার বিয়ের খরচ আমি দিব।

মামা, তার জন্য ভালো পাত্র দেখেন।

দরকার নেই।

মামা, আমাকে মানির সাথে
একটু কথা বলতে হবে।

তার বউ বেঁচে থাকতেও
সে আবার বিয়ে করছে।

তোমাকে বিয়ে করার পর
সে আবার বিয়ে করলে?

তখন আমার একজনের পরিবর্তে
দুইজন সতীন থাকবে।

শুনো নাগি...

যখন আমরা কাউকে অনেক পছন্দ করি,
তখন অন্য কাউকে আর পছন্দ হয়না।

যাকে পছন্দ করি না তার প্রথম স্ত্রী
বা দ্বিতীয় স্ত্রী তাতে কি?

শুকনো মাছ খাবে?

ভাজা নাকি স্যুপ খাবে?

মানি...

তোমাকে বলছি, মানি

আমাকে বিয়ে করতে
বলছি না, নাগি।

বলছি তোমাকে বিয়ে করতে না পারলে,
যাকে বিয়ে করি না কেন তাতে কিছু যায় আসে না।

ঠিক আছে, তোমার ভালো লাগলে
অন্য কাউকে বিয়ে করতে পার।

এতে আমার কিছু যায় আসে না।

স্যুপ বানাচ্ছি।

আমার সম্পর্কে কতটুকু জানো?

পুরো রাজ্যের পুলিশ
আমাকে খুঁজছে।

শুনেছি তামিল নাড়ুর পুলিশও
তোমার পিছনে লেগেছে।

শুনেছি তুমি নাকি মাদ্রাজ জেল
থেকে পালিয়েছ।

আমি ২৪ জন লোককে হত্যা করেছি।

সংখ্যাটা ২৫ হত
যদি MLA মারা যেত।

তাকে ছাড়বে না, নাগি।

এক... দুই...

আমার জীবনে একটা মেয়ে ছিল।

তিন--

গণণা ভুলে গেছি।

একটা মেয়ে?

শুনেছি চিলাকালুরীপেটার সব পতিতার
সাথে তুমি রোমান্স করেছ।

আমাকে দেখামাত্র গুলি
করার নির্দেশ আছে।

আমি নিজেই জানিনা কখন
কিভাবে আমার মৃত্যু হবে।

সেই পর্যন্ত আমার সাথে থাকো।

এক সেকেন্ড হলেও যথেষ্ট।

সেই সেকেন্ডটা এখন হলেও চলবে।

তোমার পোস্টিং লেটার।

খুনটা নাগির উপর চাপিয়ে দিন এবং তাকে
দেখামাত্র গুলি করার অর্ডার তৈরি করুন।

♪ I'll give myself to you ♪

♪ I'll bring you
along with myself. ♪

♪ I'll place you as a flower in my hair. ♪

♪ I'll make you the spice of my food. ♪

♪ I've saved the best ♪
♪ moments of my life for you. ♪

♪ My heart would scold me ♪
♪ if I don't offer them to you. ♪

♪ I feel my lost shyness
came back to me. ♪

♪ The man stored in my ♪
♪ heart entered my life. ♪

♪ My nuptial thread told me. ♪

♪ It has hidden you inside. ♪

♪ The sweat that is forming on me. ♪

♪ It means your eyes are on me all over. ♪

♪ I have to request my anklets, ♪
♪ not to make too much noise. ♪

♪ I have to request my ♪
♪ bangles not to be mischievous. ♪

♪ Loads of hugs should fill our life. ♪

♪ I'll give myself to you ♪

♪ I'll bring you along with myself. ♪

♪ Marks of your fingernails on my body. ♪

♪ They don't let me sleep. ♪

♪ The impression of
your body on my heart... ♪

♪ How can I hide it? ♪

♪ We shall tie the night to a ♪
♪ stone so that it stays with us. ♪

♪ We shall make a delicious curry ♪
♪ out of the rooster that caws first. ♪

♪ My blob on the forehead ♪
♪ should stick to you. ♪

- ভাইজান!
- কি হয়েছে?

সিআই মৌলি মানিকে কোথায় লুকিয়ে
রেখেছেন সেটা বের করে ফেলেছে।

ওহ খোদা!

সে তার ব্যাটালিয়ন নিয়ে আসছে!

এক কাজ কর। তোর মাকে
জলদি এখানে নিয়ে আয়।

আপনি এখানে থাকেন।

এই, থাংগাডলা, জগ্গা,
সবাই এখানে আয়।

এই মরিয়ম, মরিয়ম...

- হ্যাঁ, ভাইজান।
- এসো।

এই, সরা এটা।

এই! সাবধানে।

মানি, সিআই মৌলি তোর
হদিস জেনে গেছে।

কি দেখছিস?
রশি নিচে ফেল।

এই! নিচে যা।

জলদি!

- সাবধান!
- সাবধানে!

খুব সাবধানে, সে গর্ভবতী।

জলদি! পুলিশ আসার আগেই
আমাদের এটা করতে হবে।

- এই, তুই ওখানে পাহারা দে।
- জলদি কর।

তার ব্যাথা শুরু হয়েছে।

চিন্তার কিছু নেই। তাকে নিরাপদে পৌঁছে দিব।

একটা কথা বের হল যে
আমি মানির হদিস পেয়েছি...

আমি জানতাম আপনার পোষা পুলিশ
সরাসরি আপনার কাছে আসবে।

স্যার... স্যার, তাকে ছেড়ে দিন।

সে গর্ভবতী।

স্যার, হাতজোড় করছি।

তাকে ছেড়ে দিন।

স্যার, তাকে ছেড়ে দিন।

স্যার, আপনাকে অনুরোধ করছি।

স্যার...

সে কষ্ট সহ্য করতে পারবে না,
তাকে ছেড়ে দিন।

ম্যাডাম! ম্যাডাম!

ম্যাডাম, দেখেন, সে একটা গর্ভবতী মহিলাকে
নির্যাতন করছে।

আমি জানিনা তোমার মা বেঁচে আছে কিনা।

কিন্তু তোমাকে এসব করতে দেখে
উনি নিশ্চয়ই আত্মহত্যা করতেন।

তোমাদের মত লোকের কারণে আমি
ঈশ্বরের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছি।

প্রসব বেদনা হচ্ছে তার কিন্তু
আপনি কেন চিৎকার করছেন?

এখান থেকে চলে যান।

আপনাদের সবাইকে ছোট
একটা ইতিহাস বলি।

স্বাধীনতার আগে...

জালিয়ানওয়ালা বাগে, ৫০ জন ব্রিটিশ সৈন্য
হাজার হাজার ভারতীয়দের উপর গুলি চালিয়েছে।

এতে শতাধিক মানুষ মারা যায়।

এই ভয়াবহ ঘটনা কেন
ঘটেছে জানেন?

কারণ সৈন্যদের দেখে লোকজন
পিছনে চলে যেতে থাকে।

যদি হাজার হাজার ভারতীয় সেই
৫০ জন সৈন্যের বিরুদ্ধে লড়তো...

ইতিহাস অন্যরকম হত।

এসব লোকেদের উষ্কানি দিচ্ছেন?

একটা বন্দুক দিয়ে ১০০
লোককে ভয় লাগাতে পারবে।

তোমাকে মনে করিয়ে দিতে চায়
এখানে শুধু ছয়টা বুলেট আছে।

ছয়টা বুলেট থেকে আমি
একটা নিতে প্রস্তুত।

দ্বিতীয়টা আমি নিব।

তৃতীয়টা আমি নিব।

চতুর্থটা আমি নিব।

আমারটা নষ্ট করেছিস, বোকা!

আমিও একটা নিব!
আমিও একটা নিব!

- স্যার, বিষয়টা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।
- হ্যাঁ! হ্যাঁ!

- আমাদের যাওয়া উচিত!
- হ্যাঁ! হ্যাঁ!

এই, হাতকড়াগুলো খুলে ফেল।

চলেন, স্যার। চলেন!

- মানি!
- প্রথমে তাকে ভিতরে নিয়ে যাও।

- এখানে একটু হাত দাও।

সাবধান!

ভাইজান... উনি কে?

তিনি মিসেস. হেমলতা।

সৃষ্টির পর থেকে যদি গ্রামটার কিছু ভালো
হয়ে থাকে, সেটা উনার আসার পর থেকে।

আমাদের জীবন বদলাতে উনি
নিজের মত করে রাস্তা তৈরি করেন।

দিওয়াকর বুঝতে পেরেছিল যে
তাদের পথ ভিন্ন হলেও,

নাগি এবং উনি একই
পরিবর্তন চায়।

তাই, দিওয়াকর উনার সাথে দেখা করে।

নাগি... উনি হলেন হেমলতা লেবানম।

গ্রামের পরিবর্তন করতে এসেছেন।

- উনি তোর মত অনেক পরিশ্রম করে...
- প্রথমে বল উনি কেন এসেছে।

তুমি গ্রামের পরিবর্তন চাও।
কিন্তু আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে, নাগি।

পরিবর্তন সবসময় নিজেদের দিয়ে শুরু করতে হয়।

তুমি যেটা করতে চাও, সেটা আমি
সঠিক উপায়ে শেষ করব।

ফ্যাক্টরি চালু করতে আমি
সাহায্য করব।

পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ কর।

ফ্যাক্টরি স্থাপনের টাকা কিভাবে আসবে
সেটাই সন্দেহ না তোমার!

আমি অনুদানের মাধ্যমে
টাকার ব্যবস্থা করব।

অনুদানের মাধ্যমে টাকার
ব্যবস্থা হয়ে যাবে...

কিন্তু ফ্যাক্টরি চালু করার
অনুমতি পাওয়া যাবে না।

ইয়েলামান্দা এটা হতে দিবে না।

সে সব জায়গায় বাধা দিবে।

যদি বাধা দেয়, ম্যাডাম আমাদের সমস্যা
বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিকট তুলে ধরবেন।

তুই কোথায় যাবি?

কেউ আমাদেরকে মানুষও ভাবছে না।

আমাদেরকে গ্রামের অন্যান্য
প্রাণীর মত মনে করে।

নিজে সমস্যা না হওয়া পর্যন্ত
অন্য কেউ সমস্যার কথা শুনবে না।

তাহলে, তুমি সন্দেহ করছ আমি ফ্যাক্টরি
স্থাপনে সফল হতে পারব না?

সন্দেহ নয়। এটাই সত্য।

আমি ফ্যাক্টরি স্থাপনে সফল হলে
তুমি আত্মসমর্পণ করবে?

উদ্বোধনের দিন আমি নিজে হাতকড়া
পড়ে জেলে যাব।

ঠিক আছে।

ম্যাডাম।

এসব কি? আপনিও কি
তাদের মত?

আপনি জিতলে কি চান
সেটা জিজ্ঞেস করেছেন।

কিন্তু আপনি হারলে আমি কি চাই
সেটা জিজ্ঞেস করেননি!

কি চাও তুমি?

জিতলে সেদিন বলব।

নাগি, ভুল করছিস। জীবনে প্রথমবারের
মত আমি চাই তুই হেরে যা।

স্টুয়ার্টপুরম সম্পূর্ণ সংস্কার না
হওয়া পর্যন্ত আমি এখানে থাকব।

আপনাদের সবার সাথে।

নাগি'র খোঁজ পেয়েছি, স্যার।

♪ Would war be the right thing? ♪

ডিস্ট্রিক কালেক্টর অফিস
গুন্টুর

- যেকোন মূল্যে রাস্তার কাজ শুরু করুন।

টাইগার নাগেশ্বর রাও
পুলিশের গুলিতে আহত।

- টাইগার নাগেশ্বর রাওয়ের কি হয়েছে?

♪ Or would humility remain? ♪

♪ To satiate the poor man's hunger ♪

♪ Who would be the ♪
♪ one to stand for the cause? ♪

♪ Like the burning sun everyday ♪

- আমাদের অবমূল্যায়নের পরেও
উনি দ্রুত কাজ করছেন।

♪ Is war wrong? ♪

- স্টুয়ার্টপুরমকে সংস্কার করা আমাদের কর্তব্য, স্যার।

♪ Would attacks give up? ♪

♪ Would humility remain? ♪

♪ Even if their paths differ, ♪
♪ its walking to the cause. ♪

♪ Would the future and ♪
♪ this story change at last? ♪

কি হল, মানি? কি হয়েছে?

তুই বাবা হতে চলেছিস।

মানি!

ভাইজান, এই সময়ে মা এবং শিশুর
এখানে থাকা নিরাপদ নয়।

আপনারা সবাই স্পোর্টস কোটায় চাকরি
নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন।

একটা সুনির্দিষ্ট কারণে
সবাইকে এখানে ডেকেছি।

নাগেশ্বর রাও।

সে ঘুমের মধ্যেও হালকা শব্দে
সতর্ক থাকার প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

ইয়ারি তার ডান হাত।

মারি, জয়া রাও, সুরিয়াম এবং ভিরা।

চলো সবাই।

আক্রমণ শুরু করা যাক।

যেমনটা সে বলেছে, হায়দ্রাবাদ গিয়ে
আমি মন্ত্রীর সাথে দেখা করব।

♪ Why did the death bell rise? ♪

♪ Don't you know that the peace of the ♪
♪ village lies where your patience ends? ♪

♪ The wrong route of darkness ♪
♪ has showed us the highway ♪

♪ Look once, the defeated eyes ♪
♪ are shining with smiles ♪

- সে আমাদের লোকদের মেরে ফেলছে।

- জলদি আমাদের কাছেও পৌঁছে যাবে।

- গান পাউডার প্রস্তুত রাখব?

♪ He will balance the equation ♪
♪ even when bad is good for you ♪

♪ Our man would be ♪
♪ worshiped as the god of death ♪

♪ Is war wrong? ♪

♪ Would patience win? ♪

♪ Would attacks give up? ♪

♪ Would humility remain? ♪

ম্যাডাম ফ্যাক্টরি চালুর অনুমতির
জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।

কিন্তু ইয়েলামান্দা বেঁচে থাকতে
অনুমতি দিতে দিবে না, ভাই।

একটা ইনল্যান্ড লেটার নিয়ে আয়।
হিন্দিতে চিঠি লিখতে হবে।

কাকে লিখবেন?

প্রধানমন্ত্রীকে।

উনার কাছে প্রতিদিন অনেক
সমস্যার চিঠি যায়, ভাই।

তিনি আলাদাভাবে আমাদের
সমস্যা কেন দেখবে?

সমস্যা সম্পর্কে অভিযোগ করলে
কেউ গুরুত্ব দিবে না।

কিন্তু নিজেদেরকে সমস্যায় রুপান্তর করলে,
তারাই আমাদেরকে খুঁজতে আসবে।

ভাইজান, জময বাচ্চা হয়েছে!

আমি সমস্যাটা বুঝতে পেরেছি, ভাইজান।

আমি সমাধান নিয়ে ফিরে আসব।

ছেড়ে দে, নাগি।

তোর সোনাগুলো প্রয়োজন।

সেগুলো বনগানাপল্লী ব্যাংকের
২৬ নম্বর লকারে রাখা আছে।

ছেড়ে দে আমাকে, নাগি।

ছেড়ে দে।

নাগি, মানি এখানে এসেছে।

তোমার প্রিয় মাছের তরকারি এনেছি।

খেয়ে নাও, সোনা। তারপর যাব।

কোথায়?

ফ্যাক্টরি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল উদ্বোধন।

তো?

ফ্যাক্টরির কাজ শুরু হলে তুমি
আত্মসমর্পণ করবে বলেছিলে।

সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।

চল যাই।

আমি পারবো না

কেন পারবে না?

কারণ অনেক কাজ বাকি আছে।

তুমি যাও।

ইয়ারি... তাকে দিয়ে আয়।

কোথায় যাচ্ছো? আরেকটা চুরি করতে?

ম্যাডাম বলেছে আত্মসমর্পণ করলে
তোমার আর কোন ঝুঁকি থাকবে না।

তোমার কিছু হয়ে গেলে
আমার কি হবে?

এটা নিয়ে একবারও ভেবেছ?

তোমাদের কিছু হবে না।

কিভাবে রক্ষা করতে হবে আমি জানি।

সবসময় তোমার সাথে থাকা মারি, ভিরা,
সুরিয়াকে বাঁচাতে পারোনি...

দূরে থেকে আমাদের
কিভাবে রক্ষা করবে?

ভালোবাসো বলে বিয়ের আগে অনেক
বলার পরেও তুমি শুনোনি।

এখন আমার কথা শোনার
অবস্থায় তুমি নেই।

কারণ আমাদের সন্তানের প্রতি ভালোবাসা।

সাবধানে থেকো, মানি।

যাও এখন।

ইয়ারি।

স্যার, মানি আসছে।

মানি, নাগেশ্বর রাও আসেনি?

নাগি শেষ সুযোগটাও হারিয়েছে।

এখন কেউ তাকে বাঁচাতে পারবে না।

চিরুনি অভিযান শুরু কর।

পুরো জঙ্গল খুঁজে দেখ।

এসবের দরকার নেই।

নাগেশ্বর রাও কোথায় আছে
আমি বলছি।

- না, মানি।
- থামেন, ভাইয়া।

যদি জানতে চান...

তাহলে আমার অনুরোধ রাখতে হবে।

কি অনুরোধ?

আমার স্বামীর উপর থেকে দেখামাত্র
গুলি করার আদেশ তুলে নিতে হবে।

ঠিক আছে।

মানি...

পুলিশ নাগিকে ধরা আর নাগির আত্মসমর্পণ
করার মধ্যে তফাত আছে।

আমরা সিআইকে বিশ্বাস
করতে পারি না। এটা করিস না।

মানি...

SP সাহেব কথা দিয়েছে।

নাগি কোথায় আছে বল।

নাগেশ্বর রাও কোথায় আছে বল।

এই, ভাইজান এসেছে।

এই, মাল্লি... কি হয়েছে?

নাগি বনগানাপল্লী ব্যাংকে
চুরি করতে গেছে।

পুলিশ তাকে ধরতে গেছে।

পুলিশকে কে জানিয়েছে?

আর কে বলবে?

তার স্ত্রী বলেছে।

এটা কি করলি, মানি?

ব্যাংক থেকে সোনাগুলো চুরি
করে ভালোই করেছি।

এখন এগুলোকে সঠিক জায়গায় পাঠাতে হবে।

- গাড়ি কোথায়?
- এইতো কাছেই।

দোস্ত!

সে ব্যাংক ডাকাতি করে
টাকা উড়ায়,

আর পুলিশ আমাদের সন্তানদের
জীবন নিয়ে নেয়,

গ্রাম সবকিছু পাওয়ার পরেও,

সে চুরি করার মানে কি?

সে সবকিছু গ্রামের জন্য করছে
এটা আমাদের বিশ্বাস করিয়েছে।

সে ষড়যন্ত্র করবে এটা আমরা ভাবিনি।

নদী থেকে যতই পানি
ঢালা হোক না কেন,

সমুদ্রের পানি লবণাক্তই থাকবে।

তোমাদের যতই ভালো
করা হোক না কেন,

তোমাদের মন সবসময় মন্দ চিন্তা করে।

তোমরা তাকে কতটুকু জানো? হাহ?

সে চলন্ত ট্রেন এবং জাহায
ডাকাতি করতে পারে।

তিনশ প্রহরী... ১৪ ফিট দেওয়াল...

কিছুই তাকে থামাতে পারেনি।

সে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ
করে জয়ী হয়েছে।

সে চাইলে,
যেকোন কাজ করতে পারে।

আর দুনিয়ার সব পজিশন
তার পায়ের নিচে।

এই মহিলার দয়ার কারণে,

আমাদের গ্রাম রাস্তা, বিদ্যুৎ
এবং ফ্যাক্টরি পেয়েছে।

যদি তার মৃত্যুর খবর আসে,
তাহলে আমরা খুশি।

- এহ!

আরেকটা কথা বললে
তোকে মেরে ফেলব।

উনার আবেদন বা চিঠির কারণে গ্রামে...

বিদ্যুৎ আসেনি।

যখন নাগেশ্বর রাও জীবনের
ঝুঁকি নিয়ে অন্ধকারে দৌড়িয়েছে।

তখন গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে।

কেউ আমাদের সমস্যাকে গুরুত্ব দিবে না।

নাগেশ্বর রাও বিশ্বাস করত সমাধান পেতে হলে
নিজেদেরকে সমস্যায় পরিণত হতে হবে।

সে পুলিশকে অন্ধকারে তার পিছনে
দৌঁড়াতে বাধ্য করে।

সে অন্ধকারে দৌড়াতে অভ্যস্ত,

তাই তাকে ধরতে বিদ্যুৎ প্রয়োজন।

পুলিশকে নিজে থেকেই একটা
গ্রামের জন্য বিদ্যুৎ চাইতে হল।

এই!

বুলেটের ক্ষত নিয়ে দৌড়াতে
সে নিজেকে বাধ্য করছিল।

তারপর গ্রামে রাস্তা হয়েছে।

আমরা দৌড়ে নাগেশ্বর রাওকে
ধরতে পারব না, স্যার।

তাকে গাড়ি দিয়ে তাড়া
করার রাস্তা নেই।

গ্রামে ভালো রাস্তা লাগবে।

এই রাস্তাটা আলকাতরা দিয়ে নয়,
তার রক্ত দিয়ে তৈরি হয়েছে।

তাহলে সে আমাকে চ্যালেঞ্জ কেন করল?

মিস. হেমলতা লেবানমকে চ্যালেঞ্জ করা

তার মাধ্যমে ফ্যাক্টরি বানানো এটা
তার পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়।

চুরি করা টাকা দিয়ে
সে ফ্যাক্টরি বানালে,

সেটা অবৈধ ঘোষিত হবে।

তাই, নারায়ণ শেঠের সহযোগিতায়,

তার টাকাগুলো অনুদান হিসেবে
মিস. হেমলতার কাছে পৌঁছায়,

এটা তার পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়।

দোস্ত, ছোটবেলা থেকে কখনো
আমাকে ছেড়ে যাসনি।

কিন্তু এইবার ছেড়ে যেতে হবে, দোস্ত।

গ্রামের উন্নতির স্বার্থে, নিজেই পুলিশের
শিকার হয়ে,

সে পশুর মত জঙ্গলে বাস করছে।

এই!

বনগানাপল্লী ব্যাংকে সে মানুষের
টাকা চুরি করতে যায়নি...

ইয়েলামান্দার লুকানো সোনাগুলো চুরি
করে, সে শেঠকে দিতে গিয়েছিল।

অনেক রক্ত পড়ছে।
ড্রাইভার, হাসপাতালে চল।

শেঠ... গুলি খেতে খেতে আমি অভ্যস্ত।

সোনাগুলোকে টাকায় রুপান্তর করে
লেবানম ম্যাডামকে দিয়ে দিয়েন।

ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার,

খেলা শুরুর আগেই, নাগেশ্বর রাও
শেষ পদক্ষেপের পরিকল্পনা করে নিয়েছিল।

স্টুয়ার্টপুরমের মানুষের অসহায়ত্বকে
সবাই কাজে লাগাতে চাই।

যার মধ্যে আছে রাজনীতিবিদ,
পুলিশ, এবং ক্ষমতাহীন নেতা।

এত কিছুর পরেও, ফ্যাক্টরি তৈরির জন্য
নাগেশ্বর রাও একটা দুর্দান্ত পরিকল্পনা করেছে।

আপনার বাড়িতে চুরি করা
সেই পরিকল্পনার ছোট একটি অংশ।

সে জানতো শুধুমাত্র চিঠি পেয়ে আমরা
স্টুয়ার্টপুরমকে পাত্তা দিতাম না।

তাই সে কি করেছে?
সে আমাদেরকেই সমস্যায় ফেলে দিল,

আর আমাদের স্টুয়ার্টপুরম গিয়ে
সমস্যাটি বের করতে হল।

ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার,
সে আমার জন্য এই নোট রেখে গেছে।

সে জানতো আমি ওখানে যাব।

আমি গিয়েছিলাম সেটাও জানতো।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় উল্লেখ করেছেন,

যে 'নিঃস্বার্থ কাজ ইচ্ছাহীন কর্ম'।

এটার ভালো, মন্দ, পাপ
বা পুণ্য নেই।

যদি পুলিশ নাগেশ্বর রাওকে ধরে ফেলে,

আমি নাগির পক্ষে আদালতে লড়ব।

তাকে কম সাজা দেওয়ার
মাধ্যমে আমি বের করে আনব।

তুমি যখন যেখানে আসতে বল
আমি চলে আসি,

কারণ তুমি নাগি'র গ্যাংয়ের লোক।

কিন্তু তুমি নাগেশ্বর রাওয়ের সাথে দেখা করাচ্ছো না।

- শশ...
- কি হল?

- আসো।
- এই, কে? কি হয়েছে?

- চল।
- কি হল?

এই লোকটা খবর
ফাঁস করেছে,

তাই আমাদের লোক মারা গেছে।

- আমি তাকে মেরে ফেলি।
- এই! থাম।

নাগেশ্বর রাও আসা পর্যন্ত
তাকে জীবিত থাকতে হবে।

নাগেশ্বর রাও আসবে?

- আজকে নাগেশ্বর রাওয়ের সাথে দেখা করাব।
- সত্যি?

শুধু দেখবে আমি না আসা পর্যন্ত
সে যেন কোথাও না যায়।

- সাবধানে থাকবে।
- ঠিক আছে।

নাগেশ্বর রাওয়ের জন্য অপেক্ষা করছিস?

তোকে দেখানোর পরেই তাকে
মেরে ফেলব বলে কথা দিয়েছিলাম না?

সে নাগেশ্বর রাও।

বয়েজ!

তাকে ইয়েলামান্দার ফ্যাক্টরিতে নিয়ে চল।

ছাড়ো তাকে।

প্লিজ, তাকে ছেড়ে দাও।

এহ!

স্যার, তাকে ছেড়ে দিন।

এহ!

আমাকে ছেড়ে দিন, স্যার। আমাকে ছেড়ে
দিলে আপনাকে পাঁচটা জীবন দিব।

কথা অনুযায়ী নাগেশ্বর
রাওকে দেখালাম না?

কিসের অপেক্ষা করছ?
বিছানা তৈরি কর।

এখনো ভালো করে দেখেছ?
আমি পুরো সপ্তাহ তোমার সাথে থাকব।

- এই!

স্যার... ম্যাডাম...

ম্যাডাম...

সিআই মৌলি নাগেশ্বর রাওকে
ফ্যাক্টরিতে নিয়ে গেছে।

কেউ তাকে বাঁচান।

- ম্যাডাম...
- আপনাকে অনুরোধ করছি, তাকে বাঁচান।

সবাই এসো! তারা নাগিকে নিয়ে গেছে। চল!

কিরে? তুই বলেছিলে সে বাঘ,
কিন্তু তাকে কুকুরের মত শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছ।

আরে না!

রক্ত পড়ছে।

তুই আমার ভাইকে মেরেছিস।

আমার বুকে কুড়াল মেরেছিস।

এরপরেও তোর জীবন বাঁচাচ্ছি।

কেন জানিস?

মৃত্যু মানে জীবন
ত্যাগ করা নয়...

এটা হল আজীবন আমরা যে
স্বপ্ন দেখি সে স্বপ্নের মৃত্যু।

স্যার... আপনি তার স্টুয়ার্টপুরম
পরিবর্তনের স্বপ্নকে মেরে ফেলেছেন।

আমি তাকে মেরে ফেলব।

গতকাল CM এই অর্ডারটা
পাস করেছেন,

ফ্যাক্টরি স্থাপনের অনুমতি
বাতিল করার মাধ্যমে।

আমি গতকাল হায়দ্রাবাদ
গিয়ে CM এর সাথে দেখা করেছি।

স্টুয়ার্টপুরমের মানুষ কি
CM এর আত্মীয়?

তাই আমি বলার সাথে সাথে
উনি আবেদনটা বাতিল করেছেন।

তোকে মারার পর, তুই যাদের শিক্ষিত
করেছিস তাদের গলায় স্লেট লাগাবো।

যেমনভাবে নারীকে জোর করে
পতিতালয়ে পাঠানো হয়,

সব লোককে অপরাধী বানাবো।

স্যার, পার্টি-অফিস থেকে ফোন এসেছে।

আমি বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে এখানে।

আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আপনার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়...

আগামীকাল CM ফ্যাক্টরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন।

এই, কি বলছিস তুই?

আমি গতকাল CM এর সাথে দেখা
করে ফ্যাক্টরি নিয়ে কথা বলেছি।

আদেশটা কে দিয়েছে জানেন?

প্রধানমন্ত্রী!

যে খুন করে তাকে আমরা ফাঁসি দিই।

কিন্তু যে সৈনিক শত্রুকে হত্যা করে,
তাকে আমরা মেডেল দিই।

এটা আইন নয়,
কিন্তু আইনের উদ্দেশ্য

যেটা অপরাধের প্রতিরক্ষা।

নাগেশ্বর রাও অপরাধী নয়।

সে ত্রানকর্তা।

ইয়েলামান্দা, তুই CM এর সাথে দেখা করার আগে,
আমি PM এর সাথে দেখা করেছি।

আমি তোকে বলেছিলাম...

ফ্যাক্টরির উদ্বোধনের দিন আমি
তোর মাথা কেটে নিব।

তোর মাথা কাটতেই আমি
এখানে মাথা নিচু করে এসেছি।

প্রয়োজন পড়লে, পুরো স্টুয়ার্টপুরমে
আগুন লাগিয়ে দিব।

শালাকে গুলি কর।

শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে
আমাকে কুকুর ভেবেছিস?

আমি টাইগার...

এই!

তোকে!

এই!

আমরা, বনে থাকতাম, কিন্তু তুই
আমাদের নিয়ে এসে চোর বানিয়েছিস।

তুই আমাদের সাথে ব্যবসা করেছিস,

আমরা পড়াশোনা করার
সুযোগ পায়নি।

শিক্ষিত হওয়ার পরেও
চাকরি দিসনি।

ফ্যাক্টরি খুলতে অনুমতি
দিসনি কেন?

তুই মরে গেলে গ্রামের
কোন বিপদ হবে না,

আর গ্রামকে বাঁচাতে আমাকেও
দরকার পড়বে না।

এটা আমাদের দুজনের জন্যই শেষ।

আমি খালি হাতে ফিরে যাবো না।

আরে না, নাগি!

গ্রামবাসীদের জন্য নিজের
জীবন দিচ্ছিস!

আরে না!

তুই আমাদের ঈশ্বর!

- নাগি!
- নাগি! আমরা তোকে ভুল বুঝেছি।!

এই, নাগি, এসব কি?

ভাইজান...

সোনা...

তুমি জিতেছ, নাগি

আর সবাইকে জিতিয়েছ।

ম্যাডাম, মনে আছে আমি জিতলে
কি চাই সেটা বলব বলেছিলাম?

আমি জানিনা গ্রামের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি।

কিন্তু মানি এবং বাচ্চাদের জন্য কিছু করতে পারিনি।

তাদের দায়িত্ব আপনার উপর, ম্যাডাম।

সোনা, তোমার কিছু হবে না।

আমার আর সময় নেই, মানি,

যেকোন মূহুর্তে চলে যেতে পারি।

সোনা... সোনা?

সোনা?

সোনা!

তুই আমাদের জন্য অনেক করেছিস, বাবা!

যদি আমি ধরা পড়ি, তাহলে তোরাও
ধরা পড়বি, আর টাকাও খুঁজে পাবে।

ইয়েলামান্দা আমাদের টাকা দিবে না।

আমাদের লোকেরা অনাহারে থাকবে।

এই নাগি...

একটা কথা মনে রাখিস... যদি আমাদের
মৃত্যু কিছু জীবন বাঁচাতে পারে,

তাহলে সেটার চেয়ে বড়
জয় আর নেই।

তোর বাবার কসম,
মেরে ফেল আমাকে, মেরে ফেল!

তুমি যে যুদ্ধ করেছ, যে জীবন নিজের
লোকেদের জন্য আত্মত্যাগ করেছ..

তা জলে যাবে না, নাগেশ্বর রাও।

এই গ্রাম যতদিন থাকবে
তোমার নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

আমি চোখের পানি ফেলে তোমার
আত্মত্যাগকে ছোট করব না

তুমি এমন এক সৈনিক যাকে
১০১ বন্দুকের স্যালুট দিতে হবে।

তোমাকে সান্ত্বনা স্যালুট।

এখান থেকে আমাদের গ্রাম
অনেক সুন্দর, তাইনা?

আরে! ঘন্টা বেজে গেল; আমি যাচ্ছি।

- তাড়াহুড়ো করে কোথায় যাচ্ছিস?
- স্কুলে।

আমি স্কুলে গেলে তোমাকে
আর চুরি করতে হবে না, ঠিক?

সাবটাইটেলটি ভালো লাগলে গুড রেটিং এবং
ফিডব্যাক পোস্ট দিবেন। ধন্যবাদ।।