All language subtitles for Saamy (2018)

নিয়মিত সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি সম্পর্কে আপডেট পেতে জয়েন করুন
ব্লকবাস্টার সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি লাভারস বাংলাদেশ গ্রুপ
fb.com/groups/SouthFansBD

অনুবাদ আয়োজনে
সাউথ সাবমেকার্স প্যানেল।

অনুবাদ অংশগ্রহণে
আনিস উর রহমান

অনুবাদ অংশগ্রহণে
সাকিব রহমান

অনুবাদ অংশগ্রহণে
সাইফুদ্দিন শাকিল

অনুবাদ অংশগ্রহণে
মাহমুদুল হাসান MRP

অনুবাদ অংশগ্রহণে
অনন্য দেবনাথ

অনুবাদ অংশগ্রহণে
মাহির মুনিম

অনুবাদ অংশগ্রহণে
আবরার শাফিন

সম্পাদনা
আবরার শাফিন

Sammy Square

একটা বিয়ার।

কে আপনি?

পাড়ার স্বামী, গ্রামের স্বামী,
জেলার স্বামী, বিভাগের স্বামী।

দেশের স্বামী।

ডেপুটি কমিশনার অব
পুলিশ, তিরুনালভেলি সিটি।

আমি পুলিশ না...

ডাকাত।

আমি, ভূবণা।

এই যে, ঝাল মেয়ে।

বেশি কিছু চাইনা।

শুধু আপনার মেয়েকে চাই।

স্যার।

- পেরুমাল পিচাই।
- থাম।

আটটা জেলার এমএলএ আর
এমপিরা আমার কথায় উঠবস করে...

সরকার আমার কথায় উঠে আর বসে।

আর তুই আমাকে ভয় দেখাচ্ছিস?

আইন প্রতিষ্ঠার জন্য যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবে।

মানুষ মারতে হলে মানুষ মারবে...

বাপের বেটা হলে গ্রেফতার করে দেখা।

তোকে গ্রেফতার করা হবে সবচেয়ে বড় বোকামি।

তোর লাশ নিয়ে গেলে সেটা দিয়ে মূর্তি তৈরী করা হবে।

তাতে আরও ১০ জন পেরুমাল পিচাই জন্মাবে।

তোকে এখানে নিশ্চিহ্ন করে দেয়াই উত্তম।

স্বামী'র সাথে পাঙ্গা নেয়ার অপরাধে...

পুলিশের রেকর্ডেও তোর নাম থাকবে না।

- স্যার।
- আপনি কে?

দুজনেই একে অপরকে ভালোবাসে।

কিন্তু তাদের ধর্ম আলাদা।

মেয়ের পরিবার সম্পর্কের বিরোধিতা করছে।

ভয়ে তারা এখানে চলে এসেছে৷
বিয়ের অনুমতি পাওয়ার জন্য...

আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।

পালিয়ে গিয়ে আমাদের
সম্মান ধুলিষ্মাৎ করে দিয়েছে।

স্টেশনের মধ্যেই আছে
পালাতে দেয়া যাবে না।

থাম, থাম।

কি হয়েছে?

ঐ ছেলে আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে।

ADSP আরুস্বামী এখানে
পরে আসুন।

এখন যান, যান।

বস, কারুপিয়ার ছেলে আপনার
ভাইজিকে নিয়ে পালিয়েছে।

কী?

স্যার।

কী হয়েছে ভাই?

দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক, নিজেদের
মতে বিয়ে করার অধিকার আছে।

সমস্যা না করে চলে যান।

যদি তোর মেয়েকে নিয়ে কেউ পালিয়ে যেতো?

মুরুগেশ, মুখ সামলে কথা বল।

তুই চুপ থাক কনস্টেবল।

সম্মান দিয়ে কথা বল।

চুপ থাক দেড় টাকার কনস্টেবল!

আমি চাইলেই পুলিশ স্টেশন উড়িয়ে দিতে পারি।

সাহস থাকলে আটকে দেখা।

যা, মেয়েটাকে নিয়ে আয়।

এই, থাম, থাম।

তাকে টুকরো টুকরা করে
মেয়েটাকে নিয়ে আয়।

থামুন।

আমার লোকদের গায়ে হাত তুলছেন কেন?

মেয়েদের সাথে কী করে কথা
বলতে হয়, সেটা শিখিস নি?

বড়দের যে সম্মান দিয়ে কথা
বলতে তা শেখায় নি তোর বাবা?

কি নামে ডেকেছিলি?

হেড কনস্টেবল স্যার।

তাকে কিভাবে ডেকেছিলি?

সাব ইন্সপেক্টর,,,

ম্যাডাম।

তোর স্ত্রী হলেও...

সম্মান দিয়ে কথা বলবি।

আপনাদের লজ্জা হয়না?

অন্যধর্মের লোকদের ঘৃণা করেন ক্যান?

লজ্জা হয় না?

অন্য ধর্মের লোকেরা যখন
আপনাদের ঘৃণা করতো...

আপনাদের মন্দিরে ঢুকা নিষিদ্ধ করেছিল।

তাদের বিরুদ্ধে কী যুদ্ধ করেন নি?

তাহলে একই ভুল আবার করছেন ক্যান?

প্রতিনিয়ত দিন পাল্টাচ্ছে।

আপনারা কবে পাল্টাবেন?

এদিকে এসো।

সেলভি..

চাইলে এখনি বিয়ে দিতে পারতাম।

আপনাকে সম্মান করে কিছু করলাম না।

ওনাদের সাথে যাও।

যাও।

মেয়ের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে সে
যেখানে চায় সেখানে বিয়ে দিন।

যদি এর ব্যতিক্রম কিছু ঘটে,

আবার ভুল করে বসবেন না।

ঠিক আছে স্যার।

তোমাকে জলদি ফিরতে বলেছিলাম।

এতো দেরী করে এলে?

ওরে আমার লক্ষ্মী বউ,

একটা কাজে আটকা পড়ে গিয়েছিলাম।

তাই একটু দেরি হলো।

আমার কিছু বান্ধবী এসেছে।

-হ্যালো স্যার।
- বসুন।

- সবাই কেমন আছেন?
- ভালো।

আমরা আই,এ,এস এর
জন্য আবেদন করতে চাইছি।

আগামীকাল আবেদনের শেষ দিন।

আমরা চাইছি ভূবণা....

কিন্তু ভূবণা রাজি হচ্ছে না।

বুঝতে পারিনি।

আইএএস অফিসার হওয়া ওর ছোটবেলার শখ।

বিয়ের কারণে সে আর
আবেদন করতে চাইছে না।

তুমি তো আগে বলোনি।

- বেশ।
- কী?

বললে তুমি কি ভাববে তাই বলিনি।

আইএএস অফিসার হওয়া তোমার লক্ষ্য।

আমি কি এতই বাজে স্বামী যে বারণ করবো?

সিভিল সার্ভিস এক্সামে বসবে।

- আবেদনপত্র নিয়ে আসো।
- নিয়ে এসেছে,

নিয়ে এসেছে...কী?

- আমার কাছেই আছে।
- বাহ।

যাও নিয়ে আসো।

এই পড়ে যাবে।

সাবধানে।

বউকে "ঝাল মেয়ে" বলে ডাকেন কেন?

ভালোবাসা আর রাগ সব
কিছু মিশিয়ে এই নামে ডাকি!

তাই? আরেকবার ডাক দেন তো!

ও আমার ঝাল বউ!

এই যে আমি...

"Oh my dear Spice girl"

"My sweety; my dear Spice girl"

"They way you love me, the way you hug me;
the spice in our love is still alive!"

"Oh my dear Spice girl!"

"Your love burns like a fire and the impact
that it makes on me; it keeps me on my toes"

"You're my lover girl!"

"I want you to be mine forever"

"And I promised to
be with you forever"

"Even when you stare at me like that, I can't
stop myself from losing myself in your love"

"Oh my dear Spice girl!"

"Oh my dear Spice girl!"

"They way you love me, the way you hug me;
your love still gives me the adrenaline rush!"

"Oh my dear Heartthrob!"

"The fragrance of yours is
still fresh in my memory"

"You're a heart stealer!"

"You're a heart stealer!"

"I have never seen a beauty like you.
So, come to me, I wanna make you mine"

"Your masculinity attracts me. So,
come to me, I wanna make you mine"

"Allow me and I shall
shower you with kisses"

"Allow me and I shall
shower you with love"

"So, shall we?"

"Oh my dear Spice girl!"

"Oh my dear Spice girl!"

"Oh my dear Spice girl!"

"When you get drenched in
the rain, I'll be right by..."

"...your side ensuring that
loneliness doesn't find you"

"When you walk down the
bed of roses, I'll be..."

"...right by your side saving
you from the thorns"

"I see you and me in
everything that I see"

"So, come join hands with me and let's
embark on a journey of a lifetime"

"So, shall we?"

"Oh my dear Spice girl!"

"Oh my dear Spice girl!"

"Oh my dear Spice girl!"

এক বছর হয়ে গেল।

আন্নাচির কোন খবরই নেই।

হয়তো আন্নাচি কলম্বোতে তার
দ্বিতীয় বউয়ের কাছে চলে গিয়েছে।

তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কি কোন সন্তান আছে?

তিন জন।

একজন মাহেন্দ্র পিচাই।

তারপর দেবেন্দ্র পিচাই।

আর রাবণ পিচাই।

কলম্বো-শ্রীলংকা।

কি বলেছিলি?

আমার বাবাকে কাপুরুষ বলার
সাহস হলো কী করে তোর ?

তোর মুখ থাকার কারণেই তো বলতে পেরেছিলি!

মা।

মা।

সবাই বলাবলি করছে বাবা নাকি পালিয়ে গিয়েছে।

আর তুমি খাবার খাচ্ছো?

মা।

আমার বাবা কি সত্যিই কাপুরুষ?

তোর বাবা কাপুরুষ নন।

তিনি ছিলেন বীর!

কাউকে ভয় পেতেন না।

শত্রু যদি আমার দুটি চোখ
নষ্ট করে ফেলে, মনে রাখবি,

শত্রুর একটা চোখ
হলেও নষ্ট করে দিয়েছি।

বুঝেছিস?

বাবার কী হয়েছে তা
আমাকে জানতেই হবে।

রাবণ।

সময়টা আমাদের পক্ষে নেই।

মনে হয় উনার কিছু সমস্যা হয়েছে।

তিরুনালভেলিতে একটু খোঁজ করে দেখ।

আচ্ছা মা।

তিরুনালভেলি।

সানমুগাম,

কি হয়েছিল বলুন।

আমার বাবা কোথায়?

আরুস্বামী'র সাথে একটা ঝামেলা
হবার পর তাকে আর দেখা যায়নি,

আরুস্বামী আমার বিরুদ্ধে
গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে।

নিজের কাছের দুইজন লোক
আমার সাথে গাদ্দারি করেছে।

ঐ দুইটারে হত্যা করা ছাড়া
আমি কলম্বো আসতে পারবো না।

আসতে পারবো না।

বাবার সাথে ঐদিন কে কে ছিল?

আন্নাচি পালিয়ে যাবার আগ পর্যন্ত,

আমি ওনার সাথে ছিলাম।

এত বড় সাহস।

আমার বাবা কাপুরুষ
ছিলেন না যে পালিয়ে যাবে।

শোন,

লোকগুলো আমাদের সম্মান করে...

কিন্তু ভয় করে না।

ওর চোখে যে ভয় দেখেছি।

তিরুনালভেলির প্রতিটি লোকের
চোখে সেই ভয় দেখতে চাই।

সেলভাম, বাবার সাথে বেইমানী করা
লোকটাকে কোন জেলে পাওয়া যাবে?

সে এখন জামিনে আছে।

অামার বাবার সাথে বেইমানী?

স্যার।

পেরুমাল পিচাইয়ের ছেলেরা
তিরুনালভেলিতে চলে এসেছে,

পুরো শহরে আবার বিশৃংখলা শুরু হয়ে গেছে।

দিনের আলোতেই ওরা
একজনকে হত্যা করে ফেলেছে।

আমাদের সিনিয়র অফিসাররা তাদের পকেটে!

শুনো।

ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করো।

চলো আবার তিরুনালভেলিতে যাই।

মানে?

পুরো শহরটাতে তুমি শান্তি ফিরিয়ে এনেছিলে!

লোকজন শান্তিতে বসবাস করা শুরু করেছিল।

লোকজনকে আবার পেরুমাল পিচাইয়ের
পরিবারের দাসে পরিণত করা যাবে না।

বাবা শেষ কয়দিন যেসব জায়গায়
গিয়েছিল সেখানে যেতে চাই।

নিয়ে চল সেখানে।

সবাইকে ভালো করে জিজ্ঞাসা কর।

আমাদের বসকে শেষ কয়দিন
এখানেই দেখা গিয়েছিল!

এতো অস্থির কেন, রাবণ?

আমরা কিছু খোঁজে পাচ্ছি না বলে?

পাবো।

বাচ্চার বয়স কত?

এক বছর।

সঠিক সময়...

১১ মাস ১০ দিন।

তাহলে ঐদিন এই বাচ্চার বয়স ছিল ১০ দিন।

তাহলে তুই ঘরের মধ্যেই ছিলি।

তাহলে তুই সেদিনকার ঘটনা ভালো করেই জানিস।

আমি কিছুই জানি না, স্যার।

স্যার.......

আমার বাচ্চাকে ফিরিয়ে দিন স্যার...

আমি আপনাকে সত্য বলব..
আমি বলব.. প্লিজ স্যার...

আমার বাবু....

ভাইয়েরা......

আমাদের বাবা কাপুরুষের মত মারা যায়নি।

সে সত্যিকারের পুরুষের মত মৃত্যুবরণ করেছে।

সব জায়গায় তার পোস্টার লাগায় দে।

তার স্ট্যাচু(মূর্তি) নির্মাণ কর।

মহানায়ক পেরুমাল পিচাই..

বীরের মত মৃত্যুবরণ করেছে!

- মঙ্গল হোক।
- মহানায়ক পেরুমাল পিচাই।

- মঙ্গল হোক।
- মহানায়ক পেরুমাল পিচাই।

- মি. আরুস্বামি।
- জ্বি, স্যার?

আমি তোমাকে তোমার ইচ্ছানুযায়ী
তিরুনালভেলিতে তে ট্রান্সফার করে দিয়েছি।

ধন্যবাদ স্যার।

২৮ বছর পরে....

"নিউ দিল্লি"

হ্যালো..

রাম কই তুই?

জগিং করছি, সুন্দারাম।

আজকে, পি.এম এর সাথে মন্ত্রীর মিটিং শিডিউল..

..পরিবর্তন হয়েছে। মন্ত্রী বের হওয়ার
আগে তোকে রিপোর্ট করতে হবে।

দেখা হবে বন্ধুরা..

রাজনীতিবিদদের অধীনে কাজ করলে এমনি হয়!

হ্যাঁ! হ্যাঁ! হ্যাঁ!

ওহ! দেরি হয়ে গেছে..।

রাম.. উনি বের হয়ে যাচ্ছেন..
জলদি আয়।

আর দশ মিনিট...!

- নমস্কার স্যার।
- নমষ্কার।

স্যার..

শুভ সকাল স্যার।

শান্তি.. আজকে লন্ডন থেকে
দিয়া'র আসার কথা না?

এয়ারপোর্টে গাড়ি পাঠিয়েছো?

শক্তি'কে কিছুক্ষণ আগে পাঠিয়ে দিয়েছি।

- শুভ সকাল, স্যার।
- রাম...

প্রধানমন্ত্রীর সাথে ১২:৩০ এ আমার মিটিং আছে।

জ্বি, স্যার।

সন্ধ্যায় চন্ডীগড়ে কৃষিমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে হবে।

আবার রাতেই দিল্লিতে ফিরতে হবে।
..এজন্য দ্রুত সময়সূচি তৈরী করো।

ওকে, স্যার।

ভালো থেকো...

স্যার, আপনি যদি পি.এম এর সাথে মিটিং
করার পরপরই এয়ারপোর্টে পৌঁছান...

তাহলে দুপুর ২:০০টার
ইন্ডিগো ফ্লাইট ধরতে পারবেন।

আর সন্ধ্যার মিটিংও করতে পারবেন।

কিন্তু চন্ডীগড়ের মিটিং শেষে দিল্লিতে
আসার জন্য কোনো ফ্লাইট নাই।

আবার.. সড়কপথে আসাও নিরাপদ নয়!

হাইওয়েতে ব্রীজের কাজ চলছে..

এজন্য চন্ডীগড় থেকে ভোর
৭:৫৫টার প্রথম ফ্লাইট ধরলে..

..সকাল ১০:০০টায় পার্লামেন্টে পৌঁছাতে পারবেন।

- ওকে, এটাই করো।
- ওকে স্যার। আমি সঠিকভাবে করবো।

- সুন্দারাম..
- জ্বি, ম্যাডাম।

শক্তি এয়ারপোর্টে ঠিকঠাক মত পৌঁছেছে?

সে তো আর স্বাভাবিকভাবে যায় নি।

সে শক্তিমান এর মত করে মন্ত্রীর গাড়িতে
সাইরেন বাজাতে বাজাতে গেছে।

জানিনা! আজকে কি ঘটায়?

কি?

- একটা কিস দাও না গো..
- না।

এই..গাড়ী থামা! থামা!

- একটা কিস...
- ছাড়ো তো!

দিন-দুপুরে গাড়ির ভিতরে
একটা মেয়ের সাথে নষ্টামি??

বের হও হতচ্ছাড়া!

কে আপনি? ছেড়ে দিন ওকে..

আমার কথা শুনুন..

ছাড়ুন বলছি..

প্লিজ! ছেড়ে দিন।
আমার কথা শুনুন.. ছাড়ুন ওকে..

তুই দিল্লির বাসে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করিস..

ট্রেনেও করিস...

এমনকি বিমানেও তাদের উত্ত্যক্ত করিস..

আর এখন পার্কিং গাড়িতেও উত্ত্যক্ত করছিস?

এত গরম পড়ছে, শরীর থেকে
এত ঘাম কখনো পড়তে দেখি নাই।

এর মধ্যে তোরা কিভাবে এতটা
উষ্ণতর (কামনাসূচক অর্থে) হয়ে উঠেছিস?

- আরে পাগল..!
- কি?

ও আমার বউ!

বউ..?

সে বউ জেনেও তুই ওকে
জোর করে কিস করছিস!

শুয়োরের বাচ্চা!

ভাইয়া, ও আমার জামাই..

সে মি. কুল নাকি মি. পারফেক্ট
তাতে আমার কিছু যায় আসে না..

এমনকি সে বিজয় সেদুপতি হলেও...

আমি তাকে ছেড়ে দেবো না।

প্লিজ! তাকে আর মারবেন না।

এই.. থাম।

এই.. তুই ওকে মারছিস কেনো?

স্যার, এই বদমাইশটা মেয়েটিকে
গাড়িতে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছিল।

কি হচ্ছে এখানে?

স্যার, আমরা দুজন বউ-জামাই।

শুনছেন স্যার? সে "বউ" বলে
মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে।

আরে গাধা!

স্থানীয় ভাষায় "বউ" মানে হচ্ছে "স্ত্রী"..!

স্ত্রী..?

ব্যাটা বোকচোদ!
আগে স্থানীয় ভাষা শিখে নে।

এখানে সাইরেন লাগিয়েছিস কেনো?

আমি মন্ত্রীর শালা!

যেখানে মন্ত্রীর গাড়িতে সাইরেন লাগায় না..

..সেখানে তুই লাগিয়েছিস কেনো?

তাহলে আপনারা লাগিয়েছেন কেনো?

ব্যাটা! আমি পুলিশ!

আমি এয়ারপোর্টে জলদি পৌঁছানোর
জন্য সাইরেন লাগিয়েছি।

তুই কি দ্রুত এয়ারপোর্টে যেতে চাস?

এখন সাইরেন নিয়ে দৌড় দে..
আমি তোর পিছু পিছু আসছি।

দৌড় দে...

চেয়েছিলাম সুপার-ডুপার শক্তিমান হতে...

..হলাম সাইরেন ম্যান!

রাম...

জ্বি, ম্যাম..

আমার মেয়ে লন্ডন থেকে আসছে..

শক্তিকে পাঠিয়েছি, কিন্তু ওর তো
দেখছি কোনো খোঁজ-খবর নেই।

তুমি এয়ারপোর্টে যেতে পারবে?

অবশ্যই ম্যাম।

তুমি তো তাকে দেখোনি..

তার নাম্বার নাও।

- দুঃখিত।
- ঠিক আছে।

এই যে.. শুনুন..

হ্যাঁ, বলুন।

তুমি আমাকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়েছো?

না।

সত্যি করে বলো।
তুমিই ধাক্কা দিয়েছিলে..?

হ্যাঁ।

ভালো লেগেছে, তাই না?

গাধার বাচ্চারা!

আমাকে নিতে একজনও আসেনি।

আমাদের গাড়ি না?

ড্রাইভার...

তুমি গাড়ির পাশে কী করছো?

বের হওয়ার গেটে আসলে না কেনো?

দুঃখিত ম্যাডাম।

লাগেজ কে উঠাবে?

স্যরি।

এসি গাড়িতে বসে বসে আরাম করছিলে?

না ম্যাডাম।

তাহলে সিটগুলো এত ঠান্ডা কেনো?

আপনার সুবিধার জন্য আমি
এসি চালু রেখেছিলাম।

যাক! ভালো।

স্বাগতম ম্যাডাম।

দিয়া.. কেমন আছিস?

ড্রাইভারটা কে?

সে আমাকে মোটেও হেল্প করেনি।

চুপ!

সে আমাদের ড্রাইভার নয়..

সে ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজার।

সে IAS পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্টের অপেক্ষায় আছে।

আমি ড্রাইভার পাচ্ছিলাম
না বলেই তাকে পাঠিয়েছি।

এইটা ধরো। আমি আসছি।

এই যে...

কি সমস্যা তোমার?

তুমি যে ড্রাইভার নয়, সেটা
আমাকে বললে না কেনো?

আমি জানতাম নাকি?

ঠিক আছে।

"ঠিক আছে" বলে তুমি কি বোঝাতে চাচ্ছো?

তুমি বললে তো আমি তোমার
সাথে খারাপ ব্যবহার করতাম না।

তুমি আমাকে এমন অবস্থায়
দাঁড় করিয়েছো যাতে..

..আড়ালে গিয়ে বলতে পারো
মন্ত্রীর মেয়ের ব্যবহার খারাপ!

আপনি যা ভাবছেন তা নয়!

তুমি আমাকে বোকা বানিয়ে
নিজে সুপার হিরো হতে চাচ্ছো?

ঠিক আছে।
তাহলে এক কাজ করুন..

গাড়িতে বসুন..

আমি আপনাকে আবার
এয়ারপোর্টে নিয়ে যাব..

আপনি আবার নতুন করে আসবেন,
আমি আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকব।

আপনি আপনার লাগেজ নিয়ে আসবেন..

আমি নিজেকে ড্রাইভার নয় ফ্রন্ট
অফিস ম্যানেজার বলে পরিচয় দেবো।

তারপর আপনি গাড়িতে উঠবেন আর
আমি আপনাকে বাড়ি নিয়ে আসব।

তারপর আপনি বাড়ির ভিতরে চলে যাবেন।
কাহিনী শেষ!

হ্যালো..

দিয়া..

দিয়া..

তুই একা একা চলে এসেছিস?

ওই হতচ্ছাড়া মামা..
তুমি আমাকে নিতে এয়ারপোর্টে আসলে না কেনো?

আমি স্থানীয় ভাষা না জানার কারণে
বিশাল ঝামেলায় আটকে গিয়েছিলাম।

এত বছর ধরে দিল্লি থাকো!
এখনও হিন্দি ভাষা জানো না?

আরে! আমি যদি হিন্দি ভাষায় কিছু শুনি..

মনে হয় আমাদের সবাইকে হাসতে বলা হচ্ছে
কিন্তু তামিলে সেটা কাঁদার মত শোনায়।

সবগুলা একেকটা পাগল!

দেখ.. তুই বিদেশ চলে গেলে..

এই বাড়ির কেউ আমাকে সম্মান করে না।

যদিও আমি সেটা করি না।

কারণ তুই ছোট বেলা থেকেই
আমাকে সম্মান করতি না।

তাই আমি সেটা তোর
কাছে থেকেও আশা করিনি।

এজন্য..

আমি তোর ম্যানেজার, পি.এ,
ড্রাইভার এবং সিকিউরিটি। সবকিছুই..

আমার মন্ডু...

কী?

সে "কী" "কী" জিজ্ঞেস করা ছাড়া
আর কিছুই বলতে পারে না।

কী?

মুখ বন্ধ কর!

দিয়া....

কী?

রাম স্বামীকে দ্রুত বিয়ের
অনুষ্ঠানে আসতে বলো।

ওকে, সাবধানে যেও।

প্লিজ! রাম..
তুই আমাকে এত সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠাবি না।

বল দাদি..

তোর দাদা বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে গেছে।

তোর মনে আছে তো?

হার্ষা গার্ডেনে ৭:৩০ থেকে ৯ টার মধ্যকার
শুভলগ্নে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে।

জামাইয়ের নাম "লক্ষণ"।
বউয়ের নাম "মধুমিতা"।

ঠিক ৮:৪৫ এ মঙ্গলসূত্র বাঁধা হবে।

ঠিক আছে?

(মন্ত্র পড়ছে..)

এই..

বিয়ে বন্ধ কর।

আপনারা থামবেন না।
মন্ত্র পড়া চালিয়ে যান।

(মন্ত্র পড়া চলছে..)

এই.. পন্ডিত..

আমি তোকে আবারও বলতেছি বন্ধ কর।

মীনাক্ষি... এদিকে আয়।

মীনাক্ষি, তুই আমার অনুমতি ছাড়া
কার ভরসায় মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছিস?

আমাকে না জানিয়েই আমার
মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিস?

শান্ত হোন.. আমার কথা শুনুন..

আগে এখানে বসুন।

এই.. তুই.. উঠ।

রাম...

তুই চলে যা।

এই শুভলগ্নে আর বিয়ে হবে না!

দাদা, ঝগড়া লাগবে মনে হয়..!

তুই যা..

আমি ১০:৩০-১২:০০টার মধ্যে আরেকটা
শুভলগ্ন বের করে ফেলব। তুই যা..

এখন লজ্জা পাচ্ছো?

তুই নিজে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছিস..

কিন্তু সে আমার মেয়ে!

আর তুই আমাকে না জানিয়ে তার বিয়ে দিচ্ছিস?

আমি এই বিয়ে কখনো হতে দেবো না।

আমি আপনাকে ডিভোর্স দিয়েছিলাম
কারণ আমি গুন্ডাগিরি কে ঘেন্না করি।

দয়া করে আমার মেয়ের জীবন ধ্বংস করবেন না।

স্যার, আপনি বিয়ে বন্ধ করতে চাচ্ছেন কেনো?

আগে বিয়ে হয়ে যেতে দিন..
দয়া করে আপনি বসুন।

দুই টাকার পুলিশ..

আমাকে বুঝাবি?

সে আমাদের মেয়ে নাকি...

..অন্য কারোর মাধ্যমে জন্মানো অবৈধ সন্তান?
জবাব দে..

জবাব দে..

চুপ কর.....

সে যদি তোর বউ হয় তারপরও..

..তোর তাকে সম্মান দেখানো উচিত।

ভদ্র আচরণ করলে ভদ্র আচরণ পাবি..

আর এটাই সম্মান!

এই.. পন্ডিত..

বের হও!

মজা করছে...

বের হও!

এই পন্ডিত..

(মন্ত্র পড়া চলছে)

তোর এত রাগ কোত্থেকে থেকে আসে?

একজন পন্ডিত! যে কিনা
পবিত্র মন্ত্র পাঠ করে পবিত্র বন্ধন সৃষ্টি করে..

এবং প্রতিদিন গায়েত্রী মন্ত্র পড়ে..
তার নিজেকে শান্ত রাখা উচিত।

তৃতীয়বারের মত একই কাজ করলি।

দাদা.. এটা যেমন তেমন ছিল না..

যে সময় অফিসার আমার
বাহুতে এসে আচড়ে পড়ে..

আমার তখন মনে হয়েছিলো..

মনে হলো, আমার মধ্যে
কি যেন চলছিলো!!!

"রাগ"

যদি তুই এভাবে পুলিশি ঝামেলায় জড়িয়ে যাস,
তাহলে তুই আই,এ,এস অফিসার হতে পারবি না।

তোকে অবশ্যই একজন
আই,এ,এস অফিসার হতে হবে।

এটা তোর মায়ের ইচ্ছে ছিল।

তোর বাবার স্বপ্ন ছিল।

এরকম আর হবে না, দাদা।

তুমি ওকে যেভাবেই বড় করে
তোলার চেষ্টা করো না কেন...

ওর ভিতরে ওর বাবারই গুণ আছে...

-মহান নেতা পেরুমাল পিচাই।
-দীর্ঘজীবী হোক...

-মহান নেতা পেরুমাল পিচাই।
-দীর্ঘজীবী হোক...

-মহান নেতা পেরুমাল পিচাই।
-দীর্ঘজীবী হোক...

এখানের লোকদের জন্য...

মহান পেরুমাল পিচাই
অনেক ত্যাগ করেছেন...

আপনারা অনেক দেখতে...

এখন আমাদের মাঝে আসছে
মহান পেরুমাল পিচাইয়ের বংশধরেরা

-রাভানা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-মাহেন্দ্রান পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-দেভিন্দ্রা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-রাভানা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-রাভানা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-দেভিন্দ্রা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-দেভিন্দ্রা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-মাহেন্দ্রান পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-মাহেন্দ্রান পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-রাভানা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

দুঃখিত স্যার।

স্যার।

রাভানা, চল যাই।

-দেভিন্দ্রা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-রাভানা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-মাহেন্দ্রান পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-রাভানা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-রাভানা পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

-মাহেন্দ্রান পিচাই...
-দীর্ঘজীবী হোক।

তারা এই লোককে নেতা বানিয়ে, এখানে তার
মূর্তি স্থাপন করাতে কত দূর্ঘটনা ঘটেছে জানিস!!

এসব অন্যায়ের সাথে লড়াই করার জন্য,
আমাদের একজন সৎ IAS অফিসার লাগবে।

এখানে সব এমপি আর এমএলএ আসছে।

কেবল বিশ্বনাথান আসেনি।

অন্ধ্র-তেলাঙ্গানা দুই রাজ্য থেকেই...

রাম...

রাজ্য সরকার তৈরি আছেন, কৃষিকাজের জন্য
কৃষকদের জরুরি যেকোনো কাজে সাহায্যের ব্যাপারে।

বিশ্বনাথানকে ফোনটা দাও।

আমি কি জানতে পারি,
আপনি কে বলছেন?

তুই কে?

স্বামী।

আবার বল।

স্বামি।

হ্যালো, স্বামী বলছি।

রাম স্বামী।

আমি বলছি, মন্ত্রীকে ফোনটা দে।

আমি কি জানতে পারি,
আপনি কে বলছেন?

বল পিচাই ফোন দিয়েছে...

স্যার, পিচাই নামের কেউ...

মুখ্য মন্ত্রী, অনুষ্ঠানে আসছেন না...

আমাকে টাকাও দিলেন না।

পার্টির তোমাকে টাকা দিতে হবে,
আমার তোমাকে টাকা দিতে হবে না।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো।

আমি তোমাদের পার্টির জন্য, বিলম্ব না করেই
দিল্লী থেকে ৬০ কোটি কালো টাকা দিয়েছি...

আর এখন?

আমাকে কমিশন দিতে কষ্ট হচ্ছে, তাই না?

তুমি শীঘ্রই টাকার ব্যবস্থা করে,
আমাকে টাকা দিয়ে দাও।

নাইলে...

এই ২৮ বছরে...

সে এতটা ক্ষমতা অর্জন করছে যে,
মুখ্যমন্ত্রীকেও ধমকাতে পারে।

ভারতের সব বড় বড় পার্টি
কালো টাকাতে জড়িয়ে আছে।

অনেক নামী ব্যবসায়ী ও এই ধরনের
অবৈধ টাকার সাথে জড়িয়ে আছে।

তাদের প্রত্যেক থেকে ১০% কমিশন...

ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত, সব
জায়গাতেই কালো টাকা তার একাউন্টে নিয়ে নেয়।

সে সম্মানের সাথে বাজে ব্যবসা ও চালাচ্ছে।

তাছাড়া...

অনেক রাজনীতিবিদ আর শিল্পপতিরাও
তাকে ভীষণ ভয় পায়...

দুইয়ের মধ্যে এক হলে ঠিক আছে...

কিন্তু ছয়ের মধ্যে দুই হলে অনেক বেশি হয়ে যায়;
দোকানের মালিক দেখলে আমাদের ভাগিয়ে দিবে।

দিয়া, তুই লন্ডনে কিসের উপর পড়ালেখা করছিলি?

আমি লিভারপুল ইউনিভার্সিটি থেকে
'হিউম্যান সাইকোলজি'র উপর কোর্স করেছি।

সেটা এক বছরের কোর্স ছিল।

দারুণ।

আর, দিল্লীর কি অবস্থা?
গত বছরের কোন খবর??

১৬৫টা ধর্ষণ আর ৩৬৫ যৌন নিপীড়ন।

এসব লোকেরা সাইকোলজিক্যালি আক্রান্ত।

এই রাম, তোমার কি অবস্থা?

রাম, তুমি আমাকে তোমার মন্ত্রীর সাথে
কোন এপোয়েনমেন্ট নিয়ে দিচ্ছো না কেন!!

দুঃখিত, উনি কিছুটা ব্যস্ত আছেন...

রাম, আমার এমডি ভারতের অর্গানিক কৃষিকাজের
ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপের দরকার আছে।

প্লিজ, তোমার আমাকে সাহায্য করতে হবে।

প্লিজ, আমাকে এপোয়েনমেন্ট পেতে সাহায্য করো।

দয়া করে হাত সরিয়ে কথা বলো।

এই, এখানে খারাপের কি আছে?

কি হয়েছে?

যখন কেউ তোমাদের স্পর্শ করে,
তোমরা মেয়েরা কি করো?

আমরা সব ছেলেরাই কি খারাপ??

আরে...

একটা থাপ্পড় মেরে...

রাম, শান্ত হও।

কি হয়েছে?

-আমি চলে যাচ্ছি।
-কেন তুই এত রেগে যাচ্ছিস?

-কিরে তোর কি হয়েছে?
-রাম, দাঁড়া, রাম।

-হ্যালো
-হ্যালো, দাঁড়াও।

তোমার সাহস কি করে হয়,
কোন মেয়ের গায়ে হাত তোলার?

তোমার কি থাপ্পড় মারার সাহস আছে?

আমি কি জানতে পারি,
তাতে তোমার কি সমস্যা?

তুমি যাও তো।

মেয়েদের গায়ে হাত তুলতে গেলে, কি সমস্যায়
পড়তে হয়, আশা করি তা তুমি ভালোই জানো!!!

এভাবে তাকানো বন্ধ করো!!

তুমি কি ভেবেছো, তুমি যাকে ইচ্ছে
চালাকি করে থাপ্পড় মারতে পারো??

আমিও দেখি, তুমি আমাকে কীভাবে থাপ্পড় মারো।

প্লিজ।

কি হয়েছে?

কেবল আমি তোমাকে স্পর্শ করলেই
তুমি আমাকে থাপ্পড় মারবে?

ধন্যবাদ বলো।

যখন কেউ কারো অনুরোধ রক্ষা করে...

তোমার তাদেরকে 'ধন্যবাদ'
বলা উচিৎ, এটাই হচ্ছে ভদ্রতা...

ধন্যবাদ বলো।

ধন্যবাদ।

এটা ঠিক আছে।

এই দিল্লীর ভূমিতে...

জান্তার-মান্তার রাস্তাতে...

আমার বোনের মেয়েকে,
কে মারলো বসে???

কে এই কাজ করে বসলো?

সে কীভাবে তোকে থাপ্পড় মারলো?

কীভাবে সে তোকে থাপ্পড় মারলো?

সে কীভাবে তোকে থাপ্পড় মারলো?

সে তোকে ঠিক যেভাবে থাপ্পড় মারছে
আমিও তাকে ঐভাবে থাপ্পড় মারতে হবে।

বল, বল।

মা!!

সে কি তোকে এত জোরে থাপ্পড় মারছিলো,
তুই এভাবে বাউন্স করে উঠছিলি???

না।

তাহলে, কেন তুই আমাকে
এত জোরে থাপ্পড় মারছিস?

আমি তো তোমাকে মারিনি,
তুমি আমাকে মারতে বলছো।

সমস্যা নাই, তুই আমার বোনের মেয়ে;
তুই কোন চিন্তা করিস না।

আমি ওকে ছেড়ে দিবো না।

এই গাধা, আগে তুমি গিয়ে দেখো
সে কি আজকে কাজে আসছে কিনা!!

সে নিশ্চয়ই ভয়ে নোয়েডা
বা গুরুগাও চলে গেছে।

সে যেখানেই চলে যাক না কেন,
আমি ওকে ছেড়ে দিবো না।

নমস্কার স্যার।

এইতো সে চলে আসছে।

অবশ্য, সে সঠিক সময়ে আসেনি
এই ঘন্টা পরে কাজে আসছে।

নমস্কার স্যার।

ওর খারাপ সময় শুরু হয়ে গেছে।

আমি ওকে ছেড়ে দিবো না
না, আমি ওকে ছাড়বো না।

এই...

তুই একটা মেয়ের গায়ে হাত তুলেছিস, তাই না?
তোর কি পুরুষের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস আছে?

তাহলে আমাকে থাপ্পড় মেরে দেখা।

তুই কি দেখছিস?

আমি পুরুষকে খুঁজছি।

দারুণ জোকস...তাহলে আমাকে কি মনে হচ্ছে?

আমার বাহুর দিকে তাকা।

আমার শরীরের দিকে তাকা।

আমি রাজাপালায়ামের কুকুরের মত...

তুই কেবল আমাকে থাপ্পড় মারতে পারবি,
কিন্তু আমি তোকে কামড়াতে পারবো।

কি?

মামার শরীরের তেরোটা বাজিয়ে দিলো।

কি? কি? কি?

আগে আমাকে তুল, তুল, তুল।

নমস্কার, মুখ্যমন্ত্রী।

নমস্কার

তুমি আমার ভাইয়ের ব্যাপারে জানো না!!

যদি সে কাউকে ঘৃণা করে...

যদি সে লোক আমার সাথেও থাকে
তার জীবনের ও রেহাই দেয় না।

তুমি ওর সাথে ডিল নিয়ে লাগতে আসছো?

তোমার ভাই টাকা হস্তান্তরিত করছে...

পার্টিকে, আমাকে না।

তাহলে যদি এতটাই জরুরি হয়ে থাকে
সরাসরি পার্টির কাছেই চলে যাও।

এটা দিল্লী।

সেটা মাথায় রাখো।

বল রাভানা।

মা...

তুমি গুটি গণনা করে, আমায় ভবিষ্যতে
কী করতে হবে, তা আমাকে জানাও।

তোর যা ইচ্ছে কর।

তোকে কেউ হারাতে পারবে না, রাভানা।

কেউ হারাতে পারবে না।

আচ্ছা মা।

বিদায়। দিয়া।

কে রে তোরা?

-ওকে ধর।
-আমাকে ছেড়ে দাও।

ওকে জলদি গাড়িতে ঢুকিয়ে নে।

আমাকে ছেড়ে দাও।

এই, দাঁড়াও।

বল।

মন্ত্রীর মেয়েকে নোয়েডা গারওয়া সিংয়ের
লোকেরা জোর করে তুলে নিয়ে গেল।

কি বলছিস?

আমি মাত্রই দেখলাম।

আরে চল দোস্তরা।

তুই ঐ গাড়িকে ফলো কর
আমি তোকে পরে ফোন দিচ্ছি।

রামজি, আমাকে তোর গাড়ির চাবি দে

-জলদি, জলদি।
-চল।

তুমি আমার বড় ভাইকে বলেছিলে না,
সরাসরি পার্টি থেকে টাকা খুঁজতে??

তো, আমি ভালো করে চিন্তা করলাম
সরাসরি তোমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করি।

আমি তোমার মেয়েকে অপহরণ করলাম।

কি বাজে বকছো!!

তোমার শুনতে হয়তো বাজে কথা শোনাচ্ছে...

পরে তুমি ঠিকই ভয়ে কেঁপে উঠবে!!

তুমি কি জানো, তুমি কার সাথে লাগতে যাচ্ছো!!

তুমি মুখ্যমন্ত্রী না?

কুতুবমিনারে উঠে গুলি চালাও।

পুরো জাতিকে তোমার কথা শুনিয়ে বেড়াও।

তোমার পার্টিকে তামিল নাডুর নির্বাচনের
জন্য ৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিলো।

আর আমাদেরকে যে ৬০ কোটির টাকার সাহায্য
করছে, তাকে তার কমিশন দিতে মানা করে দিয়েছি।

সেজন্য রাভানা পিচাই রেগে গিয়ে আমার মেয়েকে
অপহরণ করছে বলে, থানায় অভিযোগ করো।

সিবিআই আমাকে গ্রেফতার করবে,
আর আমাকে নানা জেরাও করবে।

কিন্তু তোমাকে?

মিলিটারি তোমাকে গুলি করে মারবে।

স্যার, নোয়েডা গারওয়া সিংয়ের লোকেরা
আপনার মেয়েকে অপহরণ করেছে।

রাম...

আমি তাদেরকে ফলো করছি।

এটা কেবল রাজনৈতিক চাপ।

কিছু সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।

আপনি আলোচনা করে যান।

আমি কিছুক্ষণের মধ্যে, আপনার মেয়েকে
আপনার বাসায় নিয়ে চলে আসছি।

এই, এই, রাম।

আমি আমার গ্রামে আসছি।

তুমি বাড়ির ভিতরে যাও।

উপরের সিঁড়িতে লকারটা খুলো।

সত্য, তুই কোথায় আছিস?

রাম, আমি পাটেল নগরের সেখানে আছি।

হ্যাঁ, আমি পেয়েছি।

এখন সেটা নিয়ে তিরুনেলভেলি চলে আসো।

রাম, সিপকট ২৩ তম সেক্টর।

হ্যাঁ।

আমাকে লোকেশান পাঠিয়ে দে।

৩৪০ একরের জমি
আমার পরিবারের সম্পত্তি।

এক ঘন্টার মধ্যে তুমি জমির দলিল পেয়ে যাবে

আমি তোমার কমিশন দিয়ে দেওয়া মাত্র
আমার দলিল তোমার কাছ থেকে নিয়ে নিবো।

সেটা আসতে দাও।

আমরা দেখবো।

বেরিয়ে আয়।

-চুপ কর।
-আমাকে ছেড়ে দাও।

রবি...

আমি পথে আছি, আসছি।

আচ্ছা, রাম।

যদি কোন সমস্যা হয়,
আমি তোকে ফোনে জানাবো।

তুই পুলিশকে নিয়ে আসিস।

তোমরা কারা?

কেন আমাকে আটক করে নিয়ে আসছো?

তোমরা জানো, আমি কে?
আমার বাবা কে??

তোর এতবড় সাহস!!

তোর বাবা মন্ত্রী হয়েছো তো কি হয়েছে
আমি কি তাকে ভয় পাই!!!

তোর বাবাকে ডাক।

আর চিল্লাচিল্লি করিস না।

"You're my Superhero!"

"My Savior!"

"You're my Superhero!"

"My Savior!"

"Like a whirlwind, you freed
me from my shackles"

"You stood like a brave heart
and fought like a warrior"

"You're my Superhero!"

"My Savior!"

"Your hands work magic,
just like weapons"

"I can feel my heart pound
at the sight of you"

"You are the man!"

"With you by my side, I can
face the whole world!"

"You're my Superhero!"

"My Savior!"

"You're my Superhero!"

"My Savior!"

ম্যাডাম নিরাপদ আছে, স্যার।

রাম।

"You came into my life
like a pleasant surprise"

"Just like a snowfall
during summer"

"Not a word uttered yet we
understand each other so well"

"And now I am ready to be yours"

"I can feel my pain fading away"

"You are all I see"

"You make me go crazy"

"Yet I am fond of this craziness"

"You're my Superhero!"

"My Savior!"

আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই।

আমার মনে হয়, আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি।

আমি তিরুনেলভেলিতে প্রায় পৌঁছে গেছি।

সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যাও।

তো, কাগজপত্র?

তুমি সেসব যেখান থেকে নিয়েছো
সেখানে নিরাপদে রেখে দাও।

সে আসল রাজনীতিবিদের চেহারা দেখিয়ে দিলো।

সে পুলিশের কাছে কোন মামলা করেনি।

বডিগার্ড বা সিকিউরিটি থেকেও
কোন প্রকারের সাহায্য নেয়নি।

তার কাছে এমন কোন ক্ষমতাবান লোক আছে, যার
হিম্মত আছে দিল্লীতে গারোয়া সিংয়ের লোকদের মারার।

কে সে?

-তামিলবাসী হয়ে গর্ব করি।
-মাথা উঁচু করে আমরা চলি।

তামিলবাসী হয়ে গর্ব করি।

এই তামিলনাডু এক্সপ্রেস কেন দিল্লীর
জান্তার মান্তারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে?

থামুন, থামুন।

আপনারা কি চান?

আমার দিল্লীর নির্বাচকমন্ডলী থেকে
তামিলবাসীদের আলাদা করতে চাই।

এখানে আমরা মন্ত্রীকে আবেদন জমা দিতে আসছি।

তামিলবাসীদের তামিলনাডুর নির্বাচকমন্ডলী
থেকেও আলাদা করা যায় না

তাহলে দিল্লীর কেন প্রয়োজন হবে?

তাহলে আমরা তামিলের উন্নতি করতে পারবো।

আগে নিজের উন্নতি করা শিখ
এরপর তামিলকে করতে আসিস।

আমি আপনাদের সবাইকে ৪টা প্রশ্ন করছি, যদি সবাই
ঠিক জবাব দিতে পারেন, তাহলে যেতে দিবো।

তো, তোমার কি প্রশ্ন তৈরি আছে
নাকি আমার কোন সাহায্য লাগবে?

উনি সবসময় তৈরি থাকেন।

সাবানের বারকে তামিলে কি বলে?

সাবান? সাবান...

সা...সাবান...বুদবুদ সাবান
বুদবুদ সাবান।

ভাঝালাই কাট্টি

কফিকে তামিলে কি বলে?

কফিকে তামিলে কফি বলে...

কেবল মিশিয়ে...নাড়িয়ে নাও

এরপর খাও, খাও, খাও

কোট্টাই ভাডিনির

আপনি এটাকে কোলাম্বিও বলতে পারেন

তুই এসব কিভাবে জানিস?

থীরুকুরাল(প্রবাদ)...

নালাভেনবা, নাটিয়াপা(গল্প)...

সিরাপুরানাম(কবি)...

পাথুপাটু(১০ সংকলন) আর
এট্টুথোগাই(৮ সংকলন)

আগানানুরু আর পুরানানুরু(কবিতা),
আঠিছুভাডি(একটা যাত্রীবাহী জাহাজ)...

আমি এসব জানি।

এসব কি?

দূর্দান্ত।

তামিলের সভাকে উন্নত করার আগে...

আগে নিজের বাচ্চাদের ও তামিল
শেখান। এখন, সবাই চলে যান।

তুই এসব কিভাবে জানিস?

আমি কবি ভাইরামুথুর বাড়িতে ১০
বছর ওয়াচম্যানের কাজ করেছিলাম।

তুই দেখি কবির বাসায়
ভালোই ধান্দা করেছিস।

ভাইরামুথুর বাড়ির ওয়াচম্যান...

এত ভালো তামিল বলে।

আমাকে বল, তুই যখন তামিল শিখলি...

৮ বছর ধরে তোকে আমি জিজ্ঞেস করলেও
তুই কেবল কী কী কেন করতিস???

যদি আমি বলতাম, আমি তামিল জানি
তাহলে আমাকে আদেশ দেওয়া হতো...

...ঘরের সব কাজ করার পাশাপাশি
সেই সাথে বাজার-সদাই করার জন্য

আমাকে গাড়ি ধৌত করতেও বলতো

এজন্যই কি!!!

তো, এটা তাহলে তোর ভয়ংকর প্ল্যান??

তুই তামিলে কথা বলবি না।

তুই কেবল হিন্দিতে কথা বলবি।

-এখন দেখ, আমি তোকে কিভাবে তামিল বলাই।
-আমাকে মেরে নিজে পাপী হইয়েন না।

তামিলনাডুই একমাত্র জায়গা, যেখানে তুই
যেকোন ভাষা বলে বেঁচে থাকতে পারবি।

বলেন।

আপনার ঠিকানাটা?

স্যার, আপনি প্রজেক্টের রিপোর্টের ব্যাপারে...

মন্ত্রী আমাকে পাঠিয়েছিলো।

আমি বাহিরে যেতে চাই
আমি কোন ড্রাইভার পাচ্ছি না।

গাড়ি নিয়ে এসো।

আমি ফোন করে দেখি
কোন কল-ড্রাইভার পাই কিনা!!

আমি বলছি, গাড়িতে উঠে বসো।

কোথায় যাবে?

আগ্রাতে।

তাজমহলে।

এসো, চলো আমরা বাসায় ফিরে যাই।

আমি যাবো না।

তুমি চলে যাও।

কিন্তু বাসায়...

যদি তারা জিজ্ঞেস করে, তাদের বলিও...

আপনার মেয়ে আমাকে ভালোবাসে।

আমি ওকে কিছুই বলিনি।

সেই দুঃখে সে তাজমহলের
কোথাও হারিয়ে গেছে।

তুমি এসব কি বলছো?

যদি তুমি অনিচ্ছাকৃত আমাকে এড়িয়ে চলতে,
আমি তাহলে সে আশায় ও বেঁচে থাকতাম।

কিন্তু তুমি আমাকে ইচ্ছে করে এড়িয়ে চলছো।

সেটা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।

আমি ভেবেছিলাম, তুমি বুঝে যাবে।

যে কেউ সমস্যায় পড়লে সাহায্য করতে পারে।

কিন্তু প্রত্যেকেই সেই সাহায্যের সময়ে
এতটা যত্ন নিয়ে কারো খেয়াল রাখে না।

এটা...

এই ভালোবাসা মোহ কিংবা
কোন আকর্ষণের জন্য হয়নি।

এটা যত্ন আর মমতার জন্যই হয়েছে।

এই রাম, ফলাফল বেরিয়ে আসছে।

আমাদের পুরো গ্যাংই পাশ করেছে।

ওহ।

রাম, মনে আছো তো, আমাদের সবাইকে
আগামী সপ্তাহে ট্রেনিংয়ে মাইসুর যেতে হবে।

আমি তোর সাথে পরে কথা বলছি।

আসো, চলো যাই

আমার অনেক দায়িত্ব আছে।

আমি প্রেমে পড়বো না।

তোমাদের পরিবারে ৩ জন লোক থাকলেও
৩০জন লোক তোমাদের হয়ে কাজ করে।

এটাই তোমার জীবনধারা।

কিন্তু একটা কফি ৩জনের মধ্যে ভাগাভাগি করা...

এখন, এটাই হচ্ছে আমার জীবনবিধি।

তোমার বাবা হয়তো মন্ত্রী।

কিন্তু ভেতরগত উনিও একজন
সাধারণ ইমোশনাল বাবা।

কেবল আমার সাথে বলে নয়...

তোমার কারো সাথেই প্রেমে পড়া উচিৎ নয়।

যদি আমরা দুজনেই প্রেমের
শেষ পর্যায়ে থাকতাম।

আমরা আমাদের ভালোবাসার জন্য লড়তে পারতাম।

কিন্তু তুমি কেবল প্রাথমিক পর্যায়ে আছো।

তুমি সহজে সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।

আমি?? আমি তো কারো প্রেমে পড়িনি।

তুই কোথায় ছিলি?

গাড়িতে কোন ড্রাইভার দেখছি না যে?

আমি কোন ড্রাইভার খুঁজে পাইনি।

কি হয়েছে?

কেন তুই কান্না করছিস?

কিছু না, মা।

তুই তো এখানে বসে কান্না করছিলি।

সে ট্রেনিংয়ে যাবে বলে, চাকুরী ছেড়ে
এখান থেকে চলেও গেছে

এসব কি হচ্ছে?

তুই আমার থেকে কিছু লুকোচ্ছিস না তো?

মা...

তেমন কিছুই না।

আমি ওকে ভালোবাসি।

আমি ওকে ভালোবাসার কথা জানালাম...

সে জবাবে কি বললো?

কেবল আমার সাথে নয়...

তোমার কখনোই কারো প্রেমে পড়া উচিৎ নয়।

তুই কি চাস?

আমি ওকে ভুলতে পারবো না, মা।

আমি ওকে ভালোবাসি, মা।

আমি ওকে ভালোবাসি,

কাঁদিস না, দিয়া।
আমি আছি তো।

কাঁদিস না।

৬ মাসের প্রশিক্ষণ।

আইএএস প্রশিক্ষণ মুসৌরিতে..

আইএফএস প্রশিক্ষণ দেরাধুনে

- আইপিএস প্রশিক্ষণ হায়দ্রাবাদে।
- ওহ ঠিক আছে।

আচ্ছা, তোমাদের মধ্যে কে রাম স্বামী?

- লোকটা কে রে?
- রাম স্বামী কে? রাম স্বামী?

ওহ! তাহলে তুমিই রাম স্বামী?

এই যে রাম স্বামী, খুব তো ভাল মানুষী
দেখিয়ে একটা মেয়ের মন চুরি করেছো।

আর যখনি সে তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ
করলো, তুমি অযুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছো।

দেখো, সে ৪.৫ বিলিয়ন সম্পত্তির ওয়ারিশ!

সব তোমার হবে।

তাহলে অফারটা গ্রহণ করো, আমার
ভাগ্নিকে বিয়ে করে স্যাটেল হয়ে যাও!

নতুবা খুব শীঘ্রই তুমি মারা পড়বে!

মন্ত্রীর শালার বিরুদ্ধে যাবে সাহস কত তোমার?

আমার সাথে পাংগা নিতে চাও?

তুমি তো সামান্য একজন নিরামিষভোজী!

আর আমি? আমিষভোজী,
তোমার থেকে অনেক শক্তিশালী!

যাইহোক, এ জন্মে তুমি তো মন্ত্রী হতে পারবে না।

কিন্তু মন্ত্রীর জামাই হওয়ার
একটা সুযোগ এসেছে।

কেন সেটা কাজে লাগাচ্ছো না?
কাজে লাগাও!

ইউটার্ন নাও! ইউটার্ন নাও!

আমার বোনকে ফোন করে জানিয়ে
দাও যে, তুমি তাকে ভালোবাসো!

ইউটার্ন নাও! ইউটার্ন নাও!

শুধু আমার বোনের মেয়েই
নয়, আমার বোনও কাঁদছে।

আর আমি আমার বোনের
কান্না সহ্য করতে পারিনা।

তাজমহল; ভালোবাসার নিদর্শন
আর তুমি আমার ভাগ্নির...

প্রোপোজাল এর সামনে মানা করেছো!

আরেকবার, ঘুরে চল!

তোমাকে ভুলতে আমি
আমার ভাগ্নিকে সাহায্য করবো।

আমি ওর বিয়ে অর্থমন্ত্রী পংকজ মেহতার
ছেলে হারশাদ মেহতার সাথে ঠিক করবো!

আর তোমাকে সেই বিয়ের পুরোহিত বানাবো!

আমার ভাগ্নির বিয়েতে তুমি মন্ত্র পড়বে।

চুপ কর, নয়তো থাপ্পড় মারবো!

অভিশাপ দিচ্ছি!

তুমি কোনদিন আইএএস অফিসার হতে পারবে না!

- বিশ্বাস করো!
- বেশি হয়ে যাচ্ছে!

এটাই তোমার ভাগ্য!

হায় খোদা!

দেখো, লোকটা এক্সিডেন্ট করেছে।
সবাই জলদি আসো!

আপনি ঠিক আছেন তো?

স্যার, একটা সেলফি প্লিজ।

- সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ।
- একটা সেলফি প্লিজ।

দেখো এখানে।

- স্যার, একটু পোজ দিন না।
- সেলফি প্লিজ।

আজব চিড়িয়া!

দূর্ঘটনায় আক্রান্তকে হাসপাতালে নেয়ার বদলে...

সবাই তাদের এন্ড্রোয়েড
মোবাইলে সেলফি তুলতে চায়!

সেলফিস (স্বার্থপর) সেলফি মানব!

আরে গাধা!

উনারা 'কুরলা কোম্পানি' থেকে এসেছে।

স্বাগতম।

উনারা দিল্লি থেকে কলকাতায়
৪.৮ বিলিয়ন রুপি পাঠাতে চায়।

কখন?

আগামীকালের মধ্যে, স্যার।

এতই সহজ ভাবছেন?
তাও আবার দিল্লি থেকে।

পুলিশকে হাত করতে হবে,
চেকপোস্ট সড়াতে হবে,

এরপর প্যারামিলিটারী, এসটিএফ ও কমান্ড্যান্টদের...

অনেক বেশিই!

দিল্লীতে আমাদের কোন সমস্যা নেই।

আমরা এসকর্ট করে ইউপি বর্ডারের
কাছে নয়ডায় আপনাদের দিবো।

আপনারা সেখান থেকে নিয়ে যাবেন।

ঠিক আছে।

আমি দিল্লীতে পৌছে গেছি। ওদেরকে ঠিক ১০টায় ফ্যাক্টরি থেকে রওনা দিতে বলো।

আমরা টাকাগুলো এই বাসে ভরবো।

দেখো!

- রাম, তুই ঠিক আছিস?

ওই! গাড়ি থেকে বেরিয়ে আয়।

কি সমস্যা তোর?

তোর গাড়ির কি ব্রেক নাই?

হঠাৎ করে ব্রেক করলি কেন?

আরে গাধা! সিগন্যাল দেখ। লাল বাতি জ্বলছে।

অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে।
৬০০০ টাকা দে।

আমার কাছে কোন টাকা নাই।

বলে দে, সকাল ৯টার মধ্যে টাকা
না দিলে গাড়ি থানায় চলে যাবে।

সকাল ৯টার মধ্যে যদি টাকা না
দিস তাহলে গাড়ি থানায় চলে যাবে।

আমার গাড়ি! কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস এখন?

আংকেল, মনেহচ্ছে কেউ গাড়িটা নিয়ে গেছে!

- গাড়িটা এখানেই থাকুক।

সকাল ৮:৩০ টার দিকে আসিস।

- এই যে চাবি।

কে গাড়িটা চালাচ্ছিলো?

জানিনা গাড়িটা এখন কোথায় আছে।

- সব জায়গায় খুঁজে দেখ!
- যা!

- তুই কি এ ব্যাপারে কিছু জানিস?

আমরা কিছুই জানি না

- এই বুইড়া জবাব দে!
- প্লিজ, আমরা জানি না।

সে কত চেয়েছিল?

৬০০০ রুপি চেয়েছিল।

বল।

রাম, আমার মনে হয় গাড়িটাকে নিয়ে
এসে আমরা ভুল করেছি।

এখানে বড় ঝামেলা শুরু হয়ে গিয়েছে।

মন্ত্রী বিশ্বনাথম এর পেছনে নেই তো?

হতেই পারে না।

গাড়িটা যেই নিয়ে গেছে, এর ভেতরে
কি আছে সেই সম্বন্ধে কিছু জানে না।

সব ওই গাধা ড্রাইভারটার জন্য।

তাকে ৬০০০ টাকা দিয়ে দিলে সে
চুপচাপ চলে যেতো।

- কি হয়েছে রে?
- ওই দেখ, ওরা।

৬০০০ টাকা নেওয়ার জন্য সে
অবশ্যই গাড়ি নিয়ে আসবে।

খামোখা ঝামেলা করতে গেলে
সব জানাজানি হয়ে যাবে।

তাই, অপেক্ষা করে...

রাম, এখানে তো সব বাক্স।

খোল।

রাম!

এখানে সব ২০০০ টাকার নোট।

হেই, এক মিনিট!

- এখানে কি আছে আমি দেখছি।
- এখানে তো সব টাকায় ভর্তি।

ও, এই কারণে ওরা এমন
খোঁজাখুঁজি করছিলো!

এটাতেও সব টাকা।

এগুলো সম্ভবত অবৈধ টাকা।

তো, পুলিশকে টাকাটা দিয়ে দেই।

না।

টাকাটা সোজা সরকারের কাছে পৌঁছাতে হবে।

আমি জানি টাকাটা কোথায় পৌঁছাতে হবে।

ওই তো, রাম।

কি রে, রাম? তুই তো একদম রাষ্ট্রপতির
বাড়ির সামনে গাড়িটা রেখেছিস।

আমি রাষ্ট্রপতিকে এক্ষুণি এই ব্যাপারে
ইমেইল করে জানাচ্ছি।

কিন্তু কেন?

যদি টাকাটা সোজা সরকারের কাছে
পৌঁছাতে চাই...

রাষ্ট্রপতির কাছে টাকাটা দেওয়া
সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

তোর মনে হয় উনি এর উত্তর দেবেন?

আমি ইমেইলটা পাঠানোর ৫ মিনিটের
মধ্যে কী কী হয় দেখতে থাক তোরা।

দেখ।

ঠিক বলেছিস, রাম! সব দপ্তর থেকে
অফিসারেরা আসা শুরু করে দিয়েছে।

আয়কর আর প্রতিরক্ষা বিভাগের লোকও এসেছে।

পুলিশ বাহিনীও এসেছে।

মিলিটারি, এস.টি.এফ... ওয়াও!

তুই ঠিকই বলেছিলি। সব দপ্তরের
অফিসারেরা এসে হাজির হয়েছে এখানে।

এটাই হচ্ছে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা।

ওয়াও! দেখ, মিডিয়ার লোকজনও এসে জড়ো হয়েছে।

তদন্ত চলছে...

প্রায় ৫০০ কোটি টাকা সহ একটি গাড়ি...

যাতে সব ২০০০ টাকার নোট,
রাষ্ট্রপতির গণভবনের সামনে পাওয়া গেছে।

আংকেল, ওই তো 'কুরলা কোম্পানি'র গাড়িটা!

কে সে?

কে করছে এসব?

ও কে?

রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ইমেইল এসেছে।

'আদর্শ নাগরিক তুমি...
তোমাকে নিয়ে গর্ব হয়...'

ধন্যবাদ, স্যার।

রাবণ, এক্ষুণি দিল্লি থেকে চলে এসো।

এই অবস্থায় আমি কীভাবে আসবো?

টাকাটা হারানোর পেছনে তোমার কোনো দোষ নেই।
তাহলে তুমি কেন খামোখা সেখানে থাকবে?

ব্যাপারটা এখন রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত গড়িয়েছে।

ওখানে থাকাটা তোমার জন্য নিরাপদ নয়।
এক্ষুণি চলে এসো।

দাঁড়াও!

কোথায় যাচ্ছো তুমি?

বন্ধুর সাথে দেখা করতে।

কিন্তু তোমার কোনো বন্ধুই তো
দেখা করবে বলে মনে হয় না।

আমি জানি, রাম স্যামি আজ IAS
ট্রেনিং এর জন্য মিসৌরিতে যাচ্ছে।

তুমি তাকে 'টা' 'টা', 'বাই' 'বাই'
বলতে যাচ্ছো, তাই তো?

আপনি আমার সামনে থেকে সরবেন কি না?

তোমাকে যেতে হলে আমার উপর দিয়ে যেতে হবে!

হেই, দাঁড়াও! দাঁড়াও! হ্যালো! দাঁড়াও!

ও খোদা! এক্ষুণি জান বেরিয়ে যেতো!

নিষ্পাপ চেহারা পেছনে এমন
ঘাতক লুকিয়ে ছিলো!

কি?

এবার তুই শুরু করিস না!

হেই কি?

কি?

এ তো মনে হয় সেরে গেলো!

তুই কখনো আমাদের ছেড়ে একদিন ও থাকিস নি।

আর এখন তুই এক বছরের জন্য
আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছিস।

এক বছর হোক আর দুই বছর, যখন
ফিরবি, IAS অফিসার হিসেবে ফিরবি।

আমি শুনলাম তুমি নাকি
মিসৌরি চলে যাচ্ছো।

তাই তোমাকে শুভেচ্ছা জানাতে এলাম।

সব কাজে যেন সফল হও।

ধন্যবাদ।

এত দেরি কেন করলি, রাম?

জ্যামে আঁটকে গিয়েছিলাম।

রাম...

ওই দেখ।

মা, আজ ওর জন্মদিন।

তো?

আমি ওর কাছে গিয়ে একবার
দেখা করে আসতে চাই।

মজা করছিস তুই আমার সাথে?

মা, মিসৌরিতে যাওয়ার জন্য
হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা আছে।

যেতে ৪৫ মিনিট লাগবে, আর
আসতে ৪৫ মিনিট।

আমি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার
টাকা পরিশোধ ও করে ফেলেছি।

প্লিজ, মা।

আচ্ছা, আমি তোকে যেতে দেবো।

কিন্তু এটাই তোর শেষ সুযোগ হবে।

এর পরেও যদি তুই মন খারাপ
করে আর তার কথা মনে করিস...

তোর কোনো কথা শুনবো না আমি তখন।

- সুন্দর।
- হ্যাঁ, ম্যাডাম।

আমার মেয়ে হেলিকপ্টারে করে মিসৌরি যাচ্ছে
তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য।

কি দরকার হয় দেখো, আর সব ব্যবস্থা করো।

কুমার সেন, তুমি ওর সাথে যাও।

ম্যাডাম, মন্ত্রী সাহেবকে কি বলবো?

উনাকে এই ব্যাপারে কিছু জানানোর প্রয়োজন নেই।

আচ্ছা, ম্যাডাম।

দারুণ!

খুব দারুণ!

সে তোমার মেয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
করে শহর ছেড়ে চলে গেছে।

আর তুমি তাকে হেলিকপ্টারে
করে ঘুরে আসতে পাঠাচ্ছো?

দূর, হও!

অকর্মার ঢেঁকি!

ওয়াও!

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, একতাই হচ্ছে বল।

আজ থেকে ৭০ বছর আগে আমাদের এই একতা'র
জোরেই আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি।

রাজনীতি আর রাজনীতিবিদেরা...

শুভ জন্মদিন।

রাম, আজ তোমার জন্মদিন?

হ্যাঁ, স্যার।

তোমরা সবাই, ওকে শুভেচ্ছা জানাও।

শুভ জন্মদিন, রাম।

ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ।

এখনকার রাজনীতিবিদ এবং
এই রাজনৈতিক ব্যবস্থা...

আমাদের রাজ্য ও অবস্থান অনুযায়ী ভাগ করে দিয়েছে।

আমি এক বছর পর উত্তর দিলে চলবে?

আমি বুঝিনি।

এক বছর পর...

আমি যদি উত্তরে, 'আমিও তোমাকে ভালোবাসি' বলি,

চলবে তো?

চাইলে এক্ষুণিই বলা যেতো...

কিন্তু আমাকে ট্রেনিং টা শেষ করতে হবে।

"I can feel butterflies inside me"

"A confusing phase in life,
with you stable in it"

"I keep losing myself
in your thoughts"

"Fallen in love; my world
has gone topsy-turvy"

"When you're away, I can
feel you around me"

"When you are near me, I can
feel the joy fill my world"

"You are my secret guardian angel"

"You are the best thing
to ever happen to me"

কি ব্যাপার মি. শ্রীনিবাসন? নতুন নেমপ্লেট লাগাচ্ছেন।

আমার নাতি আজ ঘরে ফিরবে।

ও একজন IAS অফিসার হিসেবে আসবে।

- চোর! চোর!
- ধরো ওকে!

- ধরো ওকে! চোর!
- কেউ ধরো ওকে!

আমার চেইন নিয়ে পালালো!

- এই নিন আপনার চেইন।
- ধন্যবাদ, স্যার।

দাদা!

হে নারায়ণ!

দাদী...

এসব কি?

তুই পুলিশের পোষাকে কি করছিস?

তোর না IAS অফিসার হওয়ার কথা?

আমি, IAS এর জন্য আবেদন করিনি।

IPS এর জন্য করেছি।

আমাদের আগে কেন বলিস নি?

তোমাদের চমকে দেবো ভেবেছিলাম।

আমার মাথায় পুরো আকাশ ভেঙে ফেলেছিস তুই!

আমার মনে অনেক কষ্ট দিলি তুই।

তোকে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করার
অনুমতি কে দিয়েছে?

মিসৌরিতে আমার ট্রেনিং শেষ করার পর...

আমি চুড়ান্ত ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম।

মি. রাম স্বামী।

ভেতরে আসুন।

স্যরি।

আপনিই, মি. রাম স্বামী?

হ্যাঁ।

আপনার বাবার নাম, মি. আরুস্বামী?

আরুস্বামী!

আরুস্বামী!

হ্যাঁ!

আপনি প্রথম সারিতে নির্বাচিত হয়েছেন।

আপনি নিজের ইচ্ছেমতো সার্ভিসে যোগদান করতে পারবেন।

যেমন, IFS, IAS, IRS অথবা IPS ও।

IPS

IPS

কিসে যোগদান করতে চান আপনি?

IPS!

ওই সময় আমার মনে হলো, পুলিশ হিসেবে
যোগদান করাই সবচেয়ে ভালো হবে।

আমি জানতাম না যে, তোমরা এটা অপছন্দ করবে।

আমি আমার পোস্টিং অর্ডার পেয়ে গেছি।

৩ দিনের মধ্যে আমাকে তিরুনেলভেলি পৌঁছাতে হবে।

কি? তিরুনেলভেলি?

ওখানেই আমার পোস্টিং হয়েছে, দাদা।

কেন তুই তিরুনেলভেলি তে পোস্টিং বেছে নিলি?

আমি নিজে করিনি, দাদা।

এটা তাদের সিদ্ধান্ত ছিলো।

হে নারায়ণ!

তোর এই পুলিশের চাকরি আর
তিরুনেলভেলি যাওয়ার কোনো দরকার নেই!

আমি চাই না যে, তুই ওখানে যাস!

তুমি এভাবে বলছো কেন, দাদা?

আমার মা-বাবা থাকলে আজ এমন করতো?

ওরা তোর মা- বাবা নয়।

এইযে, তোর মা-বাবা।

আরুস্বামী,IPS!

তোর বাবা তার ট্রান্সফার অর্ডার পেয়ে
তিরুনেলভেলির জন্য রওনা দিয়েছিলো।

স্বামী'র ঘরে তালা দেওয়া,
ও কোথায় জানি না।

হ্যালো, স্বামী বলছি।

হ্যালো, স্বামী বলছি।

কে ফোন করেছিলো?

কোনো রং নাম্বার বোধহয়।

- তুমি ঘুমাও।
- আচ্ছা।

স্যামি গাড়ির ভেতর, কোথাও যাচ্ছে।

পরমশিবম, তোর বাবার কলিগ, তোর বাবার
খবর রাবণ পিচাই এর কাছে দিয়ে দেয়।

স্যার, আপনি এখন কোন রাস্তায় আছেন?

আমি এখন ওট্টাম-ছত্রম হয়ে
থিরুমঙ্গলম এর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি।

এরা আবার কারা?

তোর বাবা অনেক চেষ্টা করেছিলো
ওদের মোকাবেলা করার।

ওগো!

ওগো!

ওগো!

হায়!

হায়...

তোর মা মারা যাবার পরেও
ওর গর্ভে তুই বেঁচে ছিলি।

আমরা ভয়ে ছিলাম যে, তুই বেঁচে আছিস
জানলে ওরা তোকেও মেরে ফেলবে।

তোকে হাসপাতাল থেকে
নিয়ে আমরা দিল্লি চলে আসি।

আমাদের সব আত্মীয় এক দুর্ঘটনায়
রাবণ পিচাই এর হাতে মারা যায়।

যেখানে এমন এক খুনি থাকে,
তুই সেখানে যেতে চাস?

তুই সত্যিই ওখানে যেতে চাস?

আমি যাবো!

আমি যাবো!

আমি অবশ্যই যাবো!

রাম স্বামী।

আরুস্বামী!

'পেরুমাল পিচাই ট্রান্সপোর্ট'

তুই পুলিশ অফিসার হয়েছিস,
সেটা বড় বিষয় নয়...

কিন্তু তোর পোস্টিং তিরুনেলভেলিতে হয়েছে...

কেমন ভাগ্য দেখ।

সম্ভবত শ্রী নারায়ণ নিজেই চান যে এমনটা হোক।

রামায়ণে ১৪ বছরের বনবাস।

মহাভারতে ১৩ বছর বনবাস।

আর ১ বছরের অজ্ঞাতবাস।

সব মিলিয়ে মোট ২৮ বছর।

আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের
কাছ থেকে লুকিয়ে অজ্ঞাতবাসে ছিলাম।

রাম স্বামী তোর নাম।

আরুস্বামী তোর পরিচয়।!

যাই হোক না কেন, কখনও হার মানবি না!

জানি না তোর বাবা কোন আদর্শে বড় হয়েছিলো।

কিন্তু তোকে আমি নিজের আদর্শে বড় করেছি।

তাই...

আজ থেকে তোর আর এটার দরকার নেই।

বল, রাবণ।

মা...

কোনো অশুভ কিছু হচ্ছে।

আমাদের নিজের ট্রাকের সাথে
আমার গাড়ির সংঘর্ষ হয়েছে।

নতুন শত্রু জন্ম নিয়েছে!

বিপদ তোর দুয়ার চিনে গেছে!

কিন্তু এটা বেশিদিন থাকবে না।

- স্যার!
- স্বাগতম, স্যার।

তো, শুনলাম রাবণ পিচাই নামে কেউ থাকে এখানে।

ওর ডানহাত টা কে, যাকে এত অপরাধ
করার পরেও গ্রেফতার করা যাচ্ছে না?

ওর নাম, টাউন পান্ডিয়ান।

আমরা এক্ষুণি ওকে গ্রেফতার করবো।

আচ্ছা, স্যার।

হ্যাঁ, ঠিক আছে!

মাত্র আসলেন উনি। সাথে সাথে রাবণ
পিচাই এর পেছনে লাগার কি দরকার?

শুভ সকাল, স্যার।

নমষ্কার, স্যার।

স্বাগতম, স্যার। আমার জন্মদিনে এসেছেন, স্যার?

চলুন, উৎযাপন করা যাক!

এই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার টা কে?

এত সাহস কীভাবে পায় সে?

স্যার, জানেন আমি কে?

কে এই পুলিশ অফিসার?

যেই লোকটা ৪৮০ কোটি টাকা সহ গাড়িটা
নিয়ে গিয়েছিলো,আমরা তার ছবি পেয়ে গেছি।

এটা পাঠাও।

আংকেল, এই যে ছবি।

কে সে?

ওরুস্বামী!

রেন্ডুস্বামী!

মুনুস্বামী!

নালুস্বামী!

আঞ্জুস্বামী!

আরুস্বামী'র ছেলে, রাম স্বামী!

২৮ বছর পরে আমাকে দেখবি আশা করিসনি তো?

তোর বাবা দোষী ছিলো!

তাই আমার বাবা তাকে শেষ করেছিলো।

আমার বাবাকে কেন মেরেছিলি তুই?

আমার মায়েরই বা কি দোষ ছিলো
যে তাকে এভাবে মেরেছিলি?

তুই কি তার প্রতিশোধ নিতে এসেছিস?

আমি তোর আর তোর ভাইয়ের নামে করা
কেইস আবার খুলবো।

তারপর সবাইকে মানুষের সামনে অপমান করে
গ্রেফতার করে...

টেনে হিঁছড়ে পালায়ামকোট্টাই জেলে ঢুকিয়ে...

...নিচে ফেলে পিষবো আচ্ছা করে।

ভুলে যাস না, আমি রাবণ!

ঋষি-পিণ্ডম!

দশ মস্তক বিশিষ্ট রাক্ষস!

তোকে শেষ করে দেবো আমি!

১০ মাস মায়ের গর্ভে থেকে
১০ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে,

আর ১০ মিনিটে জন্ম নেওয়া,
এভাবে আমার জন্ম হয়নি!

আমার মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্মেছি আমি!

আমি স্বামী(দয়াশীল) নই!

আমি হলাম শয়তান!

পুলিশ!

আমি পুলিশ নই!

লাইসেন্সধারী গুন্ডা!

রাবণ, এভাবে বন্দুক নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস?

আমাদের কাছে লোক আছে যারা
এক ইশারায় ওকে মেরে আসতে পারে!

ওকে নিজ হাতে না মারলে
আমার রাগের আগুন নিভবে না।

আর ৬ মাস পরেই নির্বাচন।

আমাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদের আসন দেওয়া হয়েছে।

এই মুহূর্তে ঝামেলায় জড়ানোটা
বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

ছাড়, রাবণ!

উনি তোমার নিজের ভাই!

শোন, রাবণ! শান্ত হ।

- দূর হ, কাছে আসবে না কেউ।

কে ওখানে?

আরে, আরুস্বামী স্যার?

না! না! তুমি নিশ্চই উনার ছেলে?

এতদিন কোথায় ছিলে?

আপনি?

আমি সবসময় তোমার বাবার সাথে থাকতাম।

আমি এই ঘরটা সবসময় পরিষ্কার রাখতাম এই
আশায় যে, একদিন কেউ ফিরে আসবে এই ঘরে।

আপনি! থামুন! এই ঘরে ঢোকার সাহস করবেন না!

বের হন! বের হয়ে যান!

বের হয়ে যান।

আমি কি সারাজীবন এই দোষের বোঝা মাথায়
নিয়ে থাকবো, যেই দোষ আমি করিই নি?

আরে কে উনি?

উনি সেই ধোঁকাবাজ, যিনি তোমার
বাবাকে ধোঁকা দিয়েছিলো!

- বের হন বলছি!
- শুনুন...

- আমি ওর সাথে কথা না বলে কোথাও যাবো না।
- কোনো দরকার নেই!

কি বলতে চান আপনি?

প্লীজ, একবার আমার কথা শোনো।

ওইদিন আসলে কি হয়েছিলো শোনো।

ওরা আমাকে বলে তোমার বাবাকে জিজ্ঞেস
করতে যে, উনি কোন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন।

আমি রাজি হই নি।

তারা তখন আমার স্ত্রী কে খুন করে...

আমি যদি তারপরে ফোন না করতাম,
তাহলে ওরা আমার ছেলেকেও খুন করতো।

স্যার, অনেক 'শব্দ' হচ্ছে।

আমি তোমার কথা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি।

স্যার, কিসের যেন অনেক 'শব্দ' হচ্ছে।

'শব্দ' কথাটা ছিলো আমাদের সংকেত।

আমি তোমার বাবাকে “স্যার, অনেক 'শব্দ' হচ্ছে”
কথাটা দুইবার বললাম, যাতে উনি বুঝতে পারে।

কিন্তু তিনি আমাকে এতটাই বিশ্বাস করতেন যে,
তিনি তখন কথাটা বুঝতে পারেন নি।

আপনি আমার একটা উপকার করবেন?

বলো, বাবা, আমি তোমার জন্য কি করতে পারি?

এমন অনেক সৎ অফিসার ছিলো
যারা আমার বাবার সাথে কাজ করতো।

আমি তাদের সাথে দেখা করতে চাই।

ইন্সপেক্টর বাবু।

স্যার!

হেড কনস্টেবল, ধনপাল।

ইয়েস, স্যার!

- ইন্সপেক্টর মুথুরামান।
- ইয়েস, স্যার।

- ইন্সপেক্টর, কুমারস্বামী।
- স্যার!

২৮ বছর আগে রাবণ পিচাই আর তার
ভাই মিলে আমার মা-বাবাকে হত্যা করে।

আশা করি আপনারা সবাই এ ব্যাপারে জানেন।

আমি সেই কেইসটার কপি থিরুমঙ্গল
স্টেশন থেকে সংগ্রহ করেছি।

সব গোঁছানো প্রমাণ।

আমি কেইসটির পুনরায় তদন্ত করতে যাচ্ছি।

এখনাকার অফিসারদের এই কেইসের
ব্যাপারে কোনো প্রকার ধারণা নেই।

আপনারা সবাই আমাকে সাহায্য করলে আমি
২ সপ্তাহের ভেতর ওকে গ্রেফতার করতে পারবো।

আমি এই আক্ষেপ নিয়ে বেঁচে ছিলাম যে, তোমার
বাবার মৃত্যুর জন্য আমি কিছুই করতে পারিনি।

তুমি অনুরোধ করছো বলে নয়, এটা আমাদের
কর্তব্য হিসেবেই আমরা পালন করবো!

আমাদের শীঘ্রই এর তদন্ত শুরু করতে হবে!

নিজেদের চাকরির প্রতি পুর্ণ সম্মান রেখে...

আমাকে সত্যি করে বলো,

রাবণ পিচাই কি কি অবৈধ কাজে যুক্ত আছে।

কয়েকদিন আগে আমি দিল্লিতে তাকে কিছু
অবৈধ টাকা পাচারে যুক্ত দেখেছিলাম।

ও নিশ্চয় কোনো বড় খেলা খেলছে।

ও কোথায় কোথায় যায় তার একটা লিস্ট দাও আমাকে।

আচ্ছা।

তিরুনেলভেলিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা
কোনটা, যেটার খুব দ্রুত সমাধান দরকার?

রাবণ পিচাই কোনো বৈধ অনুমতি ছাড়াই...

রাস্তার ঠিক মাঝখানে তার বাবার
এক প্রতিমূর্তি বানিয়ে রেখেছে।!

মূর্তিটা সরানোর জন্য অনেক অভিযোগ এসেছিলো।

কিন্তু কর্পোরেশন সেগুলো কানেই তুলেনি।

ওই মূর্তিটার জন্য ১০০ এর উপর দুর্ঘটনা হয়েছে।

৪০ জন লোক ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।

ওই প্রতিমূর্তিটা সরিয়ে ফেললে...

পুরো তিরুনেলভেলি আমাদের
উপর আবার আস্থা ফিরে পাবে।

স্যার!

গত ২৮ বছর ধরে, এক মানুষরূপী শয়তান...

এই তিরুনেলভেলির উপর কব্জা করে রেখেছে।

ওই শয়তানটার নাম হচ্ছে,...

রাবণ পিচাই!

আমি শুনেছি অনেক পুলিশরূপী কুকুর
আমাদের ডিপার্টমেন্টে ওই শয়তানটার জন্য...

হাড্ডি অর্থাৎ ঘুষের লোভে কাজ করছে!

আর আমি সেইসব অফিসারদের ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি!

হয় বদলি হয়ে অন্য কোনো জায়গায় চলে যাও,

আর যদি মনে সাহস থাকে তো...

আমার সাথে এসো!

স্যার!

কি হচ্ছে?

মূর্তিটা উচ্ছেদ করার জন্য প্রয়োজনীয়
যন্ত্রপাতি আর লোকজন সব এসে গেছে।

- জয় হোক...
- মহান নেতা পেরুমাল পিচাই এর!

IAS অফিসার কে ফোন কর!

এগোতে থাকো, ভাঙ্গো এটা!

ভিড় সামলাও, কাউকে ভেতরে আসতে দিও না।

তাড়াতাড়ি! ভাঙ্গো!

থামাও! আমি বলছি, থামাও এসব!

আমি এই জেলার IAS অফিসার আর তুমি আমার অনুমতি
ছাড়া কোন সাহসে এই প্রতিমূর্তিটা উচ্ছেদ করছো?

৪০ জন লোক এই মূর্তিটার কারণে মারা গেছে।

আমাকে এই মূর্তিটা উচ্ছেদ করার অর্ডার দেখাও।
দেখাও, বলছি!

আগে আমাকে এই মূর্তিটা বানানোর অর্ডারটা দেখান।

তারপর আমি উচ্ছেদের অর্ডার দেখাচ্ছি।

তুমি কোন সাহসে আমার সাথে এভাবে কথা বলছো?

আমি একজন IAS অফিসার।
একজন জেলা কালেক্টর!

আর তুমি সামান্য একজন IPS অফিসার!

আমি জানি আপনি IAS হয়েছেন...

সামান্য একটা ডিগ্রি পাস করে।

আমি কে সেটা জানেন?

আমার সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স আর
রাজনীতিবিদ্যায় এম.ফিল, পি এইচ. ডি করা আছে।

আমি শুধু সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাসই করিনি,
আমি তার সাথে গোল্ড মেডেল পেয়েছি!

আর আমার কাছে সুযোগ ছিলো IRS, IPS,
IFS আর আপনার IAS এ যোগদান করার!

আমার কাছে সুযোগ ছিলো, কিন্তু
আমি শুধু IPS বাছাই করলাম!

আপনার ক্ষমতা হচ্ছে আপনার কলমে!

কিন্তু আমার কাছে আমার অস্ত্র হচ্ছে, বন্দুক!

জনগনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য!

মনে রাখবেন!

মনে রাখবেন...

আমার যোগ্যতা IAS এর...

আর আমার পেশা IPS এর!

হেই, পুলিশ!

মূর্তিটা সরালে আমি এখানেই
ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করবো!

তাদের বলুন এসব বন্ধ করতে!

নেতার মূর্তি সরাতে দেবো না!

মর তুই!

যদি আর কেউ রাবণ পিচাই এর
কথামতো এখানে বাঁধা দিতে আসে...

পরেরবার আর দড়িতে গুলি করবো না...

সোজা মাথায় গুলি করবো!

ভিড় সরাও।

চার্জ!

দোঁড়াও! পালাও!

রাবণ...

রাবণ!

আমি তোকে সেদিন বাঁধা দিয়ে ভুল করেছিলাম!
ওরে জ্যান্ত ছাড়বি না!

তিরুনেলভেলি থেকে আমাদের
ভয় দূর হতে দেওয়া যাবে না!

ভিড় সরাও।

সবাইকে গ্রেফতার করো!

আমার বাবার প্রতিমূর্তি যখন সরানো হয়েছে, এই
শহরে আমি আর শান্তি বিরাজ করতে দেবো না।

আমাদের লোককে বল নেতা মন্থিরামূর্তি-র
প্রতিমূর্তি ভেঙ্গে ফেলতে।

পুরো রাজ্যে আমি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে দেবো।

স্যার, মূর্তিটা রাত ১ টার দিকে ভাঙ্গা হয়েছে।

কিন্তু কারা করেছে এই ব্যাপারে কিছু জানতে পারিনি।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু করার জন্যই এসব করা হয়েছে।

স্যার, মূর্তিটা ভাঙার ভিডিও।

আমি হোয়াটসঅ্যাপে পেয়েছি।

এরা সব রাবণ পিচাই এর লোক।

- এটা কে পাঠিয়েছে?
- আমরা খুঁজে বের করছি, স্যার।

- আমরা এটা ক্ষমা করবো না!! মোটেও করবো না!
- ওই যে, চলে এসেছে।

এরা এই নেতার অনুসারীরা।

আপনারা সবাই দয়া করে থামুন।

স্যার, আমাদের নেতার যারা অসম্মান করেছে,
তাদের না মেরে আমরা এখান থেকে যাবো না।

দেখুন, আমরা একজন অপরাধীর
প্রতিমূর্তি শহর থেকে সরিয়েছিলাম।

আর তারা এই নেতার প্রতিমূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছে।

দুইদিনের মধ্যে আপনাদের নেতার
প্রতিমূর্তি ঠিক করার ব্যবস্থা করুন।

আমি দুই ঘণ্টার মধ্যে
জানোয়ারগুলোকে মেরে...

পালায়াম কোট্টাই হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করছি!

যদি ২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে না পারেন?

আপনাদের যা খুশি করবেন।

আমরা চুপচাপ দেখবো তখন।

আপনার উপর বিশ্বাস রেখে
আমরা এখান থেকে যাচ্ছি কিন্তু।

চলো, সবাই। এবার যাওয়া যাক।

উনি আমাদের ন্যায়বিচার এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

স্যার, দয়া করে ওই গ্রামে যাবেন না।

অনেক খারাপ লোক তারা। অন্যায় করে সবাই
গিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে মন্দিরে গিয়ে লুকায়।

আর তারা পুলিশকে মন্দিরের ভেতর যেতে দেয় না।

- তো, তোমরা আমাকে চুপ করে থাকতে বলছো?
- দুই বছর আগে...

তারা দুইজন কনস্টেবল আর একজন
এস আই কে মন্দিরের ভেতর মেরে ফেলে।

স্যার, ওরা শহরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

ওরা আমার উপর বিশ্বাস করে বসে আছে।

স্যার, ভিডিওটা কে পাঠিয়েছে
নাম্বারটা খুঁজে পেয়েছি।

ওই গ্রামেরই একটা লোক।

স্যার, আমার মনে হয় ওরা কোনো ষড়যন্ত্র করছে।

আমি চাই না আমার সাথে কেউ আসুক।

আমি সামলে নেবো।

স্যার!

হেই! সরো!

প্ল্যান মতো সে গ্রামের দিকে আসছে।

আমি তাকে টুকরো টুকরো করে
আপনার সামনে এনে হাজির করবো।

স্যার, পুলিশ আমাদের গ্রামে ঢুকতে ভয় পায়।

কিন্তু আপনি? আপনি তো সোজা
মন্দির প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েছেন।

মনে হয় কেউ উনাকে বলেছে যে আমাদের
লোক মূর্তিটা ভেঙ্গেছে।

আপনি সেই কথা ধরে এখানে চলে এসেছেন?

মন্দিরের ভেতর গুলি নেওয়া নিষেধ।

এমন করা মহাপাপ হবে।

তাহলে,...

রামদা নেওয়া যাবে?

রামদা চালাতে জানলে নিয়ে যেতে পারবেন।

রামদা টা দে তো।

- রামদা আর কাঁচি মার ভেতরে।
- আচ্ছা, সর্দার।

কি রে?

কি রে? হাহ্?

চল!

কত গাড়ি, বাস, রিকশা আর দোকান!

ওই মূর্তিটা সরানোতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

স্যার, ওখানে আর কোনো দুর্ঘটনা হবে না।

আমরা IPS অফিসার।

- তাই সাবধানে থেকো।
- হ্যাঁ, স্যার!

কি করছিস, দিয়া?

বাবা-র কাছে আসা বিয়ের নিমন্ত্রন থেকে
তিরুনেলভেলি'র নিমন্ত্রণ আছে কিনা তা খুঁজছি।

কিন্তু কেন?

আমাকে একটা কাজে তিরুনেলভেলি যেতে হবে,
তার জন্য কারণ তো দেখানো লাগবে।

তুই তিরুনেলভেলি কেন যাবি?

আমি এক সপ্তাহ ধরে ওর
সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি...

কিন্তু সে ফোনই ধরছে না।

কি হয়েছে বুঝতে পারছি না।

তাই ওর সাথে সরাসরি দেখা করতে যাচ্ছি।

তুই মজা করছিস আমার সাথে?
তোর বাবা জানতে পারলে?

আমি বাবাকে বলবো যে, যেই মেয়ের
বিয়ে হচ্ছে সে আমার বান্ধবী...

আর আমি সেখানে তার বিয়েতে যাচ্ছি।

শুনে তো ভালোই মনে হচ্ছে।

তো, তুই চাস আমি নিজের স্বামীর কাছে মিথ্যা বলি?

নয়তো আমি আমার হবু জামাইয়ের
সাথে কীভাবে দেখা করবো?

আচ্ছা, এক কাজ কর...

দুদিনের জন্য তোর বাবা মালয়েশিয়া যাচ্ছে,
সে ফিরে আসার আগে তুই গিয়ে চলে আয়।

মামা...মামা!

কী?

দুই সপ্তাহের জন্য আমি
তিরুনেলভেলি যাচ্ছি, সাথে তুমিও।

তুই তিরুনেলভেলি বা থিহার
জেলে যা তাতে আমার কি!

- আমি আসছি না।
- কেন?

তুই বিলাসবহুল
ফ্লাইটে ভ্রমণ করবি।

আর আমি? ওরা আমাকে লক্করঝক্কর
সুরমা ট্রেনের টিকেট করে পাঠাবে।

তুমি আমার সাথে
ফ্লাইটে করেই যাবে।

ফ্লাইটে? কিন্তু
আমার তো পাসপোর্ট নেই।

তাহলে তারা কীভাবে
আমাকে অনুমতি দিবে?

বোকা! তিরুনেলভেলিতে যেতে পাসপোর্টের
প্রয়োজন এটা তোমাকে কে বলেছে?

ঐ হারামজাদা! বলেছে যে পাসপোর্ট ছাড়া
আমাকে এয়ারপোর্টের ভেতরে ঢুকতে দিবে না।

সুন্দরাম, এসব কী?

আসলে, এসব শ্রেণীর লোককে
আমরা ফ্লাইটের টিকেট দেই না।

এজন্য তাকে অমন বলেছিলাম।

আমি তোমাকে ওখানে চাই!
যেকোনোভাবে পৌঁছাও!

শালা খাটাশ, সস্তা একটা টাই পরে
দুলাভাইয়ের 'পিএ' নাম ভাঙিয়ে,

বিলাসবহুল জীবন উপভোগ করছিস।

আমি উনার শালাবাবু আর
আমি বিমানে উড়তে পারব না?

নিয়ম বদলাতে পারবেন না!

আমার ভ্রমণ ব্যবস্থার
সিদ্ধান্ত নেয়ার তুই কে?

আপনি তো বিমানে
উড়ার যোগ্যই না।

এই মি. ছুরিটি আমাকে দিন!

জয় হিন্দ! শান্তি!

জয় হিন্দ!

- জয় হিন্দ!
- জয় হিন্দ!

আমাকে মার্কেটে
নিয়ে আসলে কেন?

আমাদের লোকেরা তোমার
সাথে দেখা করতে চায়।

আর এটাই হচ্ছে,
সেই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।

এসো, নামো।

বসো, ভাই।

এই এখানে বসে তোমার
বাবা খাবার খেতেন।

তাই নাকি?

মানি, এখানে দুটো ইডলি দে।

চাটনি আর সাম্বারের ঝোল দিস না...

তাহলে ইডলির সাথে আমি খাব কী?

আরে ভাই দেখোই না!

এই নাও!

তোমার বাবা বিয়ারের সাথে
ইডলি খেতে খুব পছন্দ করতেন।

ভাই...

উনি আরুস্বামী!

আর আমি উনার ছেলে, রাম স্বামী।
দুধ দিন।

শুনেছিস উনার কথা!

ইডিলির সাথে দুধ?
কোন জাতে আছো তুমি?

আচ্ছা...

এই দিনে এসেও লোকজন
জাত-টাত বিশ্বাস করে নাকি?

এখানের মানুষেরা এখনো
এসব নিয়ে পড়ে আছে?

এই, সিনিয়র!

"Idly, Dosa, Aapam belongs
to the Rice family"

"Poori, Roti and Chappathi belongs
to the Wheat bread family"

"Kichadi, Kesari and Rava belongs
to Semolina flour family"

"Wearing the police uniform..."

"he belongs to the Police family!"

"This is my native and people
haven't changed a bit"

"I can't digest it! So, let
me teach you something"

respect
the ones who respects law"

"Think about it and
change for good"

"Names stay the same but
meanings have changed"

"Item is no more object
instead it objectifies women"

"Scene is no more part of the
movie instead it means show off"

"Cell is no more prison instead
it means mobile phone"

"Matter doesn't mean news
and Meter now means fees"

"Drag doesn't mean pull and
a drink means alcohol"

"Let's do it!"

"Let's shake it!"

"Let's do it!"

"Let's shake it!"

"Don't dig too much
inside earth and sea..."

"Leave them alone, let's them be!"

"Holes in the Ozone and
drying away rivers..."

"Struggling farmers and yet
why haven't we changed?"

"Sarcasm is the new language
people can't live without"

"Wasted means high and out"

"Partner doesn't mean
share holder but friend"

"Bulb doesn't mean light
but something else!"

"All the words are just
mere nonsense now..."

"So let's put an end to it!"

"Let's do it!"

"Let's shake it!"

"Let's do it!"

এখনে তিড়িং-বিড়িং করে
নাচ করছে অথচ ফোন ধরছে না!

"So, hit and get down"

"Dress up and bounce"

"The local flavor;
nothing's greater"

"After the dance, let's dig in later!"

"Look buddy! Here comes a hottie"

"She's looks sweet like the
jaggery mixed with strawberry"

"Sipping cola-pepsi as I ride the gypsy"

"Before you get all trippy,
how about a selfie?"

"The police; always swag!
Our patience has no limit"

"Mess with us and
you'll be dead meat!"

"With stars on our uniform
and siren on the car..."

"we work smart and seldom rest!"

"We also work as undercover..."

"We don't take risk
because we got the power"

"And this is my town; I won't
let anyone bring it down!"

"Violence will kill us!
Races will swill us!"

"So put an end to caste and race!"

"Because this is Aarusaamy's place!"

"Let's do it!"

"Come on, shake it!"

"Let's do it!"

"Let's shake it!"

রাস্তায় হন্যে হয়ে নাচ করছে..

অথচ সে তোর ফোন ধরছে না!

গিয়ে দেখে আয় তো
ওর সমস্যা কী!

শুভ্রামনি, আমি এয়ারপোর্টে যাচ্ছি।

১৫ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েছে
এবং তাদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আমার ফোন কাটলে কেন?

আসলে...

ফোন ধরছিলে না কেন?

আমার পেশা পুলিশ আর তোমার বাবার
পেশা রাজনীতিবিদ দুটো কিন্তু বরাবর নয়।

দিল্লি এয়ারপোর্টে তোমার
বাবার সাথে দেখা হয়েছিল।

স্যার...

শুধুমাত্র আমার মেয়ের
জীবন বাঁচানোর কারণে...

তোমার বিরুদ্ধে
কিছুই করছি না।

নিজেকে নিয়ে ভেবে দেখো কোনোভাবেই
তুমি আমার মেয়ের যোগ্য নও।

আমি হচ্ছি দিয়ার বাবা।

আমাকে রাজনীতিবিদদের মতো
আচরণ করা থেকে বিরত রাখো।

যখন একজন বাবা তার মেয়ের
প্রেম-ভালোবাসার ব্যাপারে জেনে যায়...

তখন সে এসব বলবে না "তাই নাকি? তোমরা একে
অন্যকে ভালোবাসো, চলো তোমাদের বিয়ে দিয়ে দেই।"

আমার বাবা একজন খুব ভালো মানুষ।
এসব জানার পরেও উনি আমার সম্মুখীন হননি।

নামো।

কেন?

নামো তারপর বলব।

এখান থেকে এয়ারপোর্ট
প্রায় এক কিলোমিটার দূরে।

ওখানে গিয়ে সোজা
বাড়িতে ফিরে যাও।

এই, শোনো!

তুমি!

মি. রাম স্বামী!

মি. আইপিএস অফিসার!

তুমি পুলিশ!

আমি প্রেমে পড়তে পারব না
সেটা বলার তুমি কে?

অমন অনেক লোক আছে চাইলেই
আমি তাদের প্রেমে পড়তে পারব!

আমার জন্য তুমি না ফিরলে
আমি এখান থেকে একটুও নড়ব না!

দিয়া! কী হয়েছে?
জোড়া বেঁধে আসলি...

আর এখানে একা
দাঁড়িয়ে আছি কেন?

মামা, ও একটা পাগল!

আমাকে ভুলভাল কারণ
দেখিয়ে এড়িয়ে চলছে!

পাগল?

কিন্তু তাকে দেখে মনে হচ্ছিল
খুব স্মার্ট আর বেশ চতুর!

সে স্মার্ট ঠিক আছে
তবে তোমার মতোই পাগল!

এটা শোনার জন্য
জিজ্ঞাসা করছিলাম!

আচ্ছা, কার এ উঠ।

- না, উঠব না।
- বলছি, আয়।

- সে না ফেরা অবধি আমি যাব না।
- ও আসবে না! তুই উঠ!

মেয়েটাকে হতচ্ছাড়া
টানাটানি করছে কেন?

হাত ছাড়ো আমার!
কতবার তোমাকে সাবধান করেছি?

উত্তর প্রদেশের
ডাকাতের মতো লাগছে!

এখন গাড়িতে
উঠবি নাকি উঠবি না?

এসো!

হ্যালো, হ্যালো।

ওকে টানাটানি করছো কেন?

কারণ ওকে ধাক্কা দিলে, পড়ে যাবে।
তাই, আমি টানাটানি করেছিলাম।

মানে, তুমি কে?
ওকে টানাটানি করছো কেন?

ও আমার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে!

আমি...

তুমি হকার ওটা আমাকে
বলার সাহস হলো কীভাবে?

মিনিস্টারের শালার গায়ে হাত তোলার
সাহস হলো কীভাবে তোর, কালো মাগুর?

পুলিশের গায়ে তোর হাত
তোলার সাহস হলো কীভাবে?

তোকে পুলিশের মতো নয়,
দেখতে দুধ বিক্রেতার মতোই লাগছে!

সে আমাকে এখানে
মেরেই যাচ্ছে...

আর ওকে দেখো!
ফোনে ব্যস্ত রয়েছে!

"I'll kick like a superman
and punch like a spider-man"

তোকে মেরে হাড়গোড় ভেঙে
দিয়ে প্যাকিং করে পাঠিয়ে দেবো!

আবার যদি আশেপাশে
কোথাও দেখি তো তোকে...

আবার দেখলে কি?

হ্যালো, ব্লু ক্রস?

হাইওয়েতে একটা মালোই পড়ে আছে
ওটাকে একটু সাহায্য করুন, প্লিজ।

তোকে অভিশাপ দিলাম, হারামির বাচ্চা
তুই সারা জীবন নির্দমার পানি খেয়ে যাবি!

শুনুন, আমার মামাকে দেখেছেন?
কিছুক্ষণ আগে উনি এখানেই ছিলেন?

আমি তোর মামা রে, মা।

মামা, হঠাৎ করে তুমি
এই ছদ্মবেশ নিলে কেন?

ও ভগবান!

তুমি রক্তাক্ত অবস্থায় কেন?
কেউ কি তোমাকে পেঁদানি দিয়েছে?

সেই শুয়োরের পেঁদানিতে
আমার এত কষ্ট লাগেনি!

কিন্তু তোর হাবাগবা ভাব দেখে
ওটার চেয়ে আরো বেশি কষ্ট হচ্ছে।

ঠিক আছে, এসো।
গাড়ি চালু করো।

- গাড়ি চালানোর মতো অবস্থায় আমি নেই...
- মামা! মামা!

- স্বাগতম, স্যার।
- দেখা হয়ে ভালো লাগল।

নমস্কার।

হ্যালো।

গুজরাটের কোথায়?

সুরাত থেকে এসেছি।

এই টাকা কাদের?

রাজ্যের ফাইনান্স মিনিস্টার
ঠাক্কার দাসের।

আমাকে ডিটেলস দিন।

মন্ত্রী কাতারে ১৩০ কোটি টাকার
একটি পেট্রোলিয়াম কোম্পানী কিনবেন।

এর মধ্যে ৬৫ কোটি বৈধ এবং
বাকি ৬৫ কোটি কালো টাকা।

কালো টাকা ডলারে রূপান্তরিত হয়ে
সেটা গুজরাটে গিয়ে পৌঁছাবে।

আমরা রাজস্থানে পাকিস্তান
সীমান্তে এটি হস্তান্তর করব।

কত দিন লাগবে?

ডলারে রূপান্তরিত করতে
প্রায় এক মাসের মতো লাগবে।

এক কোটি অগ্রিম।

চেন্নাই, মুম্বাই বা কলম্বো; আপনি সেখানের
যেকোনো এজেন্টের সাথে এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন।

আমি কলম্বোতে ৮ কোটি...

আর সুরাতে
২ কোটি কালেক্ট করব।

- চুক্তিটি গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ।
- আপনাদেরকেও।

শোনো...

দুইদিন পরে গুজরাটে গিয়ে
তুমি ২ কোটি টাকা কালেক্ট করবে।

সুরাতে থেকে পাকিস্তানি সকল
অফিসারদের ঘুষ দিয়ে যত্ন নিয়ো।

কেউ যদি ঝামেলা করে...

আমিই ভালো করে
তাদের সবার যত্ন নিব।

কী ব্যাপার? এখানে আসার পর থেকেই
দেখছি আপনার চোখে খুশি আভাস নেই!

এখন কি ফুর্তির সময়?

দীর্ঘদিন পরে আপনি আপনার
সম্মান, খ্যাতি ফিরে পেয়েছেন।

আপনার নাতি তিরুনেলভেলিকে
ঝড়ের মতো পরিষ্কার করছে!

সে তার বাবার থেকে
এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে।

হ্যাঁ?

উত্তর ভারতের চারজন লোক রাবণ
পিচাইয়ের সাথে দেখা করেছে।

বৈঠকটি প্রায়
আধা-ঘণ্টার মতোই ছিল।

এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে
ইন্সপেক্টর রমেশকে বলুন।

জ্বী, স্যার।

স্যার, এয়াপোর্ট থেকে রমেশ।

স্যার, ওরা ৩:৩০ ফ্লাইটে
চেন্নাই থেকে আহমেদাবাদে যাচ্ছে।

তারা কোথার থেকে এসেছে?

ওরা সকালের ফ্লাইটে আহমেদাবাদ থেকে
চেন্নাই আর ওখান থেকে টুটিকর্ণে গিয়েছে।

ঠিক আছে।

- জয়রাজ...
- স্যার?

রাবণ পিচাইয়ের নাম্বারে ফোন দিয়ে
ইনকামিং সকল নাম্বার ট্রেস করো।

ঠিক আছে, স্যার।

বলো, ভাই।

রাবণ পিচ্ছাই মন্দির থেকে চলে
যাওয়ার সময় ঘায়েল হয়েছিল।

কিন্তু সেদিন তার বাবার
মূর্তি স্থাপন করতে পারেনি।

সে ঠিক ১২ দিন পরে
একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল...

আর ঐ ছবিতে
তার ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

থিরুমঙ্গলমের সকল
হাসপাতাল চেক করো।

যদি কোনো ক্ষতের চিকিৎসা হয়ে
থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা খুঁজে পাব।

স্যার, বলুন।

একটু খবর নিয়ে দেখুন তো
রাবণ পিচ্ছাইয়ের গাড়ি...

থিরুমঙ্গলম থেকে পাড়ানি রাস্তার ফরেস্ট চেক
পোস্ট অতিক্রম করতে ঐদিনের সংঘর্ষের ঘটনাটির,

ব্যাপারে ওখানে
কোনো রেকর্ড আছে কিনা।

ঠিক আছে, স্যার।

আমাদের বড় ভাই
ফোন করেছিলেন।

ঐ পুলিশ অফিসার
শীঘ্রই ট্রান্সফার হবে।

যেখানেই ট্রান্সফার হোক ব্যাপার না...

সেখানেই আমাদের লোক দিয়ে
তাকে এই দুনিয়া ছাড়া করবোই।

এতে করে আমাদের উপর
কোনো দোষারোপ আসবে না।

চার দিনের মধ্যে তার
লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে।

'নেল্লাই পুলিশ' নামে আমরা
একটি নতুন অ্যাপ বানিয়েছি।

এক ক্লিকে যেকোনো অপরাধ ভিত্তিক
ঘটনা আমাদের কন্ট্রোল রুমে জানাবে...

আর কেবলমাত্র তিন মিনিটের ভেতরে
আমরা ঘটনাকৃত স্থানে থাকতে পারব!

মাত্র তিন মিনিটের ভেতরে?
ওটা কি সম্ভব, স্যার?

একটা অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাব, রিকশা
পাঁচ মিনিটের ভেতরে পৌঁছাতে পারে...

তাহলে তিন মিনিটের ভেতরে
আমরা সেই স্থানে পৌঁছাতে পারব না?

স্যরি, স্যার।

স্যার, আপনার একটি ফ্যাক্স পেয়েছি।

কী ব্যাপারে?

স্যার, আপনার ট্রান্সফার
অর্ডারের ব্যাপারে।

ট্রান্সফার?

- কোথায়?
- পাড়ানি।

- মামা! মামা!
- কী?

ওর ট্রান্সফার অর্ডার
বাতিল হয়ে গিয়েছে।

পাঁচ বছরের জন্য ও স্থায়ীভাবে
এখানেই পোস্ট হয়ে গিয়েছে।

এসবের মানে কী?

জানা নেই!
কিছুই জানি না, রাবণ।

দিভেন্দ্র, কমিশনারকে ফোন দাও।

স্যরি স্যার...

এটা ডিজিপির অর্ডার।

ডিজিপির?

স্যার, আসলে....

আপনার আসলে-ফাসলে চুলোয় যাক!

স্যার, অর্ডারটি চিফ সেক্রেটারির।

চিফ সেক্রেটারির?

এটা গভর্নরের অর্ডার, স্যার।
আমি ওটা পরিবর্তন করতে পারব না।

গভর্নরের অর্ডার?

গভর্নর আর পুলিশের
মধ্যে সম্পৃক্ততা কী?

এই ব্যাপারে আর
বেশি না এগোনোই ভালো।

আমার অর্ডার বাতিল
করার সাহস কে করেছে?

চিফ মিনিস্টার নাকি প্রাইম মিনিস্টার!

এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ!

সত্যিই আপনি জানতে চান?

হ্যাঁ!

ভারতের নাগরিক...

সম্মানিত রাষ্ট্রপতি...

রাষ্ট্রপতি?

ওর আর আরুস্বামীর ছেলের
মধ্যে সম্পর্কটা কী?

আজকেই এটার একটা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

মই বেঁয়ে ওর ঘরে লাফ দিয়ে
ছাদটা নিচে নিয়ে আসিস।

ছাদ নিচে আনবো কেন?

টেনকাসিতে তোর বাবা এভাবেই
এমপি হয়েছিল, তাই না?

একইভাবে, ওখানে গিয়ে
তার হৃদয়টা জিতে আসিস!

- তাই নাকি?
- ওহ হ্যাঁ! এখনই, যা!

বেশি লাই পায় যারা তারা
কারোরই কথা মান্য করে না!

সময়টা খারাপ যাবে!

বলুন।

থিরুমঙ্গলমে "উমা নার্সিং হোমে"
ঠিক আপনার মতোই পূর্বাভাস দিয়েছে...

রাবণ পিচাই চিকিৎসা করিয়েছে।
এখানে অমনভাবেই নথিভুক্ত রয়েছে।

ওটার একটা ফটোকপি করুন।

কেউ আছেন বাড়িতে?
স্যার! ম্যাডাম!

এখানে কি কেউ নেই যে
আমাদের ন্যায়বিচার করতে পারে?

আমাদের পরিবারের মান,
ইজ্জৎ সব ধুলোয় মিশে গিয়েছে।

- কী গিয়েছে?
- কারেন্ট চলে গিয়েছে!

সমস্যা কী আপনার?

আমার ভাগনি, যে তোমার সাথে রয়েছে;
তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দাও!

বকবক থামান!

দিয়া! দিয়া!
বেরিয়ে আয়!

মামা...

আয়, মা। আমাদের সাথে
কীভাবে তুই এটা করতে পারলি?

স্যরি মামা, ভেবেছিলাম রাতেই ফিরে গেলে
আমাদের পরিবারের নাম খারাপ হবে না।

কিন্তু সে বলেছিল
সকাল পর্যন্ত থাকতে।

চুপ করো! এভাবে কথা
বলার সাহস হয় কীভাবে!

আমাদের পরিবার দীর্ঘদিন পরে আমাদের
সম্মান ও সুনাম সাথে এই অবধি এসেছে...

সেটা নষ্ট করার সাহস
কীভাবে হলো তোমার?

আপনি!

তাকে দিল্লিতে দিয়ে আসেন।

বাবা তোমার সাথে ওভাবে
কথা বললে আমি কী করতে পারি?

তুমি আমাকে ভুলভাল
অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে চলছো।

আমি চলে যাব।

মা, দাঁড়াও।

এতক্ষণ যা ঘটেছিল
তা আমি বুঝতে পারছি।

কিন্তু ওর ভালোবাসাটা সত্যিকারের!

রাম স্বামী...

তুই কাউকে ভয় পাস না।

এখানে কাউকে ভয়ের
কোনো কারণ নেই।

তোর আশেপাশে গড়ে উঠা
বেড়ার আঙিনাটা ভেঙে ফেল।

বেশি ভাবিস না, ওকে হ্যাঁ বলে
খুশির মূর্ছনায় ডুবিয়ে দে।

হ্যাঁ।

প্ল্যানটা সফল হলো!

ঘটনাস্থলেই রাবণ পিচাইয়ের
এই ডলার পাওয়া যায়।

থিরুমঙ্গলমে এক সিনসিয়ার
অফিসারের কাছ থেকে আমি এটা পেয়েছি।

মামা, গাড়ি পার্ক করে
জলদি এসো।

তুই যে বিয়েতে উপস্থিত হতে যাচ্ছিস ওটাতে
তোর বাবার নিমন্ত্রণ ছিল, তুই তো এখানে অপরিচিত।

এখন তোর হাতে যেটা আছে,
সেটা কনেকে উপহার হিসেবে দে...

আর তাকে বলবি যে, এটা তার শ্বাশুড়িকে
উত্তমমধ্যম দেওয়ার কাজে ব্যবহার করতে।

পাগলী!

- তোর মা, তাই না?
- না, তোমার বোন!

দুজনই তো একই!
এখন, যা।

হাই, স্বাগতম।
দিল্লি থেকে এসেছেন?

আমার মনে হয় এইসব প্রমাণের উপর
ভিত্তি করে তাকে সহজে গ্রেফতার করতে পারি।

স্বাগতম, স্যার।
আসাতে খুশি হলাম।

মামা...

মিনিস্টার বিশ্বনাথের মেয়ে।

জনাব সেন্ট্রাল মন্ত্রী, আপনি আপনার
নিরাপত্তা রক্ষীদের সাথে দিল্লিতে ঘুরছেন।

আর আপনার মেয়ে? তিরুনেলভেলিতে
একটি বিয়েতে আমার সামনেই আছে।

আজেবাজে কথা বন্ধ করো।

বর আর কনের
গিঁট বন্ধন অবধি...

আপনার মেয়ে বেঁচে থাকবে।

প্রোগ্রাম বাতিল করে ফিরলে কেন?

দিয়া কোথায়?

মুম্বাইয়ে ওর বন্ধুর
জন্মদিনে গিয়েছে।

রাবণ পিচাই, ধৈর্য ধরে
আমার কথা শোনো...

তোমার মেয়েকে যখন কেউ একজন
বাঁচিয়েছিল তখন আমি নিজে কষ্ট পাইনি...

কিন্তু তোমার পরিবারের ধনসম্পত্তি দেয়ার
প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছ।

ওটাই আমাকে
বেশি কষ্ট দিয়েছিল।

এই! এই! শোনো।

আমি যে যন্ত্রণায় ভুগেছিলাম
নিশ্চয় তুমি সেটাই অনুধাবন করছো।

রাবণ পিচাই...ভিভি ফাইনান্স,
নেল্লাই স্কিলস আর এসকে জুয়েলারি,

এগুলোর প্রত্যেকটির জন্য
আমি ২০০ মিলিয়ন বলেছিলাম।

তিরুনেলভেলিতে পৌছাতেই
টাকা প্রস্তুত হয়ে যাবে।

চার ঘণ্টার ভেতরে
আমি ওখানে আসছি।

শোনো, ওর কাকুতিমিনতি
আসলেই খারাপ লাগছে।

তাকে একটা সুযোগ দিয়ে দাও।

ঠিক আছে।
আমি তোমাকে বিশ্বাস করি বিশ্বনাথ।

আবার যদি রাজনীতিবিদের মতো
মেয়েকে বাঁচাতে প্রতারণা করো...

তোমার মেয়েকে আমি
ট্রাকের নিচে পিষে ফেলব।

বলো।

রাবণ পিচাই মিনিস্টার
বিশ্বনাথের সাথে আবার কথা বলেছে।

মিনিস্টারও ওকে
দুইবার ফোন করেছেন।

বর্তমানে মিনিস্টারের
ফোনটি বন্ধ রয়েছে।

রাবণের ফোন টেপ করো।

নেটওয়ার্ক থেকে সাহায্য নিয়ে।

পরে সে কোথায় যাবে?

বিড়বিড় বন্ধ করে
চতুর্থ সেক্টরে যাও।

আমাকে মধুরাইয়ে নামতে হবে।

টাকা প্রস্তুত।
কোথায় দেবো?

বলব।

- কোনো আপডেট?
- মিনিস্টারের ফোন অন।

উনি সবেমাত্র মধুরাইয়ে নেমেছেন।

নামার সাথে সাথে উনি রাবণ
পিচাইয়ের সাথে কথা বলেছেন।

দিল্লি থেকে শুরু করে তিনি এসকে
জুয়েলারী, নেলাই সিল্ক আর...

ভিভি ফাইনান্সের ব্যাপারে কথা বলছিলেন।

স্যার!

পাঁচ মিনিট আগে আমরা
রাবণ পিচাই আর মিনিস্টারের...

সকল কথোপকথন রেকর্ড করেছি।

আমি মধুরাইয়ে নেমেছি।

টাকা প্রস্তুত।
কোথায় দেবো?

বলব।

এই বাড়ি! এটা।

- বন্ধুর সাথে দেখা করেই চলে আসিস।
- চুপ করো! আমি জানি।

রাবণ পিচাই মিনিস্টারকে ফোন করছে, স্যার।

আমার লোকেরা থাড়াইয়ুথু
পেট্রোল পাম্পে অপেক্ষা করছে।

টাকা ওখানেই দিয়ে দিও।

আমার মেয়ে কোথায়?

মেয়ের কিছুই হয়নি।

তিন ঘণ্টা আগে রাবণের ফোনের
সিগন্যাল কোথায় ছিল চেক করো।

স্যার, পালায়ামকোট্টাইয়ে
শুভলক্ষ্মীর বিয়ের হলে ছিল।

- হ্যালো।
- দিয়া, কোথায় তুই?

বন্ধুর বাড়িতে।

৯:৩০ মিনিটে
তুমি কোথায় ছিলি?

বিয়েতে ছিলাম আমি।

- কোন হলে?
- শুভলক্ষ্মীর বাড়িতে।

আচ্ছা।

যেখানে আছ সেখানের
লোকেশনটা শেয়ার করো।

কিন্তু কেন?

- নূরজাহান।
- স্যার।

থাড়াইয়ুথু পেট্রোল পাম্পে গিয়ে
ওখানে কী হচ্ছে তা আমাকে জানিয়ো।

জয়রাম, ক্যাব লাগবে এক্ষুণি!

ঠিক আছে, স্যার!

পরে কোথায় যাবে?

বাড়িতে!

স্যার, ম্যাডামের গাড়িটিকে
দুটো ট্রাক অনুসরণ করছে।

এসবের মানে কী?

এটা রাবণ পিচাইয়ের
হত্যাকাণ্ডের টেকনিক।

স্যার, টাকা ওদের
হাতে তুলে দিচ্ছে।

গাড়িটিকে ফলো করো।

জ্বি, স্যার।

চিফ, টাকা পেয়েছি।

সবাইকে চলে আসতে বলো।

আচ্ছা মামা।

মামা, বাবা-মা এখানে কী করছে?

জানি না।

আরে, কী হচ্ছে?

দিয়াকে বলো আমাদের গাড়িতে আসতে।

জ্বি, স্যার।

- কী হয়েছে?
- বলব।

ঐ গাড়িটাকে ফলো করো।

টাকা এখানে।
লুকাবো কোথায়?

মিনিস্টারের থেকে টাকা পেয়েছি।

- এগুলো আলাদা করো না।
- আচ্ছা।

তোমার কোম্পানিতে সেগুলো রাখো।

আমরা কয়েকদিনের
ভেতরে এটা শেষ করব।

স্যার, আমার কথা শুনুন।

তোমার সাথে এখন
আমি কথা বলতে পারব না।

আমি টেনকাসি যাচ্ছি,
খুব জরুরি।

জরুরি? তাহলে
মধুরাই থেকে টেনকাসি কেন...

কেনই বা তিরুনেলভেলি
রোডে যাচ্ছেন?

দেখো, আমাকে প্রশ্ন করা
তোমার বলাধ্যক্ষতায় নেই।

আমার কাছে প্রমাণ আছে।

এসকে জুয়েলারি,
ভিভি ফাইনান্স, নেল্লাই স্কিলস...

বড় রকমের টাকা
ওখানে হস্থান্তর করা হয়েছে।

এখন, কীসের জন্য
সেটা যদি আমাদের না বলেন...

তাহলে আদালতের কাছ থেকে
তদন্তের আদেশ আনতে বাধ্য হব।

স্যার, টাকাগুলো তারা
৩ নাম্বার গুদাম ঘরে লোড করছে।

ওখানেই থেকো আর জানিয়ো।

ঠিক আছে, স্যার।

দিল্লিতে একবার আপনার
মেয়ে যখন অপহরণ হয়েছিল...

বলেছিলেন আপনি এই পরিস্থিতির
জন্য রাজনৈতিক চাপ ছিল।

আজ, দুটো ট্রাক আপনার
মেয়ের গাড়িকে ফলো করছিল...

আর আমরা ঐ ট্রাকগুলোর
দিকে নজর রাখছিলাম।

আপনার মেয়ের নিরাপত্তার জন্য।

এমনকি সে এসবের কিছুই জানে না।

আপনার আর রাবণ
পিচাইয়ের মধ্যে সমস্যাটা কী?

আমার পার্টিতে তাকে
পরিচয় করানোটাই ছিল ভুল।

আমি এটা দেখছি।
আপনি যেতে পারেন।

- চলো!
- জ্বি স্যার!

জ্বি, স্যার?

কমান্ডো ফোর্স, আইটি ডিপার্টমেন্ট
আর রিভিনিউ ডিপার্টমেন্টকে জানান।

জ্বি, স্যার।

- বলুন, স্যার।
- আমাদের কারখানাটি সিল করতে হবে।

তাসিলদারকে স্পটে পৌঁছাতে বলুন।

গেট বন্ধ করো।

গেট খোলো!

পুলিশ, ইনকাম টেক্স, ভিজিল্যান্স...

সবাই এখানে চলে এসেছে।

টাকা কোথায়?

গুদাম ঘরে!

আমার বড় ভাইকে ফোন দাও।

আমাকে একটা রড দাও।

সে যেন টাকার
ধারেকাছে যেতে না পারে।

যদি প্রমাণ সহ
সে সব কিছু জড়ো করে...

আমরা অক্ষম হয়ে যাব!

জোরে আঘাত করো!

গুদামে আগুন লাগিয়ে দাও।

ভেতরে সকল শ্রমিকরা রয়েছে!

ওসব শ্রমিক
জাহান্নামে যাক!

মিনিস্টারের থেকে পাওয়া টাকাগুলোর
কোনো প্রমাণ যেন ওখানে না থাকে।

জ্বালিয়ে ফেলো!

এই সেই গুদাম ঘর, স্যার।

দ্রুত চালাও!

স্যার, প্লিজ থামুন!

বলছি, আমাকে যেতে দিন!

"Oh dear mother..."

"you are my God!"

"Oh dear mother..."

"how could I let them
sacrifice you to the fire"

"It's hell to imagine the pain
you would've gone through"

"and even worse; the pain
undergone by the life inside you"

"I'm screaming and
crying deep inside"

"You sacrificed yourself yet
you ensured I lived on"

"My heart shudders when I think of
all that we've been through together"

"Now again I feel like
it's happening all over,"

"I'm losing you again
as sorrow takes over"

রাবণ পিচাইয়ের আদেশে তা পুড়িয়েছে।
আমরা এটা রেকর্ড করেছি।

"Oh dear mother..."

"there is no other God I would
like to look up to but you"

"Oh dear mother..."

"I love you more than
anyone in this world"

রাবণ পিচাই!

তোর কি হৃদয় বলতে কিছুই নেই?

এমনকি পশুরাও শুধুমাত্র ক্ষুধার্ত
অবস্থায় থাকলে ওরা শিকার করে!

ওই দরিদ্র শ্রমিকগুলো ফায়ারওয়ার্ক ফ্যাক্টরিতে
কাজ করতে করতে ধীরে ধীরে মারাই যাচ্ছিল।

আর তুই তাদেরকে মেরে ফেললি!

গর্ভবতী মহিলাটিকে...

তোর সাহস হলো কীভাবে...

দেখ...

আমরা জন্ম থেকেই ক্রিমিনাল!

তুই আমার বাবা-মা'কে মেরেছিস জানার পরে
আমি কখনোই প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করিনি।

আমি এখানে তোর বিরুদ্ধে
আইনত ব্যবস্থা নিতেই এসেছি!

তোর আইন আবার বালটাও ছিঁড়তে পারবেনা!

নতুন কেস ফাইলটাতে আমার বাবা-মা'কে মেরে
ফেলার বিরুদ্ধে তোর নামে চার্জ ওয়ারেন্ট রয়েছে।

তুই আর তোর সাঙ্গপাঙ্গরা তোর
গাড়িতে চড়ে পাড়ানিতে গিয়েছিলি।

আর ঘটনাটা ঘটার দিন ঘরে ফিরে এসেছিলি।

ফরেস্ট চেক পোস্ট হতে এখানে
সেগুলোর রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে!

তোর যে ডলারটা মার্ডার
স্পটে পাওয়া গিয়েছে।

হানাহানির এক পর্যায়ে তুই
তোর ঘাড়ে ব্যথা পেয়েছিলি।

তুই থিরুমঙ্গলমের উমা নার্সিংহোমে
গিয়েছিলি আর তিনটে সেলাই করিয়েছিলি।

এগুলো সেদিনকার হাসপাতাল রেকর্ড।

তোর বাবার মূর্তি নির্মাণের দিনই তোর
"ভয়-ভীতিহীন ললাটে" ছবি তোলা হয়েছিল।

সেটা আগামীকাল সকালে
কোর্টের সামনে প্রদর্শন করি...

আমি আধা ঘণ্টার আগেই
গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট পেয়ে যাবো।

কিন্তু...

আমার এসব কিছুরই প্রয়োজন নেই!

তুও ১৫ জনকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছিস, তাই
গ্রেফতার করলে তুই প্রাপ্য শাস্তিটা পাবি না।

আমি তোকে একেবারের
জন্যই ছিন্নমূল করে দেবো!

শোন!

১০ কিলো ওজনের ভারি বোমা নিয়ে...

আমি শুধু তোর পরিবারকে উড়িয়ে দেওয়ার না,
কলোনিসহ উড়ানোর প্ল্যান করেছিলাম।

কিন্তু এখন আমি সেটা আর করবো না!

তুই, আরুস্বামীর ছেলে!

আমি তোর মাথার খুলি আস্তে
আস্তে টুকরো টুকরো করে ফেলবো!

পেরুমাল পিচাই!

তোরা সবাই শুধু আমার মাথার খুলি চাস!

কিন্তু আমি? আমি তিনটে মাথার
খুলি চাই, তোর ভাইদেরগুলো সহ!

ধৈর্য ধরে দেখ! আমি প্ল্যান সাজিয়ে তোদের
প্রত্যেককে মারার খবর জানাতে থাকবো!

রাম স্বামী!

রাম স্বামী বাইরের পরিচয়!

কিন্তু ভিতরের পরিচয়... আরুস্বামী!

নমস্কার স্যার!

তিনি PVS মিলসের মালিক।
একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার।

উনার ছেলে আপনার মেয়ে দিয়াকে বিবাহআসরে দেখেছে
আর প্রথম দেখাতেই তাকে পছন্দ করে ফেলেছে।

অতঃপর, সে এখানে বিবাহের
প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে।

আপনি যদি রাজি থাকেন, প্রথমে তাদের
রাশিফল মিল আছে কিনা দেখে নিন।

বের হ, শালা..

আমি নিশ্চিত আপনার মেয়ে
আমার ছেলেকে পছন্দ করবে।

দিয়া... যা শাড়ি পড়ে তৈরি হয়ে আয়।

কিন্তু কেন মা?

তোর বাবা তোকে পরিচয় করিয়ে
দেবে। তাই তোকে যেতেই হবে।

ভালো, তো তুমিও তো শাড়ি পড়েই আছো?

যখন উনি ডাক দিবেন, তুমি যাবে আর যদি তোমার
পছন্দ হয়, ছেলেটার সাথে বিয়ে করে ফেলো!

তুই বলদ! আজেবাজে কথা বলা বন্ধ কর!

তুমি একজন বেকুবের মত কথা বলা বন্ধ করো!

তুমি কি জানো না, ও যে আগে
থেকেই একজনের সাথে প্রেম করছে?

তুমি কি ওকে তার সাথে দেখা করবার জন্য
হেলিকপ্টারে চড়ে মিসৌরিতে যেতে দেখোনি?

এখন তুমি তাকে মিলের মালিকের
সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে খুশি করাতে চাচ্ছো?

আমার জামাই একজন জেদি লোক। তাকে শুধুমাত্র এখনের
জন্য যেতে দে। আমরা পরে এসব জিনিস মিটমাট করে ফেলবো।

তোমার 'পরে দিয়ে মিটমাট' এর গুলি মারি!

আমাকে উনার সাথে কথা বলতে দাও!

আমি ইতোমধ্যেই আমার মেয়ের জন্য
একজনকে পাত্র হিসেবে বাছাই করে ফেলেছি।

তাইলে তো মনে হয় আমরা
বড্ড দেরি করে ফেললাম।

যদি কিছু মনে না করেন, আপনি
কি বলতে পারবেন পাত্রটা কে ?

সে তিরুনালভেলির সহকারী পুলিশ কমিশনার।

তার নাম...

রাম স্বামী।

বেশ ভালো।

ওহ আমার প্রাণের আপা!

"Every time I see you, I can
hear the loves tunes play"

"And when you come closer, you
make go crazy all the way"

"The way you look at me; feels
like sunshine during snow"

"I love your style; it steals the show"

"I would like to meet
your sculptor..."

"I wanna thank and worship her"

"Introduce me to your maker..."

"And soon let's become
Missus and Mister!"

"Every time I see you, I can
hear the loves tunes play"

"And when you come closer, you
make go crazy all the way"

"The way you look at me; feels
like sunshine during snow"

"I love your style; it steals the show"

"You make me desperate for your
love, with all that beauty..."

"Oh my traditional beauty!"

"You melt my heart with
your love, oh my baby..."

"I like the way you play naughty"

"Tell me who is your
inspiration..."

"because your sonnets make
me desperate for your love!"

"Every time I see you..."

"I can hear the loves tunes play"

"And when you come closer, you
make go crazy all the way"

"The way you look at me; feels
like sunshine during snow"

"I love your style; it steals the show"

"You are like the raging
bull; macho and powerful"

"Come to me and I'll
keep you in control"

"You look like a candy;
sweet and tempting"

"I can't wait anymore,
let's start dating"

"I thank God for bringing
you into my life..."

"because my world has changed
ever since I met you"

"Every time I see you..."

"I can hear the loves tunes play"

"And when you come closer, you
make go crazy all the way"

"The way you look at me; feels
like sunshine during snow"

"I love your style;
it steals the show"

"Every time I see you..."

"I can hear the loves tunes play"

"And when you come closer"

"you make go crazy all the way"

এটা দেখো?

একটা খোলা চিঠি, রাবণ পিচাইয়ের...

...বড় ভাই দেবেন্দ্র পিচাইকে হত্যার হুমকি।

যাও...

তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করো!

কমিশনারের অর্ডার।

আপনার ঘরে নিশ্চয় পুলিশ পাহারা দিয়ে রাখে
এবং চারজন বডিগার্ড সবসময় পাশেই থাকে।

আমি আমার ঘরের বাইরের পুলিশের পোশাককে
ঘেন্না করি, ভিতরে একা থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি!

বেরিয়ে যাও।

- থাঙ্গাভেলু।
- স্যার?

সে যা বলেছে তার উপর ভিত্তি করে
স্বাক্ষর সহ একটা জবানবন্দি নাও।

জবানবন্দি কেন? আমি
তোমাকে ইমেইল করে দিচ্ছি!

বেরিয়ে যাও! অকম্ম্য কোথাকার!

সে একটা পাগলা কুকুর।

তার কাছে ভুতুড়ে সব চিন্তাধারা রয়েছে।

আজ রাতে, ডেইটি চন্দনা
মারিয়াম্মা'র উৎসব মঞ্চস্থ হবে।

তার খপ্পরে পড়ে ফেঁসে যেও না।

যেখানেই যাও আমাদের লোকজনকে সাথে করে
নিয়ে যাও; ঘর, ফার্ম, অফিস এবং ফ্যাক্টরি।

প্রথমে, পটকাগুলো জ্বালাও! জলদি!

এটা তো পটকা।

জলদি, জ্বালাও!

এখানে কে?

তুই কে?

জলদি! এখানে আয় তোরা!

তোরা কোথায় রে?

এখানে আয়, তোরা।

চিল্লাতে থাক কিন্তু তোর আওয়াজ
শোনা যাবে না পটকার শব্দের জন্য।

পটকা এবং বাজির শব্দ বন্ধ হবে
না যতক্ষণ তুই জীবিত আছিস।

শোন, তুই এসি...

একজন অবুঝ শিশু আর ১০ দিন
পরেই পৃথিবীর আলো দেখতে পেতো...

আর তুই তাকে মায়ের পেটে
থাকা অবস্থাতেই মেরে ফেলেছিস!

মৃত ব্যক্তির জন্য কোনো ফ্রি সার্ভিস নেই।

কিন্তু জন্মানোর জন্য আছে, এমনকি
পাবলিক রিক্সা সার্ভিসও ফ্রি আছে!

বল তো কেন?

এসব মাতৃত্বের সম্মানার্থে দেওয়া হয়!

আমার মা...

তাঁর কি দোষ ছিল?

তুই তাকে গর্ভবতী অবস্থাতেই কোনো
মায়া-দয়া না দেখিয়ে শেষ করে দিয়েছিস!

স্যার, খুনের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে...

এটা দীর্ঘদিনের শত্রুতা।

ধারণা করুন তো কেউ
একজন প্রতিশোধ নিয়েছে।

স্যার, যে গতিতে কুকুরটা দৌড়াচ্ছে, মনে
হচ্ছে এটা এখনি অপরাধীকে ধরে ফেলবে।

আসলে, এটা যে স্থানে প্রস্রাব করবে
সেই স্থানটার গন্ধ নাক দিয়ে শুঁকছে।

কী?

ভালো করে দেখ, এটা চারিদিকে শুঁকে বেড়াবে এবং
শেষমেশ আমাদের অফিসারের পায়ের কাছে গিয়েই দাঁড়াবে।

তুমি কি কখনো প্রহরী কুকুরকে
পুলিশের বিরুদ্ধে যেতে দেখেছো?

ফরেনসিক হতে আসা প্রত্যেকজন
যারা সুরাহার সন্ধান করছে এবং...

ইন্টেলিজেন্স হতে আগত প্রত্যেকজন যারা
প্রহরী কুকুর থেকে তথ্য বের করতে চাচ্ছে...

তারা প্রত্যেকেই আমার হয়ে কাজ করে।

দেখতে থাকো...

সে এসে আমাকে জানাবে যে, সে
কোনো সুরাহার সন্ধান পায়নি।

স্যার, এখানে কোনো সুরাহার সন্ধান মেলেনি।
আমরা লাশটাকে নিয়ে যেতে পারি।

আচ্ছা...অগ্রসর হও।

এসি তার ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়েছে।

- হ্যালো।
- আমি তোমার সাথে এখনি দেখা করতে চাই।

আমি তিরুনেলভেলির পথেই আছি।

তুমি কোথায় এখন?

অভিষেকাপাট্টি।

শহরে প্রবেশ করো না।

সীমান্তপথে ইউটার্ন নাও
আর আমি সেখানে আসছি।

আচ্ছা ঠিক আছে।

সে হাইওয়ে ক্রস করেছে!

তাকে পিষে দাও!

ঠিক আছে।

মূর্তি, তুমি চালাতে থাকো।
আমি পিছে পিছে আসছি।

ঠিক আছে স্যার।

কি ব্যাপার ম্যাডাম?
হঠাৎ করে...

ভালো, আমি তোমাকে
চমকে দেবো বলে ভাবছিলাম।

বাবা খুব শীঘ্রই বিবাহের
তারিখ ঠিক করতে যাচ্ছেন।

তার বিয়ের?

মানে, আমাদের বিয়ের।

আমি দিল্লিতে ফেরত যাওয়ার প্ল্যান করছি না।

বিয়ের পর এখানে স্যাটল হওয়ার প্ল্যান করছি।

হ্যালো, আমার থেকেও অনেক কাজ রয়েছে।

তুমি কি ভেবেছো আমি
এখনো বেকার বসে আছি আর...

ভাই, সে তো পালিয়েছে।

ড্রাইভার আপাতত ঝুঁকিমুক্ত।

সে আইসিইউ'তে আছে,
তার কিছু অংশ পুড়ে গেছে।

তোমরা সবাই কাঁদছো কেন?

প্লিজ আসুন।

নমস্কার।

বসুন।

তোমাকে শংকিত দেখাচ্ছে কেন, বাছা?

পুলিশের কাজ তো এসব কিছু ঘিরেই।

এখন যাও, গিয়ে মুখ ধুয়ে আসো।

তোমরা সবাই নিজের চরকায় তেল
দাও। তাকে একা থাকতে দাও।

স্যার, আপনি কেন এতটা
পথ পাড়ি দিয়ে আসতে গেলেন?

আমি দুঃখিত।

ঐদিন...

"আমি দিয়া'র বাবা আর আমাকে
রাজনীতিবিদের মত কাজ করতে বাধ্য করো না"

বলে আমি তোমাকে ধমকি দিয়েছিলাম।

কিন্তু আসল ব্যাপারটা হচ্ছে আমি সেদিন
রাজনীতিবিদের মত ব্যবহার করেছিলাম।

কিন্তু আজকে...

আমি একজন বাবা হয়ে কথা বলছি...

দুইবার!

সে আমার মেয়ের জীবন নিয়ে খেলা করেছে...

আর আমার জীবনকে নরক বানিয়ে দিয়েছে।

রাম!

তাকে ছাড়বে না!

আচ্ছা, আসি তাইলে।

বাবা, একটু বসেন।

এক গ্লা কফি পান না করে
আপনি কীভাবে চলে যেতে পারেন?

এইতো, ফিল্টার কফি।

প্লিজ এটা নিন।

হেই, মিস দিল্লি নতুন তিরুনেলভেলি'র
ব্রাহ্মণ ভাষার কি অবস্থা?

এটা কিছুটা রকেট বিজ্ঞানের মত!

চুপ কর!

আমাদের ভাষাতে আমরা বলি 'তারা'...

আর তাদের ভাষাতে সেটা শোনায় 'তারা-আহ'।

আমরা বলি 'আসো' এবং 'যাও'...

আর তারা বলে 'প্রবেশ করো' এবং 'বাহিরে যাও'।

তাদের চাইতে বহুগুণ সহজ!

হে বাছা! তুমি ভাবছো তোমাদের
ভাষা বেশ সহজ, তাই না?

তুমি কি ভাবছো এটা এতটা কঠিন?

তুমি কি আমাদের ভাষা হতে তোমাদের
ভাষায় অনুবাদ করে দেখাতে পারবে?

আমি বলছি আমাকে জিজ্ঞেস করো আমি-আহ!

- আমার?
- মুই!

- তোমার?
- তুর!

খাদ্য?

খানা!

- রং?
- স্বন!

- বক্স?
- কার্টন!

- ক্ষুধা?
- ক্ষুধিত!

- পানি?
- জল!

- শালি?
- জল কন্যা!

ধুর....এটা শালি!

- জামাই?
- প্রিয় স্বামী!

- ছেলে?
- পুরুষ!

- দুলাভাই?
- বোনের জামাই!

- মামা?
- সে নিয়মের বাইরে!

আচ্ছা, আচ্ছা, পরেরটা।

- নারী?
- কুমারী!

- দুর্বৃত্ত?
- গুণ্ডা!

আন্টি?

মামী!

রক এন্ড রোল কিছু?

স্বামী!

পাগল!

একেবারে আমার বড় আপার মত!

- মেন্টাল!
- সেটা আমি!

স্যার, সহকারী কমিশনার রাম স্বামী রিপোর্ট করছি!

আমরা আপনাকে পাহারা
দেওয়ার দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছি।

আমরা একটা ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট পেয়েছি...

কি বললে?

আপনাকে সেখানে আজ রাত ১০টায়
মারার জন্যে প্ল্যান সাজিয়েছে।

তুই কি বোঝাতে চাচ্ছিস?

আর আপনি আপনার মিটিং বাতিল
করে তিরুনেলভেলিতে চলে যান।

তুই আমাকে মিটিং বাতিল করে ঘরে চলে যাওয়ার
আদেশ দেওয়ার সাহস পেলি কোথার থেকে?

আমার কাছে লোহা আছে...
সাথে লৌহ হৃদয়ও আছে!

বেশ, আপনি যখন মিটিংয়ে যাবেন
বলে ঠিক করে ফেলেছেন...

আমি লোকভেদে নিরাপত্তার
আনুষ্ঠানিকতাও সেরে ফেলতে চাচ্ছি।

আপনি কি সবাইকে বাইরে যাওয়ার জন্য বলবেন?

তুই ঠিক রাত ১০টায় মারা পড়বি..

আমার দ্বারা!

শোন!

আমার ধারনা তুই হয়ত জানিস, তুই
যা বলছিস এই ক্যামেরাগুলো রেকর্ড করছে।

স্যার, আপনি হয়ত জানেন না এই
ক্যামেরাগুলো শব্দ রেকর্ড করে না।

যদি পারিস, নিজেকে বাঁচিয়ে দেখা!

স্যার!

আপনি সবসময় নিজের শার্টের
পকেটে সেলফোন রাখেন।

এটা আপনার হার্টের জন্য ভালো নয়।

আমার মত একজন লোক রাজনীতিতে
প্রবেশ করেছে কারণ আমি একজন "হার্টহীন"!

সে ভাবছে সে তোমাকে রাত ১০টায় মেরে ফেলবে?

একই লোকালয়ে, আমি এই
খচ্চরকে রাত ৯.৩০টায় মারবো!

গুজরাট থেকে একটা কল ধরো।

দুদিনের মধ্যেই টাকা যোগাড় হয়ে যাবে।
আমাদের যাত্রা শুরু করতে হবে।

আমি এখন সেই মুডে নেই!

সেখানে সভা নিয়ন্ত্রণের কাজে
ইন্টেলিজেন্স হতে অনেক অফিসার থাকবে।

কেউই বুঝতে পারবে না যে,
আপনারা ডিপার্টমেন্টের লোক।

সবশেষে আমরা তাকে ৫০০০
লোকের সমাগম থেকে নিয়ে আসবো।

চারটা ছুরি...

অবশ্যই লোকের ভিড়ের মধ্যে
সেগুলো হাতবদল করতে হবে।

অবশ্যই বন্দুক হাতবদল করতে হবে।

আমি এলাকার বাসিন্দা, তাই
কেউ আমাকে সন্দেহ করবে না।

সবশেষে...

ছুরিটা তোমার হাতে পৌঁছাবে।

মিনিস্টারকে এই সেলফোন থেকে কল দিবেন।

৯:২৯ এ...

জনসমাগমে একটা বিস্ফোরক নিক্ষেপ করবে।

আর ক্ষণিক মুহুর্তের মধ্যেই...

তুমি হয়ত ততক্ষনে তাকে মেরে দেবে...

কিন্তু মারার ধরণটা যেন আমার মত হয়।

সফলতার সহিত তৃতীয়বারের মত
'অর্জনকারী' দের নিয়ে সভা হচ্ছে।

কী করেনি আমাদের শ্রদ্ধেয় মহেন্দ্র পিচাই?

তামিলনাড়ুর উন্নয়নের স্বার্থে তিনি
তার সমগ্র জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।

কিছুক্ষণের জন্য কমান্ডোদের ডাক দাও!

না, রাবণ। আমি কমান্ডো ফোর্সদের ডেকেছি।

চিন্তা করো না। সে ৯.৩০
এর ভিতরেই মারা পড়বে!

- টাইম কত হয়েছে?
- ৮:৫৫, স্যার।

আমাদের টিমের জন্য সেটা ৯:৫৫।

সবাইকে বলে দাও তাদের
ঘড়ির কাটা সিংক করে নিতে।

তোমরা সবাই তৈরি তো।

ঠিক আছে স্যার।

তোরা বোকার দলেরা! কী ধরনের
সরকার পরিচালনা করছিস?

এখন যদি বিদ্যুৎ না আসে...

বিদ্যুৎ মন্ত্রী কে?

লাইটের সুইচ চালু করো!

- জয়রাজ।
- স্যার!

যাও, গিয়ে পাওয়ার নির্গমন চেক করে আসো।

ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়েছে, স্যার।

জেনারেটর চালু করো!

জেনারেটর চালু করুন!

ও ভগবান! ও ভগবান!

ও খোদা!

কেউ একজন নেতাকে মেরে ফেলেছে!

কেউ একজন আমাদের
নেতাকে খুন করে ফেলেছে!

- ও খোদা!
- কেউ একজন নেতাকে খুন করে ফেলেছে!

কেউ একজন মন্ত্রীকে গুলি করেছে!

- পুলিশ, কিছু করেন!
- সরুন! সরুন!

সরুন!

অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন করুন!

পুলিশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুসারে আপনার
ভাইয়ের দেহ কলম্বোতে স্থানান্তরিত করতে হবে।

টাকাগুলো ডলারে
রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে।

টাকাগুলো আগামীকাল অবশ্যই
সুরাত থেকে সরিয়ে নিতে হবে।

এখন অবধি আমরা তাদের কাছ থেকে
২ কোটি টাকা কমিশন পেয়েছি।

আগামীকাল সকালে প্রারম্ভের আগে টাকাগুলো
সুরাত থেকে আমাদের সরাতেই হবে।

রাবণ...

একবার শ্রীলংকায় ফিরে এসো।

মা, আমার মৃত ভাইয়ের
ঘরে ফিরে আসতে বলছো?

আমি যা বলি তাই হয়, সেজন্য আমি
তোকে আরো শক্তিশালী করতে পারি...

আর সেই সাথে ওকে শেষ করে
আমার আশীর্বাদ নিয়ে চলে যেতে পারবি!

স্যার, তামিলনাড়ুর একজন মিনিস্টার খুন
হয়েছে, অথচ পুলিশ ডিপার্টমেন্ট কী করছে?

মিনিস্টার কী জীবনহানির
হুমকি পেয়েছিলেন।

এই কারণে আমরা উনাকে মিটিং
বাতিল করার অনুরোধ করেছিলাম।

উনি আমাদের কোনো কথা শুনেননি।

স্যার, পুলিশ এখন কি ব্যবস্থা নিবে?

আমাদের সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে...

রাবণ পিচাইয়ের নিরাপত্তার জন্য,
কেউ যেন বাইরে যেতে না পারে।

আমারা তাকে ফিরে
আসার পরামর্শ দিচ্ছি।

নিজের দেশে ফিরে এসে
কয়েকদিন লুকিয়ে থাকার জন্য।

দেখো, উনার যদি কিছু হয়
আমাদের খুব খারাপ অবস্থা হবে।

চিফ!

- বাবা, চলো দেশে ফিরে যাই।
- ঠিক আছে, বাবা।

- এসব কী?
- কে তুমি?

পালাও!

স্বামী- তিরুনেলভেলির ত্রাণকর্তা!

আশাকরি আপনি দুটো
লাশ খুঁজে পেয়েছেন।

এমনকি ওরা কেন মারা গিয়েছে
ওদেরই কোনো ধারণা নেই এতে।

আমি ওদের হত্যা করেছি আর ওরা শুধুমাত্র তোমার
জন্য মারা গিয়েছে, এটা তুমি ভালো করেই জানো!

পরে, জিকে পার্কে...

এক তরুবিলাসিনী
প্রণয়াদি জোড়া পাখি।

কে তুমি?

রাবণ পিচাই!

যতক্ষণ অবধি আমার কার্জকৃত্য শেষ না
হয় ততক্ষণ অবধি অমনই ঘটনা চলবে।

এসব কী হচ্ছে?
এইমাত্র আবার দুজন খুন হয়েছে!

শহরের বাইরে
হট্টগোল হচ্ছে!

স্যার...

স্যার, রাবণ পিচাই
এয়ারপোর্টের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।

তুই কি গন্ধ শুঁকে আমার সন্ধান বের করবি?

পেট্টাই রেলওয়ে গেটের সীমান্তে
একটি কার দাঁড়িয়ে রয়েছে।

মাঝেমাঝে অন্য একটি কার
ঐ কারটিকে ধাক্কা দিয়েই যাচ্ছে।

ঐ কারটির কারণে হয়তো ট্রেন হুমড়ি খেয়ে
পড়ে প্রায় হাজার খানিক প্রাণ হারাতে পারে।

নয়তো কারের ভেতরের
লোকগুলোর প্রাণহানি ঘটতে পারে!

পারলে তাদের গিয়ে বাঁচা!

বলো, দিয়া...

আমাদের না জানিয়ে
দিল্লিতে যেতে চাইছো কেন?

আমি পদত্যাগ করতে যাচ্ছি।

কেন বাবা?
কী হয়েছে?

দারোয়ানের ফোন পেয়েছ।

গাড়ি চালাও!

আমি ভালো পোস্টে ভালো কিছু
করতে পারছি না, এজন্য...

- পদত্যাগ করলে জনগণের ভালো হবে।
- কারটি ভেঙে ফেলো!

বাবা! কী হয়েছে?

দৌড়া! দৌড়া!

মা!

স্যার! তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসুন!

- এই, দরজা খোলো!
- স্যার!

ট্রেনটি প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে!

বাবা, গাড়ি থেকে নামো!

গাড়ি থেকে নামো!

ট্রেন চলে আসছে।

যাও, তোমারা সবাই সরে যাও!

উনাকে নিয়ে এসো!

স্যার!

প্রথম খবর হচ্ছে আমি
আমার মাতৃভূমিতে পা রেখেছি...

আর একটা একটা লোক
মারা যাচ্ছে তোর ঐদিকে।

একটা প্রত্যাশিত আক্রমণে দরিদ্ররা আহত হবে,
আর একটা অপ্রত্যাশিত আক্রমণে ধনীরা হবে।

এই পৃথিবীতে সবচেয়ে নিষ্ঠুর ব্যপার হলো
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ।

অনুমানটা কি খারাপ?
একজন নানা তার নাতির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করবে।

আর সেটা আপনার
পরিবারেই ঘটবে!

গতকাল রাবণ পিচাই শ্রীলংকা
থেকে আপনার সাথে কথা বলেছে।

কিন্তু বর্তমানে উনি সুরাত থেকে
থ্রিভান্দ্রামে ভ্রমণ করছেন।

আমরা এয়ার ইন্ডিয়া থেকে
এই তথ্যটি পেয়ছি।

উনার ইন্ডিয়াতে প্রবেশের
কোনো রেকর্ড নেই ইমিগ্রেশনে।

সে হয়তো অবৈধভাবে সমুদ্র পথে
প্রবেশ করতে পারে, খুঁজে বের করো।

- স্যার!
- বের করেছি।

খবরে সম্প্রচার হচ্ছে তুমি নাকি
আমার গুলিতে মারা গেছো।

ওটা অপারেশন থিয়েটারে নয়।

ময়নাতদন্তের টেবিলে!

শুধুমাত্র তিনটা প্রশ্ন...

টাকার পরিমাণটি?

এটাই গন্তব্য?

রাবণ পিচাইয়ের ভারতের
মোবাইল নাম্বারটি কী?

এক্ষুণি যদি উত্তর না দাও...

তুমিই হবে প্রথম ব্যক্তি যে ময়নাতদন্তের
পরেও এখনো পৃথিবীতে জীবিত রয়েছো।

ডাক্তার...

স্যার!

আমি আপনাকে সব বলব।

হ্যাঁ, বলো রাম।

আমাদের ব্যাচের
গুজরাটের কেউ আছো?

আমাদের সহকর্মী রামজ্বী
আইএএস অফিসার গুজরাটে।

তাদের সবাই আমার গ্রুপে।

আমাদের অর্জনের লক্ষ্য, সন্তোষ।

কনফারেন্সে সবাইকে
একত্রিত করে আমাকে জানাও।

ঠিক আছে রাম, তাড়াতাড়ি।

- হাই, সন্তোষ।
- তুমি কনফারেন্স কলে আছো।

- বল রাম।
- ঠিক আছে।

গুজরাট থেকে পাকিস্তানের পথে রাজস্থান?
তাহলে ওরা নিশ্চিত উদয়পুর অতিক্রম করবে!

আমরা ওটা করতে পারব!

- আমরা ওটা করতে পারব!
- নিশ্চয়, রাম!

বলুন।

গুজরাট থেকে রাজস্থান পর্যন্ত সব রাজনীতিবিদ
ও কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

কেউ আপনাকে থামাবে না।

কিন্তু আপনি পাকিস্তান সীমান্তের জাইসালমারের
পরে কিছু গ্যাংস্টারদের সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

তাই সাবধানে থাকবেন।

আমি সাথে করে অস্ত্র নিয়েছি!

ওদের সামলে নেবো আমি।

ডিজিপি রামের সাথে কথা হয়েছে,
বলেছেন রাজস্থানে আমাদের সাহায্য করবেন।

- ভালো!
- ওরা কেবলমাত্র জাইসালমার শহর পেরিয়েছে।

আমরা স্যাম ডেজার্ট ক্রস করার
আগে তাদের ব্লক করতে পারি।

আমরা এই অপারেশনে
অবশ্যই সফল হবো, রাম!

আমাদের ব্যাচকে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করে ভারতীয়
সিভিল সার্ভিসে নতুন এক রেকর্ডের উত্থান করতে হবে।

তাড়াতাড়ি চালাও!

দ্রুত, যাও!

দ্রুত চালাও! দ্রুত!

সন্তোষ, কোথায় তুমি?

সোজা যেতেই থাকো!

রাম, আমরা ওদের দেখব।

রাম, পালিয়ে যাওয়ার
আগে ওকে ধরো!

তাড়াতাড়ি চালাও!

আমি বিপরীত দিক
থেকে তাকে অনুসরণ করব।

ঘুরাও! ঘুরাও!

চালিয়ে যাও!

ঘুরাও! আশেপাশে ঘুরাও!

বের করো!

গাড়ি থামাও।

সবকিছু বাজেয়াপ্ত করো!

ঠিক আছে, স্যার!

রাবণ পিচাই!

এই!

তাড়াতাড়ি সন্তোষ!

আমাকে শেষ করার
চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলি না, তুই?

আর এখন?
শুধু গ্রেফতার করছিস?

ভালো হবে আমাকে
শেষ করে ফেল!

যদি তুই তিরুনেলভেলিতে তিরস্কার আর
অপমান করতে নিয়ে যাওয়ার ফন্দি করিস...

তাহলে তিরুনেলভেলিতে
রক্তের বন্যা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে!

- ক্যাপ্টেন...
- জ্বি, স্যার!

এখন, মাঝ পথে থামলাম কেন?

আমি তোকে
আতংকিত করেছি?

মন বদলে ফেলেছিস?

একজন তামিলনাড়ু পুলিশ আমাকে
রাজস্থানে উপযোগী করে তুলেছে?

তোর কি লজ্জা লাগে না?

আমি তোকে মেরে ফেলব না বা তোর বিরুদ্ধে
চার্জ দিব না এমনকি জেলেও রাখব না।

আমি এখানে তোকে
জীবিত অবস্থায় ছেড়ে দিচ্ছি!

তোকে মেরে ফেললে
তুমি বুঝবি না।

প্রত্যেকটা জীবনের মূল্য
আর মৃত্যুর ভয়াবহ যন্ত্রণাটা।

ঐখানে তুই বলেছিলি না যে...

সবচেয়ে নিষ্ঠুর ব্যাপার হচ্ছে 'বাবা
তার ছেলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করাটা'।

আর সবচাইতে নিষ্ঠুর ব্যাপার হচ্ছে একজন দাদা
যখন তার নাতির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে।

জানো তুমি পৃথিবীতে
সবচেয়ে নিষ্ঠুর ব্যাপারটা কী?

নিজেই নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করাটা!

এই স্থান থেকে
২৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে...

তুই এক ফুঁটা পানি আর ছায়ার
জন্য একটি গ্রামও খুঁজে পাবি না।

একটা মানুষও পাবি না
সাহায্যের জন্য!

নিজের জীবিত রাখার আশায় চলতেই থাকবি
অথচ সপ্তাহের ভেতরে নিজেকে মৃত অবস্থায় পাবি!

দৌড়াতে দৌড়াতে তুই
একদিন মরেই যাবি।

প্রত্যেকটা দিন নিজেকে তিলে
তিলে মরে যেতে দেখবি!

মনে রাখিস, এখানে যে রেকর্ড রয়েছে
সেটা বলছে তুই শ্রীলংকায় চলে গিয়েছিস।

কিন্তু তুই ভারতে ফিরে আসার
এখানে কোনো রেকর্ড নেই।

তোর বাবা...

স্বামী ভয়ে ভীত হয়ে পালিয়ে গিয়েছেন
লোকজন এখনো এটাই বিশ্বাস করে।

তুই মৃত্যুর ভয়ে
ভীতুর মতো ছুটে বেড়াবি।

আমি এটা রেকর্ডের মাধ্যমে
নিশ্চিত করব।

থামো।

অনুবাদ আয়োজনে
সাউথ সাবমেকার্স প্যানেল।

রাবণ পিচাইয়ের ভাই মহাদেভান
৬৫ কোটি টাকা চোরাচালান করেছিল।

পুলিশের সংঘর্ষের সময় উনি
গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

স্যার, বর্তমানে
রাবণ পিচাই কোথায়?

পুলিশ ডিপার্টমেন্টের
সংবাদ অনুযায়ী...

জীবনের ভয় নিয়ে উনি
শ্রীলংকায় পালিয়ে গিয়েছেন।

"১৭ দিন পরে..."

বর রাম স্বামী, আরুস্বামী
আর ভূবনার একমাত্র পুত্র।

এবং কনে দিয়া জনাব বিশ্বনাথ এবং...

মিসেস শান্তির একমাত্র মেয়ে।

পরিবারের সকলের আশীর্বাদ নিয়ে
আমরা তাদের বিয়ে ঠিক করলাম।

'স্বামীর সাহসিকতা অব্যাহত থাকবে...'