All language subtitles for Pathaan (2023).WEB-DL.B-Sub By Ashik.SAYEM

৫ আগস্ট, ২০১৯
লাহোর, পাকিস্তান।

কী দেখছো?
এটা ক্যান্সার।

কোন মেয়ের ইন্সটাগ্রাম এর পেইজ নয়।

কত সময় আছে আমার কাছে?

তিন বছর।

সম্ভবত।

কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস
প্রত্যাহার করতে ইন্ডিয়ান গভর্মেন্ট

একটা আকস্মিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইন্ডিয়ান পার্লামেন্ট আর্টিকেল-৩৭০
একতরফাভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।

এতে পাকিস্তানের বৈদেশিক
সংস্থা নিন্দা জানিয়ে বলেছে,

পাকিস্তান এটার যুগোপযোগী প্রতিক্রিয়া জানাবে।

আর্টিকেল-৩৭০ বাতিল করেছে।

ইন্ডিয়া এটা কীভাবে করলো?
এটা কিন্তু ভুল করেছে, স্যার।

এটা ভুল না।

এটা সোজা যুদ্ধের ঘোষণা।

তিন বছরের কথা বলেছ, তাই না?

এতেই হবে।

কূটনৈতিক সম্পর্ক করার সময় শেষ, স্যার।

যদি ইউএন সমাধানের আশায় বসে থাকি,

তাহলে ইন্ডিয়া আজাদ
কাশ্মীরের দখল নিয়ে নিবে।

কোনো খোদার বান্দা
এটা করতে পারবে না।

শয়তানের সাথে
বন্ধুত্ব করার সময় হয়েছে।

জিম

জেনারেল কাদের কথা বলবে।

জেনারেল কাদের, সব ঠিক আছে?

ঠিক না,
আমি বিশৃঙ্খলা চাই।

কী করতে হবে?

ইন্ডিয়াকে নতজানু করাতে হবে।

নিশ্চিত তো?

কারণ একবার গুলি বেরিয়ে গেলে,
সেটা কিন্তু বন্দুকে ফেরত আসবে না।

তুমি নিশ্চিত হয়ে নাও,
কাজটা করতে পারবে কি-না?

আমার সময় লাগলেও,
কাজ হয়ে যাবে।

[৩ বছর পর]

[আফ্রিকার কোন এক জায়গায়]

এটা রাডারে ধরা পড়বে না,
এবং সিগনালেও কোনো সমস্যা হবে না।

এটা কাউকে ভয় পায় না,
তেমনি কেউ এটার গুরুত্ব বুঝবে না।

একবার ছেড়ে দিলে,
জাহান্নামের সাথে সংযোগ হয়ে যাবে।

তারপর কেয়ামত শুরু হবে।

ব্যস। জিম বলবে
এটা কোথায় ডেলিভার করতে হবে।

কেন?
জিম কি তোমাকে বিশ্বাস করে না?

জিম?

যদি খোদা তাকে বলে
যা লাগবে আমার কাছে চাও,

জিম বলবে,
"এতে কি তোমার কোন চাল আছে?"

জিমের তাশ কেবল
জিমই দেখতে পায়।

বস, "রাফে" কেডা?

কেন?

একজন লোক এসে
রাফের খোঁজ করতাছে।

বলেছি, রাফেরে চিনি না।

সে বলছে রাফে ফাইয়াদের
সাথে দেখা করতে এসেছে।

সে কোথায়?

ভিআইপি এরিয়াতে,
স্পেশাল খাতিরদারি চলছে।

কে রে তুই?

ওই, হিন্দি।

বল!

শালা, হিন্দিতে বল।

তোকে আরবিতে গালি দিয়ে মজা পাব না।

পাঁচ সেকেন্ড পর তুই চমকে যাবি।

তারপর পাঁচ সেকেন্ড ধরে ভাববি এই
আওয়াজ আগে কোথায় শুনেছিস।

পরের পাঁচ সেকেন্ড তোর বিশ্বাস হবে।

এবং তুই বলবি...

"পাঠান? তুই নাকি?"

এখনো বেঁচে আছি।

ওটা কোথায়?

তুই কীভাবে বেঁচে গেলি?

প্রশ্ন আগে আমি করেছি।

রুবাই কোথায়?

উফফ! পাঠান মিয়ার ভাঙা মন।

প্রেম পিরিতি সে লুকাতে পারে না।

সে তোর ধারণার চেয়ে দূরে আছে।

এখন তুইও অনেক দূরে যাচ্ছিস।

শেষ কোন বার্তা দিতে চাস?

তাকে স্রেফ একটা উপহার দিতে চাই।

ঘুঙুর ভেঙে গেছে, রাফে।
এখন নাচা শুরু কর!

তাকে মেরে ফেল!

কী দেখছিস রে, শালা?

মেরে ফেল!

ঝড় আসতে চলেছে, রাফে।

সিট বেল্ট শক্ত করে বেঁধে নে।

দরজা বন্ধ কর!

দুঃখিত, রাফে!

:::অনুবাদক: আশিকুর রহমান।:::
• সম্পাদনায়: মোহাম্মদ সায়েম। •
সহযোগিতায়: আরুশ আরিয়ান।

[নিউ দিল্লি, ইন্ডিয়া]

[J.O.C.R. হেডকোয়ার্টার]

এক্ষুনি আসছি, ভারুন।

বার বার কেকের কথা বলতে থাকলে,
কাজ কীভাবে শেষ করব?

মোমবাতি জ্বালাও।
এবং 'শুভ জন্মদিন' গাইতে থাকো।

মোমবাতি নেভার আগেই
আমি চলে আসব।

ম্যাম, সব তথ্য হাতে পেয়েছি।
মনে হচ্ছে, সব ঠিক আছে।

আচ্ছা, আবার দেখ।

আমার এখন-ই সব তথ্য লাগবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিয়ে আসো।

ম্যাম?

আমরা একটা লাল সংকেত পেয়েছি।

আমাদের স্ক্যানার এই মাত্র
একজনের চেহারা শনাক্ত করেছে।

কার?

রুবাই?

কোথায়?

প্যারিস এর প্যালেইস রয়াল
মেট্রো স্টেশনের এক সিকিউরিটি ক্যামেরাতে।

- কখন দেখেছ?
- ১৫ মিনিট আগে।

সেখানে এখনই কোন দলকে পাঠাও।

তার উপর নজর রাখ।
যেন হারিয়ে না যায়।

একটা প্লেন রেডি কর।

Use the blue channel. We need
permission for immediate take-off.

জি, ম্যাম।

ওহ, আর ভারুনকে বল...

আপনার কেক ফ্রিজে রাখতে।

সময় কতক্ষণ লাগবে?

৫ ঘন্টা, ম্যাক্স।

- ম্যাম?
- হুম?

ম্যাম, আমরা কি পাঠানের জন্য যাচ্ছি?

পাঠানের ব্যাপারে কী জানো তুমি?

বেশি কিছু না, ম্যাম।

কিন্তু যখনই তার নাম আসে,
সবাই অস্বস্তিতে পড়ে যায়।

সবাই টপিক পরিবর্তন করে দেয়।

ম্যাম... সে কি আমাদের দলে?

আমাদের দলে ছিলো।

শুধু আমাদের দলে ছিল এমন না,
আমাদের অধিনায়ক,

ওপেনিং ব্যাটসম্যান, ওপেনিং বোলার,

উইকেট কিপার এবং ফিল্ডার ছিলো।

জানো, যদি পাঠান না হতো,

আজ যা করছি সেসব করতে পারতাম না।

জোকার ডিপার্টমেন্টও হতো না।

দুই বছর আগে,
মায়ানমারে একটা মিশনের সময়,

পাঠান, মারাত্মক ভাবে আহত হয়।

সে সপ্তাহভর হাসপাতালে ছিল।

সবাই ভেবেছিল
পাঠানের "কেচ্ছা খতম।"

কিন্তু কে জানতো,

সে একটা পুরো নতুন বই লিখছিল।

[ইন্ডিয়ান মিলিটারি হাসপাতাল, নিউ দিল্লি ]
[২ বছর আগে]

শুনেছি তুমি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছ।

ম্যাম, হ্যা।

পায়ে মেটাল প্লেট এবং
ঘাড়ে টাইটানিয়াম ডিস্ক বসানো,

এবং কাঁধে বায়ো-এবসর্বাবল স্ক্রু লাগানো।

কিন্তু দেখে তো ভালোই মনে হচ্ছে।

অনেক ঝামেলা।
পুরো শরীরে বিপ বপি বিপ শব্দ।

সবসময় মেটাল খুঁজতে থাকে।

অবসর জীবন আপনাকে মানাচ্ছে না।

কেন?

অবসরেই তো শান্তি মেলে, পাঠান।

বিভিন্ন উপায়ে জীবনকে
উপভোগ করা যায়।

আগামীকাল মাস্টারসেফ হলাম
তো পরশু ইন্ডিয়ান আইডলে গেলাম।

তোমার একটা শখ থাকতে হবে, পাঠান।

পেয়েছি তো। ''কিনসুগি''।

এটা কি পাঞ্জাবি?

জাপানিজ।
আপনি এটার মানে জানেন।

হ্যা।

যদি কোন মূল্যবান জিনিস ভেঙে যায়,

তাহলে জাপানিরা টুকরোগুলো
একসাথে করে গলিত অবস্থায় রেখে দেয়।

এতে জিনিসটা সুন্দর এবং মজবুত হয়।

এতে জিনিসটা আগের চেয়ে
মূল্যবান হয়ে যায়।

ম্যাম, আপনি ফাইলটা দেখুন।

এটা আমাদের সংস্থার
টুকরো হওয়া জিনিস।

তারা সবাই আমার মতো।

আহত এবং ট্রমার জন্য
তাদের জোর করে বাদ দিয়েছে।

কিন্তু তাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি।

তাদের ভেতর এখনো
সেই জোশ এবং ক্রোধ আছে।

তারা এখনো ইন্ডিয়ার জন্য
লড়াই করে জীবন দিতে রাজি।

কী করতে চাচ্ছো?
তাদের নিয়ে নতুন ইউনিট বানাবে?

হ্যা, ম্যাম।

বুঝতে পারছো এতে কতজনকে
রাজি করাতে হবে?

রেড টেপের পরিমান
এতো যে হাত আঁটকে থাকবে।

চেষ্টা করে দেখ।

আপনার কি মনে হয়, আমি
এতোদিন ধরে শুধু আমার চুল বড় করেছি?

আমি চেষ্টা করেছি।
খুব ভালো করে করেছি। আমি পারবো।

J.O.C.R.

JOCR?

"জয়েন্ট অপারেশন এন্ড কোভার্ট রিসার্চ", ম্যাম।

আমাকে নতুন চাকরি দিচ্ছ নাকি?

না, ম্যাম।

আমার বসের চেয়ার টা
উনাকে আবার ফিরিয়ে দিচ্ছি।

আপনি নতুন শখ খুঁজছিলেন।

কিনসুগি চেষ্টা করে দেখুন, প্লিজ।

এসব ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা
সৈনিকেরা নতুন কিছুর খোঁজে আছে।

তারা মিশনের জন্য তৈরি।

তাদেরকে একসাথে করার
একমাত্র মাধ্যম হলেন আপনি।

আগের চেয়ে শক্তিশালী,

এবং ভয়ংকর বানাতে।

এভাবেই টিম জোকারের শুরু হয়েছিল।

দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ মিশন,

যেটা কেউ করতে পারবে না,
এবং এটার দায়ভারও নিবে না...

এটাই আমাদের আস্তানা ছিলো।
এবং আমাদের থামানোর সাধ্য কারো নেই।

কিন্তু এই কাজে যে কেউ বাঁধা দিবে

যেমন আমাদের কর্নেল, লুথ্রা।

বাহ!

সুন্দর।

খুব সুন্দর।

জায়গাটা আমাদের এবং অন্য
ডিপার্টমেন্টের বিনোদনের জন্য সংরক্ষিত ছিলো।

জিম, সোনা, পুল টেবিল ইত্যাদির জন্য।

সোনা?
পুল টেবিল?

এক্সকিউজ মি, স্যার।
মজা করছেন।

- তারা সবাই আমার অফিসার।
- তারা অফিসার না।

তুমি কয়েকজন ভাঙ্গাচোরা জোকারকে
একসাথে করে টিম জোকার বানিয়েছ।

তারা শুধু ভাঙা ডিমের খোসা।

কোন সাহসে এ কথা বলেন!

দারুন কাজ করেছ, বন্ধুরা।

- রিশি, সাবাস!
- ধন্যবাদ, স্যার!

- তোমার মনে হয় আমিও এখানে আছি...
- না, ম্যাম।

ওহ, পাঠান।
আমি শুধু খেলা করছিলাম।

আমার সুপিরিয়রের
সাথে এভাবে কথা বলব?

কখনো না।

বাচ্চাদের মতো কথা বোলো না।

মানছি রিশি কাজটা
ভালোভাবেই করেছে।

কিন্তু পাঠান, আমার সাথে
উল্টো পাল্টা কিছু করবে না।

- অসময়ে আসলাম না-কি?
- না, স্যার।

ওহ!

সে দেখতে কিছুটা ফ্যাকাশে।

এবং তার চোখের নিচে
ব্যাগগুলো তোমরা দেখতে পাওনি।

তোমরা লুথ্রা এর ডাবল থুতনি দেখেছ?

একদম পেট পর্যন্ত ঝুলে আছে।

এবং তার মুষ্টি দেখেছ?

স্যার!

খুব ভালো।

একদম গুরুত্বপূর্ণ ডিপার্টমেন্ট।

এবার আমি ডিফেন্স সেক্রেটারিকে
সঠিক ফায়সালা জানাতে পারব।

প্রথমেই বলেছি,
তোমরা সবাই ভাঙ্গাচোরা ডিমের খোসা।

কি যে করেন না, ম্যাম!

স্যার, স্যার।

স্যার, এখানে যেহেতু এসেছেন,
দুমিনিট অপেক্ষা করুন।

আপনাকে কিছু দেখাতে চাই।

এরোফ্লট ৩৯৪ সি- ১৪৪ নিহত।

ড্যাস বলেছে এটা তাদের কাজ।

নরওয়ের জাহাজ, এসগার্ড।
এডেন এ ধংস করা হয়েছিল।

শতাব্দীর অন্যতম ইকোলজিক্যাল বিপর্যয়।

বোকো হারাম কার্টেসি।

বোকো হারাম কার্টেসি।

জাপানে রাসায়নিক হামলা...

জাপানের আলেফ দল এটার দায়ভার নিয়েছে।

ভেবেছ এসবের খবর আমি রাখি না?

না, স্যার।
এটা আলেফ না

বা বোকো হারাম বা ড্যাস এর কাজও না।

তারা সরাসরি এতে জড়িত ছিল না।

বাইরের কোন এক
প্রাইভেট সন্ত্রাসী দলের কাজ।

যারা শুধু কন্টাক্টে কাজ করে,
তাদের নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নেই।

আচ্ছা?

সন্ত্রাসীরাও এখন সহযোগীতা করছে?

মানলাম এমন কোন গ্রুপ আছে, তো কী?

এটা ইন্টারপোলের সমস্যা,
ইন্ডিয়ার না।

আসলে স্যার,
এটা এখন ইন্ডিয়ার-ই সমস্যা।

কারণ তাদের পরের টার্গেট ইন্ডিয়া।

এবং বড়সড়ো কিছু করবে।

দুবাইয়ে ভিতরে।

ডার্কনেটে এটা খুঁজে পেয়েছি, স্যার।

X গ্রুপ ডুবাইতে বড় কিছুর প্ল্যান করছে।

এই এশিয়ান সাইন্টিফিক কনফারেন্সে

দুজন ইন্ডিয়ান সাইন্টিস্ট রিপ্রেজেন্ট করছে...

এই কনফারেন্সে আমাদের প্রেসিডেন্ট

মূল্যবান একটা ঠিকানা দিবে।

তারা প্রেসিডেন্টকে ধরতে আসছে।

আমাদেরও তাই মনে হয়, স্যার।

সিকিউরিটি যেন তিনগুণ বাড়ানো হয়।

তারা যেন প্রেসিডেন্টের
ধারেকাছে আসতে না পারে।

- ধন্যবাদ, স্যার।
- ধন্যবাদ।

আরেকটা অনুরোধ, স্যার।

যদি আপনি অনুমতি দেন,

তাহলে আমার সাথে...

এই ডিমের খোসাগুলোকে
দুবাই নিয়ে যেতে চায়।

ভরসা রাখ, লুথ্রা।

তুমি প্রেসিডেন্টকে সুরক্ষা দাও।

X গ্রুপকে সামাল দিচ্ছি।

[দুবাই, আরব-আমিরাত]

তুমি মন্ত্রীর সুরক্ষা নিশ্চিত কর।

আমি শেষ মিনিটে এসে
প্রসিডেন্টের রাস্তা বদলে দিয়েছি।

বোমার কোন নিশানা নেই।

স্নাইপার যে-কোন জায়গা
থেকে শুট করতে পারবে।

সন্দেহজনক কিছুই নেই, পাঠান।

ইন্টেল সত্যি ছিল, স্যার।

কিন্তু তাদের কাছে রেডিও সাইলেন্স আছে।

হয়তো তারা সাবধানতা
অবলম্বন করছে, নয়তো...

স্যার, আপনি বলেছেন যে
প্রেসিডেন্টের রাস্তা পরিবর্তন করেছেন।

আগে কী ছিলো?

আগে সে দুজন সাইন্টিস্ট এবং
প্রেস টিম একসাথে যাওয়া কথা ছিলো।

সাইন্সকে সাপোর্ট দেখানোর জন্য।

এখন প্রেসিডেন্ট সব
সিকিউরিটির সাথে অন্য রাস্তা দিয়ে যাবে।

আর আমাদের সাইন্টিস্ট?
তারা কি প্রেসিডেন্টের সাথে যাচ্ছে না?

না। বেশি গাড়িতে
সিকিউরিটির সমস্যা হতে পারে।

আমি চাই পুরো NSG কমান্ডার
প্রেসিডেন্টের উপর নজর রাখুক।

তারমানে এখন আর সাইন্টিস্ট দু'জন,

NSG'র অধীনে নেই।

ধুর বাল!

তারা চালাকি করে
প্রেসিডেন্টের রাস্তা পরিবর্তন করেছে।

তাদের টার্গেট প্রেসিডেন্ট ছিলো না, স্যার।

ভেবেছিলাম প্রেসিডেন্টের
সাথে একটা সেলফি তুলব।

স্ত্রী এতে ইমপ্রেস হবে!

৩০ বছর সংসার করার
পরও ইমপ্রেস করতে চান?

সাইন্স অনেক সহজ বিষয়, ফারুকী।
কিন্তু ভালোবাসা অনেক কঠিন বিষয়।

"দেশপ্রেমিক"

স্যার, আমাদের উপর হামলা হয়েছে!

তোমার কথাই ঠিক ছিল, পাঠান।

তারা সাইন্টিস্ট এর বহরে হামলা করেছে।

সাইন্টিস্ট এর ফোনের জিপিএস লক কর।

- ওকে, স্যার।
- জলদি!

দাঁড়াও, গুলি কোরো না!

প্লিজ!

ড. শাহানি, ড. ফারুকী।

আমার কথা শোন।
ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে বসো।

কারণ তোদের পেছন মারব।

তারা সাইন্টিস্ট দু'জনকে
গ্রে হ্যামারে করে নিয়ে যাচ্ছে, পাঠান।

স্যার, আমি হ্যামারের লোকেশন পাঠাচ্ছি।

ওইতো হ্যামার, স্যার।

পাঠান, অনেকদিন ধরে অপেক্ষা
করছি তোমার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য।

"র" তে থাকার সময়
তোমার অনেক গল্প শুনেছি।

বান্দাকে "জিম" নামে ডাকে।

জিম?

আমার মৃত্যুর খবর নিশ্চয় শুনেছিলে।

তো?

আসলে, আমি ইন্ডিয়ার জন্য মারা গেছি।

এই নাও প্রমাণ।

বীর পুরষ্কার।

মরেছি একদম বীরের মতো।

কীভাবে, জীম?

- শুনেছিলাম...
- আমি সবচেয়ে সেরা?

ঠিক শুনেছিলে।
এখনো সেরা আছি।

কিন্তু সে আমার মন ভেঙে দিয়েছে।

তোমারটাও ভাঙবে।

তুমি জানো এটা।

পার্থক্যটা হলো
আমি তাকে প্রেমিকা ভাবতাম,

আর তুমি ছেলে।

ভারত মাতা!

তুমি ভাগ্যবান।

এটা ভেবে মরবে যে তোমার
দেশভক্তি সত্যি ছিলো।

এমন একটা মেডেল
তোমার কবরের উপরেও দিবে।

তোমাকে শহীদের মর্যাদা দিবে।

কিন্তু দেশের কাছে তোমার মূল্য কত?

জিরো।

অন্য পরিস্থিতিতে হলে,
আমরা হইতো বন্ধু হতাম।

আফসোস হচ্ছে!

কার্ড হাতে আসলেই দান চালা লাগে।

কিন্তু এবারের দানে,
সব টেক্কা আমার হাতে।

রাজা! রিশি!

রিশি!!

রিশি!

- আমার সিট বেল্ট।
- আমি আটকে গেছি।

পাঠান, আমার সিট বেল্ট।

রিশি!

বেরোও!

- পা আঁটকে গেছে।
- বেরোও!

পা আঁটকে গেছে, স্যার।

রিশি।

- পা আঁটকে গেছে, স্যার।
- রিশি।

পাঠান!

পা আঁটকে গেছে, স্যার।

- আমাদের যেতে হবে, পাঠান!
- দাঁড়াও!

- রাজা!
- গাড়ি কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্লাস্ট হবে!

- তাকে এখান থেকে নিয়ে যাও!
- আপনার কিছুই করার নেই।

- পাঠান, জলদি যেতে হেবে।
- আপনি যান, স্যার।

কিছু করার নেই।

স্যার, এটা সম্মানজনক মৃত্যু হবে।

জলদি চল, পাঠান!

পাঠান!

জয় হিন্দ!

রাস্তা বন্ধ করে দাও!

হেলিকপ্টার কিন্তু টানেল
ভেদ করে যেতে পারবে না,

সোজা সামনের দালানে ব্লাস্ট করবে।

তো, পাঠান!
এরপর কী করবে?

তাদের জীবন
এই দঁড়ির উপর নির্ভর করছে।

স্রেফ তুমিই পারবে দঁড়ির গিট খুলতে।

তো, কোন পথ বেছে নিবে, বন্ধু?

ভালো না-কি কমন সেন্স?

ভারত মাতাকে আমার সালাম জানিও!

বলবে আমি জলদিই আসছি।

কিছু পুরোনো হিসাব বাকি রয়েছে।

জিম।

মৃতদের উপর থেকে ভরসা উঠে গেছে।

জিম "র" এর অফিসার ছিল?

জিম এবং কবির।

আমাদের সেরা এজেন্ট ছিলো।

দুজনের মধ্যে বেশ মিল ছিলো।

ক্যালকুলেটিভ, নির্ভুল, সুশৃঙ্খল।

আমাদের পাঠান সাহেবের মতো না।

যে প্রথমে নিজের মনের কথা শোনে,
পরে তার সুপিরিয়রদের কথা শোনে।

- কী হয়েছিল?
- একটা দূর্ঘটনা।

ONCC টিমের কথা মনে আছে,
যাদের সোমালিয়ার দস্যুরা অপহরণ করেছিল?

ঐখানে জিম একাই গিয়েছিল।

সে বিনা অস্ত্রে ছয়জন
বন্দীকে ছাড়িয়ে এনেছিল।

দস্যুরা এটার প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল।

তারা জিমকে খুঁজে পেয়েছিল।

জিম এবং তার স্ত্রীর জন্য
তারা ১০কোটি টাকা চেয়েছিল।

কিন্তু আমরা সন্ত্রাসীদের
সাথে সমঝোতা করিনি।

তুমি দেশকে অনেক ভালোবাসো!

কিন্তু তোমার দেশ,

তোমাকে ভালোবাসে না।

না!

না!

না! না!

না!

না।

না!

প্লিজ, তাকে ছেড়ে দাও!

না!

না!

না!

না!

না!

না!

জিমের লাশ খুঁজে পাইনি।
ভেবেছিলাম সে মারা গেছে।

তাকে একটা মেডেল
দেওয়া হয়েছিল, বীর পুরুষ্কার।

তার এক চাচা মেডেল নিতে এসেছিল।

আমাদের এজেন্ট বা তার পরিবার এমন
পরিস্থিতিতে পড়লে কেন মুক্তিপণ দেন না?

ডিপার্টমেন্টের তহবিলে
তো টাকার অভাব নেই, স্যার।

তহবিলের টাকা আমাদের
নিজস্ব কাজে ব্যবহৃত হয় না, পাঠান।

দারুণ পূন্যের কাজ, স্যার!

এই কাহিনি যদি
প্রসিডেন্টের পরিবারের সাথে হতো?

দূর্বলেরা মাথা নত করে, পাঠান।

সৈনিক না।

এখন এই সৈনিক
আমাদের মাথা নত করাবে।

কর্ণেল,

আমি তার দৃষ্টি দেখেছি।

সেখানে ভুল, সঠিক বা
ভালো-খারাপের কোন পার্থক্য ছিলো না।

আপনার একটা ভুল সিদ্ধান্ত তাকে
এই পরিস্থিতিতে এনে দাঁড় করিয়েছে।

আর এখন

সে থামবে না।

শ্বেতা, ডার্কনেট ঘেটে দেখ।

- রক্তবীজ।
- এটা আবার কী?

ডার্কনেটে এটা কয়েকবার ব্যবহৃত হয়েছে।

- রক্তবীজ। মনে হচ্ছে এটা কোন কোড।
- কোন মানুষ না-কি জিনিস বোঝাচ্ছে?

ডুবাইতে যারা মরেছে তাদের পরিচয় জানতে পেরেছ?

হ্যা, স্যার।
সবাই সাবেক সৈনিক এবং সিক্রেট এজেন্ট।

কিছুদিন আগে সবার
একাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।

একই একাউন্ট থেকে?

হ্যা, এক পাকিস্তানি ডাক্তার।
রুবিনা মহসিন।

সে লন্ডনে থাকে।

তার একাউন্ট পুরো মাস বন্ধ ছিলো।
কিছুদিন আগে এই টাকাগুলো পাঠানো হয়েছে।

সে কিছু জানে কি না কে জানে।

তার একাউন্ট ব্যবহার করলে
ব্যাংক নিশ্চয় মেইল পাঠাবে।

তার ই-মেইল হ্যাক করেছি।
একমাস ধরে কোন লগইন করিনি।

তার ফোন এখন বন্ধ।

কিন্তু দুই ঘন্টা আগে,
নেটে কিছু একটা চেক করেছিল।

সে ফ্লাইট বুকিং করেছে।

কোথায় যাবে?

অন্য এজেন্ট হলে,
ইরাক নয়তো সিরিয়া যেত।

কিন্তু আপনার ভাগ্যে...

স্পেন আছে।

আমিও ছুটি কাটানোর
জন্য মরিয়া হয়ে আছি।

Tonight...

life is complete

In this instant...

life is rich

Tonight...

life is complete

In this instant...

life is rich

My heart has been robbed

by my lovers

How they torment me

These crazy thoughts of mine

The moment I feel a wave
of modesty

I throw it to the wind

The world has not seen
my true colours

My heart has been robbed

by my lovers

How they torment me

These crazy thoughts of mine

The moment I feel a wave
of modesty

I throw it to the wind

The world has not seen
my true colours

শ্বেতা, ডাক্তার রুবিনা মহসিনের
ডিটেইলস পাঠাচ্ছি। চেক কর।

I'm like a breath of fresh air

My style, my habits,
all new

I'm like a breath of fresh air

My style, my habits,
all new

I never follow the right path

The path of wrong
is so inviting

Tonight...

life is complete

In this instant...

life is rich

When I feel a wave of modesty

I throw it to the wind

The world has not seen
my true colours

My heart has been robbed

by my lovers

How they torment me

These crazy thoughts of mine

Tonight...

life is complete

by my lovers

life is complete

My heart has been robbed

by my lovers

Tonight...

life is complete

by my lovers

life is complete

চখাম, তাই না?

সরিষার দানা ছিটালে
পিঁপড়া নিজ থেকেই চলে আসে।

এক ব্যাংক একাউন্ট এখানে,
সিমকার্ড ওখানে...

আর পাঠান নিজে এসেই হাজির।

শিকারী নিজেই...

শিকার হয়ে গেছে!!

আমার দলের সাথে পরিচয় হও, পাঠান।

রাফে, সাবেক জি আইডি।

সার্জেই, সাবেক এসবিইউ।

বেগিও, সাবেক এআইএসআই।

ডিট্রিস, সাবেক বিডিডি।

এবং রুবাই, সাবেক আইএসআাই।

দারুণ।

পৃথিবীর সব দেশের
সেরা এজেন্টই এখানে আছে।

শুধু ইন্ডিয়ার এজেন্ট নেই।

পূরণ করবে নাকি জায়গাটা?

আমাকে পজিশন অফার করছ?

আসলেই?

আমিও তোকে একটা
পজিশন অফার করতে এসেছি।

একটা ছয় ফিটের গর্ত খুঁড়ে রেখেছি।
সেখানে ঘুমানোর পজিশন।

এরকম অর্ধ নগ্নভাবে যাবে,

না-কি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাব?

আমার নামে কবর ইতোমধ্যে
রেজিস্ট্রার হয়ে গেছে, পাঠান।

তোর নামেও হয়েছে।

যেদিন তুই সৈনিক হয়েছিস।

এটাই তো আমাদের
ভারত মাতা সবাইকে দেয়।

কাফনের সাপ্লাই।

লাশের নাম বদলে যায় শুধু।

দেখলে, পাটান?

আমরা এখানে কারো হুকুম চুদি না।

নিজের ইচ্ছাতে সব কাজ করি।
এবং নিজেই দরদাম করি।

আমাদের সাথে যোগ দে, পাঠান।

তাহলে, ধনী এবং শক্তিশালী হতে পারবি।

নয়তো মৃত লাশ-ই হবি।

সোজা হিসাব।

ইংরেজিতে গালি দিব,

না-কি দেশি ভাষায় বোঝাব?

তোমরা বাজি হেরে গেছ।

বলেছিলাম না,
সে মানা করবে।

তোমার লাশ বাজি জিতিয়ে দিল।

সরি, পাঠান।

তুই যদি সাথে না থাকিস,
তাহলে আমার বিপক্ষেও থাকতে দিতে পারব না।

সরি, পাঠান।

এটা ব্যক্তিগত কিছুই না।

আসলেই?

বেডি মানুষ!

এটা আপনার, ম্যাম।

- ভাগো।
- হ্যাঁ।

তুমি আসলেই সাবেক আইএসআই?

সাবেক না।

ভেবেছ শুধু তুমিই আউটফিট
X এর উপর নজর রাখছো।

একবছর ধরে তাদের
উপর নজরদারি করছি।

তাহলে এসব কিসের জন্য?

কারণ আমি যেটা চাই তা
জলদি তোমার সাথে হবে।

আমরা "একসাথে" হলাম কখন?

তোমার জীবন বাঁচানোর পর থেকে।

তুমি আমাকে বিপদের মুখে ফেলেছ।

তাই না?

- ভাগো।
- কোথায়?

কোথায় যাচ্ছো?

- দাঁড়াও!
- ধুর!

বাহ সুন্দর।

তুমি দেখি পাক্কা নিশানাবাজ!

ওই গুন্ডারাও।

বাবা!

বাবা!

শুভ সকাল!

স্রেফ ১৮ ঘন্টা ধরে বেহুশ ছিলে।

আরামসে।

জ্বর কমে গেছে।

কোনো ইনফেকশন হয় নি। এবং
ভাগ্যক্রমে গুলি কোন অর্গানে লাগেনি।

ঘুমের মধ্যে বাবা বলে চেচাচ্ছিলে।

তাদেরকে তোমার
বাবাকে ছেড়ে দিতে বলছিলে।

বাবা...

সে মধ্যপ্রাচ্যের একজন সাংবাদিক ছিলো।

কয়েকটা প্রশ্ন বেশি জিজ্ঞেস করে ফেলেছিল।

সবকিছু একটু বেশিই ছাপিয়েছিল।

এজন্য তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল।

এবং পরিবারকে বারান্দায় বসিয়েছিল।

এরপর মায়ের সাথে পাকিস্তান
গিয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলে।

হয়ে গেলে ডাক্তার রুবিনা মহসিন।

তারপর, মানবতা রক্ষার্থে,

আইএসআই তে যোগ দিলে।

ওহ, আচ্ছা।

চিয়ার্স।

এর থেকে সস্তা মদ আর পাওনি?

আসলে, আইএসআই
এর মতো এতো বাজেট নেই।

কিন্তু,

তুমি আমাকে কেন বাঁচিয়েছ?

তোমার সুন্দর চেহারা
আর ব্যাক্তিত্বই কি যথেষ্ট না?

একদম, কারণ
আমি দেখতে অনেক সেক্সি।

কিন্তু তুমি বলেছে, তুমি যা চাও
সেটা আমার সাথে জলদি হবে।

তো জানতে চাই,
"আমরা" আসলে কী চাই?

রক্তবীজ।

নামটা শুনেছ?

সে একটা পিশাচ ছিলো।

তার রক্ত যেখানেই পড়তো,

আরেকটা রক্তবীজ জন্ম নিতো।

মূলত, রক্তবীজকে মারা অসম্ভব ছিলো।

রক্তবীজ যা-ই হোক,
ওটা রাশিয়াতে আছে।

সাত দিন পর...

সাত দিন পর... কী?

সাত দিন পর জিম
রক্তবীজের ডেলিভারি নিবে।

এবং তারপর খারাপ কিছু হবে।

- তো আমাদের হাতে...
- সাত দিন সময় আছে, বুঝেছি।

চিয়ার্স।

চিয়ার্স।

মনে হচ্ছে আইএসআই এবং ইন্ডিয়া
সম্পর্কে পড়ানোর দিন তুমি স্কুলে যাওনি।

কারণ আমাদের
সম্পর্কটা তেমন সুবিধার না।

তাছাড়া, প্রথম সাক্ষাতে, তুমি জিমের বন্দুক
সোজা আমার মাথায় ধরেছিলে। মনে আছে?

তো এটা ব্যক্তিগত ভাবে নিও না,

কিন্তু আমার খানিকটা
বিশ্বাসগত সমস্যা আছে।

কিন্তু কিছু জিনিস বিশ্বাসগত
সমস্যার থেকেও বেশি জরুরি।

যেমন, সাত দিন এবং রক্তবীজ।

তো কাজটা করবে না-কি করবে না?

একসাথে যাব?

না-কি যাব না?

রাশিয়া অনেক বড় শহর।

কোন ঠিকানা বা কোন সুত্র জানো?

মানে, কিছু একটা জানো...

ভল্ট ৪১২, মস্কো,
ওয়াচবিচ টাওয়ার।

জায়গাটা নিশ্চয় চেনো।

তিন বছর তো তুমি
রাশিয়াতে কর্মরত ছিলে।

আমার ব্যাপারে আর কী জানো?

সবকিছু এখনই জানতে চাও?

ডরাইলাম।

একজন আইএসআই এজেন্ট আমাদের বলছে
যে জিম মস্কোতে কিছু একটা করতে যাচ্ছে।

হ্যা, ম্যাম।

আমিও রক্তবীজের
নাম ডার্কনেটে শুনেছি।

জিনিসটা কি সেটা জানো?

না, ম্যাম।

এজন্যই বলছি জিনিসটা
যেখানে, যেভাবে আছে থাকতে দাও।

জানি, তুমি রাশিয়ার প্রতিটা কোণা চেনো।

কিন্ত রাশিয়া এখনো
বন্ধুত্বপূর্ন দেশ এবং গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।

কিন্তু মস্কো বা দিল্লিতে
আমি খারাপ কিছু হতে দিব না।

ম্যাম, আপনি জানেন
জিম রক্তবীজকে চায়।

জিনিসটা সে কিনতে
না পারলে চুরি করবে।

যদি ধরা পড়ে যাও?

তাহলে সমঝোতা করবেন না।

আমি জিম নই।

ধ্যাৎ।

এই রক্তবীজ যা-ই হোক,

আইএসআই বা
জিমের হাতে যেন না যায়।

যাও, গিয়ে উদ্ধার কর।

লাভ ইউ, ম্যাম।

[মস্কো, রাশিয়া]

স্বাগতম।

স্যার, আপনাকে
চারদিক টা ঘুরিয়ে দেখাচ্ছি।

আমিও।

- ইংরেজি ডিকশিনারির কিনে নিবি।
- ধন্যবাদ স্যার, ধন্যবাদ।

কিছু লাগলে আন্দ্রেকে বলবেন।

মধুচন্দ্রিমা উপভোগ করুন।

আমরা হানিমুনে এসেছি সেটা বলনি তো।

যদি মানা করতে, তাহলে
আন্দ্রে অনেক কষ্ট পেতো।

দেখ, দৃশ্যটা কত সুন্দর!

ওয়াও!

কখনো ভাবিনি হানিমুনের
রাতে এতো বড় বিল্ডিং দেখব!

আমার সাথে থাকলে,
আরো মজা করতে পারবে।

এই বিল্ডিং-এ বেশিরভাগ
কর্পোরেট অফিসার থাকে।

WOSKWICH TOWER

এই মসকুইচ টাওয়ারে।

এই বিল্ডিং-এর ৯২ তম ফ্লোরে
পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ ভল্ট রয়েছে।

92ND FLOOR - SECURED VAULT

ভাবো, একটা ৩০ ফিট × ৩০ ফিটের রুম।

যেটা কোন চাবি বা বিস্ফোরক
দিয়ে খুলতে পারে না।

কোন লেজার দিয়ে কাটতে পারবে না।
কোন এসিড দিয়ে গলাতে পারবে না।

কাটতে পারবে না, ভাঙতে পারবে না।
উড়াতে পারবে না, জ্বালাতেও পারবে না।

খুলতে তো পারব!

কিন্তু, কিন্তু, কিন্তু,
একটা সমস্যা রয়েছে।

ভোল্টের একটা তালা এবং
চাবি দুজন ভিন্ন ব্যক্তির কাছে থাকে

তো যখনই এটা খোলার প্রয়োজন হয়,

কাকাবাবু বাড়ি থেকে তালা নিয়ে আসে

এবং কাকিমা চাবি নিয়ে আসে।

তালা আর চাবি একসাথে লাগালে
গঙ্গা এবং যমুনার মতো মিলিত হয়।

তো, তালা এবং চাবি
একসাথে চুরি করা লাগবে?

একদম।

কিন্তু একটা ঝামেলা আছে।

তালা ১২ কি.মি দূর
গ্রিগর কাকার অফিসে আছে।

GRIGOR UNCLE - 12 KMS

আর চাবি ১৬ কি.মি. দূর
ক্যারেন কাকির অফিসে।

KAREN AUNTY - 16 KMS

এবং অফিসের রাস্তা ভিন্ন ভিন্ন।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার কী জানো?

তালা-চাবি চুরি করার পর
ভল্টে ১০ মিনিট পর পৌঁছাতে হবে।

10 MIN

- কী বললে?
- কী?

মিষ্টি ছাড়া দই খেতে ভালো লাগে।

তালা এবং চাবি নিজের
জায়গা থেকে সরালে,

একটা এলার্ম চালু হবে।

১০ মিনিট পর, FSB 'র হেডকোয়ার্টারে
একজনকে "কোড" দেওয়া লাগবে।

যে এটা আমাদের লোক,
রুবাই এবং পাঠান না।

- নইলে...
- নইলে কী?

সব শেষ।

তারপর তালা, চাবি, দোয়া,
কোন কিছুতেই কাজ হবে না।

যতক্ষণ না সিস্টেম তিন
জায়গা থেকে আবার চালু করছে।

খেলা শেষ।

কিন্তু আমরা ১০ মিনিটে মস্কো
থেকে ভল্ট পর্যন্ত কীভাবে পৌঁছাব?

প্রথম ধাপঃ আসল তালা পেতে হলে,
আরেকটা তালা খোলা লাগবে।

যেটা খোলার জন্য গ্রিগর
কাকার আঙুলের ছাপ লাগবে।

- আশেপাশে পুলিশ আছে?
- কেন?

কারণ তোমাকে বোমের মতো লাগছে!

- তো ফাটাবে।
- অবশ্যই।

বুম!

দ্বিতীয় ধাপ:

চাবি আছে ক্যারেন কাকির কাছে।

- তাকে পটানোর চেষ্টা করবে না-কি?
- করতাম।

কিন্তু সে আমার টাইপের না।

তবে তার খাবারে
ঘুমের বড়ি মেশানো হবে।

♪তুমি আমার কিরণ!♪

♪তুমি আমার কিরণ!♪

শুভরাত্রি, কি-কি-কি-কিরণ।

তৃতীয় ধাপ: আমাদের দুটো
প্লেন এবং দুজন পাইলট লাগবে।

একদম প্রফেসনাল লোক লাগবে।

তুমিই কি এই জায়গা পছন্দ করেছ?

না। আমাদের পাইলট পছন্দ করেছে।

পাইলট? হ্যা।

তারা দেরি করেছে।
একদম প্রফেসনাল।

আসলে, প্লেন তারা শখের বসে চালায়।

তারা আসলে প্রফেশনাল গায়ক।

- গায়ক?
- গায়ক।

আরে বিল টা তো দিয়ে যাবে?

রুবাই, শোনো।
চিজ খাবে না?

- এবার, চতুর্থ ধাপ।
- এটা আবার কোন ধাপ?

যেটাই হোক।
কিন্তু মজা পাবে।

আপনি এবং আপনার
স্ত্রী কি বিশেষ কিছুর খোঁজ করছেন?

হুম, বিশেষ কিছু।

২০, ০০০ বুবলস আয় করতে চান?

রুবলস!

আমি কী বললাম?

মানে রুবলস!

জলদি শুয়ে পড়া যাক।
কাল বিকাল বেলা।

রক্তবীজের সাথে মিটিং আছে।
আমাদের শেষ ধাপ।

মনে হচ্ছে, তুমি এই হানিমুনের
রুমটাকে একটু বেশি সিরিয়াসলি নিচ্ছ।

কাল রক্তবীজের সাথে মিটিং আছে, তো...

খানিকটা রেস্ট কর।

এটাই সম্ভবত রাশিয়া
জেলে আমাদের শেষ রাত।

তাহলে সময় নষ্ট না করাই ভালো।

হ্যা! নষ্ট করা ভালো না।

হইতো আমি...

ব্যান্ডেজ লাগাতে সাহায্য করবে?

ব্যান্ডেজ? অবশ্যই।

মনেপ্রানে এটাই তো
লাগাতে চেয়েছিলাম।

পাঠান।

মানে, তুমি পাঠান বংশদ্ভূত?

তুমি কি মুসলিম?

রুবাই, আমি নিজেই
জানি না আমি কী বা কে।

বা আমার মা-বাবা কে।

এটাও জানি না কেন তারা আমাকে
সিনেমা হলে ছেড়ে চলে গিয়েছিল।

ওখান থেকে এতিমখানায়,
তারপর কিশোর নিবাসে,

এরপর ওখান থেকে জেলে।

মনে কর,
আমার দেশই আমার মা-বাবা।

যখন বড় হতে লাগলাম,

তখন ভাবলাম
একজন ভালো ছেলের মতো,

আমার মা-বাবার সেবা করব।

এজন্য ইন্ডিয়ান মিলিটারিতে যোগ দিলাম।

- সরি।
- সমস্যা নেই।

যা-ই হোক,

কোন মুভি চলছিলো যখন
ছেড়ে চলে গেছিলো সিনেমা হলে?

তুমি আবেগ সিরিয়াস ভাবে নাও না?

তুমি নাও না-কি?

কখনো না।

তো, লাওয়ারিশ থেকে
খোদা ভক্ত কীভাবে হলে?

২০০২ সালে

আফগানিস্তানে আমেরিকা
আর্মির সাথে অপারেশনে ছিলাম।

আমার প্রথম মিশন।

[আমেরিকার মিলিটারি ক্যাম্প, আফগানিস্তান]

ঐ দিন আমেরিকার টার্গেট ছিলো সালাউদ্দিন হুসেইনি,

এক তালেবান নেতা।

INACTIVE

তার ফোনের জিপিএস লক
করে, সেই লোকেশনে মিসাইল ছুড়েছিল।

এই হুসেইনি ছিলো আবার
একটা মাদ্রাসার মাওলানা।

লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে।

কিন্তু সমস্যা হলো সেই
মাদ্রাসাতে তখনো ৩০ জন বাচ্চা ছিলো,

আর মিসাইল পৌঁছাতে
সময় ছিলো মাত্র এক মিনিট।

মিসাইল মাদ্রাসা বরাবরই যাচ্ছিলো।

বাচ্চারা তখনো ভিতরে ছিলো।

এক মাস কোমাতে ছিলাম।

প্রত্যেক দিন সবাই
আমার জন্য দোয়া করত।

সুবহানাল্লাহ।

কেমন আছো?

- সালাম।
- সালাম।

এই গ্রামের প্রত্যেকে
তোমার জন্য দোয়া করেছে।

হলফ করে বলছি, কোনো পাঠানের মা

তোমার থেকে সাহসী ছেলে জন্ম দেয় নি।

আজ থেকে তুমি
আমাদের আর আমরা তোমার।

আমাদের পাঠান।
[আফগানিস্তানের মুসলিমদেরকে পাঠান বলা হয়]

জানো?

প্রতিবছর,

ঐ গ্রামের সবার সাথে
ঈদ উৎসব পালন করি,

আমার পাঠান পরিবারের সাথে।

মনে রাখবে ব্যাগ উঠানোর
পর ১০ মিনিট সময় পাবে।

- হয়ে গেছে।
- রুমাই, এলার্ম চালু কর।

৩, ২, ১...

যাও!

ক্যারেন, তোমার কাছে
কি এটার ফাইল আছে...

তুই আবার কে?

"MALFUNCTION"

রুবাই!

একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

রুবাই, বিল্ডিং এর উপর
যাওয়া মাত্রই, দড়িটা কাটতে হবে।

ক্যাপ্টেন, আমার কথা শুনুন।

পাগল হলে না-কি?

যা বলছি করুন।

খাইছে রে...

৯০ সেকেন্ড দেরি করে ফেলেছি।
এক মিনিট পর এলার্ম বাজবে। জলদি!

- ভল্টের নাম্বার?
- ৪১২।

এগুলো কীভাবে খোলে?

তারজন্য সময় নেই।

এই নাও।

আমার দিকে ছুড়ে মার।

পাঠান।

সরি।

এটা খোলা অসম্ভব।

এটা সম্ভব, পাঠানের জন্য।

পাঠান?
সে কেন তোমাকে সাহায্য করবে?

মেট-চেক।

মানে "চেক মেট"?

যখন রাজা দেখবে রানি
তার জন্য জীবন দিতে রাজি,

তখন রাজা রানির দিকে ধ্যান বেশি দিবে।

আর যতক্ষণে রাজা
রানির চাল বুঝে উঠবে, ততক্ষণে...

দেরি হয়ে যাবে।

"চেক-মেট"

মানে রাজা শেষ।

[বর্তমান সময়]

প্লেন কিছুক্ষণের মধ্যেই নিচে নামবে।

তো, রাশিয়ারা পাঠানকে বন্দি করেছে?

হ্যা। এবং অনেক নির্যাতনও করেছে।

[ব্ল্যাক প্রিজন]

এইটা না, এইটা না।

এটাতে অনেক ব্যাথা করে।

না! অনেক ব্যাথা করে!

বলে দাও, পাঠান।

শেষে সবাই কিন্তু বলে দেয়।

হিন্দি দেখি ভালোই বলতে পারিস।

তোর মা ইন্ডিয়া আইছিলো,
না-কি মিশনে এসেছিলি?

জানি অনেক ব্যাথা সহ্য করতে পারবে।

কিন্তু কতটা পারবে?

পাঠানকে কড়া সিকিউরিটির
একটি জেলে ভরে রেখেছ।

শেষবার ঐখানেই
তার সাথে দেখা হয়েছিল।

সে আমাদের দলে নেই।

ওহ প্লিজ, মিস গুরুয়াল,
সবাই জানি সে মার্কোসের এজেন্ট।

আগে ছিল।
পরে সে বেপরোয়া হয়ে যায়।

তোমার কি মনে হয়, এমন
বেয়াদবি আমরা করতে দেব?

সে যা করেছে,
সেটার দায়ভার আমরা নিতে পারব ন।

তো তার সাথে যা-ই করি না
কেন আপনার কোন মাথাব্যথা নেই?

সানন্দে করতে পারেন।

যদি "সে" বেঁচে যায়,

তাহলে দুইটা গুলি আমার হয়ে মেরে দিবেন।

পরে পুষিয়ে দিব।

তোর হাড্ডি মাংস এক করে দিব আজ।

তুই আজ খতম।

কী যেন বলছিলো?

তোকে আজ ভর্তা বানাবো।

ভাইলোক, খানিকটা রেস্ট করে নিই!

প্লিজ।

দাড়া...

কফিশপ থেকে আসলি না-কি?

এবং ফার্মেসি থেকে।

এই নে ব্যথার বড়ি।

পুরুষের আবার ব্যথা কিসের।

খেয়ে ফেল, ভাই।

ওরা আসছে।

রেস্ট করা শেষ হলে
এবার কাজে লেগে পড়।

টাইগার, ওর কাছে গ্রেনেড।

- তো?
- পিন আমার কাছে।

পিন খোলা কবে বন্ধ করবি?

সরি।

এদের গুষ্টি উদ্ধার করব এখন।
তুই?

আরে ভাই!

পিছে দেখ!

মিশন খতম!

তোর জন্য আসছে?

না, তোর জন্য।

বড় আকাম করছিস, তাই না?

আমি পাঠান, ব্রো।

- দৌড় দেব?
- আমি আগে।

ভয় পেয়েছিস, তাই না?

- হ্যা।
- জানতাম।

তোর জন্য ভয় পেয়েছি।

ফিরে তাকা!

ভাগ রে!

ভাগ, পাঠান, ভাগ!

শোন।

আমি একটা বড় মিশনে যাচ্ছি।

টাইগা কে সম্ভবত
পাঠানের দরকার পড়বে।

তাই বেঁচে থাকিস।

বেঁচেও থাকব এবং
তোকে সাহায্যও করব।

হ্যা, ভাই।
ওয়াদা করছি।

- ওয়াদা কে করতে বলছে।
- তাহলে?

ব্যথার বড়িগুলো দে।

ওহ, ব্যথার বড়ি। এই নে।

এটা তোর,
এটা আমার।

অনেক তেতো তাই না।

এটা ব্যথার বড়ি, চুইংগাম না।

[বর্তমান সময়...]

তো, টাইগার রাশিয়াতে
পাঠান'কে সাহায্য করেছে?

পাঠান এতো সময় ধরে
নিখোঁজ ছিলো কেন?

এই প্রথম কেউ পাঠানকে হারিয়েছে।

সে কসম খেয়েছিল, রুবাই,
জিম এবং রক্তবীজ'কে ছাড়া

ফিরে আসবে না।

রাশিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজাই রাখতে,

পাঠানের অনুপস্থিতি জরুরি ছিল।

আর এখন?

পাঠানের নির্বাসন শেষ হয়েছে।

"দুইটা গুলি আমার হয়ে মেরে দিবেন"

তাছাড়া আর কী বলতাম!
"পাঠান আমার ছেলের মতো,

তাকে বেশি কষ্ট দিবেন না।"

লুথ্রে আপনাকে
রাশিয়া কেন আসতে দিল?

জিজ্ঞেস কোরো না।
সে নিজেই আসতে চেয়েছিল।

সে তোমাকে নিজের হাতে গুলি করত,

যদি সে জানতো আমি ওখানে স্রেফ,

তোমাকে বার্তা দিতে গেছিলাম।

সে আমাদের লোক না।

[আপনি এখানে কেন]

[টাইগার আসছে]

রাফের থেকে কিছু জানতে পারলে?

জিম তার থেকে দুইটা মিসাইল কিনেছিল।

কিন্তু কেন

এবং জিম কোথায় জানে না।

এবং...

রুবাই কোথায় আছে?

প্যারিস? কখন?

কয়েক ঘন্টা আগে।

গতিবিধি?

হাঁটা হাটি, ক্যাফেতে।

সম্ভবত কারো অপেক্ষা করছে।

তাহলে যাওয়াই লাগবে।

একটা মেয়েকে বসিয়ে রাখা উচিত না।

পাঠান, জানি তুমি রাশিয়া থেকে কী চুরি করেছ,

কিন্তু তাদেরকে কখনো
এতোটা টেনশনে দেখিনি।

জিনিসটা খুঁজে বের কর।

জিমকে খুঁজে বের কর।

ম্যাম।

[প্যারিস, ফ্রান্স]

আসসালামু আলাইকুম।

ওয়া আলাইকুম সালাম
ওয়ারাহ্ মাতুল্লাহ্ ওয়া বরকাতুহু।

ধন্যবাদ, রাজা।

এই রোমানন্টিক শহরে, দু'জন প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে,
তুমি তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে গেছ।

তার সাথে আমার পুরোনো
প্রেম-পিরিতির হিসেব বাকি আছে।

একা হিসেব করতে চাই।

একা, রাজা।

ধন্যবাদ।

কথা বলতে চাও না-কি মারতে চাও?

ভেবেছিলাম যখন তোমার সাথে দেখা হবে,

আগে মেরে দিব,

তারপর প্রশ্ন করব।

কিন্তু তুমি যেহেতু
নিজেই এখানে ডেকেছ, তো...

অবশ্যই, রুবাই,

প্যারিসের সাবওয়ে থেকে আরামসে
তোমার ছবি আমাদের কম্পিউটারে চলে এসেছে।

তুমি জানতে যে সিসিটিভি
ফুটেজ আমি অব্দি পৌঁছাবে আর আমি

তোমার অব্দি।

তো আমি চলে এসেছি।
এবার জলদি বল কী বলতে চাও।

রক্তবীজ।

জানতে চাও জিনিসটা কি?

কী?

বসন্ত রোগের ভাইরাস??

এটা তো ১৯৮০ সালেই বিলুপ্ত হয়ে গেছিল।

হ্যা, কিন্তু কিছু রিসার্চ সংস্থা
এটার স্যাম্পল সংগ্রহ করে রেখেছে।

যদি এই ভাইরাস থেকে
লড়াই করার দরকার পড়ে সেজন্য।

ভাইরাস টার স্যাম্পল রাশিয়াতে ছিলো।

যেটা আমরা চুরি করেছি।

কিন্তু কেন?

প্রতিটা দেশে এটার ভ্যাকসিন মজুদ আছে।

যদি ইমার্জেন্সি দরকার পড়ে।

এই ভ্যাকসিন পুরোনো বসন্ত রোগের জন্য।

জিম এটা পরিবর্তন করেছে।

নতুন রোগটা অনেক ভয়াবহ।

এটার ভ্যাকসিন বা
চিকিৎসা আমাদের জানা নেই।

এজন্যই সে ডুবাইতে ড. সাহানি কে অপহরণ
করে একটা বড় মিশনের পরিকল্পনা করেছে।

কার জন্য?
কে তাকে টাকা দিচ্ছে?

জেনারেল কাদিরকে চেনো?

শয়তানের সাথে বন্ধুত্ব
করার সময় হয়ে এসেছে।

- তোমাদের সরকার?
- না।

জেনারেল আইএসআই
চরমপন্থীর সাথে হাত মিলিয়েছিল

যখন ইন্ডিয়া আর্টিকেল ৩৭০ বন্ধ করে দেয়।

পাঠান, কসম করে বলছি,

আমার কোন ধারণায় ছিলো না,

আমার নিজের লোক
এমন পাগলামি করবে।

যদি ভাইরাসটা ছড়িয়ে পড়ে,

তাহলে পাকিস্তান কীভাবে রক্ষা পাবে?

সে ভাইরাসের ডিএনএ বদলে দিয়েছে।

এটা কোভিড-১৯ এর
মতো সপ্তাহ ধরে ছড়ায় না।

কয়েক ঘন্টায় এটা ছড়িয়ে পড়ে।

এটা শরীরে নিয়ে কেউ
দূরে যেতে পারবে না।

এটা ছড়িয়ে পড়ার কয়েকদিন
পরেই একটা শহর ধংস করতে পারবে।

আবার ভাইরাসটা একটা শহরের
বর্ডারের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

বিপদ কেবল ঐ শহরেই হবে।

পুরো দুনিয়াতে না।

কিন্তু কিভাবে, রুবাই?

তুমি চাও আবার
তোমার উপর ভরসা করি?

আমি একজন সৈনিক, পাঠান।

তোমার মতোই,

নিজের দেশের জন্য
সবকিছু করতে রাজি।

কিন্তু এটা?

লাখো মানুষকে মারবে?
এটা আমার দ্বারা সম্ভব না।

আমাকে বিশ্বাস কর, পাঠান।

স্রেফ আরেকবার।

তোমার উপর সবসময় নজর রাখবো।

যদি ভুল কিছু কর...

যা ভুল করার করে ফেলেছি।

এখন কর্মফল ভোগ করার সময়।

জিম কোথায়?

দুই দিন পর সে ড. সাহানির
সাথে তার ল্যাবে মিটিং করবে।

ল্যাবটা সম্পর্কে বিস্তারিত বল।

সবকিছু বল।

আপনাকে আবার দেখে ভালো লাগলো, স্যার!

যদি বেঁচে থাকি, তাহলে এসব হবে।
এখন, সকলে, কাজে লেগে পড়।

তখনও এসব করব না।

একটাই রাস্তা আছে। প্যারাসুট।

এখানে নেমে সোজা নিচে চলে যাব।

রুবাই!

পাঠান,

রাশিয়ার ঘটনার পর
আবার তাকে কীভাবে বিশ্বাস কর?

ওকে। করলাম না।
পরবর্তী প্লান কী?

মিসাইল ব্যাবহার
করে ল্যাবটা উড়িয়ে দাও।

তাহলে, জিম, ভাইরাস সব খতম।

আর যদি ভাইরাস ধংশ না
হয়, যদি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে?

তিনটা মহাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।

ওকে, পাটান, যা করার কর।

- ম্যাম।
- এবং চুলদাড়ি কেটে মিশনে যাবে।

ওকে।

রুবাই!

জিম।

হ্যান্ডসাম লাগছে দেখতে।

সবসময়ই লাগে।

কিন্তু আগে কখনো খেয়াল করোনি।

কে বলেছে শুধু প্রথম দেখাতেই প্রেম হয়?

প্রেমের সমুদ্রে ডুবতে চাও?

আমি সমুদ্র এবং অগ্নিগিরির
লাভার মধ্যে পার্থক্য জানি।

আমার নির্দেশমতো
ভাইরাসের ডিজাইন করেছ তো?

তুমি সত্যিই কাজটা করবে?

টাকার জন্য করছ?

ভাবছ এটা টাকার জন্য করছি?

আমি ঘরে বসে ব্যাংক
লুট করতে পারি, ডক্টর।

একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল,

"তোমার দাম কত?"

"তোমার পরিবারের দাম কত?"

"তোমার বাচ্চার দাম কত?"

আজকে আমি জবাব দিব।

আমি তোমাদের জীবনের দাম ঠিক করব।

পারবে কিনতে?
পারলে কিনে নাও।

এটা পাগলামি।

সবাই তোমার নিজেরই লোক।

এটা তোমারই দেশ।

ওহ, ডাক্তার বাবু!
দেশ, প্রদেশ, বর্ডার ইত্যাদি।

এসব দূর্বল লোকদের আঁটকে
রাখার জন্য বানানো হয়েছে।

যাতে আসল কারবার চালাতে পারে।

শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ।

এখন আর কোন দেশের উপর মন নেই।

যেখানে দাঁড়িয়ে আছি,
এটাই আমার দেশ।

এটাই আমার দুনিয়া!

[স্যাটেলাইট কাউকে শনাক্ত করেছে]

আমি দেখছি।

দূরে চলে যাবে।

যদি ওটার কিছু হয়, তাহলে
নিজের গলা নিজে কাটবে।

ডা. সাহানি! ডা.সাহানি!

ওগুলো আমাকে দিন।

এখন এগুলো নিরাপদ আছে। চলেন।

জিম, আমি শুধু রক্তবীজকে
নিরাপদে রাখতে চাচ্ছিলাম...

সাধারণত যখন তুমি মিথ্যা বল,
সুন্দর ভাবে বল।

আমাকে ভয় পেয়েছ
দেখে আবেগে কাইন্দা দিলাম।

- জিম, আমাকে বিশ্বাস কর.…
- এটা তোমার লোকদের বোঝাবে,

যে তাদের সাথে কীভাবে
বিশ্বাসঘাতকতা করেছ।

জেনারেল কাদির "আমার" লোক নয়।

যখন আমার লোক তার
ব্যাপারে জানতে পারবে,

তাকে ফাঁসিতে ঝুলাবে।

আমার একটা মেয়ে আছে।

তাকে দেখার জন্য
তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলাম।

ব্যাগ?

সে নিশ্চয় কাছেই আছে।

ওটা আমাকে দাও, পাঠান।

না, স্যার।
এটা ধংস করে দিতে হবে।

এক্ষুনি।

কোনমতেই না।

জিম বসন্তের ভাইরাস নতুন করে বানিয়েছে,

ভ্যাকসিন তৈরী করার জন্য এটা লাগবে।

- আমার তা মনে হয় না, স্যার।
- ওটা আমাকে দাও।

স্যার।

পাঠান!

- এসব কী হচ্ছে, স্যার?
- এখানে কী হচ্ছে?

সে একজন আইএসআই অফিসার, পাঠান।

তার জন্যই কিন্তু ভাইরাস উদ্ধার করতে পেরেছি।

আর তার জন্যই কিন্তু জিম
ভাইরাসটা হাতে পেয়েছিল।

সে জিমের প্ল্যান সম্পর্কে জানে।

- তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে, পাঠান।
- ম্যাম...

তাছাড়া, সে যাবেই বা কোথায়?

জিম এবং আইএসআই তাকে খুঁজছে।

তাকে ছেড়ে দিলে,
দুদিনও টিকতে পারবে না।

- তাকে নিয়ে চল।
- দাঁড়াও।

পাঠান...

তোমার কিচ্ছু হবে না।

পাঠানের ওয়াদা রইলো।

জিম কোথায়?

- ভ্যাকসিন কোথায়?
- মিসাইল কোথায় টার্গেট করেছে?

তুমি সবকিছু জানো।

ভাবছো কিছু জানো না
বললেই বিশ্বাস করব?

কেউ কিছুই জানে না।

জিম কি ভাবছে,
কি প্লান করছে, এসব ব্যাস জিমই জানে।

কোন গড়বড় দেখলে,
সে ব্যাকআপ প্লান করে।

এখন যা কিছু হচ্ছে,

তার কাছে নিশ্চয় ব্যাকআপ প্লান আছে।

নইতো এটাই জিমের প্লান।

[ইন্ডিয়ার সংক্রামক রোগ
পরীক্ষা ইনস্টিটিউট]

ম্যাম, আপনাকে এই
পোশাকটা পরতে হবে।

বলুন, ডাক্তার?

আপনার ম্যাসেজ পেয়েই চলে এসেছি।

এসো, নন্দিনী।
তোমাকে একটা জিনিস দেখাতে চাই।

ঠিক আছে।

ভাইরাসটার কাছে পৌঁছাতে
তিন ধাপে অতিক্রম করতে হয়েছে।

- কেটে?
- মূল জায়গায় পৌঁছেছি।

- ভাইরাসটা কোথায়।
- এটা খালি।

কী?

আমরা লিকুইড পরীক্ষা করেছি?
এতে সাধারণ পানি ছাড়া কিছুই নেই।

লাইট বন্ধ হল কেন?

ম্যাম, আমদের সিস্টেম হ্যাক করেছে।

একটা ভিডিও কল এসেছে।

এটা জিম।

কলটা রিসিভ কর।

হ্যালো, হ্যালো।
কী খবর তোমাদের?

কেমন লেগেছে?

ভাইরাসের বদলে শুধু পানি পেয়ে?

তুমি কী প্ল্যান করছ, জিম?

আমার প্ল্যান ছিলো এই
গোলাটা যেন কেউ জোর করে খোলে।

গোলাটার তিনটা ধাপ ছিলো।

প্রথম ধাপে কিছুই ছিল না।

একদম ফাঁকা ছিলো।

কিন্ত দ্বিতীয় ধাপে খালি ছিলো না।

এটাতে একটা অদৃশ্য গ্যাস ছিলো।

এটা এমন এসিড,
যা প্লাস্টিকের সংস্পর্শে ছড়িয়ে যায়।

উদাহরণ স্বরূপ, তোমাদের পোশাক।

তৃতীয় ধাপে ছিলো আমার সুপারস্টার।

রক্তবীজ।

যেটা তোমাদের চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।

গোলার মধ্যস্থলে ছিলো
একদম বিশুদ্ধ পানি।

যাতে মরার সময় পিপাসিত না হয়ে মর।

ভাবছো আমি মজা করছি?

তাহলে তোমাদের
পরিহিত সাদা পোশাকটা দেখ।

কালো হয়ে গেছে, তাই না?

এখন আর এই পোশাক পরে লাভ নেই।

যে ভাইরাসটা তোমরা পানিতে খুঁজছিলে,

সেটা এখন তোমাদের শরীরে প্রবেশ করেছে।

যদি ব্যাথাকে ১০ পর্যন্ত মাপা যেতো,

তাহলে তোমরা ১৩ নয়তো
১৪ পর্যন্ত এক্সপেরিয়েন্স করবে।

মজাদার, তাই না?

এটাই রক্তবীজের ডেমো।

তো প্লিজ, তোমাদের মৃত্যুর দৃশ্যটা
ইন্সটাগ্রাম এবং টুইটারে শেয়ার করতে ভুলবে না।

কারণ লোকজন যা
দেখে, তাই বেশি ক্রয় করে।

সালাম।

না!

ল্যাব বন্ধ করে দাও!
ল্যাব বন্ধ করে দাও!

ল্যাব বন্ধ করে দাও!

ল্যাব বন্ধ করে দাও!

বাকিরা, বেরিয়ে যাও!

আমরা ল্যাব বন্ধ করে দিচ্ছি!

বের হও! সবাই বের হও!

আমরা বায়ুমন্ডল ভাইরাস মুক্ত করতে পারব।

ইউভি রেডিয়েশন, গামা রেডিয়েশন।

কিন্তু, আমাদেরকে কীভাবে
ভাইরাস মুক্ত করবে, লুথ্রা?

ভাইরাস আমাদের শরীরের ভেতর।

একটা রাস্তায় খোলা আছে।

খুব কম সংখ্যক মানুষ তাদের
মৃত্যুর মুখোমুখি হবার সুযোগ পায়।

ভয়, দ্বিধায়, আতঙ্ক সাথে নিয়ে?

আমি একটা সন্ত্রাসীকে
সেই খুশিটা হতে দিচ্ছি না।

আমি একজন সৈনিক।

এবং এখন,

তোমরা সবাইও সৈনিক।

সবাই একদিন মারা যাবে,

আজকে আমাদের পালা।

মেনে নাও।

কর্নেল, তুমি জানো কী করতে হবে।

RDX কে বাঁচাবে না।

আমরা এমনিতেই মারা যাব।

খেয়াল রাখবেন
ভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পড়ে।

ধন্যবাদ।

সবাইকে ধন্যবাদ।

তোমাদের সাথে কাজ
করতে পেরে আমি গর্বিত।

তোমরাই আমার
জীবনটাকে পরিপূর্ণতা দিয়েছিলে।

ম্যাম...

তুমিই এখন সেই পরিপূর্ণতা, পাঠান।

তাদের পাশে থেকে,

তাদেরকে শক্তিশালী করে তুলবে।

সবসময়ই

তুমি আমাদেরকে এক করে রেখেছিলে।

থামবে না।

জিমকে খুঁজে বের করবে।

কথা দিলাম, ম্যাম।

তাকে আমাদের চেয়ে

ভয়ংকর ভাবে মারবে।

ম্যাম।

বন্দুক একদম জঘন্য জিনিস।

In the name of Lord Shiva!

হ্যালো, বন্ধুরা।

জানি এখন তোমাদের
জন্য শোক করার সময়।

আর আমি তোমাদের কষ্টকে সম্মান করি।

এজন্য চেষ্টা করব যাতে
তোমরা কষ্টে থাকতে পার।

ছাড়ো তো এসব কথা!

প্ল্যান টা কিন্তু মাথানষ্ট ছিলো।

তার জন্য একটা তালি প্রাপ্য আমি।

তুমি একজন ইন্ডিয়ান সৈনিক ছিলে!

আপনার বদৌলতে এখন
ইন্ডিয়ান ব্যবসায়ী হয়েছি।

আপনি বেঁচে গেলে হয়তো
পরবর্তীতে আমার ক্লায়েন্ট হতে পারবেন।

তখন আপনি যা চাইবেন, তাই দিব।
কিন্তু এখন অন্য একজন ক্লায়েন্টের কাজ করছি।

সে যা চাচ্ছে, তাই করছি।

কী করছ সেটা ভেবে দেখেছ?

তুমি মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছ।

মানুষ তোমাকে একজন
দানব হিসেবে মনে রাখবে।

ওহ, নো!
এটা তো ভেবে দেখিনি।

এখন কী করব?
সবকিছু রেডি হয়ে গেছে।

আমার মিসাইল ছোঁড়ার জন্য একদম রেডি।

লোকেশনটা শুধু আমি জানি।

লোকেশন?

ইন্ডিয়ার একটা শহর,
যেটা শুধু আমি জানি।

কিন্তু আফসোস!

রক্তবীজের ক্ষমতা দেখার
আগেই ল্যাব উড়িয়ে দিয়েছ।

কিন্তু এটা যখন দিল্লি, মুম্বাই,
হাইদ্রাবাদ বা আমরিতসার ফেলব,

তখন কী করবেন?

ঐ শহরগুলো কি উড়িয়ে দিবেন?

তুমি কী চাও?

আপনি সন্ত্রাসীর সাথে
সমঝোতা করবেন, কর্নেল লুর্থ্রা।

যেটা আমার জন্য করেন নি
সেটা আমার সাথে করবেন।

তুমি আসলে কী চাও?

আপনি আসলে কী ভাবছেন?

কাশ্মীর।

অবশ্যই, কাশ্মীর।

২৪ ঘন্টা সময় দিলাম।

২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি কোন সৈনিক,

কোন ট্যাংক, বন্দুক বা
ইন্ডিয়ার পতাকা কাশ্মীরে দেখা যায়...

এটা অসম্ভব।

২৪ ঘন্টায় এটা কীভাবে করব?

আমাদের ভাবার জন্য সময় লাগবে।

মনে হয় আমি ভুল শব্দ ব্যবহার করেছি,
যার জন্য আপনি বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছেন।

এটা কোন সমঝোতা ছিল না, কর্নেল লুর্থ্রা।

এটা শেষ শর্ত ছিলো।

আপনার সময় শুরু হচ্ছে...

এখন থেকে।

যে পরিস্থিতি এবং ভয়ের মুখোমুখি হয়েছেন,

সেটা আমি অতিক্রম করে এসেছি।

কেউ আমার স্ত্রী এবং
বাচ্চার মৃত্যুর জন্য দায়ী হয়নি।

আপনার মৃত্যুর জন্যেও কেউ দায়ী হবে না।

এবার কেমন অনুভূতি হচ্ছে, বন্ধুরা?

"ভারত মাতার জয় হোক"
এটা বলে ফায়দা নেই।

তো, নিজের খেয়াল রাখবেন।
সময় কিন্তু ফুরিয়ে আসছে।

পাঠান, তোমাকেই
এই পাগলটাকে থামাতে হবে।

দ্যাখ! তোর পরিবারের কথা চিন্তা কর।

তাদের সাথে কী করব জানিস?

যেখানেই মিসাইল ছুড়বি,
সেখানেই তোর পরিবারকে রেখে আসব।

মিসাইলটা কোথায় বল?

আমার কাজ ছিলো

শুধু টাকা দেওয়া।

বলেছিলাম জিম
ডেলিভারির জায়গা নির্ধারণ করবে।

শহরের নাম না জানলেও,
দেশের নাম নিশ্চয় জানিস।

কোথায়?

আফগানিস্তান।

বাবা!

বাবা!

সরি, রুবাই।

ভয় মানুষকে অন্ধ বানিয়ে দেয়।

কিন্তু তুমি দেখতে পাচ্ছো।

আমি তোমার শত্রু নই।

জানি।

এটা করা ঠিক হচ্ছে না।

এটা ভুল।

সরি।

পাঠান?

তোমাকে বলিনি।

তাকে বলেছি!

সরি বলেছি।

[আফগানিস্তান]

সব ঠিক আছে, জেনারেল?

ঠিক না, আমি বিশৃঙ্খলা চাই।

ইন্ডিয়া কাশ্মীরকে দিবে না, জেনারেল।

সুতরাং...

তাদেরকে একটা শিক্ষা দিলে কেমন হয়?

মিসাইল রেডি।

তোমাকে বাটন চাপতে হবে
আর আমাকে টাকা পরিশোধ করবেন।

তারপর ধামাকা!

[টাকা পাঠানো হচ্ছে]

জেনারেল।

স্যার।

আমার গ্রামের সবাই হটাৎ করে
একটা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি।

এখন সবাই মারা গেছে।

একটা লোহার গোলা এখানে
পড়ে তারপর সবাই আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

তারা এসব কী বলছে?

এখান থেকে ২০০ কি.মি.
দূরে আফগানিস্তানের কোন এক গ্রাম

ওখানকার খবরে বলছে

একটা অচেনা ভাইরাস
সেখানে ছড়িয়ে পড়েছে।

এটার লক্ষনগুলো একদম

গুটিবসন্তের মতো।

এটা...

অসম্ভব।

রক্তবীজ।

এটা রক্তবীজ কীভাবে হতে পারে?

একটা গোলা আছে মিসাইলে,

আরেকটা ইন্ডিয়াতে ধংস হয়ে গেছে।

হয়তো তুমি বোকা,

নইতো আমাকে বোকা বানাচ্ছো।

যদি সব টাকা পেতে চাও,

তাহলে খুঁজে বের কর কাজটা কে করেছে।

তোমার বড় ভুল হচ্ছে
আমাকে বন্ধু ভাবছো,

এবং ভাবছো আমার
পাকিস্তানের প্রতি কোন দয়ামায়া আছে।

বা আমার টাকার দরকার।

তুমি আমাকে বুঝতে পার নি, জেনারেল।

আমিই হলাম রক্তবীজ।

আমাকে ছাড়!

যদি ফ্রিতে শো দেখতে
চাও, তাহলে দিল্লি কেন?

দিক পরিবর্তন কর।

আজকে পার্টি ইসলামাবাদ হবে।

না, মাফ চাচ্ছি।
এমনটা কোরো না।

তুমি এটা সামলাতে পারবে, তাই না?

যেমনটা তুমি বলেছিলে।

জানি না এটা কোথা থেকে এসেছে।

জিনিসটা খুঁজে বের কর।

এটার পেছনে কে আছে?

আমি জবাব

এবং তার মাথা,

দুটোই চাই।

এটা কীভাবে সম্ভব?

স্বাগতম!

আমার বাড়িতে!

আমার আফগান পরিবারে!

নিজের লোক।

আমাদের পাঠান!

ওখানে কী ছিলো?

যেটা এখন এখানে আছে।

পাঠান।

একদম জঘন্য অভ্যাস তোর।

পার্টি দেখলেই, না বলে চলে আসিস।

মানিস আর না মানিস,
আমিই তোর পাঠান।

পাঠানের বাড়িতে পার্টি দিলে,

খাতিরদারি করার জন্য পাঠান তো আসবেই,

সাথে আতশবাজিও আনবে।

ব্যাপারটা মজার কিন্তু, জেনারেল!

আপনার আরেকজন
এজেন্ট শত্রুর প্রেমে পড়ে গেছে।

প্রথমে জয়া এবং টাইগার।

আর এখন.…

আইএসআই এর দপ্তর না-কি
ইন্ডিয়ার জন্য ডেটিং ওয়েবসাইট?

MISSILE STATE UNARMED

মিসাইল স্টাটাস : AKTIF

পাঠান!

- রাজা।
- পাঠান।

পাঠান, জিম পালিয়ে যাওয়ার লোক নয়।

কিছু একটা...

আমুল, দেখ গোলাটা মিসাইল
থেকে বের করতে পার কি-না।

- ওকে, স্যার।
- ডাক!

ব্যস কাজটা করে ফেল, ভাই।

আমি মিসাইল বন্ধ করছি।

গোলাটা কোথায়?

পাঠান, মিসাইল স্রেফ বিকল্প রাস্তা ছিলো।

রক্তবীজ এখানে নেই।

জিমের আসল প্ল্যান অন্য কিছু ছিলো।

রক্তবীজ কোথায়?
জিমের আসল প্ল্যান কী?

শালা বিশ্বাসঘাতক, আমি তোকে...

দাঁড়াও! সার্জেই জানে শুধু।

সার্জেই।

ফ্লাইট LT-72।

পাঠান এবং কর্নেল লুর্থ্রা শোনেন।

রক্তবীজ একটা প্লেনে আছে।

ফ্লাইট LT-72 এ।
যেটা এখন দিল্লি শহর ঘুরছে।

গোলাটা বন্ধ করার উপায়,

শুধু জিমই জানে।

আমাকে এখনই এয়ার ট্রাফিক
কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দাও।

পাঠান, জিমকে খুঁজ!

ওকে।

ফ্লাইট LT-72, শুনতে পাচ্ছো?

ফ্লাইট LT-72 এর ক্যাপ্টেন ম্যেহরা বলছি।

তোমরা নিচে নামতে পারবে না।
আবারও বলছি, তোমরা নিচে নামতে পারবে না।

কী?

রক্তবীজ এখন দিল্লির
এক প্লেনে বসে আছে।

তার হাতে শুধু ছয় মিনিট সময় আছে,

এবং দিল্লির ও ছয় মিনিট আছে।

ছয় মিনিট পর ভাইরাসটা,

এসির লাইন দিয়ে
পুরো প্লেনে ছড়িয়ে পড়বে।

যদি না

তুই এই ডিটোনেটর সুইস
আমার থেকে ছিনিয়ে নিস।

কিন্তু আফসোস!

মনে হয় না পারবি।

ক্যাপ্টেন ম্যাহরা,
আমি "র" থেকে কর্নেল লুর্থ্রা বলছি।

তোমার প্লেনে একটা ভাইরাস আছে।

যেটা এসির সাথে লাগানো আছে।

কী?

তাহলে এখন কী করব, কর্ণেল?
আমাদের জ্বালানি শেষ হয়ে আসছে।

ক্যাপ্টেন, তোমরা একটা
ভয়াবহ অস্ত্র বহন করছো।

প্লেন এখনই দিল্লি
থেকে দূরে নিয়ে যাও, প্লিজ।

পেয়েছি, কর্ণেল!

চার মিনিট বাকী আছে।

মন্ত্রীকে কল দাও।

হ্যা, স্যার।

তাছাড়া আর কোন উপায় নেই।

জয়-হিন্দ!

- মিসাইল কমান্ডারকে কল দাও।
- ওকে, স্যার।

ক্যাপ্টেন,
আমাদের প্লেনটা ধংস করতে হবে।

অন্য একটা উপায় নিশ্চয় আছে, কর্ণেল।

এখানে ৩০০ যাত্রী এবং বাচ্চা আছে।

এই মুহূর্তে, তোমার প্লেন
নিউক্লিয়ার বোমের থেকে বেশি ভয়ংকর।

সরি...
তোমাদের বাঁচাতে পারব না।

মিসাইল কন্ট্রোল,
মিসাইল রেডি কর।

কী হলো, পাঠান!

একটা রাস্তায় খোলা আছে।

সাইনটিস্টদের
বলি দেওয়ার কথা মনে আছে?

প্লেনে "বন্ধে মতরাম" গানটা চালু কর

এবং যাত্রীদের উড়িয়ে দাও।

ফায়ার।

আমার পরিবারের মতো এবারও দাও বলিদান।

গুডবাই, পাঠান!

এটা বন্ধ হয়ে গেছে, স্যার।
মিসাইলটা বন্ধ করেন!

বন্ধ কর, বন্ধ কর, জলদি!

ইয়েস... ইয়েস।

যাত্রীগণ, তোমাদের ক্যাপ্টেন বলছি।

প্নেন এখন দিল্লিতে অবতরণ করবে।

তুই এটুকু বুঝতে পারিসনি।

একজন সৈনিক কখনো জিজ্ঞেস করে না,

যে দেশ তার জন্য কী করেছে।

জিজ্ঞেস করে

সে দেশের জন্য কী করতে পারে।

তুই এটার হকদার না, জিম।

ভারত মাতাকে আমার
শেষ সালাম পাঠিয়ে দিস।

জয়-হিন্দ।

:::অনুবাদক: আশিকুর রহমান।:::
• সম্পাদনায়: মোহাম্মদ সায়েম। •
সহযোগিতায়: আরুশ আরিয়ান।

এই মেডেলের যোগ্য
হকদার একমাত্র আপনি।

আপনার থেকে সাহসী
সৈনিক দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি,

ম্যাম।

পাঠান।

কর্ণেল, একটা সুসংবাদ আছে।

আমি চলে যাচ্ছি।

আমার জন্য আপনাকে আর গ্যাস্টিক
এবং ব্লাড প্রেশারে ভুগতে হবে না।

এখান থেকে আপনার এবং
পাঠানের রাস্তা আলাদা হচ্ছে।

- ধন্যবাদ, স্যার।
- যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি, পাঠান।

- আমাদের তোমাকে প্রয়োজন।
- আমাকে?

আপনার কাছে আমরা...কী যেন বলেছিলেন?
ভাঙা ডিমের খোসা?

মানছি আমার ভুল হয়েছে, পাঠান।

কিন্তু এই দেশকে না
কর্ণেল লুথ্রা একা বাঁচাতে পারবে,

না বাঁচাতে পারবে টাইগার এবং কবির।

না বাঁচাতে পারবে পাঠান।

আমাদের সবাইকে লাগবে।

এই দেশে অনেক সৈনিক আছে, পাঠান।

কারো শরীর ঘায়েল তো কারো মন ভাঙা।

কিন্তু তারা এখনো
দেশের জন্য মরতে রাজী।

এদেরকে একমাত্র সে-ই
ব্যক্তিই একসাথে করতে পারবে,

যে নিজে এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিল।

এটা শুধু তুমিই করতে পারবে।

এদেরকে এমন ভাবে তৈরী করবে, পাঠান,

যাদের দেখলে শত্রুও ভয় পয়ে যাবে।

কিন্তু এদের নেতৃত্ব দিবে কে?

তাদের কে এবং
কীভাবে ব্যবহার করবে?

এটার সিদ্ধান্ত কে নিবে?

ওরা তোমার লোক।

তুমিই সিদ্ধান্ত নিবে।

ধন্যবাদ,
অনেক অনেক ধন্যবাদ, স্যার।

- চলো এটা শুরু করা যাক।
- হ্যা, স্যার।

সরি, স্যার।

আমার একটা জরুরি মিটিং আছে।

কার সাথে?

আমার... হেয়ার ড্রেসারের সাথে।

চুল কাটবে না-কি?

না, স্যার।

শুধু শ্যাম্পু করব।

If you want to fall in love

I know what love is

I ask only

my heart for permission

The ways of love

only the fortunate know

Risking my own life

I saved the enemy

Many people love to talk

Many people

- I know what's real, my friends
- My friends

Many people love to talk

but I know what's real

I can even stop the wind

The Lord showers you
with prayers

When Pathaan gets into the groove,
my love

He steals all hearts

The promises he makes,
my love

He'll stand by forever

When Pathaan gets into the groove,
my love

He steals all hearts

The promises he makes,
my love

He'll stand by forever

I'll tell you how to win hearts,
my friends

I will tell you how

I will tell you how

I'll tell you how to love
the enemy

I will tell you how

I will tell you how

Just give me a sign

A sign

I'll give my heart
to you twice over

Twice

Just give me a sign

I'll give my heart
to you twice over

Feelings of friendship
have cast their spell

Even enemies turn to me
for an embrace

When Pathaan gets into the groove,
my love

He steals all hearts

The promises he makes,
my love

He'll stand by forever

When Pathaan gets into the groove,
my love

He steals all hearts

The promises he makes,
my love

He'll stand by forever

এখন আর আগের মতো পারি না।

হ্যাঁ।

আমিও মাঝে মাঝে ভাবি, ৩০ বছর
হয়ে গেছে, এখন ছেড়ে দিতে হবে।

কিন্তু আমাদের জায়গা কে নিবে?

হুমম?

আরে ও আছে না।

ও।

না?

অন্য জন হলে কেমন হয়?

ওর মধ্যে আলাদা কিছু আছে।

না, নেই।

তার মধ্যে কিছুই নেই।

ঠিক আছে।

কিন্তু ও্?

না।

আমাদেরই করা লাগবে, ভাই।

দেশের ব্যাপারে বাচ্চাদের
উপর ভরসা করতে পারবো না।

চল।

হাত দে।
উঠতে সাহায্য কর।

কোমর ধরে গেছে।