All language subtitles for Birbal (2019) - Bangla Subtitle by Mahir Munim

২০১০ সাল, ব্যাঙ্গালোর।

এক সপ্তাহ পরে
১০ই মার্চ ২০১০।

ভিডিও কোথায় রেখেছ,
মেমোরিতে নাকি ফোনে?

মেমোরি কার্ডে, স্যার।

আচ্ছা।

সকাল ১১ টায় কমিশনারের
অফিসে চলে এসো।

জ্বী, স্যার।

আমাকে যা কিছু বলেছ,
সেটা সেখানে আবার বলতে হবে।

- ঠিক আছে, সব বলব।
- বলতে পারবে তো?

এখন একজনকে
পিকআপ করতে হবে।

সকাল ১১ টায় তোমাকে কল করব।

জ্বী, স্যার।

সাবধানে থেকো...

কারো সাথে কথা বলো না।

আমি কল না দেয়া অবধি
কোনো ফোন ধরবে না।

ফোন বন্ধ করে ফেলো।

একই দিন
রাত্রি ১২:৩০।

ছাড়ুন আমাকে।

রাস্তায় আছি, মা
বাসা থেকে প্রায় ৫ মিনিট দূরে।

প্রায় চলে এসেছি
প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে।

অনেক কাজ ছিল,
তাই দেরি হয়ে গেল।

তুমি চিন্তা করো না,
আমি নিরাপদে পৌঁছে যাব।

হ্যালো, বাবা
কথা শুনতে পাচ্ছ?

কী হয়েছে, বাবা?
কথা বলো!

হ্যালো, হ্যালো বাবা...

বাবা, কথা বলো।
কী হয়েছে?

হ্যালো, হ্যালো বাবা...

হ্যালো বাবা, তোমার
কথা শুনতে পাচ্ছি না।

হ্যালো...

হ্যালো বাবা...

তুমি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো, মা।

আমি একটু পরেই চলে আসবো।

এখন ঘুমোতে যাও,
পরে কল দিব।

আচ্ছা, মা।

ঔষধ খেয়েছ, মা?

শালা, কানা নাকি?

স্যার, আমি কাছেপিঠে
একটি বারে কাজ করি।

কাজ শেষে বাড়ি যাচ্ছিলাম।

বিপরীত থেকে একটি বাইক আসায়
আমি পিছলে পড়ে যাই।

নোট করুন।

তারপর তাকিয়ে দেখি গাড়িতে
একটা লোক খুন হয়ে আছে।

- উনি এখানে পড়ে ছিলেন, স্যার।
- ভয় পেয়ে আপনাকে ফোন দিই।

নমস্কার, স্যার।

- ঘটনাটি তুমি জানিয়েছিলে?
- জ্বী, স্যার।

- মূর্তি...
- স্যার।

এর নামে কোনো মামলা আছে?

মামলা নেই, স্যার।

তবে বারে ছোটোখাটো
ঝামেলা করেছে আরকি।

ছোটখাটো ঝামেলা!

এত রাতে এখানে কী করছিলে?

বারে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলাম।

তখনই এসব ঘটে, স্যার।

স্যার।

বাদী পক্ষের সকল যুক্তি শোনার পর,

সমস্ত প্রমাণাদি বিচার করিয়া,

সিসি নাম্বার ১৩৯/২০১০
প্রমাণিত হয় যে অভিযুক্ত বিষ্ণু,

রাম দাসকে মারুতি সার্কেলের পাশে
অমানবিকভাবে হত্যা করিয়াছে।

সেকশন ৩০২ ধারায় আদালত অপরাধীকে
যাবত জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করিল।

মুভির নামঃ- Birbal (2019)
অনুবাদক:- মাহির মুনিম
সম্পাদনায়ঃ- নাঈম সরকার

ক্যাব ড্রাইভার খুনের মামলার
অভিযুক্ত বিষ্ণুর,

জামিনে বের হচ্ছে।

আগামীকাল নতুন উকিল
নিয়োগের সাক্ষাৎকার আছে।

যে নিযুক্ত হবে
মামলাটি সে পাবে।

ব্যাপারটা তো জানো, তাই না?

আগে দেখি কে নিযুক্ত হয়,

তারপর সিদ্ধান্ত নিব, কেমন?

সুপ্রভাত সবাইকে।

হেগেডে অ্যাসোসিয়েটেসে স্বাগতম।

সবাই আমাদের লিগ্যাল ফার্মে
যোগদান করার উদ্দেশ্যে এখানে এসেছ।

কিন্তু সকলের জন্য একটা ভালো
এবং খারাপ খবর আছে।

ভালো খবরটি হলো,

তোমাদের মধ্যেই চাকরি দেয়া হবে।

আর খারাপ খবরটা হলো...

চাকরিটি কেবল একজনই পাবে।

আমার হাতের কমলাটি
তোমাদের কাছে দিব।

তোমার পাশে যে
তাকে পাস দিতে হবে।

কিন্তু...

আমি দেখতে চাই একজন
আইনজীবী হিসাবে কীভাবে দিবে।

তাহলে দেখি কীভাবে
আইনজীবী হিসাবে দাও।

আপনার কাছে থাকা ফলটি
এখন আমার নিয়ন্ত্রণে।

আমার মতে,

স্যরি।

কাউকে কিছু দেয়ার ক্ষেত্রে
দাম্ভিকতা থাকা উচিত নয়।

পাস করে দিয়েছি, স্যার।

আমার দরকার...

প্রধান সুবিধা হলো,
এটি ত্বকের জন্য ভালো।

আমার বাড়িতে অনেক সমস্যা।

পরের জনকে দেয়ার আগে
এটার একটি ছবি তুলব।

বড় সুবিধা হলো ক্যান্সার
চিকিৎসার জন্য এটি ভালো।

দুই মিনিট দিন।

নিখুঁত উত্তর দিতে পারব।

জুস বানানো সহ খোসা ফেলে দিয়ে,
পিস আকারে সাজিয়ে রাখতে পারবো।

আইপিসি সেকশন ১৭১ই'র মতে,

পাঁচ মিনিট দিন
উত্তরটি দিচ্ছি।

আমার মা হাসপাতালে ভর্তি, স্যার।

কোনো কারণ ছাড়া কেউ আমাকে,

এটি দিলে আমি
ঘুষ হিসাবে গণ্য করব।

প্রথমে আমি জানতে চাই
ফলটি আমাকে কেন দিলেন।

এই কমলা, আপনার সহকর্মীরা...

তবেই পরের জনকে আমি পাস করব।

পরে তাদের থেকে আমি জানব।

আমি একটি বন্ড পেপার চাই আর,

এখানে উপস্থিত লোকদের উদ্দেশ্যে
যা বলতে চাচ্ছি তা হলো...

ফলটি এখন আমার কাছে আছে,

খোসা ছড়ানো, পিস আকারে সাজানো বা
জুস করা অথবা বীজ হিসেবে রেখে দেয়া,

আমার যা খুশি
তাই করতে পারি।

খোসা ছাড়িয়ে দিব
না পিস আকারে দিব,

অথবা বীজ আকারে দিব
তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে,

আমার মনের ইচ্ছার উপর।

আচ্ছা, সেকেন্ড রাউন্ডে যাই।

একজন নেতা সরকার থেকে
পুঁজি নিলেন দশটি ভবন নির্মাণ করতে,

অথচ তিনি একটি ভবন নির্মাণ করেন।

পরিদর্শন অফিসার পরিদর্শন করতে গেলে
তাকে হুমকি দিয়ে,

সাক্ষর করিয়ে নেয় যে,
উনি দশটা ভবন নির্মান করেছেন।

কিন্তু এখানে সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে
ব্ল্যাকমেল করার কোনো প্রমাণ নেই।

পাঁচ বছর পরে।

পরিদর্শন অফিসারের বিরুদ্ধে
একটা মামলা দায়ের করা হলে।

এখন ওই পরিদর্শন অফিসার
আমার ক্লায়েন্ট।

তাহলে মামলাটি
কীভাবে উপস্থাপন করলে,

এতে শাস্তিভোগ করবে মন্ত্রী!

পরিদর্শন অফিসার না।

একদম সহজ, স্যার।

দশটি ভবন দেখানোর কথা
জিজ্ঞাসা করে মামলা দেওয়া উচিত।

প্রমাণ হিসাবে আমরা
কর্মীদের ব্যবহার করতে পারি।

সিমেন্ট আর বালি সরবরাহকারীদের
সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

স্যার, কাঁচামালের বিল এবং
পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরীক্ষা করানো।

স্যার, দশটি ভবন নির্মাণের
সময় হিসাব করা প্রয়োজন।

এতে করে প্রমাণিত হয়ে যাবে।

স্যার, প্রতিবেশীদের সাক্ষী
হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।

সেটা করলে,

আমাদের মক্কেলও দোষী সাব্যস্ত হবে।

পরিদর্শন অফিসার যদি বলে,

সে তাকে হুমিকি-ধামকি দিয়ে
সাইন করিয়ে নিয়েছে?

স্যার, ঐ মন্ত্রী আর আমার মক্কেলের
সকল ফোন রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করলে,

প্রমাণ করতে পারব মন্ত্রী আমাদের
মক্কেলকে হুমকি দিয়েছে।

স্যার, মন্ত্রীর নির্মাণ করা ঐ ১০ টি
বিল্ডিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করব।

কিন্তু..

খারাপ কাঁচামালের জন্য
ভবন তৈরির ৩ মাসের মধ্যে,

ভবন ভেঙে গেছে।

কেন?

এখন।

মন্ত্রীকে অবশ্যই টাকা দিতে হবে।

তার ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।

বিল্ডিং তৈরির জন্য।

তোমার নাম কি?

স্যার, ও আমার বাগদত্তা।

তাই নাকি!?
কখনো বলোনি তো!

খেয়াল রেখো, খুব ভালো সে।

এখন দুজনেই একই
অফিসে কাজ করবে।

স্যার, আসলে ও বুদ্ধিমান
তবে যথেষ্ট ম্যাচিউরড নয়।

তরুণরা আর মদ দুটোই
উপযুক্ত হতে সময় নেয়।

হ্যালো, স্যার।

- মিস্টার?
- মাহেশ দাস।

- চিন্তাভাবনার ধরণ ভালো ছিলো।
- অসংখ্য ধন্যবাদ।

- বেশ প্রভাবিত হয়েছি।
- ধন্যবাদ, স্যার।

আসলে, নতুন মামলাটি
ওকে দিয়ে দেয়ার জন্য ভাবছিলাম?

আমাদের ফার্ম বিনামূল্যে
আইনি সেবা শুরু করার কথা ভাবছে।

আচ্ছা।

তাতে দরিদ্র এবং অনগ্রসর
মানুষের সাহায্য হবে।

বিস্তারিত সব আমি
তোমাকে দিব, শাস্ত্রী...

শাস্ত্রী...

জ্বী, স্যার।

বলুন, স্যার?

শাস্ত্রী, ও মাহেশ।

ঐ কেইস ফাইলটা ওকে দিয়ে দাও।

- পারিবারিক সমস্যার মামলা?
- হ্যাঁ।

ও মামলাটি নিয়ে
একটু ঘেঁটে দেখুক।

ফাইলটি নিয়ে আগামীকাল
ওই পরিবারের সাথে দেখা করো।

- অবশ্যই, স্যার।
- তারপর আমাকে জানিও।

নিশ্চয়।

হেগডে এবং হেগডে
অ্যাসোসিয়েটেসে স্বাগতম।

- শুভ কামনা রইল।
- ধন্যবাদ, স্যার।

পরে দেখা হবে, বাই।

মামলাটি পেলে বাবার সাথে
কথা বলবে বলেছিলে।

মামলাটি তো পেয়ে গেলাম।

বড়সড় মামলা পাওয়ার পর।

- কী হচ্ছে?
- কী, স্যার?

সদ্য যা ঘটলো সেই ব্যাপারে।

- এত সহজে মিথ্যে বলো কীভাবে!
- মিথ্যে।

- এটা কি অফিস?
- জ্বী, স্যার!

ধুর!
এটা কি পার্ক?

- না, স্যার।
- এটা অফিস!

এমন আচরণ আমি সহ্য করব না।

জ্বী, স্যার।

এসব আমি পছন্দ করি না,
আমি খুব কঠোর।

- ফাইলটি রাখো।
- ধন্যবাদ, স্যার।

রাগাবে না আমায়, এসো।

মাথা খেয়ে নিলো আমার।

শাস্ত্রী, গতকাল যে ভাব নিয়ে
আমাকে ফাইলটি দিয়েছিলে,

ভেবেছিলাম তুমি আমার সিনিয়র,
এখন জানলাম তুমি আমার জুনিয়র।

ভাব নেয়াটা কেমন ছিল, স্যার?

থামো, এই বাড়ি তো!

ধুর!

- স্ক্রিন ভেঙ্গে গেছে, স্যার।
- ভেঙ্গে গেছে?

অশুভ ইঙ্গিত।

নিশ্চিত মামলাটি আমরা হারব।

এসব আপনি বিশ্বাস করেন!

স্যার, আপনার ভাগ্য
পরিবর্তনের জন্য আমি আছি।

শাস্ত্রী, আমার ভাগ্য সম্পর্কে
তুমি এখনো কিচ্ছু জানো না।

অমাবস্যার রাতের
পূর্ণিমার চাঁদ হলাম আমি।

স্যার...

শিয়ালের মুখ দেখে যদি ভাগ্যবান হতো,
তাহলে কেউ শিয়াল পোষে না কেন?

কিন্তু তারা বিড়াল পোষে।
কী বলেন ম্যাডাম?

শাস্ত্রী...

শিয়াল পোষলে আমার
ভাগ্য আরো ভালো হবে।

কিন্তু শেষমেশ শিয়ালটাও
বিড়ালের মতো ম্যাও বলবে।

ম্যাডাম, উনি খুব মজার মানুষ।

শেষ হয়েছে?

এখন ক্লায়েন্টের সাথে
দেখা করি, প্লিজ?

সময় নষ্ট করছ কেন?
গিয়ে দেখো।

সবকিছু আমাকেই দেখতে হবে।

- কাকে চাই?
- ম্যাডাম, সুমিত্রাম্মা।

আমি, আপনারা কারা?

জায়গা বিক্রি করবেন কিনা বলছে,
কত করে প্রতি একর?

ম্যাডাম, ব্যাঙ্গালোর থেকে এসেছি
আমরা আইনজীবী।

ওহ! আমিই চিঠিটি লিখেছিলাম।

নমস্কার,
ভেতরে আসুন।

আহাম্মক।

ভেতরে এসে বসুন।

স্যার, খুব সুন্দর বাড়ি।

সস্তায় হলে চুক্তি করে নিবেন।

কথা না বলে চুপ থাক!

তারকাদের ছবি দিয়ে ঘর ভর্তি।

- নিন।
- বেশ সুন্দর ড্রয়িং।

আমার ছেলে এঁকেছে, বসুন।

কফি খাবেন নাকি চা?

একটা হলেই চলবে।

আচ্ছা, কফি নিয়ে আসি।

কী করছ?

জিজ্ঞাসা করায় তো বললাম।

সেজন্য...

কী চাই?

আমরা ব্যাঙ্গালোর থেকে এসেছি
আইনজীবী।

কোর্টের মামলার ব্যাপারে...

কোনো মামলা-টামলা নেই,
আপনারা আসতে পারেন।

স্যার, উনি কি বলেন
দয়া করে সেটা শুনুন।

কিচ্ছু বলা লাগবে না।

আসতে পারেন, বলিনি!

- স্যার, সুমিত্রাম্মা...
- চলে যেতে বলছি।

আপনাদের সাহায্য লাগবে না,
আসতে পারেন, প্লিজ।

বিষ্ণু, থাম...

- কীভাবে বলতে...
- যাবেন নাকি যাবেন না?

বিষ্ণু, সমস্যা কী তোর?

স্যার, এক মিনিট।

মা, চুপ থাকো
তুমি বুঝবে না।

বারবার এদেরকে টাকা দিয়ে
টাকাগুলো নষ্ট করছ তুমি।

তাকিয়ে কি দেখছেন
বেরিয়ে যান!

চুপ কর, বিষ্ণু
এই তোর ভদ্রতার নমুনা?

যথেষ্ট হয়েছে, বিষ্ণু
এখন বেরিয়ে যা।

যা।

যা খুশি করো।

বসুন।

স্যরি।

মনে কিছু নিবেন না।

ছেলেটা আমার খুব ভালো।

আগে এমন ছিল না।

মামলাটির জন্য অনেক আইনজীবী
টাকা নিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে।

এই জন্য এমন করছে।

তাই কোন আইনজীবীকে
আর সম্মান করে না।

ঠিক আছে, ম্যাডাম।

কোনো মানুষের জীবন শুধুই
খারাপের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়,

তাহলে সে ভালোর মধ্যে
খারাপই দেখবে।

মনে কিছু না করলে,

মামলাটির ব্যাপারে আমাকে
স্পষ্ট করে বলবেন?

- ওর সাথে কথা বলতে পারি?
- হ্যাঁ।

দেখো...

আমাদের পরিচিত মানুষের মধ্যে,

কেউ আমাদের খুবই প্রিয় থাকে,

কাউকে আমরা হারিয়ে ফেলি,

আর কাউকে ভয় পেয়ে থাকি।

ক্ষত নিরাময়ের জন্য প্রথমে সেখানে
স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

যাইহোক,

মামলার ব্যাপারে,
মূল কথায় আসি।

এটা হচ্ছে,
ক্ষতিপূরণ মামলার অধিকার।

সহজ শর্তে,
ক্ষতিপূরণ মামলা।

তোমাকে ক্যাব ড্রাইভারের পরিবারকে
সাত লক্ষ টাকা দিতে হবে।

যদিও তোমার আর্থিক অবস্থা এতটা সচ্ছল নয়,
তবে আমরা সময় বাড়ানোর নিবেদন করে পারি।

টাকা দিতে না পারলে,
তোমাকে জেলে যেতে হবে।

যাইহোক, আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

আচ্ছা, বিশ বছর বয়সী ছেলের...

ক্যাব ড্রাইভারকে
খুন করার কারণ কী ছিল?

ঠিক আছে, এই ব্যাপারে
কথা বলতে না চাইলে থাক।

আমি কেবল অনুসন্ধান করছিলাম,
মামলার ব্যাপারে সাহায্য হবে বিধায়।

যাইহোক,

আশা হারিও না।

আমার সর্বোচ্চ
চেষ্টা করব তোমার জন্য।

ভালো মানুষের সাথে ভালো হয়,
খারাপ মানুষের সাথে খারাপ।

কথাগুলো যে লিখেছে, লাথি দিয়ে
হতচ্ছাড়ার পাছার ছাল তুলে নিতাম।

আমার জবানবন্দি সত্যি,
কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনি।

কিন্তু আপনি বিশ্বাস করলে,

এটাই সত্যি।

মা, অনেক কাজ ছিল
তাই দেরি হয়ে গেল।

চিন্তা করো না
আমি বাসায় চলে আসবো।

মা ঘুমিয়ে পড়ো।

মা, এক্ষুণি আমি বাসায় আসবো।

কাজের অনেক চাপ ছিল।

ওষুধ খেয়েছ, মা?

স্যার, আমি কাছেপিঠে
একটি বারে কাজ করি।

বাসায় যাওয়ার সময় বিপরীত থেকে
একটি বাইক আসায় আমি পিছলে পড়ে যাই।

স্যার, মোবাইল বন্ধ আছে।

স্যার, এখন কী করব?

দেখা যাক.....

- এসো।
- হ্যাঁ, স্যার।

নমস্কার, স্যার।

আমাদেরকে তুমিই খবর দিয়েছিলে?

হ্যাঁ, স্যার।

এত রাতে এখানে কী করছ?

বারে কাজ শেষ করে
বাসায় যাচ্ছিলাম, স্যার।

তখনই এসব ঘটে।

কথা বল...

বল।

বাইকটি তোকে পাস করে
গিয়েছে বলেছিলি।

কে ওটা?

দেখতে কেমন?

হেলমেট পরনে ছিল।

সত্যি কথা বল।

হেলমেট পরনে ছিল?

ওর মুখ দেখা যায়নি, স্যার।

কীভাবে দেখতে পারিসনি?

গুরু...

স্যার...

- মূর্তি...
- স্যার।

- কিছু বলেছে?
- একই কথা বলেই যাচ্ছে, স্যার।

একবার বলছে মুখটি দেখেছে,
এখন বলছে পরনে হেলমেট ছিল।

শোন...

প্রথমত, বিশ্বাসযোগ্য কিছু বল।

নয়তো, সত্যটি মেনে নিয়ে
স্বীকার কর যে তুই অপরাধী।

এদের হাতেই তুই মরবি।

মূর্তি, নোট করো।

অভিযুক্ত বিষ্ণু,

প্রায় ১২ টা থেকে
১২:১৫ মিনিটের মধ্যে,

দ্রুত বাইক চালাচ্ছিল,

এতে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে
ক্যাবের সাথে ধাক্কা লাগে।

পরে ক্যাবটি ফলো করে,

মারুতি সার্কেল সিগন্যালের কাছে থামায়।

স্যার।

তারপর ক্যাব ড্রাইভার আর
বিষ্ণুর মধ্যে খুব তর্কবিতর্ক হয়।

তর্কবিতর্কে উত্তেজিত হয়ে,

ক্যাব ড্রাইভারকে বিষ্ণু
বাইকে থাকা ছুরি দিয়ে,

হত্যা করে ফেলে।

- স্যার, একদম নিখুঁত।
- স্যার...

স্যার, আমি অপরাধী নই।

আমি নির্দোষ, স্যার
আমাকে যেতে দিন।

স্যার...

- সবকিছু ঠিক আছে, মূর্তি?
- সবকিছু ঠিক আছে, স্যার।

কিন্তু, ছোটো একটি সমস্যা আছে।

আমরা যে ছুরিটি বাজেয়াপ্ত
করেছি সেটি খুব ছোট।

আচ্ছা।

দেহে আঘাতের ক্ষতটা
সামান্য চওড়া ছিল।

সেটার সাথে তো এটা মিলবে না?

স্যার...

খুনির অস্ত্র খুঁজে পেয়েছি,

যেখানে ও কাজ করে
সেই বারে এটা ছিল।

দুটোরই একই ফিঙ্গারপ্রিন্ট।

মূর্তি?

জ্বী, একদম নিখুঁত স্যার...

- এখন কী বলবি?
- স্যার!

স্যার, আমাকে যেতে দিন
আমার জীবনটা ছারখার হয়ে যাবে।

প্লিজ যেতে দিন, স্যার...

স্যার, আপনার মনে হচ্ছে
সে স্বীকার করবে?

মূর্তি...

কিছু লোক আপোষে স্বীকার করে,

কিন্তু মাইর দিলে,

সবাই স্বীকার করে নেয়।

তো, এই হচ্ছে কাহিনী।

ওরা বিষ্ণুকে কোর্টের সম্মুখে নিয়ে আসে।

বিখ্যাত আইনজীবী...

এবং আপনার এক্স-বস,

পার্থসারথি।

ইন্সপেক্টরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

তিনিই মামলাটি সামলান।

আর,

বিষ্ণুই যে আসল খুনি
কোর্টে তিনি প্রমাণ করেন।

তাই কোর্টের মতে,

অভিযুক্ত বিষ্ণুর,

আন্ডার সেকশন ৩২০
যাবত জীবন কারাদণ্ড হয়।

তো, ব্যাপারটা হচ্ছে এই।

শাস্ত্রী, ফাইলগুলো সরিয়ে রাখো।

সকাল থেকে আমরা কিচ্ছু খাইনি।

খুব ক্ষুধার্ত আমি।

বলো, কী খাবে?

স্যার, ভেজ বিরিয়ানি সাথে...

হজম হওয়ার জন্য
একটি কোকাকোলা।

- এই চলবে।
- আর তুমি?

সবসময় খাওয়ার চিন্তায় থাকো,
ডায়েট বা জিমের ব্যাপারে কি?

আর ওজন কমানোর ব্যাপারে?
এই ব্যাপারে কিছুই না।

আসলে...

আমিও ওজন কমানোর
চিন্তা করছি, জানু।

কিন্তু, জানোই তো তুমি
আমি হারানোকে ঘৃণা করি।

হোক সেটা কোর্টের মামলা
কিংবা দেহের ওজন?

চমৎকার ডায়লগ, দোস্ত।

- বেশ চমৎকার ডায়লগ দিয়েছ।
- ধন্যবাদ, শাস্ত্রী।

দোস্ত!?

হ্যাঁ, দোস্ত...

ওহ, ম্যাডাম বুঝতে পারেননি
কেন আমি দোস্ত বলেছি?

ঠিক আছে, ব্যাখ্যা দিচ্ছি।

ঘনিষ্ঠ বন্ধু...

প্রত্যেক সকালে তারা দেখা করে...

আপনি বলবেন,
আরে দোস্ত নাস্তা করেছিস?

না।

দোস্তরা এভাবে কথা বলে,
এমনি কথাগুলোও চলে আসে।

কারণ এটাই বন্ধুত্ব।

- আর বন্ধুত্ব হচ্ছে মহান।
- হ্যাঁ, হ্যাঁ।

- স্যার...
- হ্যাঁ।

এটাই শেষবার।

আগামীকাল থেকে আমি
আপনাকে দোস্ত বলে ডাকব।

- কোনো সমস্যা আছে?
- না, সমস্যা নেই শাস্ত্রী।

শাস্ত্রী নয়,

দোস্ত, দোস্ত...

শেষ হয়েছে?
খুব মাজার।

আরো কিছু বলার থাকলে
প্লিজ চালিয়ে যাও,

কিছু অ্যাড করবে?

কিচ্ছু লাগবে না, ম্যাডাম।

এখন মামলার ব্যাপারে
কথা বলতে পারি?

ধন্যবাদ।

ছেলেটির সাথে
কথা বলে কী বুঝলে?

মামলাটি আমরা নিতে পারি?

কথা বলে বোঝলাম...

ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে
নির্দোষ বেচারাকে।

আসলে সে বলছিল ক্যাব
ড্রাইভারকে সে খুন করেনি।

অথচ ছেলেটিকে
শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

হ্যাঁ, এখন সে
শর্তাধীন জামিন পেয়েছে।

দণ্ডিত লোকের জন্য লড়াই করা
একদম বেহুদা মনে হচ্ছে।

এমন নয়, শাস্ত্রী।

এখন এই মামলা
যদি আমরা হাতে নিই,

কী করতে পারি?

ক্ষতিপূরণের টাকা
দেয়াটা ঠেকাতে পারব না।

বেশির কিছু হলে টাকা পরিশোধের
সময়টি আমরা বাড়িয়ে দিতে পারি।

আর ইতিমধ্যে জেলের যে সাজা
সে প্রায় শেষ করে ফেলেছে।

সে খুন করেনি,

আর এখন যদি
ক্ষতিপূরণ দেয় তাহলে,

- এটা ঠিক হবে না।
- জ্বী, স্যার।

বস ঘনঘন ফোন করছেন মামলার
অনুসন্ধানের ব্যাপারে জানতে চাচ্ছেন।

আমি গাড়িতে বসে
এই ব্যাপারে ভাবছিলাম...

আমরা আগামীকাল প্ল্যান করব।

- স্যার, কোনো তথ্য পেয়েছেন?
- আপনাদের অর্ডার।

রাখো।

- আর কিছু লাগবে!
- আর কিছু লাগবে?

না, তোমার?

আহাম্মক!

দিলে তো প্যান্ট নষ্ট করে!

স্যরি, স্যার
নতুন একটা নিয়ে আসছি।

এই দাঁড়াও...

কী বলেছ আবার বলো...

- আহাম্মক।
- তুমি না।

- তুমি কী বলেছিলে?
- নতুন একটা এনে দিচ্ছি।

নতুন একটা?

সেই রাতে,

ছেলেটা ফোনে তার মার সাথে
কথা বলতে বলতে বাইক চালাচ্ছিল,

বিপরীত থেকে একটি বইক আসে,
আর সে পিছলে পড়ে যায়।

তারপর খুনের ব্যাপারে
নিজেই পুলিশকে জানায়,

কিন্তু,

অনুসন্ধানের জন্য
যে পুলিশ এসেছিলেন,

তিনি তাকে খুনের দোষ চাপান।

ঠিক আছে, কিন্তু...

পুলিশ কেন তাকে দোষী করবে!

খুনি হিসেবে তাও আবার
একজন সাধারণ ক্যাব ড্রাভাইরের?

গোলমালটা এখানেই।

ক্যাব ড্রাইভার কিন্তু
সাধারণ ক্যাব ড্রাইভার নয়।

পুলিশ ইনফরমার ছিলেন।

এজন্যই ছেলেটিকে ফাঁসানো হয়েছে।

স্যার, কীভাবে?

যদি সে অপরাধী হয়?

ক্ষতিপূরণ এড়াতে,

হয়তো সে পরিকল্পনা করেছিল।

মামলাটি পুনরায় শুরু করা
আবার পুনরায় অনুসন্ধান করার,

আমার মনে হচ্ছে
এটা হয়তো প্ল্যান করেছিল।

স্যার, সে একজন বারের ওয়েটার।

আপনার মতো একজন
আইনজীবী বা অপরাধী নয়।

তাহলে...

আমরা কী করব?

স্যার, আমার মতে...

ক্ষতিপূরণ নিয়ে লড়াই করার চেয়ে,
চলুন মামলাটি পুনরায় শুরু করি।

ড্রাইভারকে লোকটি
খুন করেনি প্রমাণ করি।

তাহলে ক্ষতিপূরণের
মামলাটি বাতিল হবে।

দেখো...

কোর্ট আবেদন গ্রহণ করবে,

সমস্ত প্রমাণ এবং সাক্ষী পুনরায়
নতুন করে আদালতে পেশ করতে হবে।

এবং পুনরায় সকল
তথ্য অনুসন্ধান করতে হবে।

তারচেয়ে বড় বিষয়
প্রচুর খরচাও আছে।

আর আদালত এভাবেই কাজ করে,

অনেক টাকা খরচ হবে এখানে।

আমাদেরও অনেক বেগ পেতে হবে।

আর এটা তামাশা নয়।

- এই ব্যাপারে ভাবো।
- স্যার, মনে কিছু নিবেন না।

বিনামূল্যে আইনী সেবা
শুরু করেছেন কেন?

সৎ লোকদের সাহায্য করতে।

স্যার...

মানুষ মন্দিরে একটা ফ্যান দান করলেও
ফ্যানের গায়ে নিজের নাম লিখে দেয়।

ফ্রিতে কেউ কিছু করে না।

মেনে নিন অন্তত ব্র্যাডিং এর জন্য।

আমাদের কোম্পানি
এমন মামলা লড়াই করলে,

লোকজন আমাদেরকে বিশ্বাস করবে।

এতে ক্লায়েন্ট বেশ বাড়বে।

স্যার, এই ব্যাপারে
একটু ভেবে দেখুন।

মামলাটি আমরা নিলে
নির্দোষ লোকটির দণ্ডিত জেরা,

মিডিয়ার মনোযোগ এবং
এতে আমরা পাবলিসিটি পাব।

সবশেষে,

যদি সে খুনি হয়!

এতে কোনো ভিন্নতা হবে না, স্যার।

কারণ ইতিমধ্যে সে জেলের
সাজা প্রায় শেষ করে ফেলেছে।

ঠিক আছে।

মামলাটি লড়াই করি।

অসংখ্য ধন্যবাদ, স্যার।

তোমার বাবাকে কল করো।

সমস্যা কী?

আপনারা দুইজন তো
দুই মেরুর লোক।

ভালোবাসা কীভাবে হলো?

আসো, বলব তোমাকে।

চমৎকার, দোস্ত।

আমাদেরকে বলুন কীভাবে
লাভ স্টোরিটা শুরু হলো।

এই ব্যাপারে আমিও ভাবছি।

I was slowly going
behind Ragini Madam

enquiring about a doubt

It was like winning a lottery

As she called me,
to the staff room.

In the midst of this

I saw a drama scene from Ramayana

I went in slow motion,

Just when, Sita made her entry.

She is my Nominee Janavi

Day and night,
she haunts me like a fairy.

She is my Nominee Janavi

Day and night,
she haunts me like a fairy.

Give me way...

They are chasing Me!...

Who is she Dude?

Get details about them

Put it in the notice board
that she's my love

What will I do, if she
already has a boyfriend?

Don't say such
inauspicious things

What if she has Kuja Dosha?

I'll arrange some Homas & Havanas

What if her dad is a Don?

I will study law,
and get bail for him.

What if he is an encounter specialist?

I'll become the CM at
once and transfer him.

In detail say what
happened next, don't pause

In the next scene...

I found a diary,
And I opened it fast.

কেমন?

দারুণ।

- কে রে এই ডিব্বা?
- তার নামও জানভি।

ওহ নো!!

No conversations...

Just observation.

I knew she had
feelings for me...

I hid from her..

She thought I was absent.

And she was missing me.

She is my Nominee Janavi...

Day and night,
she haunts me like a fairy.

I want to ask her.
Will you marry me?

If you have any ideas.

please give it to me

Take her to Paris and
gift her a ring

Dude, I don't have a
passport as yet,

Why don't you see
videos on YouTube?

I might get rejected
for being a copycat

Propose to her by giving an iPhone

For the money,
give me your kidney

Why don't you go
directly to her home?

My in-law might have
a licensed gun.

হ্যালো...

বিষ্ণু কথা বলছ?

আপনি কে?

আমি কে তার চেয়ে,
কি বলছি সেটা বেশি জরুরি।

জানো তোমার মামলায়
তোমার আইনজীবী,

কেন তোমার পক্ষে লড়ছে?

তুমি ইতিমধ্যে তোমার
জেলের সাজা শেষ করে ফেলেছ।

সে তো তোমার আঁট বছর
আর ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

যদি মামলাটি পুনরায় শুরু হয়,
পুলিশের তদন্ত আবার শুরু হবে।

এতে তার কিচ্ছু হবে না।

কিন্তু তুমি কি চাও
আবার এসব শুরু হোক?

জানোই তো উদ্দেশ্য ছাড়া
দরিদ্রদের কেউ সাহায্য করে না।

রাজকীয় দুই পরিবারের যুদ্ধে,
বেচারা সৈনিকরাই মারা যায়।

মনে রেখো এটা।

- সে কোথায়?
- রাস্তায় তো বলল।

ওহ, এই তো সে।

বসো, তোমার অপেক্ষা করছিলাম।

- কিছু খাবে?
- না।

মামলার সমস্ত বিষয়াদি তৈরি।

- সবকিছু নিয়ে এসেছ?
- হ্যাঁ।

আচ্ছা।

আমরা ক্যাব কোম্পানিতে গিয়েছিলাম,
এই তাদের কোম্পানির বিস্তারিত।

আর এই তোমার
কল রেকর্ডের বিস্তারিত।

পুলিশ কোর্টে এটা
কখনো পেশ করেনি।

এটা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট।

এসবের কিছুই
আদালতে পেশ করা হয়নি।

এটা নতুন ট্রায়াল?

মামলাটির পুনরায়
তদন্তের কাজ করা হবে?

নিশ্চয়।

আমরা আইনজীবীরা
তোমার জন্য আছি।

আপনাদের দেওয়ার মতো
আমার কাছে কানাকড়িও নেই।

- তাহলে মামলাটি পুনরায় শুরু করছেন কেন?
- দেখো...

একজন নির্দোষ শাস্তি ভোগ করেছে।

তাকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিলে
আমরা ভালো খ্যাতি অর্জন করব।

তুমি ন্যায় বিচার পাবে।

- ওটাকে কি বলা হয়?
- বিনিময় চুক্তি।

দেয়া-নেয়া পলিসির মতোই।

তাহলে আমি যে আঁটটি বছর
জেলে সাজা কেটেছি,

ওই আঁটটি বছর
আপনার বাপ ফিরিয়ে দিবে?

মামলা, ট্রায়াল, রি-ওপেনিং...

চাই না আমি তোমাদের মামলা
আর তোমাদের ট্রায়াল।

হ্যালো, শুনুন...

এই লোকটিকে কেউ চেনেন?

আঁট বছর আগে,

মারুতি সার্কেলে একজন
ক্যাব ড্রাইভার খুন হয়েছিলেন।

আর সেই খুনটি,

সে করেছিল।

এই লোকগুলো
কী ভাবছে জানো?

ফাঁসি দেওয়ার বদলে,

ওকে জেল থেকে
বের করছে কেন তারা।

আগামীতে আবার আরো
কত খুনখারাবি করবে।

যেহেতু সে বাইরে আছে।

এই সমাজে শুধু তুমি নয়,
তোমার মাও একজন খুনির মা।

আর ভবিষ্যতে তোমার বাচ্চারাও
একজন খুনির বাচ্চা হবে।

সুতরাং তুমি আজকেও একজন খুনি,
আগামীতেও খুনি হয়ে থাকবে।

এবং মৃত্যুর আগ অবধি
তুমি একজন খুনিই।

তাই খুনির খেতাবটি মুছতে চাইলে,

মামলাটি লড়াই করতে হবে।

চলো।

মামলাটি নিয়ে
বড় ভুল করে ফেলেছি।

- চিন্তিত হচ্ছেন কেন?
- থামো তো।

স্যার...

দাঁড়ান স্যার, স্যরি
আমি ভুল করে ফেলেছি।

- ক্ষমা করে দিন।
- যাও তো।

স্যরি স্যার, অন্যের কারণে
আমি আপনাকে ভুল বুঝেছি।

আরে যাও তো,
মেজাজ এখন ভালো নেই।

- যাও।
- সে কি বলেছে শুনুন।

স্যার, আমি দরিদ্র মানুষ
যে যাই বলবে সেটাই বিশ্বাস করব।

আমাকে ক্ষমা করে দিন।

চলুন স্যার মামলাটি নিয়ে
আবার লড়াই শুরু করি।

আপনি যা বলবেন
আমি তাই করব।

রি-ওপেন, রি-ইনভেস্টিগেশন,
যা কিছু প্রয়োজন, করুন।

আমি দুঃখিত, স্যার।

ঠিক আছে।

- এমন আর করো না।
- করব না, স্যার।

পুলিশের এফ.আই.আর অনুযায়ী,
ক্যাবটি আমার মক্কেলের বাইকে ধাক্কা দেয়।

পরে ক্যাবটি ফলো করে
থামিয়ে তর্কাতর্কি করে।

তর্কাতর্কি করে উত্তেজিত হয়ে,

বাইকে থাকা ছুরি দিয়ে সে
ক্যাব ড্রাইভারকে হত্যা করে।

কিন্তু কল রেকর্ড অনুযায়ী,

আমার মক্কেল ফোনে
তার মায়ের সাথে কথা বলছিল।

কলটি শেষ করে ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে
সে পুলিশকে অবগত করে।

৯০ সেকেন্ডের মধ্যে,

এসব ঘটে যাওয়া কিভাবে সম্ভব?

তোমরা তৈরি?

শুরু করো।

- আহাম্মক, ড্রাইভ করাও জানো না?
- দূর হও।

নিজেকে কী ভাবো?
গাড়ি থামাও।

মারব কিন্তু, নিজেকে কী ভাবো?

বাইরে আয়।

- ধমক দেওয়ার সাহস হয় কীভাবে?
- কী করবি তুই?

- খুন করে ফেলব।
- আগে বেরিয়ে আয়।

হারামজাদা।

আমার মাকে গালি!
খুন করে ফেলব।

আয় দেখি কে আগে মরে।

নিজেকে কী ভাবিস?
আমাকে চিনিস না?

বেরিয়ে আয়,
দেখি কে আগে মরে।

- মেরেই ফেলব।
- সাহস হয় কীভাবে! নাম।

স্যার...

কতক্ষণ?

হ্যাঁ।

এতে ক্যাব কোম্পানির বিস্তারিত রয়েছে।

ক্যাবের অবস্থানের তথ্যও
এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।

আচ্ছা।

আর এটা হচ্ছে আমাদের
ক্লায়েন্টের কল রেকর্ডের বিস্তারিত।

পুলিশ কখনো কোর্টে
এটা পেশ করেনি।

এটাই হচ্ছে মূখ্য প্রমাণ।

তার মায়ের সাথে কথা বলার
প্রমাণ আছে এখানে।

আর আমাদের ক্লায়েন্ট তার
মায়ের সাথে ১৫০ সেকেন্ড কথা বলেছিল।

কল শেষ করার পরে সে,

ঠিক ৯০ সেকেন্ড পরে
পুলিশকে জানায়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে,

৯০ সেকেন্ডে খুন করাটা কি সম্ভব?

স্যার, কল দুটোকে তুলনা করলে
প্রমাণিত যে আমাদের ক্লায়েন্ট নির্দোষ।

ব্যাপারটি হচ্ছে,

কোর্টে আমরা বিস্তারিত
উপস্থাপন করলে,

পুলিশ সঠিকভাবে,

ইনভেস্টিগেশন করেনি
আমরা এটা বলতে পারি।

কিন্তু...

আমাদের ক্লায়েন্ট যে খুনটি করেনি
সেটা বলা অনেকটা কঠিন।

তাছাড়া, স্যার...
ছুরিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আছে।

তাই কোর্টে এসব পেশ করে,

কীভাবে প্রমাণ করতে পারি
যে এটা তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নয়।

তাই...

আমার মনে হয় এ ক্ষেত্রে আমাদের
একজন রাজ সাক্ষীর প্রয়োজন।

ও ঠিক বলছে
কারণ খুনটি যখন ঘটেছিল,

সেখানে কেউ না
কেউ তো দেখেছে ব্যাপারটা।

নয়তো এমন কাউকে
দরকার যে বলবে,

ঐ সময় আমাদের
ক্লায়েন্ট ওখানে ছিল না।

তাহলে আমাদের একজন
যথোপযুক্ত সাক্ষীর প্রয়োজন।

যাতে প্রমাণিত হয়
আমাদের ক্লায়েন্ট নির্দোষ।

দরজা খোল।

- খোল..
- স্যার...

- খোল...
- স্যার, প্লিজ স্যার।

স্যার, আমাকে যেতে দিন
আপনি যেমন ভাবছেন আমি এমন নই।

ভাবছিস আমি তোকে যেতে দিব?

দরজা খোল।

স্যার, প্লিজ...

দরজা খোল।

স্যার প্লিজ স্যার,
এমন করবেন না।

করবেন না।

ওহ, ছুরি...

- প্লিজ কাছে আসবেন না।
- ছুরি মেরে দিবো?

প্লিজ স্যার,
এমন করবেন না।

আমাকে যেতে দিন, স্যার।

ফেলে দে ওটা
দেখ কিছুই হবে না।

- কেবল দুই মিনিট।
- প্লিজ স্যার, করবেন না।

সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।

- স্যার, করবেন না।
- কাছে আয়, সময় নষ্ট না করে।

স্যার, এসব বন্ধ করুন।

কী করছ?
মেরে ফেলবে ওকে?

বেরিয়ে এসো এখান থেকে।

জেনেশুনে এসব জায়গায় এসে,
আবার ইচ্ছা স্বাধীনতা নিয়ে ভাষণ দাও!

বেঁচে থাকাটাই হচ্ছে স্বাধীন।

এখনো এটা ধরে আছ কেন?
বুঝতে পারছ না?

দাও ওটা!

বাস স্টপে ছেড়ে দিচ্ছি
বাড়ি চলে যাও।

- তোমার বন্ধুকে কল করো।
- আমার কেউ নেই।

বসো।

জায়গাটি খুব খারাপ,
খুব বিপদজনক।

তোমাকে খোঁজে ঠিকই চলে আসবে।

তোমাকে এই শহর ছাড়তে হবে।

অন্য কোনো শহরে
কোনো বন্ধু বা ফ্যামিলি আছে?

কল দাও তাদেরকে
আমি সেখানে পাঠিয়ে দিব।

কুকর্মের কারণে বার মালিক
এই মামলার সাক্ষী হবে না।

আর আমি জানি পুলিশ
কীভাবে তোমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট পেয়েছিল।

এখন আমাদেরকে ওই
মেয়েটিকে খুঁজে বের করতে হবে।

আমরা এই সব
প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাব।

কিন্তু মেয়েটিকে আমরা
কীভাবে খুঁজে পাব?

- স্কেচগুলো খুব সুন্দর।
- আমার ছেলে এঁকেছে।

তুমি স্কেচ করতে জানো?

হ্যাঁ।

- স্যার।
- হ্যাঁ।

মেয়েটি খুব সুন্দরী না?

শীঘ্রই তাকে খুঁজে পাব।

আমরা এটাও খোঁজ নিব
যে মেয়েটি বিবাহিত কিনা।

মেয়েটিকে কীভাবে খুঁজে
পাওয়া যায় সেটা ভাবো।

এই ব্যাপারে ভাববেন না, স্যার।

কেন!?

আমরা টেকনোলজি ব্যবহার করে
তাকে খুঁজে বের করব।

আমার একটা বন্ধু আছে।

একবার আমার এক্স লাভারের
পিক তাকে দিয়েছিলাম।

অনলাইনে খোঁজার জন্য
তাকে অনুরোধ করেছিলাম।

মাত্র এক সপ্তাহে সে
তাকে খুঁজে বের করেছিল।

স্যার, কোন আহাম্মক বলেছে
এভাবে আমরা মানুষ খুঁজে পাব!

সে বলেছিল?

শেষবার যখন আমার গফকে
খুঁজতে বলেছিলাম,

পিকটি ফেসবুকে ব্যবহার করে
তাকে খুঁজে বের করিসনি?

- এই বোকাচোদা।
- গালি দিস না।

গালি দিইনি তো...

আমি তার প্রোফাইল
সহজে খুঁজে পাওয়ার কারণ,

তুই যে ছবি দিয়েছিলি তার ফেবু
প্রোফাইলে একই ছবি ছিল তাই।

আমরা যদি এই স্কেচ দিয়ে সার্চ করি,
তাহলে অনুরূপ স্কেচ খুঁজে পাব।

এতই যদি সহজ হতো,

তাহলে পুলিশ অপরাধীদের স্কেচ আপলোড করে
সকল অপরাধীদের ধরে ফেলত না!

- ঠিকই তো বলেছিস?
- আচ্ছা।

অন্য কোনো উপায় আছে?

স্যার, একটা ছবি আমাকে দিন।

একটা কেন
চাইলে দশটি দিব।

ওটা বলবেন না...

আমি বলছিলাম
চোখ-কান খোলা রাখতে।

সে মেয়েটির ছবির কথা
বলছে, তোমার নয়।

বোকাচণ্ডী।

ছবি পেলে তাকে
খুঁজে বের করতে পারবে?

জ্বী, স্যার।

- সুপ্রভাত, স্যার।
- সুপ্রভাত।

হোটেলের মেয়েটির ব্যাপারে
তদন্ত করেছিলে?

তদন্ত করেছিলাম, স্যার
মেয়েটি এখন ছুটিতে।

আমার নাম্বার তাদেরকে দিয়ে বলেছি
আমার সাথে যোগাযোগ করেতে।

ওই মেয়েটির ব্যাপারে
আর কোনো তথ্য পেলে?

তেমন কিছু পাইনি, স্যার।

মাফ করবেন, স্যার
বস আপনাকে ডাকছেন।

আচ্ছা, একটু পর আসছি।

না, এক্ষুণি যেতে হবে।

কেন?

আপনার সাথে একজন
দেখা করতে এসেছেন।

আচ্ছা।

মাফ করবেন, স্যার।

- ডেকেছিলেন?
- হ্যাঁ।

পাবলিক প্রসিকিউটর
পার্থসারথি এসেছেন।

বিষ্ণুর মামলার ব্যাপারে কথা বলতে।

কারণ আঁট বছর আগে
মামলাটি উনিই ঘেঁটে ছিলেন।

তাই উনার সাথে কথা বলার আগে,

প্রথমিক এবিসি'র মতো
বুঝে কথা বলতে হবে।

কীসের এবিসি!

সবসময় সাবধানে থেকো।

ওহ!

হ্যালো, কেমন আছেন?

দুর্দান্ত, স্যার।

- আপনি কেমন আছেন?
- ভালো।

- প্লিজ বসুন।
- ধন্যবাদ।

সুপ্রভাত, স্যার।

সুপ্রভাত, মাহেশ।

- কেমন আছ?
- ভালো, স্যার।

ব্যাপার কী?

তেমন কিছু নয়,
এমনি আসলাম।

স্যার, উকিল, ডাক্তার আর পুলিশ...

কোনো কারণ ছাড়া
কেউ কারো সাথে দেখা করে না।

ঠিক আছে, ব্যাপারটি কী?

-মাহেশ।
- স্যার...

স্যরি, স্যার।

মামলাটির বিস্তারিত আমি পড়েছিলাম।

অন্যায়ভাবে উনি একজন
নির্দোষীকে জেলে পাঠিয়েছিলেন।

স্যার, ঠিক আছে।

আমি এখানে এই ব্যাপারে
লড়াই করতে আসিনি।

একজন দার্শনিক
একবার বলেছিলেন,

জ্ঞান হচ্ছে নদীর মতো।

নদীর উপরে শব্দ
অনেক বেশি হয়।

আর যত গভীরে যাব
শব্দ ততোই কম হয়।

খবর পেলাম তোমার
একটি চাকরির প্রয়োজন।

এখানে অবশ্য
অস্থায়ীভাবে কাজ করছ।

স্যার, আপনি কিছু মনে না করলে
আমি ওকে একটি অফার করতে চাই।

ঠিক আছে।

জীবন সবাইকে কেবল
একটি সুযোগ দেয়।

কিন্তু...

আমি দিচ্ছি দ্বিতীয় সুযোগ।

আমি একটি নির্মাণ
কোম্পানি শুরু করেছি।

তুমি এটাতে যোগ দিতে পারো।

আমার সাথে রেস জিততে,

শুধু দেখো আমি কত দূর দৌড়াই।

তোমাকে অনেক দৌড়াতে হবে।

স্যার।

দৌড়ের শুরুতে আগে
কে আছে সেটা মুখ্য নয়।

মূখ্য হলো দৌড়ের
শেষ অবধি আগে কে থাকে।

ভালোই কথাবার্তা শিখেছ।

স্যার।

সূর্য আমাদেরকে আলো দেয়,
এমনকি টিউব লাইটও।

আমরা সূর্যের পূজো করি,
কিন্তু টিউব লাইটের পূজো করি না।

কোনো ব্যক্তি এমন প্রশ্ন করলে,
আমরা তাকে বুদ্ধিমান বলি না।

রামছাগল বলি।

যতই তুমি তোমার
বুদ্ধিমত্তা প্রমাণের চেষ্টা করো,

ততোই তুমি বোকাই হবে।

কৌতূহল নিয়ে মামলাটি
জিততে পারবে না।

তার জন্য প্রচুর খাটতে হবে।

শুভ কামনা রইল।

দেখা হবে, স্যার।

প্রথমত, আমার সকল ভুলের জন্য
আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

আপনার বলা অনুযায়ী জেলের পরিবেশ
আমাকে মানবিক বানিয়েছে।

সুস্থ মস্তিষ্ক নিয়ে,

সমাজে আমি একজন ভালো
নাগরিক হয়ে বসবাস করতে ইচ্ছুক।

এবং আমার মায়ের বয়স হয়েছে
উনাকে দেখভাল আমাকেই করতে হবে।

আমার বয়স বিচার করে,

আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে খুন করিনি,

আপনার কাছে আমার বিনীত নিবেদন
আমাকে একটা সুযোগ করে দিন,

স্বাভাবিক জীবন যাপনের।

আপনার বিশ্বস্ত, বিষ্ণু।

- হ্যালো, স্যার।
- কোথায় তুমি?

কাজিনকে নিতে
বাস স্টপে এসেছি।

বিচারকের কাছে
কোনো চিঠি লিখেছিলে?

কোনো চিঠির কথা বলছেন, স্যার?

স্বীকারোক্তি চিঠি।

বিচারকের কাছে কোনো চিঠি লিখেছিলে?
খুন করার বিবৃতি দিয়ে?

স্যার, পরিস্থিতি এমনই ছিল
যে কারণে আমি লিখেছিলাম।

কী! তুমি সাক্ষর করেছিলে?

পরিস্থিতি আমার বাল,
আমাকে এটা বলোনি কেন?

মজা করছ আমার সাথে?

সেদিন বলেছ
তুমি কখনো খুন করোনি।

আবার বিচারকের কাছে
চিঠি দিয়েছ খুন করেছ বলে।

নাটক করছ তোমরা!

স্যার, বিশ্বাস করুন
কিংবা নাই করুন,

খুনটি আমি করিনি
আর আপনি জানেন।

হ্যাঁ, আমি জানি।

তুমি এই স্বীকারোক্তি চিঠি দিয়েছিলে...

ওহ!

হ্যালো, স্যার...

হ্যালো, স্যার...

স্যার...

কী করছ তুমি?

- দোস্ত।
- হাই।

- কেমন আছেন?
- ভালো।

ব্যথা করছে।

ব্যথা! ডাক্তার উনার ব্যথা করছে।

চুপ, ওকে এখানে
নিয়ে আসলে কেন?

সবসময় বেশি বেশি করে।

কেমন আছ?

এখন ভালো লাগছে।

দেখো বোকার মতো কী করেছ।

দেখো।

আমার মনে হচ্ছে না
এটা কোনো দুর্ঘটনা ছিল।

পরিকল্পিত ছিল।

কী মনে হয়, শাস্ত্রী?

আমারও এমন মনে হচ্ছে।

তোমার ম্যাডাম আবার
এটা শুরু করেছে।

তোমার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।

মামলাটি নিতে চাও?

দেখো...

বাচ্চা পয়দা করা কষ্টের কাজ বলে,
তুমি গর্ভবতী নারীকে তো আর বিয়ে করবে না।

বাহ দুঃখের সময়ও
কি জোক্স বলেন!

এমন করবেন না ম্যাডাম
খুব যন্ত্রণাদায়ক।

তোমরা একটু সিরিয়াস হবে?

সিরিয়াস হয়ে যাও।

উনি ঠিক বলেছেন, স্যার।

তারা আইনকে ভয় পায় না,
ভয় পায় শাস্তি পাওয়াকে।

সিরিয়াসলি ভাবেন।

আহ!

তোমাদের কোনো লাজলজ্জা নেই?

আমরা আইনজীবী,
এমন কথা কীভাবে বলো!

আমাদের পেশায়
এমন হামেশাই ঘটে।

আর এ নিয়ে আমি দুঃখিত নই।

দুঃখের বিষয় হলো...

ছেলেটিকে আমি বিশ্বাস করেছিলাম,
কিন্তু সে আমাকে মিথ্যা বলেছিল।

এটাই।

সে স্বীকারোক্তির চিঠির ব্যাপারে জেনেও,
আমার কাছে গোপন রেখেছে।

এটাই কষ্ট দিয়েছে।

বিষ্ণু।

প্রত্যেকটি প্রমাণ আমাদের বিরুদ্ধে।

এখান থেকে বেরোনোর
একটাই রাস্তা আছে।

স্বীকারোক্তি চিঠি।

তুমি খুনি এটি লিখে
আমাদেরকে একটি চিঠি দাও।

বলবে যে ইচ্ছাকৃত হত্যাটি ছিল না।

অপ্রত্যাশিতভাবে মৃত্যু হয়ে যায়।

এর মানে পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না,

এটি একটি দুর্ঘটনা,
এটাই কোর্টে পেশ করব।

এভাবে তোমার শাস্তির
সাজা কমানো যাবে।

তাছাড়া তোমার আর্থিক
অবস্থাও সচ্ছল নয়।

তোমার মাও অসুস্থ।

কিন্তু স্যার,
সে স্বাক্ষর করলে...

খুনটি সেই'ই করেছে
প্রমাণিত হবে।

স্যার, সে খুন করেনি।

স্বাক্ষর করিস না।

আমি তোকে বের করব।

বাবা আমাকে বিশ্বাস কর।

স্বাক্ষর না দিলে তুমি
মৃত্যু পর্যন্ত জেলে থাকবে।

তখন তোমার মায়ের
খেয়াল কে রাখবে?

ধীরেসুস্থে চিন্তা করো।

- ছুরিতে তোমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছিল।
- স্যার, এমন করছেন কেন?

- তাদের কাছে প্রমাণ আছে।
- স্যার, আপনি সাহায্য করবেন বলেছিলেন।

যেকোনো আইনজীবী প্রমাণ
করতে পারবে তুমিই যে খুনি।

স্যার, সে স্বাক্ষর দিলে
অপরাধী হয়ে যাবে।

মা, উনি বলছেন
আমি বেরিয়ে আসতে পারব।

অথচ তুমি আমাকে বলছ
স্বাক্ষর না দিতে।

আমি এখানে আর
থাকতে পারছি না।

যেকোনো মূল্যে আমি বেরোতে চাই।

তোমাকে এভাবে দেখে
আমি সহ্য করতে পারছি না।

মা, বোঝার চেষ্টা করো
আমি তোমার সাথে থাকতে চাই।

তোমাকে সাহায্য করতে চাই।

বেরিয়ে আসার জন্য
উনি আমাকে সাহায্য করবেন।

উনি আমাকে কথা দিচ্ছেন।

চিঠিতে স্বাক্ষর দিলে
আমি বেরিয়ে আসতে পারব, মা।

আমি তোর জন্য লড়াই করে যাব
কিন্তু তুই স্বাক্ষর করিস না।

এই...

এই বিষ্ণু...

এসো, শোনো আমার কথা।

শাস্ত্রী, ওকে নিয়ে এসো।

বিষ্ণু, শোনো।

স্যার, চলে যান।

কি বলি সেটা শোনো, বিষ্ণু।

শুনতে চাই না।

তোমার ফ্রেন্ড শিলা
ফোনে রয়েছে।

মাইসর থেকে, কথা বলো।

হ্যালো...

আমাকে ভুল বোঝো না।

এটা বলার জন্য।

আমার মামলাটি পুনরায় শুরু হয়েছে।

ওই রাতে আমি
তোমার সাথে ছিলাম।

কোর্টে আমার সাক্ষী হবে?

আসলে,

তুমি আমার সাক্ষী হলে,

অনেক উপকার হবে।

প্লিজ।

জীবনটা প্রবাদ বাক্যের মতো,

কাঁটার আঘাতের পরেই গোলাপ থাকে,

সুখের মতো।

আবার এটাও কথিত আছে যে,

প্রতিটি গোলাপের সাথে
কিছু কাঁটাও থাকে,

অনেকটা দুঃখের মতো।

আমি অনেকটা
এই গোলাপের মতো।

এখন...

আমি কাজে আসি ৯ টায়।

বাড়ি যাই ৬ টায়।

এখন আমার স্বামী আছে,

নিজের পরিবার আছে,

এই অবস্থায়...

আগে আমি...

পাবে কাজ করতাম।

এখন যদি বলি,

আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল।

তাহলে আমার জীবনের
অর্থটাই হারিয়ে যাবে।

ওইদিন তুমি আমাকে
অনেক সাহায্য করেছিলে।

তোমার জন্যই আমি
নতুন একটি জীবন পেয়েছি।

কিন্তু...

আজকে আমি...

দুঃখিত।

- হ্যালো।
- কোথায় তুমি?

- বাস স্টপে।
- বলতে ভুলে গিয়েছিলাম।

তুমি জেলে যাওয়ার ৯ মাস পরে
পেপারে একটি লেখা বের হয়েছিল,

খুনের ব্যাপারে,
পেপারটি আমার কাছে আছে।

মনে হয় এতে
তোমার উপকার হবে।

- জলদি হোটেলে আসতে পারবে?
- হ্যাঁ, আসছি।

ঠিক আছে, এই প্রমাণই যথেষ্ট।

আচ্ছা।

কিন্তু আপনারা ওর সাথে
ক্যামেরা রেখেছিলেন কেন?

আসলে স্যার ছেলেটি
শর্তাধীন জামিন পেয়েছে।

তাই নিরাপত্তার জন্য
এমনটাই করেছিলাম।

শর্তাধীন জামিনে মুক্তির
কপি পেতে পারি?

নিশ্চয়, স্যার।

নিন, স্যার।

স্যার, আমার একটা সন্দেহ রয়েছে।

আপনি কীভাবে জানলেন
সেখানে যে খুন হয়েছিল, স্যার?

অজ্ঞাত একটি কল পেয়ে আমরা যাই।

ওই ছেলেটিকে আমরা
সাথে নিয়ে যেতে পারি?

অবশ্যই।

কিন্তু এটার একটি কপি
আমাকে দিতে হবে।

আর প্রয়োজনে আপনাদেরকে
আবার আসতে হবে।

হ্যাঁ, অবশ্যই স্যার।

নায়াক এটা নাও।

কপি করো।

- ছেলেটিকে ছেড়ে দাও।
- ধন্যবাদ, স্যার।

ধন্যবাদ, স্যার।

স্যার, ক্যামেরা পেনের জন্য
সে বের হতে পারল।

নয়তো জেলেই থাকত।

চুপ করো।

রাখো এটা।

পেপারে লেখা বের হয়েছিল।

কিন্তু...

এতে বেশি কিছু পাওয়া যাবে না।

শাস্ত্রী, প্রকাশকে কল দিয়ে
অনুসন্ধান করো,

লেখা কিংবা মামলার
ব্যাপারে কিছু জানে নাকি সে।

- গুড আইডিয়া, স্যার।
- এটা নাও।

লেখার বিষয়টি সত্য।

কিন্তু তখন ইন্সস্পেক্টর
রাঘাভাণ ছুটিতে ছিলেন।

তাই মামলাটি দায়িত্ব
অন্য একজনের উপর ছিল।

কিন্তু এখন সে অবসরপ্রাপ্ত।

প্রকাশ বলেছে যে আমরা উনার সাথে
কথা বললে অনেক কিছু জানতে পারব।

নাম কি উনার?

পাস...

ওইদিকে পাস করো।

দাঁড়িয়ে পাস করো না।

হ্যাঁ, ওটা ভালো ছিল
পাস করো।

স্যার, চিনতে পেরেছেন?

কীভাবে ভুলতে পারি?

আমার সার্ভিসের শেষ
মামলাটি তোমার ছিল।

স্যার, ওইদিন...

আমি জেলে যাওয়ার পরে,

কিছু ঘটেছিল এমন
তথ্য আমি পেয়েছিলাম।

কী ঘটেছিল, স্যার?

তুমি জেলে যাওয়ার ৯ মাস পরে
স্টেশনে একটি ফোন কল রিসিভ করি।

স্টেশনে রাঘাভাণ ছিলেন না।

তাই কলটি আমিই ধরি।

হ্যালো...

স্যার, নয় মাস আগে...

মারুতি সার্কেলে একজন
টেক্সি ড্রাইভারের খুন হয়।

খুনটি কে করেছে আমি জানি, স্যার।

যাকে গ্রেফতার করেছেন
সেই ব্যক্তি নয়।

আমি জানি ওখানে কি হয়েছিল।

আপনাকে সবকিছু বলব।

আমাকে কখন
আসতে হবে বলুন, স্যার।

আমি সবকিছু বলব।

তুমি কে?

তাহলে স্যার, আপনারা
খুনিকে খুঁজে পেয়েছিলেন?

এই জায়গা।

যেখানে আমরা আমাদের অফিস
শুরু করার পরিকল্পনা করছি।

- কেমন?
- দারুণ।

মেইন রোড পাশেই রয়েছে।

খুব ব্যয়বহুল হবে?

মাসে চার লাখ।

- ও খোদা!
- শাস্ত্রী...

একটি ফ্লোরের জন্য
মাসে ভাড়া চার লাখ?

শাস্ত্রী, পুরো বিল্ডিং এর জন্য।

স্যার, আপনার শ্বশুর
খুব কঞ্জুস বলেছিলেন,

জিও সিম দিয়েও মিসড কল দেন।

তাহলে এত বড় প্রপার্টি
ব্যবস্থা করলেন কীভাবে?

শাস্ত্রী, কী বলে যাচ্ছ?

এমন কিছু আমি বলেছিলাম?

স্যার, নিজেই তো বলেছিলেন।

কুমন্ত্রণা দিয়ে আমাদের
মধ্যে ফসাদ সৃষ্টি করছ।

আমি যেটা বলেছিলাম,

আমার শ্বশুর খুব
উদার মনের মানুষ।

কেবল আমাকে ব্যাংক থেকে
লোন পাইয়ে দেনিনি,

বরং তিনি আমার ইএমআইও
পরিশোধ করেছিলেন।

তিনি দেবতুল্য মানব।

না, সহৃদয়বান মানব।

চুপ করবে তোমরা।

তুমি যেখানেই যাও এই
বানরটাকে নিয়ে আসো কেন?

শুনে ফেলেছি, স্যার।

- সব শুনে ফেলেছি।
- তোমাকে নয়, শাস্ত্রী।

এই যুগে,

ছেলে মেয়েদের মধ্য মূখ্য হলো,

বিল্ডিং এর মধ্যে তারা একা হলে,

লোকজন কী ভাববে?

ম্যাডাম, স্যার,
আর কিছুই বলবেন না।

আপনার সম্পর্কে আমি
ভালো জানতাম আর আপনি...

- এসময় কে কল দেয়?
- কে?

আমাদের ক্লায়েন্ট?

এক্ষণি কেটে দাও।

আর কতদিন এভাবে
ছোটোখাটো মামলা লড়বে তুমি?

আসলে...

তোমার বুদ্ধিমত্তার সাথে,
এমন কাজ করাটা মানানসই না।

তোমার বিশাল কিছু করা উচিত।

ঠিক আছে।

কিন্ত এমন বড় জায়গার জন্য
আমাদের প্রচুর বিনিয়োগ দরকার।

বিনিয়োগের পরে প্রতি মাসে,

চার লাখ হিসেব করে রাখাটা,

খুব জরুরি।

সবকিছুই সম্ভব।

কেবল সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তোমার সমস্যা কী?

মামলা আর বিনিয়োগের
ব্যবস্থা আমি করে নিব।

তুমি কেবল মামলা লড়বে।

সোজা হিসাব।

কিন্তু এখনো...

দেখো...

সময়ের সাথে পাল্লা দিতে হবে,
নয়তো আমাদের থেকে এগিয়ে যাবে।

ভেবো দেখো।

- আবার কে কল দিচ্ছে?
- আবার ও?

দেখো...

আমার লক্ষ্যে যেতে
ছোটবড় আমি মনে করি না,

কিন্তু আমার যা পছন্দ নয়
তার পেছনে আমি কখনোই দৌড়াব না।

আসছি।

হ্যালো, কে?

খুনিকে খুঁজে পেয়েছে।

হ্যালো স্যার,
সাক্ষাৎ হয়ে ভালো লাগল।

আমাদের কোম্পানি
বাছাই করার জন্য ধন্যবাদ।

এই গাড়ি খুঁজছেন
ভল্কস্বাগেন ভেন্টো রেড।

কেবল আপনার জন্য
আমরা অর্ডার করেছি।

মাত্র ৫ লাখ টাকা খরচ পড়বে।

- ৫৫০০০ কিঃমিঃ চলেছে।
- আচ্ছা।

কোনো এক্সিডেন্ট হয়নি।

একবারও বীমা দাবী করা হয়নি,
একমালিকানার অধীনে ছিল।

সম্পূর্ণ লোড মডেল।

একজন ডাক্তারের গাড়ি
বিদেশে চলে যাচ্ছেন তাই বিক্রি করছেন।

পেট্রোল নাকি ডিজেল কার?

পেট্রোল কার...

১.২ লিটার ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি।

দেখতেও কিন্তু খুবই সুন্দর।

জ্বী স্যার, উনি গাড়িটি
বেশি ব্যবহার করেননি।

গাড়িটি নিয়ে কেবল বাড়িতে
যাতায়াত করতেন।

দামদর মালিকের সাথে বুঝে নিবেন,
উনি আসছেন।

এক মিনিট স্যার,

হ্যালো স্যার,
কীভাবে সাহায্য করতে পারি?

দশ মিনিট সময় দিন,
তারপর আমরা কথা বলব।

ভালোই কাজ পেয়েছিস।

একজনের গাড়ি অন্যজনের
কাছে বিক্রি করা,

অন্যজনকে খুনের
মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া।

ঠিক বলিনি?

- হ্যালো, স্যার।
- কোথায় তুমি?

- স্যার, পার্কিং লটে।
- আসিছি।

হ্যালো...

বিষ্ণু!

বিষ্ণু!

বিষ্ণু!

বিষ্ণু!

স্যার, সাহায্য করুন।

সে একজন খুনি।ল, স্যার।

তোমাকে কেন
খুন করার চেষ্টা করছে?

স্যার, অনেক লম্বা গল্প।

পরে আপনাকে বলব
আমাকে বাঁচান, স্যার।

প্লিজ, স্যার।

লম্বা গল্পটি শোনার জন্য
আমি এখানে এসেছি।

এদিকে আয়।

আয়, এখানে।

ঠিকঠাকভাবে বল, তুই কে?

আর ওই রাতে কী ঘটেছিল?

নয়তো আমি...

বলছি, স্যার।

স্যার...

আমি একজন ছোটখাটো চোর।

চেইন ছিনতাই সহ ছোটখাটো
জিনিস ডাকাতি করতাম।

স্টেশনে যখন কেস
রেজিস্টার্ড হতো না তখন,

রাঘাভাণ আমাদেরকে বের করতেন,

ডাকাতি করার জন্য।

ওই রাতে আমরা
ডাকাতি করতে বের হই,

ব্যাঙ্গোলোরে টেক্সির সেবা শুরু হওয়ায়,

ওই সকল টেক্সি ড্রাইভার থেকে
ডাকাতি করা খুব সহজ ছিল।

তাই ওইদিন আমি
টেক্সি বুকড করি।

কিন্তু...

ওই টেক্সি ড্রাইভার
অনেক শক্তিশালী ছিল।

আমি ছিলাম পুরো মাতাল।

তার কাছ থেকে টানাটানি করতে যেয়ে
আমি তাকে ছুরিকাঘাত করে ফেলি।

আর ওখান থেকে পালাই।

তারপর...

ওহ! বলেছিলাম ডাকাতি করতে,
হতচ্ছাড়া খুন করে ফেলেছ!

কীভাবে সামলাব?

কোথায় গিয়েছে?

- মূর্তি।
- স্যার...

- চেষ্টা করছ?
- জ্বী, স্যার।

শালার পুলিশ।

ফোন বন্ধ করে দেবো,
দেখি কী করতে পারে।

স্যার, ওর ফোন বন্ধ।

স্যার, ক্যাব ড্রাইভার মারা গিয়েছে
ক্যাব ড্রাইভার ইউনিয়ন খবরটি পেলে,

বিশাল ঝামেলা হবে।

দ্রুত শালাকে ধরতে হবে।

তুই একজনকে হত্যা করেছিস
পুলিশ খুঁজে পেলে ছাড়বে না।

ওরা আমাকে ছুঁলেই,
তাদের গোপন কথা ফাঁস করে দিব।

স্যার...

বেরিয়ে এসে সে যদি বলে দে
পুলিশের নেতৃত্বে তারা ডাকাতি করে,

সেই সুবাধে তাদের নামে
কোনো মামলা রেজিস্টার্ড হয় না।

মিডিয়াতে এ নিয়ে বড়সড় ঝামেলা হবে
তারপর আমরা সবাই ধরা খাব, স্যার।

আচ্ছা।

ছুরি, ফোনটি আর যাকিছু
ডাকাতি করেছিস সব দিয়ে,

শার্টটি খুলে স্নান করে আয়।

আমি একটা প্ল্যান করি।

প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করছে!

কিন্তু নয় মাস পরে আমার বন্ধু
তার বোন আমাকে ভালোবাসতো বলে,

রাঘাভাণ যখন পুলিশ স্টেশনে ছিল না
তখন সে পুলিশ স্টেশনে কল দিয়ে,

তখন এই খুনের ব্যাপারে
তাদেরকে জানায়।

তারপর...

ছিনতাই করা জিনিসগুলো কোথায়?

- ফোন, চেইন আর পার্স।
- স্যার...

ভয়ে ছিলাম তাই সবকিছু
পুড়িয়ে ফেলেছিলাম।

তাহলে ও যে খুন করেছে
তার প্রমাণ কোথায়?

খুন করার পরে সে
সরাসরি আমার রুমে এসেছিল,

খুনের ছুরিটি আমি
নিজে নষ্ট করে ফেলেছি।

আমি এই মামলার সাক্ষী হব।

শালা, মাদারচোদ...

আমার সাথে গেইম খেলছিস!

হত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়া অপরাধ নয়,
কিন্তু বোন বিয়ে করবে সেটা অপরাধ, তাই?

তাকে আশ্রয় দেয়াটা অপরাধ ছিল,
এর জন্য কি শাস্তি পাবে জানো?

স্যার, কারো জীবন শেষ করতে চাইলে
আপনাকে অনেক কিছু বলিদান দিতে হবে।

রাজেশ, ওর জবানবন্দি রেকর্ড করে
এফআইআর ফাইল করো।

এসবের পরেও,

মামলাটি পুনরায় শুরু হয়েছিল
পেপারে লেখাও প্রকাশ হয়েছিল।

অফিসার রাঘাভাণ
ডিউটিতে ফিরে এসে,

পাবলিক প্রসিকিটরের
পার্থসারথির সাথে দেখা করে,

কিছু পরিকল্পনা করেছিল,
তারপর আমরা জামিন পাই।

আমরা জামিন পাওয়ায়,
তারা খুব ভয়ে ছিল।

আমাদের মেরে ফেললে
মামলাটি অনেক বড় মোড় নিবে,

তাই রাঘাভাণ স্যার একটা প্ল্যান করেন।

এদিকে আয়,

জলদি আয়...

তিন মাসের জন্য তোমরা
সবার চোখের আড়ালে যাবে?

স্যার, কেবল তিন মাস নয়
প্রয়োজনে ছয় মাসে জন্য যাব।

- মূর্তি...
- স্যার...

ছয়মাস চিকিৎসার জন্য
তাদেরকে নিমহান্স পাঠিয়ে দাও।

স্যার, কী বলছেন?

ছয়মাসের জন্য নিমহান্স
হাসপাতালে থাকো।

তোমরা মানুষিক ভারসাম্যহীন ছিলে
আর এখন তোমরা সুস্থ আছ,

ডাক্তার এমনই একটি
শাংসাপত্রে বিবৃতি দিবে।

তবেই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে।

দেখো...

তোকে হত্যা করাটা
আমার কাছে সেরা উপায় নয়।

কিন্তু...

উপায়গুলোর মধ্যে এটিও একটি।

কিন্তু স্যার, এই
ব্যাপারে আমি নিশ্চিত,

ক্যাব ড্রাইভারকে ছুরিকাঘাত করে
আমি মেরে ফেলিনি।

এই নিয়ে আমি আপনাকে
আশ্বাস দিতে পারি।

বলেছিলে তোমার এক বন্ধু ছিল।

তার কী হয়েছিল?

স্যার, সে...

বিষণ্ণতার কারণে
মানুষিক হাসপাতালে চলে যায়।

শক ট্রিটমেন্ট সহ্য করতে না পারায়,

- হাসপাতালে মারা যায়।
- ধুর।

স্যার, তাকে আত্মসমর্পণ
করালে কী হবে?

নিজেই স্বীকার করছে সব,
মামলার সমাধান হয়ে যাবে।

না, এটা সম্ভব নয়।

শাংসাপত্রে বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
সে মানুষিকভাবে অসুস্থ।

এখন ওকে কোর্টে পেশ করলে,
ওর জবানবন্দিতে কাজ হবে না।

বরং প্রমাণিত হবে ও
মানুষিক ভারসাম্যহীন।

- স্যার, ওকে মেরে ফেলব।
- ছাড়ো তো।

কী করছ?

অপরাধের শাস্তি হয়তো বিলম্বে হতে পারে,
কিন্তু নিশ্চয় সে শাস্তি পাবেই।

শাস্ত্রী...

খেয়াল রাখব, স্যার।

সুতরাং...

খেলাটি এখন শুরু হবে।

সূর্য ক্যাব ড্রাইভারকে
জোরে ছুরিকাঘাত করেনি,

তারমানে, সে তখনো বেঁচে ছিল।

তাহলে সে কীভাবে মারা গেল?

তারপরে কি কেউ এসেছিল?

খুনটি কেউ দেখেনি কীভাবে!

কেবল একটি সুরাহার দরকার,
মামলাটির সমাধানের জন্য।

কীভাবে খুঁজে পাব সুরাহাটি?

কীভাবে!

শাস্ত্রী...

এত বড় মেইন রোড আর একটা
পোঁকাও খুনটি দেখল না কীভাবে!

স্যার, আমাকে ধমকাচ্ছেন কেন?

স্যার, এটি আঁট বছর
আগের মামলা।

অনেকে হয়তো তাদের
ঘরবাড়ি খালি করে ফেলেছে।

কেউ কেউ ভেঙ্গে ফেলেছে আবার
কেউ কেউ পুনরায় নতুন করে,

বাড়ি নির্মাণ করেছে।

প্রত্যেকটি বাড়িতে গিয়ে
কীভাবে জিজ্ঞাসা করতে পারি?

যে ম্যাডাম আঁট বছর আগের
এখানে একটি খুনি হয়।

খুনিকে আপনি দেখেছিলেন?

সেটাই...

এমনকি কেউ দেখে থাকলেও,
আমরা তাকে কীভাবে চিনব?

হাইফাই দিন।

তুমিও তো ঘর বানিয়েছ,

তাহলে ওখানে এটি
বানাতে গেলে কেন!

- এটি মামলায় সাহায্য করবে।
- খোদা!

ওয়াট আ টাইমিং, স্যার।

মা ফোন দিয়েছেন,
উনাকে জিজ্ঞাসা করি।

হ্যালো...

এটার জন্য কল দিয়েছ?

কাজের সময় বিরক্ত করো না।

মা, আমি মিটিং এ আছি।

ফোনটা রাখো।

পরে কল দিব।

স্যরি স্যার, আমার মা...

অনলাইনে পুরনো পেপার,
বিক্রির জন্য জিজ্ঞাসা করছেন।

কত হলে বিক্রি করবে
সেটা জিজ্ঞাসা করছিলেন।

অদ্ভুত ব্যাপার,

পুরনো পেপার বিক্রির...

স্যার, সকল পেপারের গুরুত্বপূর্ণ
অংশ কেটে নিয়ে এসেছি।

আশেপাশে যে গুরুত্বপূর্ণ
ঘটনাগুলো ঘটেছিল,

মার্চের ১০ তারিখ আর ১১ তারিখ...

স্যার, ৬টি বড়সড় ঘটনা ঘটে।

প্রথম পয়েন্ট...

ওইদিন ব্যাঙ্গালোরে অসময়ে
প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়,

এতে মারুতি সার্কেল
পুরোপুরিভাবে প্লাবিত হয়।

- আচ্ছা।
- পয়েন্ট - ২

নিকটস্থ আরটিও অফিসারের
বাড়িতে হানা দিয়েছিল।

আচ্ছা।

পয়েন্ট-৩
বিদ্যানগরে...

শিভান্না, রাঘাভাণ গার্মেন্টস নামে
একটি দোকান উদ্বোধন করা হয়।

- বিদ্যানগরে?
- হ্যাঁ।

আচ্ছা।

পয়েন্ট ৪

মারুতি সার্কেলে ৮ নাম্বার
ক্রসে একটি গাছ পড়ে,

দুইজন জায়গাতেউ মারা যায়।

নোট করো।

পয়েন্ট ৫

একই এলাকায় একটি
জুয়াড়ির বাড়ি ডাকাতি হয়।

আচ্ছা।

পয়েন্ট ৬

মধ্যরাত্রি একটি ট্রাক
এম.আরে এক্সিডেন্ট হয়।

এতে ড্রাইভার তার পা হারায়।

- মধ্যরাত্রি এম.আরে।
- হ্যাঁ।

কিন্তু...

টেক্সি ড্রাইভার খুন হয়েছিল
মারুতি সার্কেলে না?

সম্পৃক্ততাটি কী?

স্যার, সম্পৃক্ততা তো রয়েছে।

আগে যেভাবে বলেছিলাম,

শিভান্না, একটি গার্মেন্টস
দোকানের উদ্বোধন করেছিলেন,

- বিদ্যানগরে।
- ঠিক।

চালান আনলোডিং করে
ফিরছিল সেই ট্রাকটি।

ওখানে ব্রেক ফেল হলে,

এম.আর. লেআউটে এক্সিডেন্ট হয়,
এতে ড্রাইভারের পা হারায়।

আচ্ছা, বিদ্যানগরে চালান
আনলোডিং করে ফিরতে,

এম.আর. নগরে
এক্সিডেন্টটি ঘটেছিল।

তারমানে...

ওই রাস্তা দিয়ে গিয়েছিল।

মারুতি সার্কেল,

- ক্রস করে।
- ১০০%

তাহলে...

এক্সিডেন্টটি কখন ঘটেছিল?

স্যার, ১২:৪০ এ।

১২:৪০।

আচ্ছা, জানু...

বিষ্ণু পুলিশকে
কখন কল করেছিল?

১২:৩১:২০ সেকেন্ডে।

শাস্ত্রী...

বিদ্যানগর থেকে এম.আরে যেতে,
ট্রাকের কতক্ষণ সময় লাগবে?

বেশি হলে ২০ মিনিট, স্যার।

২০ মিনিট।

আচ্ছা।

জানু, বিদ্যানগর থেকে
মারুতি সার্কেলে যেতে,

ট্রাকে কতক্ষণ লাগবে?

বেশি হলে ১০ মিনিট।

১০ মিনিট।

১২:৪০ এ দুর্ঘটনাটি ঘটলে তাকে
বিদ্যানগর ছাড়তে হবে ২০ মিনিট আগে।

তাহলে সে বিদ্যানগর
১২:২০ এ ছেড়েছিল।

আরো ১০ মিনিট সময় লাগলে,

১২:৩০ মিনিটে,

মারুতি সার্কেল ক্রস করে।

আর ১২:৩১ মিনিটে,

বিষ্ণু পুলিশকে কল দিয়েছিল।

তাহলে ট্রাক ড্রাইভার খুনের সময়,

ওখানেই ছিল...

বুঝেছি স্যার,

ট্রাক ড্রাইভার বেঁচে থাকলে বা মারা গেলে
আমরা অবশ্যই খবরটি পেতাম।

- ধন্যবাদ, শাস্ত্রী...
- ঠিক আছে, স্যার।

- কিন্তু আমার একটা সন্দেহ আছে।
- কী সেটা?

সিদ্ধান্তের সময় আসলে
আপনি জানু বলেন,

কিন্তু তথ্য সংগ্রহণের সময় বা
প্রমাণ কিংবা সাক্ষীর সময় আসলে,

সবসময় আমাকে পাঠান কেন?

এমন আসলে নয়, শাস্ত্রী...

ব্যাপারটি হচ্ছে,

এই খেলায় কিছু মানুষ আছে
তবে হিসাবে নয়,

তুমি হিসাবে রয়েছ।

কিন্তু খেলাতে নয়।

স্যার, ম্যাডাম আমার পাশে।

হ্যাঁ, শাস্ত্রী...

স্যার, পিছনে যান...

ম্যাডাম আমার তারিফ নাকি,

নিন্দা করেছিলেন?

শাস্ত্রী, দেরি হয়ে যাচ্ছে।

যাও, তোমাকে
অনেককিছু করতে হবে।

মনে হচ্ছে, আমার
নিন্দা করেছিলেন।

স্যার, টেক্সি ড্রাইভারের
খুনের ব্যাপারে আমি কিচ্ছু জানি না।

প্রচুর বৃষ্টি ছিল।

চালান আনলোডিং পরে
আমি বাড়িতে যাচ্ছিলাম,

তখন একটা লোক...

স্যার...

স্যার, ট্রাকটি থামান।

স্যার...

কী হয়েছে?

পরের সার্কেলে আমাকে নামিয়ে দিন।

কী হয়েছে?
ঠিক আছে, উঠে পড়ো।

অসংখ্য ধন্যবাদ, স্যার।

দোস্ত, কোথায়?

সার্কেলে এসেছিলি?

দোস্ত, মনে হচ্ছে আমি
একটি খুনের সাক্ষী।

তুই জলদি আয়,
সবকিছু বলব।

প্লিজ, জলদি আয়।

কী হয়েছে?

এত চিন্তিত কেন?

- ক্যাব পার্ক করা দেখেছেন?
- জ্বী।

মনে হচ্ছে কেউ
ওখানে খুন হয়েছে।

স্যার, খুনি আমাকে দেখে ফেলেছে।

স্যার, আমাকে একটু এগিয়ে দিন।

প্লিজ, স্যার।

তাই...

তাহলে পুলিশ স্টেশনে যেয়ে
একটি অভিযোগ দায়ের করুন।

জ্বী, করব।

আমার বন্ধু আসছে।

আমাকে একটু এগিয়ে দিন।

প্লিজ, স্যার।

আচ্ছা, চিন্তা করবেন না।

নামিয়ে দিব।

অসংখ্য ধন্যবাদ, স্যার।

অন্য কোনো সুরাহা
মনে করতে পারছেন না?

যেমন ওর নাম বা,

কার সাথে কথা বলছিল?

ওর বন্ধু, ওর নাম, কোনোকিছু?

মনে করার চেষ্টা করুন।

ওর বন্ধুর সম্পর্কে,

- কিছু বলেছে?
- না, স্যার।

ঘটনাটির আঁট বছর হয়ে গেছে,

তার উপর,

এক্সিডেন্টের পর তিনদিন
আমি অজ্ঞান ছিলাম।

আমি অনেকদিন ধরে আমার
নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করায়,

এখন উনি আমাকে ছোট একটি
চাকরি দিয়েছেন উনার আউটলেটে।

ওহ!

ভালো...

ভালো।

ঠিক আছে,
ধন্যবাদ স্যার।

- অসংখ্য ধন্যবাদ।
- জ্বী, স্যার।

- গরম চা...
- ধন্যবাদ, শাস্ত্রী।

দোস্ত...

এই সময় ম্যাডামকে নিয়ে
আসলেন কেন?

আমরা গুরুত্বপূর্ণ সুরাহা পেয়েছি।

এটাই হচ্ছে কারণ।

আচ্ছা, এখন সুরাহাটা কী?

এখন...

খুনের একজন সাক্ষী রয়েছে।

সে তার ভাইকেও এটা জানিয়েছে,

কোথা থেকে সে এসেছে
আর কেন?

কোথায় গিয়েছে?
এখন কোথায়?

আমরা কিচ্ছু জানি না।

এখন তাকে খুঁজতে হবে।

কীভাবে খুঁজে বের করব!

খোদা!

ক্যান্ডি ক্রাশ খেললেও ডায়াবেটিস হয়ে যাবে
আমাদের পরিস্থিতি প্রায় এমন।

আশেপাশের কলেজ
সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করলে,

হয়তো কিছু সুরাহা পেয়ে যাব?

অসম্ভব।

প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি
ওখানে স্টুডেন্ট থাকবে।

সবাইকে ট্রাক করা অসম্ভব।

- কোনো উপায় নেই।
- একটা আইডিয়া আছে।

অতীত জীবন নিয়ে টিভিতে
একটি অনুষ্ঠান হয়।

খুনির কাছে গিয়ে তার,

তার অতীত জীবন এবং

খুনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে
কেমন হবে?

মুখে চা ছুড়ে মালরে
কেমন লাগবে?

আমার মাথাটা টাওয়ারের মতো।

এখানে অনেককিছু আছে
শুধু কাজের সিগন্যাল ধরতে হবে।

- আপনাকে কেবল বুঝতে হবে।
- কী বললে!?

আমার মাথাটা টাওয়ারের মতো,
এখানে অনেককিছু আছে।

শুধু কাজের সিগন্যাল ধরতে হবে।

আমি যেটা ভাবছি
সেটা তুমিও ভাবছ?

লোকটি তার বন্ধুর সাথে
ফোনে কথা বলছি না?

তাই সব কল রেকর্ড,

এলাকার টাওয়ারে রেকর্ড থাকবে।

শাস্ত্রী...

বিস্তারিত খুঁজে বের করব।

রাত ১২ টা থেকে ১ টা অবধি,
চারটি টাওয়ারে সকল নাম্বার এক্টিভ ছিল।

মোট...

৫১৮ নাম্বার।

কীভাবে খুঁজে বের করব?

লোকটির কাছে যে সিম ছিল
সেটার আইডি ফেক হবে না?

অসম্ভব।

একজন সংশিত খুনি,

ফেক আইডি দিয়ে সিম নিবে,

আমাদের মতো সাধারণ
মানুষ এমন করবে?

আমাদের ডিএল আর ভোটার আইডি,

সাবমিট করতে হবে সিমের জন্য।

তাহলে...

খুনটি হয়েছিল যখন,

তখন সে ওখানে ছিল।

তাহলে সে একজন ছেলে।

সকল মেয়েদের নাম্বার কেটে ফেলুন।

আচ্ছা, ৪৪৮

তারপর?

কতক্ষণ সে ফোনে
আলাপ করেছিল মনে হয়?

৯০-১৮০ সেকেন্ডের মধ্যে।

তাহলে ১৮০ সেকেন্ডের চেয়ে বেশি,

কল রেকর্ড কেটে দাও।

থাকল, ২৯৮ টি।

পরে?

বলেছিলেন সে একজন ছেলে।

তাহলে বয়স্কদের দরকার কেন?

আচ্ছা, কতটা নাম্বার এক্টিভ?

১৬ টি নাম্বার।

সবাইকে ফোন দিয়েছিলাম,

খুনির ব্যাপারে কেউ জানে না।

এখনো, আমাদের কাছে
১৯৬ টি নাম্বার রয়েছে।

ভ্রমণের সময়,

২-৩ টি টাওয়ার অতিক্রম করবে,

তাহলে সকল মাল্টি টাওয়ার
নাম্বার কেটে ফেলি।

এখনো ১০৬ টি নাম্বার থাকে।

তাদের কেউ কার্ণাটাকের কোণায়
নির্জনে আশ্রয় নেবে।

শহর ছেড়ে কিছু চলে যেতে পারে।

কিছু দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারে।

এবং কিছু মারাও যেতে পারে।

এদের সবাইকে ট্রাক করতে,

কমসে কম আমাদের
তিন মাসের প্রয়োজন।

কীভাবে করব?

বিষ্ণু পুলিশকে কল দিয়েছিল,

ওটা কেটে ফেলো।

ওহ! ওটাও তো উপকারী ছিল।

এখনো ১০৫ টি আছে।

স্যার...

আপনাদের কথাবার্তা শোনলাম।

একজন লোক আর একজন
খুনির ব্যাপারে কথা বলছেন।

খুব সহজ, স্যার।

খুনের পরের দিন
যে নাম্বারটি অফ ছিল,

ওটাই আপনার লোক।

দাঁড়ান, কেউ আসছে।

- স্যার, আপনি আমঘাভার্শা?
- জ্বী।

খুঁজে পেয়েছি, পরে কল দিচ্ছি।

আপনার সাথে কথা বলতে চাই।

স্যার, মধ্যরাত্রি ১২ থেকে
১২:১৫ এর কাছেপিঠে,

প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল।

মুভি দেখে আমি ফিরছিলাম,

ভাবলাম বাড়ি ফেরার আগে
মদ কিনে নিয়ে যাই।

তাই কাছের একটা
মদের দোকানে গেলাম।

মদের দোকানের লোকটি,
ফোন ধরছিল না।

চলে যাব ভাবছিলাম,

তারপর...

দেখলাম রাস্তায় একটি
ক্যাব নড়াচড়া করছে।

রাস্তা একদম খালি ছিল।

ভেবেছিলাম কারের ভেতরে
কাপল হবে হয়তো।

তাই ভিডিও করতে ভাবলাম।

তারপর...

এই, কে তুমি?

ওখানেই থামো।

তাহলে এই হচ্ছে কাহিনী।

এতক্ষণে ব্যাপারটা খোলাসা হলো।

এটাই যথেষ্ট ছেলেটিকে
নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

স্যার...

দয়া করে...

আমাকে যা বলেছেন কোর্টে
একই কথা বলতে পারবেন?

স্যার, সত্যি বলতে ভয় কেন পাব।

স্যার, কোর্টে সবকিছু বলব।

- হ্যাঁ!
- ধন্যবাদ, স্যার।

দোস্ত, এই ব্যাপারে জানুকে জানাই।

আচ্ছা।

আমার একটা সন্দেহ আছে?

ভিডিওটি এখনো তোমার
ফোনে কেন রাখলে?

স্যার...

ইচ্ছাকৃতভাবে রাখিনি।

ওই ফোনে...

অনেক স্মৃতি তাই কেটে ফেলিনি।

ওই সমস্ত পিক আর ভিডিওর সাথে,

এটাও খুঁজে পেয়েছিলাম।

আপনারা খুব ভাগ্যবান।

আমঘা?

- উনি...
- আমি।

তোমার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।

চলো।

স্যার...

এরেস্ট করার কারণ জানতে পারি?

দীপা নামের একটি
মেয়ের সাথে প্রতারণা করেছে,

বিয়ের প্রতিজ্ঞা করে।

এমনকি উত্ত্যক্তও করেছে।

তাই তদন্তের জন্য স্টেশনে নিচ্ছি।

স্যার...

এক বছর আগে আমাদের
ব্রেক-আপ হয়েছিল।

কেবল ব্রেক-আপ হয়েছিল।

অভিযোগ রেজিস্টার্ড হয়েছে এখন।

স্যার...

স্যার, আপনি এক বছর আগের
মামলা পুনরায় খুলেছেন।

একটি বিরোধ তৈরি করতে।

এটা ঠিক নয়।

আঁট বছর আগের মামলা
তুমি খুলতে পারলে,

আর আমি এক বছর আগের
মামলা খুলতে পারি না?

দেখো...

প্রমাণ শুধু আইনজীবীরা খুঁজে না।

পুলিশ...

এমনকি পুলিশও প্রমাণ খুঁজে।

ওকে এরেস্ট করো।

স্যার, আমি দোষী নই।

স্যার, আমাকে যেতে দিন।

রাঘাভাণ ওর ব্যাপারে
কীভাবে খবর পেলো?

স্যার, আমি নির্দোষ
আমাকে যেতে দিন।

স্যার, আমি নির্দোষ।

আগামীকাল কোর্টে হেয়ারিং জেনেই,

তাকে এখন এরেস্ট করেছে।

স্যার, যেতে দিন
মাহেশ স্যার, সাহায্য করুন।

স্যার...

আমাদের মধ্যে ওর গুপ্তচর আছে।

কে সেটা?

তোমাকে কিছু বলতে চাই।

হাই, মাহেশ...

- হ্যালো, স্যার...
- বসো।

কেমন আছ?

ভালো, স্যার।

কী ভাবছিলে?

তেমন কিছু নয়।

মামলার ব্যাপারে ভাবছিলাম।

একজন সাক্ষী পেয়েছিলাম।

ট্রেক করে অনেক কষ্টের বিনিময়ে।

বুঝতে পারলাম না পুলিশ কীভাবে
এই ব্যাপারে খবর পেয়ে গেল।

আজকে ওই সাক্ষীকে পেলে,

বিষ্ণুকে নির্দোষ ছিল
তা প্রমাণ করতে পারতাম।

ইদানিং...

আমার মনে হচ্ছে
আইন এবং ন্যায় বিচার...

দুটি ভিন্ন শব্দ।

একটা কথা বলি
আমার অভিজ্ঞতার থেকে,

তোমার মামলার সুরাহা গুলো,

তোমার মামলায় সাহায্য করতে পারে।

আসলে,

মানুষ তোমার ঘনিষ্ঠ হবে,
কিন্তু সর্বদা সাথে থাকবে না।

বুঝেছ?

মনে রেখো।

শুভরাত্রি।

এসব কী?

কী?

প্রশ্ন না করে উত্তর দাও?

আমার কথা শোনো।

শোনার মতো কী রেখেছ?

মামলাটির সমাধানের জন্য
আমি রাতদিন কষ্ট করে যাচ্ছি।

কী ভেবে তুমি
এমনটা করতে পারলে?

শান্ত হও, মাহেশ।

আমাদের ভবিষ্যতের
কথা ভেবে এমনটা করেছি।

আমাদের জন্য?

কী এমন ভালো হবে আমাদের,

দয়া করে ব্যাখ্যা করুন
মিস. জানাভী?

আমার কথা শোনো পুরোপুরি।

ঠিক আছে।

বসো।

বলো।

আমাদের নতুন অফিসের জন্য
সে আর্থিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত।

কেবল একটি শর্তসাপেক্ষে,

আর সেটি হচ্ছে
মামলাটি ছেড়ে দিতে হবে।

সিরিয়াসলি?

ওটার জন্য এমন করেছ?

এত স্বার্থপর কীভাবে হতে পারো?

হ্যাঁ।

আমি স্বার্থপর।

তুমি স্বার্থপর নয়?

মামলাটি জিতলে,

তুমি বিখ্যাত হবে,

একজন হিরো হয়ে যাবে।

এটাই কারণ না?

এমনকি তুমিও স্বার্থপর না?

তবে সেটা উচ্চস্বরে বলতে পারবে না।

একবার,

আয়নায় গিয়ে নিজের মুখ দেখো।

বুঝতে পারবে কতটুকু
বদলে গেছ তুমি।

তা ঠিক আছে।

দুনিয়া বদলায় তার নিয়মে।

যখন দুনিয়া বদলে যাচ্ছে,
সেখানে বদলাতে ভুলের কিছুই নেই।

মামলাটি জিতে তুমি কী পাবে?

টাকা?

না।

যখন আমার বাবা প্রশ্ন করবে,

আমার মেয়ের দেখভাল
কীভাবে করবে তুমি?

কী বলবে?

বলবে, "আংকেল আমরা সামলে নিব"।

ঠিক আছে, আমি স্বার্থপর।

কিন্তু আমি সেই লোকটির
ভবিষ্যতের কথাও চিন্তা করছি।

ওরা টাকাও দিতে প্রস্তুত।

ওই টাকা দিয়ে সে কিছু
ব্যবসা শুরু করতে পারবে।

একজন ভালো আইনজীবী সবসময়
তার ক্লায়েন্টের ব্যাপারে ভাবে আগে।

আমিও সেটাই করেছি।

তুমি খুব আবেগী হয়ে ভাবছ।

বাস্তবিকভাবে ভাবো।

প্রথমে,

কে বলেছে ওই লোকটির
আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন?

লোকটি কখনো টাকার জন্য
এসে আরজ করেছে?

কীভাবে ভেবে নিলে যে
লোকটির টাকার প্রয়োজন?

তাহলে তোমার মতে,

- টাকাই সব সমস্যার সমাধান।
- হ্যাঁ।

কেবল আমার নয়
যে কাউকে জিজ্ঞাসা করো,

সবাই একই জবাব দিবে।

চিন্তা করো এখন তোমাকে
হাসপাতালে যেতে হচ্ছে,

এমনকি সেখানেও,

কেবল টাকা থাকলে,

ডাক্তার তোমার চিকিৎসা করবে।

যদি না থাকে,

বলবে আল্লাহ্, আল্লাহ্ করুন।

এত কিছুর পরে,

স্যরি বলতে ইচ্ছে করছে না?

আসলে,

আমি এই ব্যাপারে ভেবেছি।

কিন্তু তুমি একবার বলেছিলে,

আইনজীবীরা ক্ষমার জন্য
কখনো জিজ্ঞাসা করবে না।

এখন,

শান্তি মনে ভাবো।

আমি কেন এমন করেছি
তুমি সেটা বুঝবে।

মহামান্য...

সকল প্রমাণ পেশ করার আগে,

অনুরোধ করছি,

মামলার তদন্তকারী অফিসার
রাঘাভাণকে কাঠগড়ায় ডাকার জন্য।

ঠিক আছে।

রাঘাভাণ, ডিপার্টমেন্টে কতদিন
যাবত আপনি কাজ করছেন?

২৫ বছর।

খুনের রাতে কী হয়েছিল?

ওই রাতে,

প্রায় ১২:৩০ এর দিকে পুলিশ
স্টেশনে আমরা একটি কল পাই।

বলল এম.আর. সার্কেলে
একটি খুন হয়েছে।

আচ্ছা।

যখন সেখানে পৌঁছালাম,

একজন ক্যাব ড্রাইভার
খুন হয়ে পড়েছিল।

প্রাথমিক তদন্তের শুরুতে,

আমরা তাকে সন্দেহ করি।

তদন্তের পরে জানলাম,

তার বাইক ক্যাবে ধাক্কা লাগার পরে,

ক্যাব ড্রাইভারের সাথে
সে তর্কাতর্কিতে লেগে যায়।

একসময় সে উত্তেজিত হতে,

নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

তারপর তার বাইক থেকে ছুরি এনে,

ক্যাব ড্রাইভারকে ছুরিকাঘাত করে।

তারপর...

তাকে সন্দেহ করে পুলিশ পাকড়ে।

অথচ পুলিশ স্টেশনে খুনের
ব্যাপারে সে জানিয়েছিল।

রাঘাভাণ।

এখানে বিস্ময়কর কিছু খুঁজে পাননি যে,

ছোট্ট একটা এক্সিডেন্টের কারণে
সে খুন করে ফেললো?

স্যার...

একটা খুন হয়েছে,

বিস্ময়কর হওয়ার চেয়ে
সত্য খুঁজে পাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ঠিক বলেছেন।

সত্যি খুঁজে পাওয়া অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খুনের রাতে,

বিষ্ণু শেষ কল তার
মায়ের সাথে ১২:৩০ মিনিট অবধি।

১২:৩১:৩৩ সেকেন্ডে,

খুনের ব্যাপারে পুলিশকে
সে ফোন করে জানায়।

মহামান্য, আমার প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে...

সে বাইক থামাল,

ড্রাইভারের সাথে তর্কাতর্কি করল,

আবার বাইক থেকে ছুরি নিতে এসে,

৯০ সেকেন্ডের মধ্যে
ড্রাইভারকে মেরে ফেললো?

আপত্তি আছে, মহামান্য।

মি. মাহেশ দাশ।

ফোনে কথা বলতে বলতে
খুন করা কি অসম্ভব?

কল হয়তো শেষ হয়নি,

কলটি হোল্ডে থাকতে পারে না।

হয়তো সে এয়ারফোন লাগিয়ে ছিল।

নয়তো ওর মা খুনের
ব্যাপারে নির্দেশ দিচ্ছিলেন।

সবকিছুই সম্ভব।

মহামান্য।

একজন সাধারণ প্রাইমারি
স্কুলের শিক্ষিকা,

তার ছেলেকে খুনের জন্য
নির্দেশ দিবেন কীভাবে?

আসলে আইনের উন্নতি হচ্ছে
ন্যায়বিচারের অবনতি হচ্ছে।

মহামান্য,

মনে হচ্ছে তরুণ আইনজীবী
অনেক মুভি দেখেন।

সেই কারণে তিনি
নাভারাসাসের কাহিনী দেখে,

আবেগী হয়ে,

পুরনো মামলা খুলেছেন।

আপনার জোরাল প্রমাণের দরকার।

কেবল একটি ফোন কল
প্রমাণ করতে পারে না।

এমনকি তারা এটি মেনেও নিবে না।

হ্যাঁ, মাহেশ
উনি ঠিক বলেছেন।

অন্যকোনো প্রমাণ আছে?

উত্তর দিন...

ম্যাডাম জিজ্ঞাসা করছেন
আছে কোনো প্রমাণ?

নাকি বলবেন,

আমিই পুলিশ দিয়ে
তাকে অপহরণ করিয়েছি।

প্রমাণ আছে, মহামান্য।

কিন্তু আমি কোর্টকে অনুরোধ করছি,

সেটি উপস্থাপন করতে
আমাকে কিছু সময় দেওয়ার জন্য।

মাহেশ দাস।

এটাকে আপনার গ্রামের
পঞ্চায়েত মনে হচ্ছে?

নিজের খুশি মতো
সময়ের অনুরোধ করছেন?

মহামান্য,

প্রথমত, এই মামলার তদন্ত
ঠিকঠাকভাবে হয়নি।

ফলাফল, একজন নির্দোষ
শাস্তিভোগ করেছে।

আর তদন্তকারী অফিসার,

প্রমাণগুলো নষ্ট করে দিয়েছেন।

তাই...

আপনি আমাকে সুযোগ দিলে,

কোর্টে আমি এটা প্রমাণ করবই।

ঠিক আছে, বসুন।

জ্বী, মহামান্য।

প্রমাণগুলো বিচার করার পরে,

বোঝা গেল মামলাটিতে
অনেক খুঁত রয়েছে।

আমি মনে করি সঠিকভাবে
তদন্তটি করা হয়নি।

তাই...

ইন্সপেক্টর রাঘাভাণকে
পরবর্তী হেয়ারিং অবধি,

সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এবং কোর্টে সঠিক
প্রমাণগুলো পেশ করাতে,

আগামী মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত
আদালত মুলতবি করা হলো।

- মাঞ্জুলা, নোট করুন।
- জ্বী, ম্যাডাম।

টগবগে যুবক...

ভালোই বেশভূষা লাগিয়েছ।

আমি একজন খুব ভালো মানুষ।

কিন্তু জানি না তুই কেন সবসময়
আমার খারাপ দিকটা জাগিয়ে তুলিস।

তোমার একজন বয়স্ক মা আছেন।

উনার শেষ দিন অবধি সাথে থাকো।

তাদের স্মৃতিতে নয়।

ম্যাডাম, বুঝিয়ে বলুন ওকে।

মামলায় অনেক
আগেই হেরে গেছেন।

ঝামেলা করার সাহস করিস না।

শোন...

যতক্ষণ তুই শর্তাধীনে
বাইরে আছিস ততক্ষণ নিরাপদ।

একবার জেলে ঢুকে গেলে,

মি. রাঘাভাণ।

আমার বাবা বলতেন...

বাবা...

খারাপ লোককে বদলাতে পারবি।

কিন্তু অভিশপ্ত লোককে
কখনোই বদলাতে পারবি না।

আজকে কেবল আপনার
ক্ষমতা হারিয়েছেন।

আরো অনেক আছে হারানোর।

খোদার কাছে প্রার্থনা করুন।

কারণ,

আমি আপনাকে ছাড়ব না।

গতকাল উনাকে
শিক্ষা দিয়েছিলেন, স্যার।

হয়তো বুঝতে পারেননি।

দেখুন,

টিচার বা পুলিশ কিংবা একটা
চোরও আপনাকে চপেটাঘাত করে,

শব্দটি আপনি শুনবেন।

যদি খোদা কিংবা আইনজীবী
চপেটাঘাত করেন,

কোনো শব্দ শুনবেন না।

কিন্তু ওই ব্যথাটা
সহ্য করতে পারবেন না।

আপনার বস সেটা
খুব ভালোভাবেই জানেন।

সময় আসলে আপনিও
বুঝতে পারবেন।

কী বলেছিলেন?

পুলিশ প্রমাণ খুঁজে।

আইনজীবী সুযোগ খুঁজে।

চলো।

সুরি, একটি ক্যাব বুক করে।

সুরি ক্যাব ড্রাইভারকে ছুরি মেরে
ছিনতাই করে পালায়।

আমঘা, তার মোবাইলে
ভিডিও রেকর্ড করে,

সুরি আমঘার ভিডিও
রেকর্ডিং এ ধরা পড়ে।

তারপর সুরি আমঘার
পেছনে ধাওয়া করে।

আমঘা একটি ট্রাকে করে,

চলে যায়।

সুরি ফেরার পথে,

তার বিপরীত দিকে
বিষ্ণু চলে আসে।

বিষ্ণু পিছলে পড়ে যায়।

কিন্তু সুরি পালাল কীভাবে!

ওহ! কিছু একটা মিসিং।

দোস্ত, শোনলাম অফিসে
তর্কবিতর্ক করেছেন।

ফোন কেন দিয়েছ?

জানতাম এমনই হবে।

সেজন্য আমি ভিডিওটি দিইনি।

কোন ভিডিও?

আমঘার মোবাইলের রেকর্ডিং।

ভিডিওটির কপি আমি রেখেছিলাম।

ইমেলে পাঠাচ্ছি।

এটা আগে দিলে,

প্রমাণ হিসাবে পেশ করতে পারতাম।

ওহ! আর আপনার প্রেমিকা ওটা
পার্থসারথিকে দিয়ে দিতেন, না?

কি হয়েছিল আমি জানতাম।

নিরাপদের জন্য আমি
এক কপি রেখে দিয়েছিলাম।

- দেখো।
- আছা।

দাঁড়াও, আমি দেখছি।

ভিডিওতে সুরি নেই?

অন্য কেউ।

খুব মাতাল অবস্থা
উনাকে ছুরিকাঘাত করি।

পরে দৌড়ে পালাই।

তাহলে সুরি উনাকে
ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালায়।

অন্যকেউ বাইক নিয়ে এসেছিল।

স্যার, একটি ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

আমি ক্যাব ড্রাইভারকে
ছুরি মেরে হত্যা করিনি।

ক্যাব ড্রাইভারকে যে ছুরি
মেরেছে সে সুরি নয়।

বাইকের ব্যক্তিটি ছিল।

বাইকের লোকটি কে ছিল?

আমঘাকে ধাওয়া সেই করেছিল।

বিষ্ণুও তাকে দেখেছিল।

তাহলে...

সুরি ক্যাব ড্রাইভারকে ছিনতাই করে
ছুরি মেরে পালায়।

তারপর অন্য একজন সেখানে এসেছিল।

আমঘাভার্শা ওই লোককে দেখেছিল।

সে আমঘাভার্শাকে ধাওয়া করে কিন্তু,

আমঘাভার্শা পালিয়ে যায়।

একটি ট্রাকে।

যখন সে ফিরছিল,

বিষ্ণুর বাইক চলে আসে
আর বিষ্ণু পিছলে পড়ে যায়।

বাইক মালিকটি কে হতে পারে?

- স্যার, সে..
- শেষ।

বাইকের বিস্তারিত পেয়েছিস?

আমার সকল ওয়ার্কারকে
ভিডিওটি দেখিয়েছি।

নাম্বার প্লেট স্পষ্ট নয়।

নইলে পুরো বিস্তারিত দিতে পারতাম।

অসংখ্য ধন্যবাদ, স্যার। আমরা...

যেটা আমরা জানি
সেটাই বারবার বলছেন কেন!

নাম্বারের ব্যাপারে জানলে
আমরা এখানে আসব কেন!

অন্য কোনো বিস্তারিত?

বিস্তারিত হলো...

এই বাইকটি ম্যাচিসমো মডেলের,

এই সংস্করণে মাত্র
১৫০ টি বাইক বিক্রি হয়।

- এর মধ্যে এটাই আছে।
- অসংখ্য ধন্যবাদ।

সীমিত সংস্করণের বাইকের
বিস্তারিত জেনে আমি কী করব?

গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলুন।

আচ্ছা, এটা সীমিত সংস্করণের বাইক।

সকল বাইক মালিকের
বিস্তারিত পেতে পারি?

একটা কাজ করতে পারি।

- ১৫০ বাইক বিক্রি হয়েছিল জানি।
- হ্যাঁ।

আর এটি সীমিত সংস্করণের বাইক।

আমি কী করব...

আমি রিস্ক নিয়ে,

১৫০ বাইকের মালিকের
বিস্তারিত তোকে দিব।

যদি কিছু করতে পারিস।

এভাবে লোকটি খুঁজতে

অনেক সময় লেগে যাবে।

- এটা অসম্ভব।
- স্যার।

স্যার, খুঁজে পাওয়া সহজ।
আমি খুঁজব লোকটিকে।

- কীভাবে?
- স্যার...

- ৫১৮
- মোবাইলের

- টাওয়ার।
- কল লিস্ট।

স্যার, পরিষ্কারভাবে দেখুন।

লোকটি কারের বাইরে আসছে,

মোবাইলে কারো সাথে কথা বলছে।

উনার দেওয়া ঠিকানার সাথে,

আমরা বিস্তারিত মিলিয়ে ফেলি।

আর মিলে গেলে,

সেই তো বাইক মালিক হবে।

অরেঞ্জ জুস নিয়ে আসুন।

এইবার আমি এটার
সমাধান দিয়ে ফেলেছি।

তোমার ভবিষ্যৎ তো
ধবধবে সাদা।

বাইকটির দাম কত?

নারায়াণাপ্পার সাথে
দেখা করতে এসেছি।

নারায়াণাপ্পা আমার বাবা।

হ্যাঁ, উনার সাথে
দেখা করতে এসেছি।

দুইমাস আগে উনি মারা যান।

সাবধান।

স্যার, কীভাবে মারা গেলেন?

হার্ট অ্যাটাক, স্যার।

উনি নারায়াণাপ্পা?

জ্বী স্যার, ওটা আমার বাবা ছবি।

- দোস্ত, পুলিশ...
- কীভাবে সাহায্য করতে পারি?

স্যার, আসলে আমরা
এলআইসি থেকে এসেছি।

উনার নামে পলিসি রয়েছে।

আপনি নিশ্চিত করতে পারেন।

উনার মোবাইল নাম্বার।

নিশ্চয়।

৯৮৪৫১৬১২১৩

না স্যার, আমার বাবার নাম্বার ছিল...

৯৭৩৯১২১৪৯০

৪৯০...

তাহলে আমরা খুবই দুঃখিত স্যার,
আমরা ভুল ঠিকানায় চলে এসেছি।

আশেপাশে অন্য কেউ আছেন
নারায়াণাপ্পার নামে?

আমার জানামতে নেই।

- কেউ নেই!
- না, স্যার।

আসলে আমরা যে
নারায়াণাপ্পাকে খুঁজছি,

উনি বেঁচে আছেন।

- ওহ!
- আর উনি হচ্ছেন...

সিভিল কন্ট্রাক্টর।

- বিরক্ত করার জন্য স্যরি।
- ব্যাপার না।

অসংখ্য ধন্যবাদ, স্যার।

ঠিক আছে...

দোস্ত...

তোর বলা সকল নাম্বারের
বিস্তারিত খুঁজে পেয়েছি।

১০ মার্চ ২০১০

১২-১২:৩০ এর মধ্যে...

এই নাম্বারে,

৩ টা কল এসেছে ৩ টা কল
গিয়েছে একই নাম্বারে।

নাম্বারটির বিস্তারিত খুঁজে পেয়েছিস?

নাম্বার খুঁজে পেয়েছি
কিন্তু বিস্তারিত পাইনি।

- এক্সেস ডিনাইড।
- কেন?

এক্সেস ডিনাইড।

আমার মতে, এটা
ভিআইপিদের নাম্বার।

ভিআইপি নাম্বার...

ওই নাম্বারটি দে,

সব বিস্তারিত এখানে আছে
দেখ তোর সাহায্য হয় কিনা।

হ্যালো..

কী!

বিষ্ণু...

স্যার, আমাকে যেতে দিন।

আমি কিছু করিনি।

না স্যার, আমি কোনো ভুল করিনি।

কেবল সত্যিটা বলো...

সবকিছু তাকে বলেছি...

গুরু, চেক করে দেখো তো কি।

জ্বী, স্যার।

সাহস হলো কীভাবে
আমাদেরকে মারার...

পুলিশ...

স্যার, সে কোথায়?

ভেতরে।

স্যার, জলদি চলুন।

তোকে জীবিত ছেড়ে দেওয়া
আমারই ভুল ছিল।

উঠ...

কী করছ?

ভেতরে, স্যার...

স্যার, আটকাবেন না,
ওকে মেরেই ফেলিব।

- ছাড়ুন আমাকে।
- কেন...

কেন, খুন করবে?

তাকে খুন করার আগে,

আমাকে মেরে ফেলো।

আমাকে মেরে ফেলতে হবে।

জানো কেন?

কারণ এই পরিস্থিতে
তোমাকে এনেছি,

নির্দোষ বানাতে।

কাউকে খুন করার জন্য...

সেজন্য...

তার আগে আমাকে মেরে ফেলো।

মেরে ফেলো আমাকে,
এসো, ছুরিকাঘাত করো।

পারবে না, তাই না?

পারবে না ছুরিকাঘাত করতে, তাই তো।

জানো কেন?

কারণ..

তুমি খুনি নও।

তুমি হচ্ছ নিরপরাধ।

কী ব্যাপার?

এই ব্যাপারে আমি
অনেক চিন্তা করেছি।

তারপর তুমি চলে গেলে।

আমি কি ঠিক করছি নাকি,

তুমি যেটা করেছিলে সেটাই ঠিক।

আমি কোনো উত্তর খুঁজে পাইনি।

আমার একটি স্বপ্ন আছে।

নিজের বাংলো, গাড়ি,

এবং বিশ্ব ভ্রমণে জন্য প্রচুর টাকা।

এসবে কি ভুল কিছু আছে?

তুমি মামলা আর
কোর্ট নিয়ে ডুবে ছিলে,

আমাকে কখনো মনে করোনি।

আমি টাকা আর
স্ট্যাটাস নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।

কিন্তু তোমাকে ভুলে পারিনি।

আমি দুঃখিত।

জানতাম তুমি ফিরে আসবে।

কীভাবে?

কীভাবে?

অনুচ্ছেদ ২৬ এর মতে,

থার্ড পার্টির কাছে
প্রমাণ ফাঁস করাতে...

প্লিজ, এই সময় না।

হ্যাঁ, এই সময় আমি
তোমার সাথে থাকতে চাই।

ঠিক আছে, এমন হয়।

চলো, যাই।

এখন আমরা খুনির নাম্বার পেয়ে গেছি।

ফোনটা ধরলেই বলবে,

আমরা তোমাকে শিক্ষা দেবো।

হ্যালো...

১০ মার্চ,

মধ্যরাত্রি ১২:৩০ এ

ক্যাব ড্রাইভারের খুন হয়।

কনস্টেবল নারায়াণাপ্পা,

তোমার যে প্রমাণের প্রয়োজন
তা আমার কাছে আছে।

আগামীকাল,

এক কোটি টাকা নিয়ে ম্যাজেস্ট্রিক
বাস্ট স্টেন্ডে চলে এসো।

প্লাটফর্ম নাম্বার ১৪
৭:৩০ এ।

নয়তো...

স্যরি ভুল নাম্বার।

হ্যালো, হ্যালো...

ভুল নাম্বার বলে কেটে দিল কল।

এখন কী করব?

- জানু।
- নিশ্চিত, এই লোকটিই।

আসবে মনে হয়?

নিশ্চিত আসবে।

কিন্ত স্যার, সে ভুল
নাম্বার বলেছে তো।

যদি লোকিটি সে না হয়?

প্রয়োজনীয় সবকিছু জেনে
তবেই কলটি কেটেছে।

হ্যাঁ, নয়তো...

ধরা মাত্র তার,

কলটি কেটে দেওয়া উচিত ছিল।

সেটাই...

স্যার, কিন্ত...

তার বদলে,

অন্যকেউ আসলে?

একদিনে যে এক কোটির
ব্যবস্থা করতে পারে,

দশজন লোক পাঠাবে না?

আমরা কী করতে পারি?

সেটা যেটা বলছে ঠিক।

দেখো, এতদিন
আইনজীবীর মতো ভেবেছ,

এখন অপরাধীর মতোই ভাবো।

ঠিক আছে।

আজকে এই মামলার ব্যাপারে
পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলেছিলাম।

যেহেতু রাঘাভাণ আর তার টিম
মামলাটির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।

কমিশনার আমাদের
সাহায্য করতে টিম পাঠিয়েছেন।

পরিকল্পনাটি হচ্ছে...

মেমোরি কার্ড?

টাকা।

ওহ, শিট!

ওকে নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাও।

এসো সবাই...

জিপিএস ট্রেকার বক্সে একটিভেট করে
চেক করো ওটা কোথায়?

স্যার, বাস্ট স্টপের বাইরে।

টিম ওয়ান, ম্যাজেস্ট্রিক
বাস স্টপের বাইরে এসো।

স্যার, এখন এটা
ফার্স্ট মেইন গান্ধীনগর।

ফার্স মেইন গান্ধীনগরের কাছেপিঠে।

টিম ওয়ান ওখানে যাও।

- জলদি করো।
- স্যার, আমরা যাচ্ছি।

- ট্রেকিং বন্ধ করো না।
- সেকেন্ড মেইনের দিকে যাচ্ছে।

টিম টু সেকেন্ড মেইনে যাও।

হ্যাঁ স্যার নিয়ে এসেছি।

নড়বে না।

এক মিনিট।

স্যুটকেসটি কোথায়?

স্যার...

দেখো...

স্যার, সিগন্যাল হারিয়ে ফেলেছি।

ধুর!

এখন কী করব?

বাঘ যখন দুই কদম পিছু হটে
তারমানে সে শিকারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

সে চালাক হতে পারে।

কিন্তু এতটা নয়।

স্বাগতম মাহেশ...

তোমার হাসিই সবকিছু বলছে,

ইতিমধ্যে মামলাটি
তুমি জিতে গিয়েছে।

জানো?

বড়শি দিয়ে বোয়ালমাছ ধরার চিন্তা
কখনোই তোমার করা উচিত নয়।

এখনো একটি সুযোগ আছে
এই ব্যাপারে ভালো করে ভাবো।

যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে
রাজার মতো মরে যাবে?

নাকি...

আমার সাথে সমঝোতা করে,

সুখী জীবন কাটাবে।

সিদ্ধান্ত তোমার।

স্যার...

সমঝোতা করার সময় যেমন
যুদ্ধ করাটা বোকামী,

ঠিক তেমনই যুদ্ধের সময়
সমঝোতা করাটাও বোকামী।

শুধু কৌতূহলের জন্য জিজ্ঞাসা,

কেবল একটি ফটো দিয়ে,

কীভাবে প্রমাণ করবে
এসবের পেছনে আমি?

কেবল ছবি নয়।

অন্য প্রমাণও আছে।

মেমোরি কার্ডটি যেটি খুঁজছিলেন।

তুমি তৈরি?

কী নিয়ে ভাবছ?

আমার জীবনে এইদিন
আসবে কখনো ভাবিনি।

স্যার আমরা জিতব, তাই না?

জিতব কিনা নিশ্চিত নয়,

কিন্তু হারব না নিশ্চিত।

চিন্তা করো না।

স্যার, আমার জন্য আপনি
অনেক কষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন।

আমি দুঃখিত, স্যার।

দেখো...

ভালো আর খারাপ মানুষের মধ্য
কখনো লড়াই হয় না।

লড়াই হয় ভালো
এবং মন্দের মাঝে।

স্যার, একটা অনুরোধ
আর সন্দেহ আছে।

- বলো...
- অনুরোধ হলো...

মামলাটির শেষে,

ক্যাব ড্রাইভারের পরিবারের সাথে
আমি দেখা করতে চাই।

তাদের ভাবনা আমি খুনি।

তাদেরকে আমি সত্যি বলতে চাই।

আর তোমার সন্দেহটি?

মেমোরিটি আপনি
কীভাবে খুঁজে পেলেন?

দেখো...

জীবনে কিছু প্রশ্নের উত্তর
খুঁজে পাওয়া যায় না।

কিন্তু...

তোমার প্রশ্ন দুটোর উত্তর হচ্ছে...

হ্যালো, বাবা
কী হচ্ছে?

হ্যালো, প্লিজ বাবা...

বাবা, কথা বলো...

হ্যালো, বাবা...

হ্যালো বাবা, কোথায় তুমি?
কথা বলো...

হ্যালো বাবা...

শুরু থেকেই আমি জানতাম,

তুমি আমার বাবাকে খুব করোনি।

কিন্তু...

কিছু করার মতো পরিস্থিতিতে
আমি ছিলাম না।

আঁট বছর আমি অপেক্ষা করেছি।

আঁটটি বছর।

তারপর...

আমি আর আমার বন্ধু
একটি প্ল্যান বানাই।

মামলাটি আমরা পুনরায়
শুরু করছি না কেন?

- অসম্ভব।
- কেন?

এটি আঁট বছরের পুরনো মামলা।

আমাদের টাকা আর জনবলের দরকার।

এর জন্য আমার
একটা পরিকল্পনা আছে।

কী?

হেগডে অ্যাসোসিয়েটেস।

আগামীকাল তোদের ফার্মে
ইন্টার্ভিউ আছে।

আগে দেখি কে মনোনীত হয়।

তারপর সিদ্ধান্ত নিব।

মাহেশ দাস।

সে শাস্ত্রী, মামলার চার্জে।

তারা বিনামূল্যে বৈধ সেবা
শুরু করার পরিকল্পনা করছে।

আমাদের ফার্ম বিনামূল্যে আইনি
সেবা শুরু করার পরিকল্পনা করছে।

যেকোনো পুরনো মামলা
পুনরায় শুরু করা।

আমাদের নতুন একটি
মামলা করতে হবে।

সোজাভাবে বলতে,
"ক্ষতিপূরণ মামলা"

আমাদের করা উচিত?

ক্ষতিপূরণ মামলা লড়াই করার চেয়ে,

চলুন মামলাটি
পুনরায় শুরু করি।

বিবৃতি অনুযায়ী আমাদের
ক্লায়েন্ট খুনটি করেনি।

তাই ক্ষতিপূরণ মামলাটি বাতিল হবে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে,

ওই মেমোরি কার্ডের ব্যাপারে
আমার কাছে কোনো তথ্য ছিল না।

কিন্তু উপায়টি তিনি নিজেই
আমাদের জন্য রেখে গেছে।

মেমোরি কার্ড?

তখন বাবার বলা কথা
আমার মনে পড়ল।

তোর বাবা হিসাবে বলছি না,

পুলিশ ইনফরমার হয়ে,

একজন উচ্চপদস্থ
আইনজীবীর মতো বলছি,

আমাদের সিক্রেট সবসময় আমাদের
ব্যবহারি জিনিসে রাখা উচিত।

যত সম্ভব আমাদের কাছে।

আইন বলে ১০০ জন অপরাধী
সাজা না পেলেও সমস্যা নেই,

কিন্তু একজন
নিরপরাধীও জেনো সাজা না পায়।

কিন্তু একজন নিরপরাধ সাজা পেলে
দেখার মতো কেউ নেই।

আইনের মারপেঁচ দেখার জন্য,

প্রথম মামলা হিসেবে তোমাকে বেছে নিই।

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার,

ভাজরামুনি।

উনার সকল অবৈধ কাজ,

ভিডিওতে রেকর্ড ছিল।

কেউ যেন এটা না জানে,

এনকাউন্টার করে মারা লাশ এটি।

জনসম্মুখে শবদাহ করলে,

রাজনৈতিক সমস্যা হবে,
আবার জনগন এটা নিয়ে তেনা পেচাঁবে।

এই শ্মশানে এখন পুড়িয়ে ফেললে
কেউই জানবে না।

পুড়িয়ে ফেলো।

স্যার, কীভাবে পুড়াতে পারি?

স্যার, যদি খুঁজে বের করে ফেলে?

স্যারই তো অর্ডার করেছেন।

উনি ভেতরে আছেন।

স্যার, ভয় লাগছে।

এর জন্য যদি আমি দায়ী হই!

আমরা দেখে নিব।

তুমি তোমার কাজ করো।

পলিটিশিয়ান আর ব্যবসায়ীর থেকে
ঘুষ নেওয়ার পরে,

এনকাউন্টারের নামে
তাদের শত্রুদের খুন করে,

তারপর শ্মশানে লাশটা
পুড়িয়ে ফেলা হতো।

আর সমস্ত দুনিয়ার কাছে তাদেরকে
নিঁখোজ মানুষ হিসেবে দেখাতেন।

শ্মশানের ছেলেটা ঐ ঘটনার
একটা ভিডিও করেছিল।

আর পুলিশ ইনফরমার সহ
আমার বাবা রাম দাসকে জানায়।

কনস্টেবল নারায়াণাপ্পা
আমার বাবাকে ফলো করে।

কিন্তু সুরি বাবাকে ছুরিকাঘাত করে
সব লুটে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

যিনি তখনো অবধি বেঁচে ছিলেন।

শুধুমাত্র ভিডিওটি দেখার
কারণে আপনার আদেশে,

কনস্টেবল নারায়াণাপ্পা,
আমার বাবাকে মেরে ফেলে।

কিন্তু ৯ মাস পরে,

মামলাটির ব্যাপারে একটি
কল আসে স্টেশনে।

আপনি শুধুমাত্র মেমোরি
কার্ডটির ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন।

মামলাটি পুনরায় শুরুতে
বিশেষ আগ্রহ আপনার ছিল।

আমাদেরকে সরাতে,

বিষ্ণুকে সুরির ব্যাপারে
তথ্য দিয়েছিলেন।

কিন্তু ভুলটি আপনিই করেছিলেন...

আমাদের কাছে মেমোরি
কার্ড ছিল বিশ্বাস করে।

আমার বাবা বলতেন,

একজন শক্তিশালী লোক জয়ী হয়
কেবল তার শক্তির ক্ষমতায়।

কিন্তু বুদ্ধিমানরা
সবসময় জয়ী হয়।

এই কারণে তিনি আমার নাম
রেখেছিলেন মাহেশ দাস।

কারণ কয়েক বছর আগে,

মাহেশ দাসের নামে একজন
এসব কথা বিশ্বাস করতেন,

সেজন্য ভালোবেসে মানুষ
মাহেশ দাসকে ডাকত,

বীরবল।

বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে মুভিটি দেখার
জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।